ধুলে জেলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধুলে জেলা
মহারাষ্ট্রের জেলা
মহারাষ্ট্রে ধুলের অবস্থান
মহারাষ্ট্রে ধুলের অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যমহারাষ্ট্র
প্রশাসনিক বিভাগনাশিক বিভাগ
সদরদপ্তরধুলে
তহশিল১. ধুলি, ২. শিরপুর, ৩. সিন্দেখ, ৪. সাকারি
সরকার
 • লোকসভা কেন্দ্র১. ধুলে (নাশিক জেলা এর সাথে ভাগ করা), ২. নন্দুরবার (এসটি) (নন্দবরর জেলা (ভিত্তি http://164.100.9.199/ecimaps/ecipdf/state_pc_Map/Maharashtra.pdf Election Commission website)
আয়তন
 • মোট৮,০৬৩ বর্গকিমি (৩,১১৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট২০,৪৮,৭৮১
 • জনঘনত্ব২৫০/বর্গকিমি (৬৬০/বর্গমাইল)
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৭১.৬%
 • লিঙ্গানুপাত৯৪৪
প্রধান মহাসড়কএনএইচ -৩, এনএইচ -৬, এনএইচ-২১১
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত৫৪৪ মিমি
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
লালিং কেল্লা

ধুলে জেলা ভারতের পশ্চিম অঞ্চলে মহারাষ্ট্র রাজ্যের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ধুলে শহরটি এই জেলার সদর দপ্তর।

ধুলে জেলা পূর্বে উপজাতী জনগোষ্ঠীর মূল ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর ১ জুলাই ১৯৯৮ সালে ধুলে জেলা দুটি পৃথক জেলায় বিভক্ত হয়ে যায়, যা এখন ধুলে জেলা ও নন্দুরবার জেলা নামে পরিচিত, এবং এই জেলা দুটি আদিবাসী অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে। এই জেলার মানুষের মৌলিক পেশা কৃষি। জেলার বেশিরভাগ অংশই সেচের আওতাভুক্ত নয় এবং এভাবে চাষাবাদ নিয়মিত বর্ষণ বা বৃষ্টিপাতের জলের নির্ভর করে। গম, বাজরা, জওয়ার বা জবরী, পেঁয়াজ ছাড়াও সবচেয়ে বেশি অথর্করী বাণিজ্যিক ফসল হল তুলো। গ্রামাঞ্চলে জনসংখ্যার অধিকাংশই অহিরানী (মারাঠি ভাষার একটি উপভাষা) ভাষায় কথা বলে, যদিও শহরাঞ্চলে মারাঠা ব্যাপকভাবে কথিত। ধুলে জেলার প্রায় ২৬.১১% মানুষ শহুর এলাকায় বসবাস করে। [১]

ধুলে জেলা বিশুদ্ধ দুধ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। দুধ উৎপাদক গবাদি পশুগুলিকে তুল থেকে তৈরি পশুখাদ্য (তুলার নির্যাস ব্যবহার করে তৈরি গবাদি পশুর খাদ্য ) দিয়ে আহার করানো হয়, যা সমৃদ্ধ মানের দুধ উৎপন্নে সাহায্য করে। দিল্লির গ্রাহকেরা এক সময়ে এখানকার দুধ সংগ্রহ করার জন্য অপেক্ষা করতেন।

মহারাষ্ট্র রাজ্যের এই জেলার ডোনিইচচা একমাত্র শহর, যেটি ভুট্টা থেকে গ্লুকোজ, চিনি এবং অন্যান্য পণ্য উৎপন্ন করে। জেলাটি লঙ্কা উৎপাদন এবং বাজারজাত করার জন্য বিখ্যাত। [২]

ধুলে জেলার খন্দশের মহারাষ্ট্রের ঐতিহাসিক অঞ্চল। প্রশাসনিক উদ্দেশ্যে যদিও এটি এখন নাশিক বিভাগে যোগ করা হয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ভৌগোলিক অবস্থান[সম্পাদনা]

জলবায়ু[সম্পাদনা]

ধুলে-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) ২৯
(৮৪)
৩২
(৯০)
৩৬
(৯৭)
৩৮
(১০০)
৩৯
(১০২)
৩৪
(৯৩)
৩০
(৮৬)
২৯
(৮৪)
৩০
(৮৬)
৩২
(৯০)
৩০
(৮৬)
২৮
(৮২)
৩২
(৯০)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) ১২
(৫৪)
১৪
(৫৭)
১৯
(৬৬)
২২
(৭২)
২৫
(৭৭)
২৪
(৭৫)
২২
(৭২)
২১
(৭০)
২১
(৭০)
১৯
(৬৬)
১৫
(৫৯)
১২
(৫৪)
১৯
(৬৬)
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) ৩৩.৩৩
(১.৩১)
২.১
(০.০৮)
৩.৩
(০.১৩)
৩.৫
(০.১৪)
৪.৪
(০.১৭)
১১৪.২
(৪.৫০)
১১৫.৬
(৪.৫৫)
১১৯.৬
(৪.৭১)
১২১.৬
(৪.৭৯)
৬০.৮
(২.৩৯)
১০.৭
(০.৪২)
৬.৫
(০.২৬)
৫৯৫.৬৩
(২৩.৪৫)
উৎস: Dhule Weather

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

২০০৬ সালে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রণালয়টি দেশের ২৫০ টি সবচেয়ে পিছিয়ে জেলাগুলির একটি (ধুলোতে মোট ৬৪০ টির মধ্যে) হিসাবে ধুলে জেলাকে উল্লেখ করে। এটি[৩] মহারাষ্ট্রের ১২ টি জেলার মধ্যে একটি, যা পিছিয়ে পড়া অঞ্চল অনুদান তহবিল (বিআরজিএফ) থেকে আর্থ লাভ করে। [৩]

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ধুলে জেলার জনসংখ্যা হল ২,০৮,৭৮১ জন,[৪] যা বতসোয়ানা [৫] বা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের সমান। [৬] এটি ভারতের জনবহুল জেলাগুলির মধ্যে ২২ তম স্থান (৬৪০ টির মধ্যে) পেয়েছে। [৪] জেলাটিতঘ প্রতি বর্গ কিলোমিটার ২৮৫ জন (৭৪০ জন/বর্গ মাইল) মানুষ বসবাস করে। [৪] ২০০১-২০১১ দশক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৯.৯৬%। [৪] ধুলে জেলায় প্রতি ১০০০ জন পুরুষ পিছু ৯৪১ জন নারী রয়েছে [৪] এবং জেলার সাক্ষরতার হার ৭৪.৬১%। [৪]

সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

ভাষাসমূহ[সম্পাদনা]

কথিত ভাষাগুলির মধ্যে রয়েছে আহরিণী, খান্দেশ ভাষায় প্রায় ৭,৮০,০০০ জন কথা বলে থাকেন, যা মাতৃভাষা ও মারাঠি ভাষার অনুরূপ;[৭] ভিলি ভাষায় ১ হাজার ১৫০ জন কথা বলে [৮] এবং তিনটি পরস্পরবিরোধী বৈরালি ভাষা, বারিলি পালি, ভাষায় মধ্যপ্রদেশের কেন্দ্রী অংশে ১০,০০০ জন কথা বলে। [৯] দেবনাগরী লিপিতে লিখিত বারেলখ পাউরি; ভাষায় প্রায় ১,৭৫,০০ জন কথা বলে [১০] এবং বারেলি রাঠি, প্রায় ৬৪ হাজার ভাষী। [১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Archived copy"। ২০০৭-০৭-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-২৭ 
  2. Dondaicha-Warwade
  3. Ministry of Panchayati Raj (সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। এপ্রিল ৫, ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১১ 
  4. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  5. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Botswana 2,065,398 
  6. "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১৩-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০New Mexico - 2,059,179 
  7. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Ahirani: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮ 
  8. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bhilali: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  9. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bareli, Palya: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮ 
  10. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bareli, Pauri: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮ 
  11. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bareli, Rathwi: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]