ক্রাইস্টচার্চ

স্থানাঙ্ক: ৪৩°৩১′৪৮″ দক্ষিণ ১৭২°৩৭′১৩″ পূর্ব / ৪৩.৫৩০০০° দক্ষিণ ১৭২.৬২০২৮° পূর্ব / -43.53000; 172.62028
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্রাইস্টচার্চ
ওতাউতাহি (মাওরি)
মেট্রোপলিটান এলাকা
ক্রাইস্টচার্চ
ঘড়ির কাটার দিকে শীর্ষে: City skyline, Sumner Beach, aerial view of Hagley Park, Christchurch Adventure Park, New Regent Street
ডাকনাম: গার্ডেন সিটি
ক্রাইস্টচার্চ নিউজিল্যান্ড-এ অবস্থিত
ক্রাইস্টচার্চ
ক্রাইস্টচার্চ
স্থানাঙ্ক: ৪৩°৩১′৪৮″ দক্ষিণ ১৭২°৩৭′১৩″ পূর্ব / ৪৩.৫৩০০০° দক্ষিণ ১৭২.৬২০২৮° পূর্ব / -43.53000; 172.62028
দেশ নিউজিল্যান্ড
দ্বীপসাউথ আইল্যান্ড
অঞ্চলক্যান্টারবারি
Territorial authorityক্রাইস্টচার্চ সিটি
যুক্তরাজ্য কর্তৃক বসতিস্থাপন১৮৪৮
সরকার
 • মেয়রলিয়ান ড্যালজিয়েল
আয়তন
 • মেট্রোপলিটান এলাকা১,৪২৬ বর্গকিমি (৫৫১ বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা৪৫২ বর্গকিমি (১৭৫ বর্গমাইল)
সর্বোচ্চ উচ্চতা৯২০ মিটার (৩,০২০ ফুট)
সর্বনিন্ম উচ্চতা০ মিটার (০ ফুট)
জনসংখ্যা (জুন ২০১৩ হিসাবে)[১]
 • মেট্রোপলিটান এলাকা৩,৬৬,০০০
 • জনঘনত্ব২৬০/বর্গকিমি (৬৬০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলএনজেডএসটি (ইউটিসি+১২)
 • গ্রীষ্মকালীন (দিসস)এনজেডডিটি (ইউটিসি+১৩)
এলাকা কোড০৩
Local iwiNgāi Tahu, Ngāti Mamoe
ওয়েবসাইটwww.ccc.govt.nz
www.ecan.govt.nz

ক্রাইস্টচার্চ (ইংরেজি: Christchurch,/ˈkrsɜːr/; মাওরি: Ōtautahi) নিউজিল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় দক্ষিণ দ্বীপের পূর্ব উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থিত বৃহত্তম নগর। অকল্যান্ডের পর জনসংখ্যার দিক দিয়ে এ শহরটি নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও, উর্বর কৃষি অঞ্চলে শস্যদানা উৎপাদন ও ভেড়া পালনের বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবেও এর সুনাম রয়েছে। একসময় সমৃদ্ধ কৃষি উপযোগী পরিবেশই নগরের প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি ছিল। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এলাকাটি দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকা এটি। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ, অসীম পানিবিদ্যুৎ উৎপাদনে এ শহরের জুড়ি মেলা ভার। সাউথ আইল্যান্ডের পূর্ব উপকূলের ক্রাইস্টচার্চের অবস্থান। ৫ মার্চ, ২০১৩ তারিখের জরীপ এর জনসংখ্যা ৩৪১,৪৬৯জন।[২] শহরের মাঝ দিয়ে অ্যাভন নদী প্রবাহিত হচ্ছে। এডওয়ার্ড গিবন ওয়াকফিল্ড ও তার নিউজিল্যান্ড কোম্পানির সর্বশেষ ও সর্বাপেক্ষা সফল ঔপনিবেশিক প্রকল্প।

প্রধান শিল্প ও কল-কারখানা হিসেবে রয়েছে - প্রচলিত ধারায় মাংস মোড়কজাতকরণ, চামড়া শিল্প, কাপড়, কার্পেট সামগ্রী, পশমের পণ্য, আসবাবপত্র এবং পরিবহন যন্ত্রাংশ, টায়ার, সাবান, গ্লাস, ময়দা উৎপাদন। সুড়ঙ্গপথে সড়ক ও রেল যোগাযোগের মাধ্যমে পোর্ট হিলকে লিটলন বন্দরের সাথে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্যান্টারবারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্রাইস্টচার্চেই অবস্থিত। শহরের কাছেই ১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্যান্টারবারি কৃষি কলেজ (পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়) গড়ে উঠেছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২৭ মার্চ, ১৮৪৮ তারিখে চার্চ অব ইংল্যান্ডের সাথে জড়িত ব্রিটিশ ঔপনেবিশক সমিতি ক্যান্টারবারি সংস্থার প্রথম সভার মাধ্যমে ক্রাইস্টচার্চ নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ক্রাইস্ট চার্চ কলেজের নাম অনুসারে ক্রাইস্ট চার্চ নগরের নামাঙ্কিত হয়। জন রবার্ট গডলে এ নামকরণের প্রস্তাব করেছিলেন চার্চ অব ইংল্যান্ডের বসতির আদলে। প্রথমদিককার কিছু লেখক এ শহরকে ক্রাইস্ট চার্চ নামে অভিহিত করলেও সংস্থার পরিচালনা পরিষদের গঠনতন্ত্রে ক্রাইস্টচার্চ উল্লেখ করা হয়।[৩] ৩১ জুলাই, ১৮৫৬ তারিখে রাজকীয় সনদের মাধ্যমে ক্রাইস্টচার্চ নগরের মর্যাদা পায় এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিউজিল্যান্ডের প্রাচীনতম নগরের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়। ১৮৫০-৫১ সালে পাঁচটি জাহাজে চড়ে প্রকৃত অভিবাসনকারীদের অবতরণ ঘটে। ১৮৬২ সালে নগর, ১৮৬৮ সালে বোরা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। পরবর্তীতে ১৯০৩ সালে এ নগরের সম্প্রসারণ ঘটানো হয়।

জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

ক্রাইস্টচার্চ সিটি কাউন্সিল কর্তৃক জুন, ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ক্রাইস্টচার্চের জনসংখ্যা ৩৬৬,০০০জন। এরফলে শহরটি নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সাউথ আইল্যান্ডের সর্ববৃহৎ শহরের মর্যাদা পায়।366000 (জুন ২০১৩ হিসাবে),[১] ক্রাইস্টচার্চের শহর এলাকায় এ জনসংখ্যা ৩৭৫,৮০০ যা অকল্যান্ড এবং ওয়েলিংটনের পর তৃতীয় বৃহত্তম এলাকা।

জনপরিসংখ্যান
জরীপ জনসংখ্যা ±%
১৯৮১ ২৮১,৭২১[৪] -
১৯৮৬ ২৮৮,৯৪৮ [৪] ২.৬%বৃদ্ধি
১৯৯১ ২৯৬,০৬১ [৪] ২.৫%বৃদ্ধি
১৯৯৬ ৩১৬,৬১১ [৪] ৬.৯%বৃদ্ধি
২০০১ ৩২৩,৯৫৬ [৪] ২.৩%বৃদ্ধি
২০০৬ ৩৪৮,৪৩৫ [৪] ৭.৬%বৃদ্ধি
২০১৩ ৩৪২,৪৬৯ [৫] -২.০%হ্রাস

জাতিতত্ত্ব[সম্পাদনা]

জাতিগত গোষ্ঠী ২০০১ আদমশুমারী ২০০৬ জনগণনা
শতকরা হার জনগণ[৬] জাতীয় গড় শতাংশ জনগণ[৭] জাতীয় গড়
ইওরোপীয় ৮৯.৮ ২৯১,৫৯৪ ৭৫.৪ ২৫৫,৩৬৬ ৬৭.৬
নিউজিল্যান্ড প্রযোজ্য নহে প্রযোজ্য নহে ১২.৯ ৪৩,৬৭১ ১১.১
এশিয়া ৫.৫ ১৭,৭০৩ ৭.৯ ২৬,৬৩১ ৯.২
মাওরি ৭.২ ২৩,৪২১ ৭.৬ ২৫,৭২৫ ১৪.৭
প্যাসিফিক আইল্যান্ড ২.৪ ৭,৭১৩ ২.৮ ৯,৪৬৫ ৬.৯
মধ্যপ্রাচ্যে / ল্যাটিন আমেরিকা / আফ্রিকা প্রযোজ্য নহে প্রযোজ্য নহে ০.৮ ২,৮৬২ ০.৯
অন্যান্য ০.৬ ২,০৭৩ <০.১ ১১৪ <০.১
মোট জাতিগত ৩২৪,৬৬৬ (ব্যক্তি) ৩৩৮,৭৪৮ (ব্যক্তি)

জোড়া শহর - সহোদর শহর[সম্পাদনা]

ক্রাইস্টচার্চ সারা বিশ্বের সাত সহোদর শহরে রয়েছে। এইগুলি হল::[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Subnational Population Estimates: At 30 June 2013 (provisional)"স্টাটিস্টিকস নিউজিল্যান্ড। ২২ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৩  এছাড়াও "Infoshare; Group: Population Estimates - DPE; Table: Estimated Resident Population for Urban Areas, at 30 June (1996+) (Annual-Jun)"স্টাটিস্টিকস নিউজিল্যান্ড। ১৯ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. "2013 Census Usually Resident Population Counts – Statistics New Zealand"। Stats.govt.nz। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৩ 
  3. A History of Canterbury, Vol. 1 – Sir James Hight & Straubel, C.R.; Canterbury Centennial Association and Whitcombe and Tombs, Christchurch 1957, Page 121
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৪ 
  5. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৫ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৪ 
  6. 2001 Regional Summary ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ মার্চ ২০০৭ তারিখে, Statistics New Zealand
  7. টেমপ্লেট:NZ Quickstats
  8. "Sister Cities"Christchurch City Council। ১৯ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৩ 

গ্রন্থপঞ্জী

  • রিড, এ.ডব্লিও. (২০০২) দ্য রিড ডিকশেনারী অফ নিউ জিল্যান্ড প্লেসেস নেমস. অকল্যান্ড: রিড বুকস. আইএসবিএন 0-790-00761-4।
  • Rice, Geoffrey (with assistance from Jean Sharfe)(1999) Christchurch changing: an illustrated history Christchurch: Canterbury University Press. আইএসবিএন ০-৯০৮৮১২-৫৩-১ (pbk.)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

দাপ্তরিক সংস্থা

সংস্কৃতি ও তথ্যাবলী

পর্যটন ও মানচিত্র