ছোস-ক্যি-দ্বাং-ফ্যুগ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ছোস-ক্যি-দ্বাং-ফ্যুগ

ছোস-ক্যি-দ্বাং-ফ্যুগ (ওয়াইলি: chos kyi dbang phyug) (১২১২-১২৭০) তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের র্ন্যিং-মা ধর্মসম্প্রদায়ের লুক্কায়িত প্রাচীন গ্রন্থের আবিষ্কারক বা গ্তের-স্তোন ছিলেন।

জন্ম ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

ছোস-ক্যি-দ্বাং-ফ্যুগ ১২১২ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বতের ল্হো-ব্রাগ (ওয়াইলি: lho brag) নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল স্পাং-স্তোন-গ্রুব-পা'ই-স্ন্যিং-পো (ওয়াইলি: spang ston grub pa'i snying po) এবং মাতার নাম ছিল দ্কার-গ্জা'-ম্গোন-স্ক্যিদ (ওয়াইলি: dkar gza' mgon skyid)। পিতার নিকট তিনি চিকিৎসাবিদ্যা, জ্যোতিষশাস্ত্র, বজ্রপাণিবজ্রকীলয় তন্ত্র সাধনা, মায়াজালতন্ত্র, যমান্তকহয়গ্রীব তন্ত্র সাধনা, অতিযোগ, মহামুদ্রা, ছেদ সাধনা, ঝি-ব্যেদ, নারো পার ছয় যোগ প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। সতেরো বছর বয়সে ন্যাং-রাল-ন্যি-মা-'ওদ-জের নামক বিখ্যাত গ্তের-স্তোনের পুত্র ও অন্যতম শিষ্য নাম-ম্খা'-দ্পালের (ওয়াইলি: nam mkha' dpal) নিকট শিক্ষালাভ করেন।[১]

পরবর্তী জীবন[সম্পাদনা]

ছোস-ক্যি-দ্বাং-ফ্যুগ মাটিতে লুক্কায়িত আঠারোটি গ্রন্থ আবিষ্কার করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল ব্লা-মা-গ্সাং-'দুস (ওয়াইলি: bla ma gsang 'dus), গ্সাং-'দুস-ব্লা-মা'ই-থুগ্স-স্গ্রুব (ওয়াইলি: gsang 'dus bla ma'i thugs sgrub) এবং ব্কা'-ব্র্গ্যাদ-গ্সাং-বা-য়োংস-র্দ্জোগ্স (ওয়াইলি: bka' brgyad gsang ba yongs rdzogs)। তিনি ল্হা-লুং (ওয়াইলি: lha lung) বৌদ্ধবিহারে ব্সাম-'গ্রুব-ব্দে-বা-ছেন-পো ওয়াইলি: bsam 'grub bde ba chen po) নামক মন্দির স্থাপন করেন। তার ধর্মসঙ্গিনী ছিলেন জো-মো-স্মান-মো নামক অপর এক গ্তের-স্তোন এবং তার উল্লেখযোগ্য শিষ্য ছিলেন পে-মা-দ্বাং-ছেন (ওয়াইলি: pe ma dbang chen) ও গ্ন্যাল-ন্যি-মা-'ওদ-জের (ওয়াইলি: gnyal nyi ma 'od zer) নামক তার দুই পুত্র, ভা-রো-গ্ত্সুগ-'দ্জিন (ওয়াইলি: bha ro gtsug 'dzin) নামক এক নেওয়ারি অতিযোগ বিষয়ক পণ্ডিত, মি-ব্স্ক্যোদ-র্দো-র্জে (ওয়াইলি: mi bskyod rdo rje) প্রভৃতি।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Leschly, Jakob (2007-08)। "Guru Chowang"The Treasury of Lives: Biographies of Himalayan Religious Masters। সংগ্রহের তারিখ 2014-05-11  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

  • Bradburn, Leslie 1995. Masters of the Nyingma Lineage. Cazadero: Dharma Publications, p. 136 ff.
  • Dudjom Rinpoche. 2002. The Nyingma School of Tibetan Buddhism. Gyurme Dorje and Matthew Kapstein, trans. Boston: Wisdom, p. 760 ff.
  • Gyatso, Janet. 1993. “The Logic of legitimation in the Tibetan treasure tradition.” History of Religions 33, no. 2: 97-134.