বিষয়বস্তুতে চলুন

ডেভিড হোয়াইট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডেভিড হোয়াইট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ডেভিড জন হোয়াইট
জন্ম (1961-06-26) ২৬ জুন ১৯৬১ (বয়স ৬৩)
গিসবোর্ন, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কওজে হোয়াইট (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৭৪)
১০ অক্টোবর ১৯৯০ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট১৮ অক্টোবর ১৯৯০ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৭০)
২ নভেম্বর ১৯৯০ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই৭ নভেম্বর ১৯৯০ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১০৬ ৪৪
রানের সংখ্যা ৩১ ৩৭ ৪,৯২৬ ৭৯২
ব্যাটিং গড় ৭.৭৫ ১২.৩৩ ২৮.৯৭ ১৯.৩১
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ৭/২৮ ১/০
সর্বোচ্চ রান ১৮ ১৫ ২০৯ ১০১
বল করেছে ২,৪৩৬
উইকেট
বোলিং গড় ৪১.৪৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৬/৪৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/- ১/- ৪৫/০ ১৪/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ অক্টোবর ২০২০

ডেভিড জন হোয়াইট (ইংরেজি: David White; জন্ম: ২৬ জুন, ১৯৬১) গিসবোর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের সূচনালগ্নে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ডেভিড হোয়াইট

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৭৯-৮০ মৌসুম থেকে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম পর্যন্ত ডেভিড হোয়াইটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে ৯৯টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও, পোভার্টি বে ও বে অব প্লেন্টি দলের সদস্যরূপে হক কাপে অংশ নেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে পনেরো বছর খেলেছেন। ১০৬টি প্রথম-শ্রেণীর খেলাসহ ৪৪টি লিস্ট এ খেলায় অংশ নেন। সর্বশেষ খেলাটি ১৯৯৫ সালে খেলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ডেভিড হোয়াইট। সবগুলো টেস্টই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ১০ অক্টোবর, ১৯৯০ তারিখে করাচীতে স্বাগতি পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৮ অক্টোবর, ১৯৯০ তারিখে লাহোরে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৯০ সালে দলের সাথে পাকিস্তান গমন করেন। এ সফরেই দুই টেস্ট ও তিনটি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। সবগুলো খেলাতেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছেন। তবে, খেলাগুলোয় তেমন সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি তিনি। ওয়াসিম আকরামওয়াকার ইউনুস জুটির বোলিং তাণ্ডবে পড়ে সাত ইনিংসের পাঁচটিতেই আউট করে। এরপর আর তাকে জাতীয় দলে রাখা হয়নি।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। শীর্ষস্থানীয় রাগবি প্রশাসক ছিলেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।[] অকল্যান্ড রাগবি ও ওয়েলিংটন রাগবির প্রধান নির্বাহী ছিলেন। ডিসেম্বর, ২০১১ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী হিসেবে মনোনীত হন।

শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। ১৯৯০ সালে মাসে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাবরক্ষণ বিষয়ে স্নাতকধারী হন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। তার সন্তান ওজে হোয়াইট প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]