জিনি সহগ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিনি সহগের লেখচিত্র উপস্থাপন
(সংজ্ঞানুসারে ত্রিভুজের সম্পূর্ণ এলাকা ১।)

জিনি সহগ (ইংরেজি: Gini coefficient) অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক যা কোনও দেশের আয় বা সম্পদের বণ্টনের অসমতা বোঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি একটি অনুপাত বা ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা হয়, যার মান ০ থেকে ১-এর মধ্যে হতে হয়। ভগ্নাংশটি হলো বণ্টনের লোরেন্‌ৎস রেখা এবং সুষম বিতরণ রেখার মধ্যবর্তী এলাকার ক্ষেত্রফল এবং সুষম বিতরণ রেখার নিচে অবস্থিত এলাকার ক্ষেত্রফলের অনুপাত।

সংজ্ঞানুসারে জিনি সহগের মান কম হলে তা অপেক্ষাকৃত সমান আয় বা সম্পদের বণ্টন বা বিতরণ নির্দেশ করে। অন্যদিকে জিনি সহগের মান উচ্চ হলে তা আয় বা সম্পদের বণ্টনে অধিকতর বৈষম্য বা অসমতা নির্দেশ করে। ০ নির্দেশ করে চরম সমতা (অর্থাৎ সবার আয় বা সম্পদের পরিমাণ সমান)। ১ নির্দেশ করে চরম অসমতা (অর্থাৎ একজন ব্যক্তি সব অর্থ আয় করেন, বাকীরা কোন আয় করেন না)। জিনি সহগ পরিমাপে ধরে নেয়া হয়, কারও নীট আয় বা সম্পদ ঋণাত্মক নয়। জিনি সহগকে ১০০ দিয়ে গুণ করে শতকরা হারে প্রকাশ করলে তাকে জিনি সূচক (Gini index) বলা হয়।

ইতালীয় পরিসংখ্যানবিদ কোররাদো জিনি এই সহগটি উদ্ভাবন করেন এবং ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে "Variabilità e mutabilità" নামের গবেষণাপত্রে এটি প্রকাশ করেন।

একটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বের জিনি সূচক ছিল ৫০ এবং ১৯৯২ সালে তা বেড়ে ৬৫.৭-এ পরিণত হয়, অর্থাৎ বিশ্বে ধনী-গরিবের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমান দক্ষিণ আফ্রিকার জিনি সূচক বিশ্বের সর্বোচ্চ: ৬৩। ফলে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক বৈষম্যের দেশ। এর বিপরীতে স্লোভেনিয়ার জিনি সূচক মাত্র ২৪.৬, যা বিশ্বের সর্বনিম্ন।

দেশ অনুযায়ী জিনি সূচক (%)। ১৯৯২ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংক প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী।[১]
  >৫০
  ৪৫-৫০
  ৪০-৪৫
  ৩৫-৪০
  ৩০-৩৫
  <৩০
  তথ্য উপলব্ধ নয়

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Gini index (World Bank estimate)"data.worldbank.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২৩ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]