চিলাহাটি এক্সপ্রেস
চিলাহাটি এক্সপ্রেস | |
---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর ট্রেন |
অবস্থা | পরিচালিত হচ্ছে |
প্রথম পরিষেবা | ৪ জুন ২০২৩ |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
শেষ | চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ দূরত্ব | ৪৪৫ কিলোমিটার (২৭৭ মাইল) |
পরিষেবার হার | সপ্তাহে ৬ দিন |
রেল নং | ৮০৫/৮০৬ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | ১ম |
আসন বিন্যাস | আছে |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | আছে |
খাদ্য সুবিধা | আছে |
বিনোদন সুবিধা | আছে |
কারিগরি | |
গাড়িসম্ভার | ১২ |
ট্র্যাক গেজ | ব্রডগেজ |
পরিচালন গতি | ১০০ কিমি/ঘন্টা |
চিলাহাটি এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৮০৫/৮০৬) বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে পরিচালিত ঢাকা থেকে নীলফামারী জেলার সীমান্তবর্তী চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচলকারী একটি আন্তঃনগর ট্রেন।[১][২] ট্রেনটিতে ইঞ্জিনসহ ১১টি কোচ রয়েছে।[৩]যা যাত্রাপথে মোট ১২ জায়গায় যাত্রাবিরতি দিয়ে থাকে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ঢাকা-নীলফামারী রুটে ২০০৭ সালে নীলসাগর এক্সপ্রেস নামক একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর পর চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী দিবাকালীন সময়ে নতুন একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নীলফামারীবাসীর। এরপর এই পথে নতুন ট্রেনের ঘোষণা আসার পর থেকে এর নামকরণে বেশ কিছু নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। এর মধ্যে নীলকুঠি এক্সপ্রেস, নীলফামারী এক্সপ্রেস ও চিলাহাটি এক্সপ্রেস উল্লেখযোগ্য। তবে শেষ পর্যন্ত চিলাহাটি এক্সপ্রেস নামে ঢাকা-চিলাহাটি রুটে ২০২৩ সালের ৪ জুন ট্রেনটি চালু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এইদিন গণভবন থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনটির উদ্বোধন করেন।[৪]
বিরতিস্থান
[সম্পাদনা]চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রাপথে মোট ১২টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। স্টেশনগুলো হলো:
- ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন
- জয়দেবপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- ঈশ্বরদী বাইপাস রেলওয়ে স্টেশন
- নাটোর রেলওয়ে স্টেশন
- সান্তাহার জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন
- বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশন
- ফুলবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন
- পার্বতীপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন
- নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন
- ডোমার রেলওয়ে স্টেশন
সময়সূচী
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫২তম টাইমটেবিল অনুযায়ী, নতুন ট্রেনটির সময়সূচিঃ
ট্রেন
নং |
প্রারম্ভিক স্টেশন | ছাড়ার সময় | গন্তব্য স্টেশন | পৌছার সময় | সাপ্তাহিক
ছুটি |
---|---|---|---|---|---|
৮০৫ | কমলাপুর | ১৭:০০ | চিলাহাটি | ০৩:০০ | শনিবার |
৮০৬ | চিলাহাটি | ০৬:০০ | কমলাপুর | ১৫:১০ |
রোলিং স্টক
[সম্পাদনা]ট্রেনটি ৬৬০০ সিরিজ এর লোকোমোটিভ এবং সদ্য আমদানিকৃত ব্রডগেজে ব্র্যান্ডনিউ চাইনিজ কোচ দ্বারা চলাচল করে।
ট্রেনটিতে মোট কোচ সংখ্যা ১১টি। এর মধ্যে ২টি খাবার গাড়ী+শোভন চেয়ার সম্বলিত গার্ডব্রেক কোচ, ২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ, ১টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন কোচ, ১টি পাওয়ার কার কোচ ও ৫টি শোভন চেয়ার কোচ।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "চিলাহাটি-ঢাকা নতুন ট্রেন চালু ৪ জুন"। চিলাহাটি ওয়েব ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-০৩।
- ↑ "চিলাহাটি–ঢাকা পথে নতুন ট্রেনের নাম নিয়ে বিতর্ক"। প্রথম আলো। ২০২৩-০৬-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-০৩।
- ↑ "যাত্রা শুরু করলো চিলাহাটি এক্সপ্রেস"। jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০২৩।
- ↑ "'চিলাহাটি এক্সপ্রেস' ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী"। প্রথম আলো। ৪ জুন ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০২৩।