ত্রিদিব রায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ত্রিদিব রায়
চাকমা রাজা
রাজা ত্রিদিব রায়
রাজত্ব১৯৫৩ – ১৯৭১
রাজ্যাভিষেক২ মে ১৯৫৩
পূর্বসূরিনলিনাক্ষ রায়
উত্তরসূরিদেবাশীষ রায়
জন্ম১৪ মে ১৯৩৩
রাঙামাটি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ (৭৯ বছর)
ইসলামাবাদ, পাকিস্তান
দাম্পত্য সঙ্গীআরতি রায়
রাজবংশচাকমা রাজপরিবার
পিতানলিনাক্ষ রায়
মাতাবিনীতা রায়
ধর্মবৌদ্ধ ধর্ম
পেশারাজনীতিবিদ, কূটনৈতিক

রাজা ত্রিদিব রায় (উর্দু: راجہ تری دیو راۓ‎‎) (১৪ মে ১৯৩৩ – ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২)[১] ছিলেন বর্তমান বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা উপজাতির ৫০তম রাজা। ১৯৫৩ সালের ২ মে থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি রাজা ছিলেন।[২][৩] পাকিস্তানে তিনি একজন লেখক, কূটনৈতিক, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত।[২] ১৯৮১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি আর্জেন্টিনায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।[৪] পাকিস্তান সরকার তাকে আজীবন মন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করে।[৫] ত্রিদিব রায় ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মারা যান।[৫][৬]

জন্ম[সম্পাদনা]

ত্রিদিব রায় ১৯৩৩ সালের ১৪ মে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে চাকমা রাজপ্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তিনি রাজা নলিনাক্ষ রায় ও তার স্ত্রী বিনিতা রায়ের ছেলে।[৩] ১৯৫৩ সালের ২ মে ত্রিদিব রায় চাকমা সার্কেলের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।[৩][৫] ১৯৭১ সালে তিনি দায়িত্ব ত্যাগ করেন। এরপর তার ছেলে দেবাশীষ রায় রাজা হন।

শৈশব ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

ত্রিদিব রায় চাকমা রীতিতে বেড়ে উঠেছেন। অশ্বারোহণ, পোলো খেলাসহ অন্যান্য বিষয়ে তিনি শিক্ষালাভ করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে তার পরিবারের সাথে তিনিও কলকাতা গমন করেন।[৭]

চট্টগ্রামের সেন্ট স্কলাস্টিকা কনভেন্টে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। পরবর্তীতে তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুল এবং ভারতের কুরসেওং ভিক্টোরিয়া স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি কলা, বিজ্ঞান ও বাংলা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।[৭]

ত্রিদিব রায় লন্ডনের ইনস অব কোর্টে আইন বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে তিনি ব্যারিস্টার-এট-ল হন। তিনি লিঙ্কনস ইনের সদস্য ছিলেন।[৭]

রাজ্যাভিষেক[সম্পাদনা]

তার পিতা রাজা নলিনাক্ষ রায় ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর মস্তিষ্কের রক্তক্ষরনের কারণে মারা যান। এসময় তার বয়স ছিল ৪৯ বছর। ত্রিদিব রায় ১৯৫৩ সালের ২ মার্চ ৫০তম চাকমা রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসেন। একই বছর রাণী আরতি রায়ের সাথে তার বিয়ে হয়।[৭]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

পূর্ব পাকিস্তানের জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্বসহ অন্যান্য কারণে ত্রিদিব রায় পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন। ১৯৫৩ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ত্রিদিব রায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে সম্মানসূচক কমিশন লাভ করেন। তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেলের অনারারি এইড-ডি-ক্যাম্প নিযুক্ত হন। পূর্ব পাকিস্তানে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি এই সম্মান লাভ করেছিলেন। অন্যান্য জনপ্রিয় বাঙালি ব্যক্তিদের বদলে তাকে এই সম্মান প্রদান করায় সম্মানটি বিরল হিসেবে গণ্য হয়।[৭]

১৯৫৬ সালের মে মাসে ভারতে গৌতম বুদ্ধের ২৫০০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দিল্লিতে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার এই অনুষ্ঠানে ত্রিদিব রায়কে আমন্ত্রণ জানান। ত্রিদিব রায় এই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।[৭]

ত্রিদিব রায় ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব খাদ্য কংগ্রেসে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দিয়েছেন। একই দায়িত্বের অংশ হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও থাইল্যান্ড সফর করেছেন। ১৯৬৪ সালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রায় তিন মাস প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।[৭]

১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে ত্রাণ পরিচালনা কাজের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।[৭]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

ছয়দফা দাবি[সম্পাদনা]

১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। ত্রিদিব রায় এই কর্মসূচির সমর্থক ছিলেন না। এর ফলে তিনি চাকমা রাজা হিসেবে তার স্বায়ত্তশাসন লোপ হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন।[৭]

১৯৭০ এর নির্বাচন[সম্পাদনা]

১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান তার দলের পক্ষে নির্বাচনে দাড়ানোর জন্য ত্রিদিব রায়কে আহ্বান জানান।[৫] ত্রিদিব রায় এই অনুরোধে সাড়া দেননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন।[৫]

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেন।[৮] তার আশঙ্কা ছিল যে স্বাধীন বাংলাদেশে চাকমা রাজ্যের স্বায়ত্তশাসন থাকবে না এবং বাঙালিদের কারণে চাকমারা স্থানচ্যুত হবে তাই তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে যুক্ত থেকে স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের শীর্ষ সেনাকর্মকর্তাদের সাথে ত্রিদিব রায়ের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। যুদ্ধকালীন সময়ে মে মাসে তিনি রিজার্ভ বাজার এবং তবলছড়ি বাজারে জনসভায় ভাষণ দেন। এসব জনসভায় তিনি পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। সে বছর মুক্তিবাহিনীর সম্ভাব্য হামলা এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ১২ থেকে ১৪ এপ্রিল বিজু উৎসব অনুষ্ঠিত হয়নি।[৭]

পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে ত্রিদিব রায় ১৯৭১ সালের ৯ নভেম্বর দক্ষিণ এশিয়া সফরে যান। বৌদ্ধ রাষ্ট্রসমূহের সাথে শুভেচ্ছামূলক সম্পর্ক বৃদ্ধি এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমে তিনি থাইল্যান্ড যান। তবে ব্যাংককের পাকিস্তান দূতাবাস মারফত জরুরি তলবের বার্তা পাওয়ায় তিনি চট্টগ্রাম ফিরে আসেন এবং সেখান থেকে ঢাকা ও পরে ১১ নভেম্বর করাচি রওয়ানা হন। পশ্চিম পাকিস্তানে পৌছানোর পর রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান তাকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর ২৫ নভেম্বর তিনি শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো যান। ভারতের উপর দিয়ে বিমান চালনা সম্ভব না হওয়ায় পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানে পৌছার জন্য শ্রীলঙ্কা এসময় ট্রানজিট ছিল। এখানে বিমানের জ্বালানি সরবরাহের ব্যবস্থা চালু রাখা তার মূল লক্ষ্য ছিল। কলম্বোতে তিনি যোগাযোগমন্ত্রী সিরিল ডি সুজার সাথে সাক্ষাত করেন। ২৭ নভেম্বর শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আলতাফ শেখসহ তিনি প্রধানমন্ত্রী সিরিমাভো বন্দরনায়েকের সাথে সাক্ষাত করেন।[৭]

২৮ নভেম্বর তার নেপালের কাঠমান্ডু যাওয়ার কর্মসূচি ছিল। কিন্তু তা পরিবর্তন করা হয় এবং তিনি বার্মার রাজধানী রেঙ্গুন যান। সেখান থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তিনি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক যান। সেখানে তিনি সামরিক জান্তার প্রধান ফিল্ড মার্শাল কিত্তিকাচনের সাথে সাক্ষাত করেন।[৭]

ত্রিদিব রায় এরপর আর বাংলাদেশে আসেননি। যুদ্ধে আনুগত্যের কারণে পাকিস্তান সরকার তাকে আজীবনের জন্য ফেডারেল মন্ত্রী ঘোষণা করে।[৬] তবে একই কারণে তিনি বাংলাদেশে নিন্দিত হন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে প্রণীত দালাল আইনে ত্রিদিব রায়ের নাম ছিল।[৭]

মন্ত্রীত্ব[সম্পাদনা]

১৯৭০ এর দশকে জুলফিকার আলী ভুট্টোর মন্ত্রীসভায় ত্রিদিব রায় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫] ভুট্টো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার আবেদন করেছিলেন।[৫] তবে ত্রিদিব রায় তা ফিরিয়ে দেন। কারণে পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী একজন মুসলিম শুধু রাষ্ট্রপতি হতে পারবে।[৫] তিনি ইসলাম গ্রহণে ইচ্ছুক ছিলেন না।[৫]

কূটনৈতিক[সম্পাদনা]

১৯৭২ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের যোগদানের আবেদনের বিরোধিতা করার জন্য প্রেরিত প্রতিনিধি দলে ত্রিদিব রায় প্রধান ছিলেন।[৬] বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব প্রতিনিধিদলের প্রধান ছিলেন ত্রিদিব রায়ের মা বিনিতা রায়।[৬][৭] অধিবেশনের পূর্বে নিউইয়র্কে তাদের দুইজনের সাক্ষাত হয়।[৭] ১৯ ডিসেম্বর তিনি পাকিস্তান ফিরে আসেন।[৭]

ত্রিদিব রায় ১৯৭৪ সালের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পূর্ব জার্মানি থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্য পর্যন্ত ইউরোপ সফর করেন।[৭] এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। ওপেন সম্মেলনের জন্য নিউইয়র্ক থেকে তিনি ভেনিজুয়েলায় যান। সেখান থেকে তিনি ব্রাজিল, চিলি ও আর্জেন্টিনা সফর করেছেন।[৭]

১৯৭৭ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক কর্তৃক জুলফিকার আলি ভুট্টো ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন। ফলে ত্রিদিব রায় তার একজন মিত্র হারান।[৭]

১৯৮১ সালে ত্রিদিব রায় আর্জেন্টিনায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।[৫] একইসাথে তিনি চিলি, ইকুয়েডর, পেরুউরুগুয়ের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯৪ সালে তিনি পাকিস্তান ফিরে আসেন।[৭] ১৯৯৫ সালে তাকে শ্রীলঙ্কায় পাকিস্তানের হাই কমিশনার নিয়োগ করা হয়।[৬][৭] ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিদেশে অবস্থান করার পর তিনি চূড়ান্তভাবে পাকিস্তান ফিরে আসেন।[৭] এরপর থেকে তিনি এম্বেসেডর এট লার্জ‌ ছিলেন।[৭]

রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালনকালে তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন।[৭] পাকিস্তানের সাথে আর্জে‌ন্টিনার কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে তার অবদান রয়েছে।[৭] সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে যৌথ অর্থনৈতিক কমিটি এবং পাক-আর্জে‌ন্টিনা বাণিজ্য পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়াও কৃষির বিকাশেও উভয় রাষ্ট্র উদ্যোগী ছিল।[৭] বুয়েনোস আইরেসে নির্মিত প্লাজা ডি পাকিস্তান নির্মাণের কৃতিত্ব ত্রিদিব রায়কে প্রদান করা হয়।[৭] এছাড়াও তিনি পাকিস্তানের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্র সফর করেছেন।[৭]

অন্যান্য[সম্পাদনা]

ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একজন প্রধান ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ২০১২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান বুড্ডিস্ট সোসাইটির প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন।[৫][৭] পাকিস্তানের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার হাই কমিশনার জেনারেল শ্রীলাল উইরাসুরিয়া রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ত্রিদিব রায়কে শ্রীলঙ্কান রঞ্জনা ন্যাশনাল এওয়ার্ড প্রদান করেন।[৬][৭]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইসলামাবাদে ত্রিদিব রায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।[৬] তার ইচ্ছা ছিল যাতে তার শেষকৃত্য বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় তবে বাংলাদেশের নাগরিকদের অসন্তোষের কারণে তা সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর দশদিন পর ইসলামাবাদে তাকে দাহ করা হয়।[৯]

ব্যক্তিজীবন[সম্পাদনা]

ত্রিদিব রায়ের স্ত্রী ছিলেন রাণী আরতি রায়। এই দম্পতির তিন পুত্র ও দুই কন্যা ছিল।[৭] তার পুত্র দেবাশীষ রায় বর্তমান চাকমা রাজা।

বই[সম্পাদনা]

ত্রিদিব রায় "দ্য ডিপার্টেড মেলোডি" নামে স্মৃতিকথা লিখেছেন। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চাকমা রাজাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে বিবরণ রয়েছে। তার অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে "কালেকশন অব শর্ট স্টোরিস" (উর্দুতে অনূদিত) ও "সাউথ আমেরিকান ডায়েরি"।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. CHAKMA (Kingdom) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ মে ২০১১ তারিখে Retrieved 28 January 2011
  2. Hindus Contribution Towards Making Of Pakistan Retrieved 28 January 2011
  3. "Tridiv Roy passes away"The Daily Star (Bangladesh)। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-১৯ 
  4. Hyatt, Ishrat (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Eulogy for a friend"The News International। ৭ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১২ 
  5. "The Raja who gave away his kingdom"The Express Tribune। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-১৮ 
  6. "Raja Tridiv Roy dies"Dawn। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-১৯ 
  7. পশ্চিম পাকিস্তানের শেষ রাজা, প্রিয়জিত দেবসরকার, অনুবাদ রইসুল হক বাহার, প্রথম সংস্করণ, বাতিঘর
  8. Ali, Shaheen Sardar; Rehman, Javaid; Rehman, Professor of International Law and Head of Brunel Law School Javaid (২০০১)। Indigenous Peoples and Ethnic Minorities of Pakistan: Constitutional and Legal Perspectives (ইংরেজি ভাষায়)। Psychology Press। আইএসবিএন 978-0-7007-1159-8 
  9. http://www.jjdin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=28-09-2012&type=single&pub_no=254&cat_id=4&menu_id=13&news_type_id=1&index=9

আরও দেখুন[সম্পাদনা]