জ্যাকারান্ডা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জ্যাকারান্ডা
Jacaranda
Flowering Jacaranda
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: উদ্ভিদ
শ্রেণীবিহীন: সপুষ্পক উদ্ভিদ
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Asterids
বর্গ: Lamiales
পরিবার: Bignoniaceae
গোত্র: Tecomeae
গণ: Jacaranda

জ্যাকারান্ডা (লাতিন: Jacaranda) হচ্ছে ৪৯টি প্রজাতি নিয়ে গঠিত বিগ্নোনিয়াসি (Bignoniaceae) পরিবারের একটি গণের নাম। এর আদিনিবাস হলো মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, কিউবা, হিস্পানিওলা এবং জ্যামাইকাবাহামার উষ্ণ ও উপউষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলগুলোতে।[১] এটাকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এমনকি অস্ট্রেলিয়াতেও অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে। এটা নেপালে ব্যাপক ভাবে লাগানো হয়েছে।

অলংকরণ[সম্পাদনা]

সাধারণত আলংকারিক বৃক্ষ হিসেবে রাস্তার ধারে সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো হয়। এর ফুলের রঙ বেগুনী বা নীল রঙের হয়ে থাকে। বসন্তে কোনো পাতা থাকে না। ফলে গোটা বৃক্ষটিকে মনে হয় বেগুনী বা নীল বৃক্ষের মত, বেশ স্বাপ্নিক একটা আমেজ নিয়ে আসে পরিবেশটাতে। এদের সৌন্দর্যের জন্য স্থান করে নিয়েছে বিভিন্ন কৃষ্টিতে ও তাদের কথা ও সাহিত্যে, গানে বাজনায়। এমনকি কুসংস্কারেও। অস্ট্রেলিয়াবাসী এখন চিন্তাই করতে পারে না জ্যাকারান্ডা বৃক্ষ ছাড়া জীবন। 'গ্রাফটন'কে (Grafton) অস্ট্রেলিয়ার জ্যাকারান্ডা রাজধানী বলা হয়, কেননা, গ্রাফটনের বেশির ভাগ রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ ভাবে অসংখ্য জ্যাকারান্ডা লাগানো আছে। সেপ্টেম্বর-অক্টবর মাসে পুরো গ্রাফটনের রাস্তাগুলো জ্যাকারান্ডা ফুলে ফুলে বেগুনী হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে প্রতি বছর এখানে উৎসব (Jacaranda festival) অনুষ্ঠিত হয়। [২] অস্ট্রেলিয়ার অনেক রাস্তার নাম জ্যাকারান্ডার নামে নামকরণ করা হয়েছে। যেমন, নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের গ্রাফটনে এবং লিসমোরে দুটি পৃথক রাস্তার নাম জ্যাকারান্ডা এভিনিউ নামে নামকরণ করা হয়েছে [৩]

নির্বাচিত প্রজাতিসমূহ[সম্পাদনা]

Flowers of Jacaranda ulei.
Flowers of Jacaranda macrantha.
Sect. Jacaranda
Sect. Dilobos

বর্ণনা[সম্পাদনা]

জ্যাকারান্ডা মাঝারি আকারের গাছ। আট থেকে দশ মিটারের মতো উঁচু হয়। ফুল নীল-বেগুনি। অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। চিরল চিরল পাতা। শীতে পাতা ঝরে যায়। বসন্তে ফুল ফুটে। কলি অবস্থায় গাঢ় রং। ফুল ফোটার পর একটু ফিকে রং ধারণ করে। গ্রীষ্ম-বর্ষায় সবুজ পাতায় ভরে ওঠে গাছ। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফোটে ফুল। গাছে ফুল থাকে অনেক দিন। ফুল গন্ধহীন। গোলাকার ফল পাঁচ সেন্টিমিটার চওড়া। ফল সবুজ রঙের। পাকা ফল বাদামি। জ্যাকারান্ডার বংশবৃদ্ধি বীজ ও কলম—দুভাবেই হয়। ঢাকার হাতিরঝিল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও কার্জন হল প্রাঙ্গণে জ্যাকারান্ডাগাছ আছে।[৪]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. A.H. Gentry & W. Morawetz, Jacaranda, in Gentry, A. H. 1992. Flora Neotropica: Bignoniaceae - Part II ( tribe Tecomeae). Flora Neotropica Monograph 25 (2): 1-130.
  2. http://www.visitnsw.com/destinations/north-coast/clarence-coast/grafton/events
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  4. নজরকাড়া সৌন্দর্য জ্যাকারান্ডার, কালের কণ্ঠ, ৩১ মে ২০২২