জেন হকিং

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জেন হকিং
Jane Hawking
জন্ম
জেন বেরিল ওয়াইল্ড

(1944-03-29) ২৯ মার্চ ১৯৪৪ (বয়স ৭৯)
শিক্ষাপিএইচডি
মাতৃশিক্ষায়তনওয়েস্টফিল্ড কলেজ
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়
পেশালেখক, শিক্ষক
দাম্পত্য সঙ্গীস্টিভেন হকিং
(বি. ১৯৬৫; বিচ্ছেদ. ১৯৯৫)

জোনাথন জোন্স
(বি. ১৯৯৭)
সন্তান৩, লুসি হকিং

জেন হকিং (ইংরেজি: Jane Hawking) নামে পরিচিত জেন বেরিল ওয়াইল্ড (ইংরেজি: Jane Beryl Wilde; জন্ম: ২৯ মার্চ, ১৯৪৪) হলেন একজন ইংরেজ লেখক ও শিক্ষক। তিনি প্রখ্যাত তত্ত্বীয় পদার্থবিদ ও বিশ্বতত্ত্ববিদ স্টিভেন হকিংয়ের স্ত্রী ছিলেন। হকিংকে নিয়ে রচিত তার উল্লেখযোগ্য দুটি গ্রন্থ হল মিউজিক টু মুভ দ্য স্টার্স: আ লাইফ উইথ স্টিভেন এবং ট্রাভেলিং টু ইনফিনিটি: মাই লাইফ উইথ স্টিভেন

প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

জেন ওয়াইল্ড ১৯৪৪ সালের ২৯শে মার্চ হার্টফোর্ডশায়ারের সেন্ট আলবান্‌সে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জর্জ ওয়াইল্ড এবং মাতা বেরিল (প্রদত্ত নাম: ইগলটন)। জেন সেন্ট আলবান্‌সে বেড়ে ওঠেন।

তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ওয়েস্টফিল্ড কলেজে ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনা করেন।[১]

দীর্ঘ অধ্যয়নের পর ১৯৮১ সালের এপ্রিলে জেন ওয়েস্টফিল্ড কলেজ থেকে মধ্যযুগীয় স্পেনীয় পদ্য বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেন।[২] তিনি ক্যামব্রিজে তার নিজস্ব শিক্ষায়তনিক পরিচয় লাভের জন্য পিএইচডি লাভ করতে উদ্বুদ্ধ হন।[৩]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৯৬২ সালে এক পার্টিতে জেন ও স্টিভেন হকিংয়ের পরিচয় হয়। তাদের দুজনের বন্ধু তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। হকিং এর কিছুদিন পর ১৯৬৩ সালে মোটর নিউরন রোগের (এমিয়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস নামেও পরিচিত) চিকিৎসা গ্রহণ করেন। হকিংয়ের সংক্ষিপ্ত জীবন ও অক্ষমতার বিষয় জানার পরও তারা ১৯৬৪ সালে বাগদান সম্পন্ন করেন এবং ১৯৬৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[৪] এই দম্পতির তিন সন্তান: রবার্ট ১৯৬৭ সালে, লুসি ১৯৭০ সালে, এবং টিমোথি ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করে।[৫]

জেন ১৯৯০ সালে হকিংয়ের থেকে আলাদা হয়ে যান এবং পাঁচ বছর পর তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ১৯৯৭ সালে তিনি সঙ্গীতজ্ঞ জোনাথন হেলিয়ার জোন্সকে বিয়ে করেন।[৬] বিবাহবিচ্ছেদের পরও জেন হকিংকে তার স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করতেন যাতে হকিং তার কাজ চালিয়ে যেতে পারে।[৭]

চিত্রায়ন[সম্পাদনা]

২০০৪ সালের হকিং টেলিভিশন চলচ্চিত্রে লিসা ডিলন এবং ২০১৪ সালের দ্য থিওরি অব এভরিথিং চলচ্চিত্রে ফেলিসিটি জোন্স জেনের ভূমিকায় অভিনয় করেন। দ্য থিওরি অব এভরিথিং চলচ্চিত্রটি জেনের নিজের আত্মজীবনী ট্রাভেলিং টু ইনফিনিটি: মাই লাইফ উইথ স্টিভেন অবলম্বনে নির্মিত এবং এতে অভিনয়ের জন্য জোন্স শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৮]

গ্রন্থ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Anderson, L.V. (৭ নভেম্বর ২০১৪)। "How Accurate Is The Theory of Everything?"স্লেট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮ 
  2. "simplyknowledge – Biographies- Stephen Hawking" 
  3. Hawking, Jane (১ জানুয়ারি ২০১৫)। "The Theory of Everything: the true story of Stephen Hawking and Jane Hawking's marriage"রেডিও টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। 
  4. Ferguson, Kitty (৩ জানুয়ারি ২০১২)। Stephen Hawking: An Unfettered Mind (ইংরেজি ভাষায়)। St. Martin's Press। আইএসবিএন 978-0-230-34060-2 
  5. Ferguson, Kitty (৫ জুলাই ২০১২)। Stephen Hawking: His Life and Work (ইংরেজি ভাষায়) (paperback সংস্করণ)। Bantam। পৃষ্ঠা 157। আইএসবিএন 978-0-8575-0074-8 
  6. Ferguson, Kitty (২০১১)। Stephen Hawking: His Life and Work। Transworld। আইএসবিএন 978-1-4481-1047-6 
  7. Adams, Tim (৩ এপ্রিল ২০০৪)। "Brief history of a first wife"দি অবজারভার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮ 
  8. Anderson, L.V. (৭ নভেম্বর ২০১৪)। "How Accurate Is The Theory of Everything?"স্লেট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]