পলিন ফাইফার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পলিন ফাইফার
Pauline Pfeiffer
১৯২৭ সালে প্যারিসে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ও পলিন
জন্ম
পলিন মারি ফাইফার

(১৮৯৫-০৭-২২)২২ জুলাই ১৮৯৫
মৃত্যু১ অক্টোবর ১৯৫১(1951-10-01) (বয়স ৫৬)
মৃত্যুর কারণশক
সমাধিহলিউড ফরেভার সেমেটারি
জাতীয়তামার্কিন
মাতৃশিক্ষায়তনমিজুরি স্কুল অব জার্নালিজম
পেশাসাংবাদিক
দাম্পত্য সঙ্গীআর্নেস্ট হেমিংওয়ে
(বি. ১৯২৭; বিচ্ছেদ. ১৯৩৪)
সন্তানপ্যাট্রিক হেমিংওয়ে
গ্রেগরি হেমিংওয়ে

পলিন মারি ফাইফার (ইংরেজি: Pauline Marie Pfeiffer; ২২ জুলাই ১৮৯৫ - ১ অক্টোবর ১৯৫১) ছিলেন একজন মার্কিন সাংবাদিক ও লেখিকা। তিনি কথাসাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী।[১]

জীবনী[সম্পাদনা]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

ফাইফার ১৮৯৫ সালের ২২শে জুলাই আইওয়ার পার্কারসবার্গে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পল একজন আবাসন প্রকল্প ব্যবসায়ী ছিলেন এবং মাতা ম্যারি ফাইফার। তারা ১৯০১ সালে সপরিবারে সেন্ট লুইসে চলে যান এবং তিনি সেখানে সেন্ট লুইসের ভিজিটেশন একাডেমিতে পড়াশোনা করেন। তার পরিবার পরবর্তীকালে আর্কানসাসের পিগটে চলে গেলেও ফাইফার মিজুরিতেই অবস্থান করেন এবং ১৯১৮ সালে মিজুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব জার্নালিজম থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ক্লিভল্যান্ডে ক্লিভল্যান্ড প্রেস ও নিউ ইয়র্কে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ সংবাদপত্রে কাজ করার পর ফাইফার ভ্যানিটি ফেয়ারভোগ ম্যাগাজিনে কাজ করেন। ভোগ ম্যাগাজিনের হয়ে প্যারিস যাওয়ার পর ১৯২৬ সালে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ও তার প্রথম স্ত্রী হ্যাডলি রিচার্ডসনের সাথে তার পরিচয় হয়।[২]

হেমিংওয়ের সাথে বিবাহ[সম্পাদনা]

১৯২৬ সালে বসন্তে আর্নেস্ট হেমিংওয়ের প্রথম স্ত্রী হ্যাডলি রিচার্ডসন পলিনের সাথে হেমিংওয়ের প্রেমের সম্পর্ক বিষয়ে অবগত হন।[৩] জুলাই মাসে পলিন পাল্পলোনাতে এই দম্পতির এক বার্ষিক ভ্রমণে তাদের সাথে যোগ দেন।[৪] প্যারিসে ফিরে আসার পর হ্যাডলি ও হেমিংওয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, এবং নভেম্বর হ্যাডলি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদের অনুরোধ জানান।[৫] ১৯২৭ সালের জানুয়ারিতে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[২]

হেমিংওয়ে ও পলিন ১৯২৭ সালের মে মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, এবং তারা লে গ্রো-দ্যু-রোয়াতে মধুচন্দ্রিমায় যান।[৬][৭] পলিনের পরিবার ছিল বিত্তশালী ও ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী। বিবাহের পূর্বে হেমিংওয়ে ক্যাথলিক ধর্মে দীক্ষিত হন।[৮] এই বছরের শেষের দিকে পলিন অন্তঃসত্ত্বা হন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে চান। জন ডস প্যাসস তাদের কি ওয়েস্টে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তারা ১৯২৮ সালের মার্চে প্যারিস ত্যাগ করেন।[৯]

এই দম্পতির দুই পুত্র ছিল, তারা হলেন প্যাট্রিক হেমিংওয়েগ্রেগরি হেমিংওয়ে। হেমিংওয়ে ফাইফারের একটি সন্তান জন্মদানকালে তার গর্ভ ব্যথার বিষয়টি তার আ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস উপন্যাসে ক্যাথরিনের মৃত্যুর মাধ্যমে তুলে ধরেন। ফাইফার রোমান ক্যাথলিক ধর্ম বিশ্বাসী ছিলেন, যার ফলে তিনি স্পেনের গৃহযুদ্ধে ন্যাশনালিস্টদের সমর্থন প্রদান করেন। অন্যদিকে হেমিংওয়ে রিপাবলিকানদের সমর্থন দিয়েছিলেন।[২]

১৯৩৭ সালে এক স্পেন ভ্রমণে হেমিংওয়ে মার্থা গেলহর্নের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। ১৯৪০ সালের ৪ঠা নভেম্বর ফাইফার ও হেমিংওয়ের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তিন সপ্তাহ পরে হেমিংওয়ে গেলহর্নকে বিয়ে করেছিলেন।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. হ্যারিস, পেগি (২০ জুলাই ২০০০)। "Ernest Hemingway Museum Popular in Quiet Farm Town"দ্য টাসকালুসা নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৮ – গুগল নিউজ-এর মাধ্যমে। 
  2. কার্ট, বার্নিস (১৯৮৩)। The Hemingway Women: Those Who Loved Him – the Wives and Others। নিউ ইয়র্ক: ডব্লিউ ডব্লিউ নর্টন অ্যান্ড কোং। 
  3. বেকার ১৯৭২, পৃ. ৪৩।
  4. মেলো ১৯৯২, পৃ. ৩৩৩।
  5. মেলো ১৯৯২, পৃ. ৩৩৮-৩৪০।
  6. মেয়ার্স ১৯৮৫, পৃ. ১৭২।
  7. মেলো ১৯৯২, পৃ. ৩৪৮-৩৫৩।
  8. মেলো ১৯৯২, পৃ. ১৯৪।
  9. মেয়ার্স ১৯৮৫, পৃ. ২০৪।

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]