নিকোলাস অটো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিকোলাস অগাস্ট অটো
আনুমানিক ১৮৬৮ সালে নিকোলাস অগাস্ট অটো
জন্ম(১৮৩২-০৬-১৪)১৪ জুন ১৮৩২
হোলঝসেন অ্যান ডের হাইডে
মৃত্যু২৬ জানুয়ারি ১৮৯১(1891-01-26) (বয়স ৫৮)
জাতীয়তাজার্মান
পেশাপ্রকৌশলী
পরিচিতির কারণঅন্তর্দহন ইঞ্জিন
উপাধিসম্মানসূচক ডক্টরেট
দাম্পত্য সঙ্গীঅ্যানা গোসি
সন্তান৭ (তাদের মাঝে একজন গুস্তাভ অটো ছিলেন আকাশযান নির্মাতা)
অটোর বায়ুমণ্ডলীয় ইঞ্জিন
১৮৭৬ সালে নির্মিত অটোর চার চক্রীয় ইঞ্জিন
অটোর ১৮৭৬ সালের চার চক্রীয় ইঞ্জিনের নকশা

নিকোলাস অগাস্ট অটো (১৪ জুন ১৮৩২, হোলঝসেন অ্যান ডের হাইডে, নাসাউ – ২৬ জানুয়ারি ১৮৯১, কোলন) একজন জার্মান প্রকৌশলী ছিলেন যিনি সফলভাবে পেট্রোলিয়াম গ্যাসের সাহায্যে চলা অন্তর্দহন ইঞ্জিনের উন্নয়ন করেছিলেন। তার হাত ধরে যাত্রা শুরু করে আধুনিক অন্তর্দহন ইঞ্জিন। জার্মান প্রকৌশলী সংঘ দ্বারা প্রণীত ডিআইএন ১৯৪০ এ বলা হয়েছে, "অটো ইঞ্জিন: অন্তর্দহন ইঞ্জিন যাতে ঘনীভূত জ্বালানি-বায়ুর মিশ্রণ নির্দিষ্ট সময়ে স্ফুলিঙ্গের প্রভাবে জ্বলে ওঠে"। তখন থেকে এই ধরনের সব ইঞ্জিন এই তত্ত্ব মাথায় রেখে তৈরি হয়ে আসছে।[১][২]

জীবনী[সম্পাদনা]

জার্মান স্মারক ডাকটিকিট

নিকোলাস অগাস্ট অটো জার্মানির হোলঝসন অ্যান ডের হাইডেতে ১৮৩২ সালের ১৪ জুন জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪] তিনি তার বাবা মায়ের ৬ সন্তানের মাঝে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন। তার বাবা ১৮৩২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৩৮ সালে তিনি বিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করেন। তিনি বিদ্যালয়ে ভালো ফলাফল করতেন। এর ছয় বছর পর তিনি ল্যাঙ্গেনিস্খোয়ালব্যাচের উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।[৫] তিনি ১৮৪৮ সাল পর্যন্ত সেখানে পড়াশোনা করেন। সেখানে ভালো ফলাফল করলেও তিনি সেখানে তার পড়াশোনা শেষ করেন নি।

বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে তার মূল আগ্রহ ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে। কিন্তু, য়তিনি বাণিজ্যের শিক্ষার্থী হিসেবে তিন বছর পর একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকার পর স্নাতক হন। সেখানকার পাঠ চুকানোর পর তিনি ফ্রাঙ্কফুর্ট গমন করেন এবং ফিলিপ জ্যাকব লিন্ডহেইমারের দোকানে ঔপনিবেশিক ও কৃষিদ্রব্যের দোকানি হিসেবে কাজ শুরু করেন (তিনি মুদি দোকানি ছিলেন)। নিকোলাস অটো বিভিন্ন কোম্পানি কাজ করেছেন। শুরুতে তিনি কাজ করেছিলেন আইসি আলপিটারে। এরপর ১৮৬০ সালে তিনি কার্ল মের্টেন্সের সাথে যুক্ত হন। তিনি গোটা পশ্চিম জার্মানি ঘুরে কফি, চা, চাল ও চিনির মত ঔপনিবেশিক দ্রব্য বিক্রি করেছিলেন।[২]

লেনোইর ইঞ্জিন[সম্পাদনা]

১৮৬০ সালের শরতের শেষভাগে নিকোলাস অটো ও তার ভাই প্রজ্বলিত গ্যাস ইঞ্জিনের মত এক নতুন ইঞ্জিন সম্পর্কে জানতে পারেন যেড়ি সম্পর্কে জানতে পারেন যেটি এক অভিনব গ্যাস ব্যবহার করে জ্যঁ জোসেফ এতিয়েনে লেনোইর প্যারিসে তৈরি করেছিলেন।[২] তারা দুই ভাই লেনোইর (গ্যাস) ইঞ্জিনের অনুকরণে একটি ইঞ্জিন তৈরি করেন। তারা ইঞ্জিনে তরল জ্বালানি ব্যবহার করেছিলেন। তারা প্রুশীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পেটেন্টের জন্য আবেদন করলেও তাদের আবেদন নাকচ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

প্রথম চার চক্রীয় ইঞ্জিন, ১৮৬১[সম্পাদনা]

নিকোলাস অটো তরল জ্বালানিকে চাপ প্রদান করে তাকে ইঞ্জিনের কাজে ব্যবহার করার ধারণা সম্পর্কে অবগত ছিলেন ও এই নীতির ওপর ভিত্তি করে ১৮৬১ সালে তিনি একটি ইঞ্জিন তৈরি করেন। এটি মাত্র অল্প কয়েক মিনিট চালু ছিল। এরপর তার ভাই ইঞ্জিন সংক্রান্ত ধারণা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেন। যার দরুন নিকোলাস অটোকে অন্য কারোর সঙ্গ খোঁজ করতে হয়েছিল।[২][৩]

১৮৬২ ও ১৮৬৩ সালে কোলনের মেকানিক মাইকেল জে. জনসের সাথে মিলে নিকোলাস অটো তার ইঞ্জিন সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। অর্থের ঘাটতি দেখা গেলে ইঞ্জিন সংক্রান্ত গবেষণার প্রয়োজনীয় অর্থ সংকুলানের জন্য তিনি ১৮৬২ সালে কার্ল মার্টিন্সের অধীনে কাজ করেছিলেন।[২]

ইউগেন লাঙ্গেনের সাথে এক হওয়া[সম্পাদনা]

১৮৬৪ সালের গোড়ার দিকে নিকোলাস অটো তার গবেষণার জন্য পৃষ্ঠপোষক খোঁজা শুরু করেন। তার সাথে তখন পরিচয় ঘটে ইউগেন লাঙ্গেনের যার বাবা ছিলেন চিনিকলের মালিক। তিনি ও লাঙ্গেন ১৮৬৪ সালের ৩১ মার্চ কোলনে কাজ শুরু করেন এবং তার তাদের কারবারের নাম দেন এনএ অটো অ্যান্ড সিয়ে। এটা ছিল দুনিয়ার প্রথম কোম্পানি যেটি অন্তর্দহন ইঞ্জিনের নকশা ও উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত ছিল।[২]

১৮৬৪ অটো ও লাঙ্গেনের কারবারে তৈরি ইঞ্জিনটি ছিল পিস্টনবিহীন আবহমণ্ডলীয় ইঞ্জিন (গ্যাসের বিস্ফোরণ এখানে বায়ুশূন্য করতে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং বায়ুমণ্ডলীয় চাপ থেকে আসা শক্তি পিস্টনে ফিরে যেত)। এতে লেনোইর ও হুগন আবহমণ্ডলীয় ইঞ্জিনের থাকে কম গ্যাস লাগত যার দরুন এটি আর্থিকভাবে তুলনামূলক লাভজনক ছিল। লেনোইর ইঞ্জিন ছিল দ্বিকর্মক ইঞ্জিন। অধিকন্তু, এই ইঞ্জিনগুলো ছিল এক ধরনের বাষ্পীয় ইঞ্জিন যা প্রজ্বলিত গ্যাসের ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। ব্রিটিশ প্যাটেন্ট নং ১৬২৫ ও ১৮৫৭ লাভকারী ইতালীয় উদ্ভাবক ইউগেনিও বারসান্তি ও ফেলিসে মাত্তেউচ্চির ইঞ্জিন তখন যাদুঘরে ছিল। এই দুইটি ইঞ্জিন ছিল দ্বিচাক্রিক ইঞ্জিন এবং ইঞ্জিনদ্বয়ের সাথে অটোর ইঞ্জিনের মিল ছিল না।

লেনোইরের ইঞ্জিন ছিল প্রথন ইঞ্জিন যেটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়েছিল। প্রায় ৭০০ টি এই ধরনের ইঞ্জিন বিক্রি করা হয়েছিল।

অটোর ইঞ্জিন ছিল আধুনিক ইঞ্জিনের উত্তরসূরি। অটোর চতুর্থ নকশা জার্মান প্রকৌশল সংঘ কর্তৃক আধুনিক ইঞ্জিনের উত্তরসূরি হিসেবে স্বীকৃত। তার তৈরিকৃত ইঞ্জিনগুলো হল:

  • ১৮৬১: লেনোইরের আবহমণ্ডলীয় ইঞ্জিনের অনুকৃতি
  • ১৮৬২: চার চক্রীয় অন্তর্দহন ইঞ্জিন তৈরি (রোচাসের পেটেন্টের পূর্বে)। তার তৈরিকৃত ইঞ্জিন বেশিক্ষণ চালু ছিল না।
  • ১৮৬৪: প্রথম সফল আবহমণ্ডলীয় ইঞ্জিন।
  • ১৮৭৬: চার চক্রীয় অন্তর্দহন ইঞ্জিন তৈরি যেটি "অটো"চক্রীয় ইঞ্জিন নামে পরিচিত। "অটো চক্র" শব্দটি সকল চার চক্রীয় অন্তর্দহন ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।[১]

ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য লাভ করা তাদের কোম্পানি ১৮৭৫ সালে ৬৩৪ টি ইঞ্জিন তৈরি করেছিল।[৬] তাদের কোম্পানি মাত্র ৩ অশ্বশক্তির (২.২ কিলোওয়াট, ৩ মেট্রিক অশ্বশক্তি) ইঞ্জিন তৈরি করত, যেটি পরিচালনা করতে ১০-১৩ ফুট (৩-৪ মিটার) এর কক্ষ লাগত।[৭]

অটো ১৮৬২ সালে চার চক্রীয় ইঞ্জিনে তার ব্যর্থ প্রচেষ্টার দিকে নজর দিলেন।[৮] মূলত গটলিয়ের ডাইমলের কর্তৃক আনা ফ্রাঞ্জ রিঙ্গস ও হারমান স্খামের প্রচেষ্টার উপর ভিত্তি করে অটো চার চক্রীয় ইঞ্জিন তৈরিতে সফল হন।[৭] এটির (অটো নিঃশব্দ ইঞ্জিন) ছিল অটো ও লাঙ্গেনের ইঞ্জিন থেকে আলাদা। এটিতে অটোচক্র ব্যবহৃত হয়েছিল। এটি ছিল প্রথম ব্যবসাসফল ইঞ্জিম যাতে সিলিন্ডারে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল। রিম-স্খামের ইঞ্জিন ১৮৭৬ সালের শরতে বাজারে আসে ও খুব তাড়াতাড়ি সাফল্য লাভ করে।[৭]

নিকোলাস অটো অ্যানা গোসির সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সাত সন্তান থাকার কথা জানা যায়। তাদের সন্তান গুস্তাভ অটো আকাশযান নির্মাতা ছিলেন।

অটোচক্র[সম্পাদনা]

অটোর ইঞ্জিন নকশা করা হয়েছিল একটি আনুষঙ্গিক ইঞ্জিন হিসেবে এবং এতে সিলিন্ডারের পিস্টনের ঊর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী গমনের বিষয় রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে এর রূপান্তরিত রূপ মোটর ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অটোর ইঞ্জিনের চার চক্রের বর্ণনা নিম্নরূপ:

  • (১) নিম্নমুখী "গ্রহণ" চক্র—কয়লার বাষ্প ও বায়ু পিস্টনের বিস্ফোরণ চেম্বারে প্রবেশ করা হয়,
  • (২) ঊর্ধ্বমুখী সংকোচন" চক্র —পিস্টন মিশ্রণকে চাপ প্রদান করা হয়,
  • (৩) নিম্নমুখী শক্তি চক্র—জ্বালানির মিশ্রণকে অগ্নিশিখা ও পরে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ দ্বারা প্রজ্বলিত করা হয়,
  • (৪) ঊর্ধ্বমুখী "শেষ চক্র—পিস্টন চেম্বার থেকে গ্যাস বাইরে বের করর দেওয়া হয়।

অটো তার ইঞ্জিন শুধু আনুষঙ্গিক মোটর হিসেবে বিক্রি করতেন।

গোড়ার দিকের পেটেন্টগুলো[সম্পাদনা]

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার রোলাগের পশ্চিম মিনেসোটা স্টিম থ্রেশারস রিইউনিয়নে পূর্ণাঙ্গ টিএ ভিডিও (২ মিনিট ১৬ সেকেন্ড, ৩২০x২৪০ ৩৪০ কিলোবিট/সেকেন্ড)

অটো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন রকম পেটেন্ট লাভ করেছিলেন। তার সাবেক ম্যানেজাত গটলিয়েব ডাইম্ললেত যখন যান চলাচলের জন্য ছোট ইঞ্জিন বানাতে চেয়েছিলেন, তখন তিনি আগ্রহ দেখান নি। ডাইমলের তার কাজ ছেড়ে দেন ও মেব্যাচকে তার সাথে নেন। তিনি অটোদের কোম্পানির প্রতি সম্মানী প্রদানে আগ্রহী ছিলেন না। পেটেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে এক উকিল নিযুক্ত করেন। অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, ১৮৬২ সালে ফরাসি প্রকৌশলী ব্যু ডি রোচাস কর্তৃক এটি পেটেন্ট করা হয়েছিল। এর দরুন অটোকে একটি পেটেন্ট হারাতে হয় ও গটলিয়েব তাদের কোম্পানির প্রতি সম্মানী প্রদান না করেই জার্মানিতে ইঞ্জিন বিক্রি করার অনুমতি লাভ করেন। অটো ও গটলিয়েবের কেউই পেটেন্ট সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। রোচাস কোনদিন ইঞ্জিন বানান নি। এটা মূলত তিনি এটি নির্মাণের কাছাকাছি গিয়েছিলেন।[৯]

তার পেটেন্টের মাঝে অটোর ইঞ্জিন উল্লেখযোগ্য। মারকাস, বারসান্তি প্রভৃতির ইঞ্জিন ছিল দ্বিচাক্রিক আবহমণ্ডলীয় ইঞ্জিন যা জ্বালানী ঘনীভূত করত না। অটোর আবহমণ্ডলীয় ইঞ্জিন জার্মান প্রকৌশলী সংঘ ও অন্যান্য সংস্থাস্বীকৃত অটোর ইঞ্জিনের মত ছিল না। এটির সাথে লেনোইরের ইঞ্জিনের সম্পর্ক ছিল। তার ইঞ্জিন ছিল প্রথম ইঞ্জিন, যেটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়েছিল। তিনি প্রায় ৭০০টি ইঞ্জিন বিক্রি করেছিলেন।

উৎপাদন[সম্পাদনা]

উৎপাদণ শুরুর পর ১৭ বছরে ৫০,০০০ এর বেশি ইঞ্জিন উৎপাদিত হয়েছিল।[১০]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

নিকোলাস অটো তার ইঞ্জিনের জন্য হরেক রকম সম্মাননা লাভ করেছেন।

  • তার তৈরি ১৮৬৪ সালের ইঞ্জিন ১৮৬৭ সালে প্যারিসে বিশ্ব প্রদর্শনীতে স্বর্ণপদক জিতেছিল।[১১]
  • ১৮৮২ সালে নিকোলাস অটো উজবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।[১]
  • তার বাড়ি স্থানীয় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় যাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছে।
  • ১৯৩৬ সালে অধ্যাপক নাগেল, জার্মান প্রকৌশলী সংঘের প্রধান, ডিআইএন স্ট্যান্ডার্ড ১৯৪০ এর ঘোষণায় এক্সপ্লোশন মোটর, ডিটোনেশন মোটর, বেঞ্জিন ইঞ্জিন ও ইগনিশন ইঞ্জিন শব্দগুচ্ছের পরিবর্তে বিশেষ যন্ত্র দ্বারা জ্বালানি মিশ্রণ নিয়ে কাজ করা সব ইঞ্জিনকে "অটোমোটর" হিসেবে ঘোষণা করেন।[১]

নিকোলাস অটোর উদ্ভাবনী জীবনের কালক্রম[সম্পাদনা]

  • ১৮৬২: চারচক্রীয় ইঞ্জিন নিয়ে প্রথম পরীক্ষা
  • ১৮৬৪: পৃথিবীর প্রথম ইঞ্জিন কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন: "এনএ অটো সিয়ে"
  • ১৮৬৭: প্যারিসে বিশ্ব প্রদর্শনীতে গ্যাস ইঞ্জিনের জন্য স্বর্ণপদক ল্যাব
  • ১৮৭৯: কোম্পানি স্থানান্তরিত হয় এবং এর নাম "ল্যাঙ্গেন, অটো, অ্যান্ড রুজেন" রাখা হয়।
  • ১৮৭২: কোম্পানিটি বৃহৎ উৎপাদনের জন্য পুনরায় স্থানান্তরিত হয় ও এর নাম দেওয়া হয় "দেউতজ গ্যাসমোটোরেন ফ্যাব্রিক"।
  • ১৮৭৬: চারচক্রীয় ইঞ্জিনের উন্নয়ন করেন যা অটোমোটর নামে পরিচিত।
  • ১৮৮২: ২৬৪৯ টি ইঞ্জিন তৈরি করার পর তার আবহমণ্ডলীয় ইঞ্জিন তৈরি থেমে যায়।[১২]
  • ১৮৮৪: নিকোলাস অটো বৈদ্যুতিক প্রজ্বলক আবিষ্কাত করেন।
  • ১৮৮৫: গটলিয়েব ডাইমলের ও কার্ল বেঞ্জ তরল পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিন ব্যবহার করে প্রথম মোটরগাড়ি তৈরি করেন।[১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Ottomotor"Deutz AG। ৪ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৬ 
  2. "Nicolaus August Otto (1832-1891), Erfinder"LVR Fur Mensch। ১৪ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৬ 
  3. "Nicolaus August Otto Museum"। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৬ 
  4. "Holzhausen an der Haide | GPS Wanderatlas"www.ich-geh-wandern.de। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-১২ 
  5. Bad Schwalbach|Langenschawalbach
  6. Wise, David Burgess. "Daimler: Founder of the Four-Wheeler", in Northey, Tom, ed. World of Automobiles (London: Orbis, 1974), Volume 5, p.482.
  7. Wise, p.482.
  8. Dugald Clerk, "Gas and Oil Engines", Longman Green & Co, 1897, pp.17-18.
  9. New Scientist (Vol 95 No 1322 সংস্করণ)। ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮২। পৃষ্ঠা 714। 
  10. "Nikolaus August Otto Biography (1832-1891)" 
  11. Lay, M. G. (২৪ অক্টোবর ১৯৯২)। Ways of the World: A History of the World's Roads and of the Vehicles That Used Them। Rutgers University Press। আইএসবিএন 9780813526911 – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  12. "Deutz - History"। ২০১৬-০৭-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  13. "Otto, Nikolaus August - Die 100 größten Rheinland-Pfälzer - Regionen - Archiv"। ২৯ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]