জুলিয়েত বিনোশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জুলিয়েত বিনোশ
Juliette Binoche
২০১৭ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বিনোশ
জন্ম (1964-03-09) ৯ মার্চ ১৯৬৪ (বয়স ৬০)
পেশাঅভিনেত্রী, চিত্রশিল্পী, নৃত্যশিল্পী
কর্মজীবন১৯৮৩-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীঅঁদ্রে হাল
(বি. ১৯৯২; বিচ্ছেদ. ১৯৯৫)

বেনোয়া মাগিমেল
(বি. ১৯৯৮; বিচ্ছেদ. ২০০৩)

সান্তিয়াগো আমিগোরেনা
(বি. ২০০৫; বিচ্ছেদ. ২০০৮)

পাত্রিক মুলদুন
(বি. ২০০৩; বিচ্ছেদ. ২০০৫)

২০১৪
সন্তান

জুলিয়েত বিনোশ (ফরাসি: Juliette Binoche; জন্ম: ৯ মার্চ ১৯৬৪)[১] হলেন একজন ফরাসি অভিনেত্রী, চিত্রশিল্পী ও নৃত্যশিল্পী। তিনি ষাটের অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মঞ্চনাটকে ও চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। শিল্পী পরিবার থেকে আগত বিনোশ কৈশোর অভিনয়ের পাঠ গ্রহণ করে বিভিন্ন মঞ্চ নাটকে কাজ শুরু করেন। তিনি বেশ কয়েকজন ওতোর-পরিচালকের পরিচালনায় কাজ করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে জঁ-লুক গদারের হেইল ম্যারি (১৯৮৫); জাক দোইলঁর ফ্যামিলি লাইফ (১৯৮৫) এবং অঁদ্রে তেশিনের রেন্দেজ-ভু (১৯৮৫), যা দিয়ে তিনি ফ্রান্সে তারকা খ্যাতি অর্জন করেন। ফিলিপ কফম্যানের পরিচালনায় দ্য আনবেয়ারেবল লাইটনেস অব বিয়িং (১৯৮৮) দিয়ে তার আন্তর্জাতিক কর্মজীবনের সূচনা হয়।

তিনি স্টিভেন স্পিলবার্গের নজরে আসেন এবং তাকে জুরাসিক পার্ক ছবিসহ কয়েকটি ছবিতে কাজের প্রস্তাব দিলে তিনি তা ফিরিয়ে দেন এবং ক্রিস্টফ কিয়েলভ্‌স্কির থ্রি কালারস: ব্লু (১৯৯৩)-এ অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে সেজার পুরস্কার অর্জন করেন। তিন বছর পর তিনি অ্যান্টনি মিনজেলার দি ইংলিশ পেশন্ট (১৯৯৬) ছবিতে অভিনয় করেন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে অস্কারবাফটা পুরস্কার অর্জনসহ ১৯৯৭ সালে বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। লাসে হালস্ত্রোমের প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক শকোলা (২০০০) চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

২০০০-এর দশকেও তিনি সফল ছিলেন এবং ফরাসি ও ইংরেজি দুই ভাষার মূলধারার ও আর্ট-হাউজ চলচ্চিত্রে কাজ করে যান। ২০১০ সালে তিনি আব্বাস কিয়ারোস্তামির সার্টিফাইড কপি ছবিতে অভিনয় করে কান চলচ্চিত্র উৎসবের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। ফলে তিনি প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে ইউরোপীয় "সেরা অভিনেত্রী ত্রি-মুকুট" (কান, বার্লিন ও ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার) অর্জন করেন।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Juliette Binoche Biography (1964-)"ফিল্ম রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৯ 
  2. হক, জনি (১৩ মে ২০১৬)। "জুলিয়েট বিনোশকে দেখে চোখ ফেরানো দায়!"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]