পাসপোর্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পাসপোর্ট এক ধরনের ভ্রমণ নথি, যা সাধারণত একটি দেশের সরকারকর্তৃক জারি করা হয়। এটি আন্তর্জাতিক ভ্রমনের সময় বাহকের জাতীয়তা ও পরিচয় প্রত্যয়িত করে। [১] একটি পাসপোর্টে সাধারণত বাহকের নাম, জন্মের তারিখ ও স্থান, ছবি, স্বাক্ষর, এবং অন্যান্য চিহ্নিতকরণের তথ্য থাকে। ডিসেম্বর ২০০৮ অনুযায়ী, ৬০ টি দেশ বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট প্রচলন করেছে,[২] এবং এপ্রিল ২০১৭ অনুযায়ী এই সংখ্যা ৯৬। পুর্বে জারি করা একটি পাসপোর্ট সাধারণত একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বৈধ থাকে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রথম জাপানি পাসপোর্ট, ১৮৬৬ সালে জারি করা হয়েছিলো।

আনুমানিক ৪৫০ খ্রিষ্টাব্দে হিব্রু বাইবেলের নেহেমিয়া ২ঃ৭-৯ তে পাসপোর্টের অনুরূপ কাগজের নথির উল্লেখ পাওয়া যায়, যা গোড়ার দিকের জানা সূত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।

মধ্যযুগীয় ইসলামিক খেলাফতের সময়, শুল্ক প্রদানের রসিদ ছিল এক ধরনের পাসপোর্ট। যারা যাকাত (মুসলিমদের জন্য) ও জিজিয়া কর (জিম্মিদের জন্য) প্রদান করতো, শুধু সেই সমস্ত মানুষ খেলাফতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারতো। এইভাবে শুল্ক প্রদানের রসিদ ভ্রমণকারীদের জন্য পাসপোর্টের অনুরূপ ছিল।[৩]

ই পাসপোর্ট[সম্পাদনা]

বর্তমানে ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে। ই পাসপোর্ট এর ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। ফলে যেকোনো দেশের কর্তৃপক্ষ সহজেই ভ্রমণকারীর সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Cane, P & Conaghan, J (২০০৮)। The New Oxford Companion to Law। London: Oxford University Press। আইএসবিএন 9780199290543 
  2. "Over 60+ countries now issuing ePassports - FindBiometrics"FindBiometrics (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-১২-৩০। ২০১৭-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৫ 
  3. Frank, Daniel (১৯৯৫)। The Jews of Medieval Islam: Community, Society, and IdentityBrill Publishers। পৃষ্ঠা 6। আইএসবিএন 90-04-10404-6 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]