আখাউড়া–লাকসাম–চট্টগ্রাম রেলপথ
আখাউড়া-লাকসাম-চট্টগ্রাম লাইন | |
---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
স্থিতি | সক্রিয় |
মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
অঞ্চল | বাংলাদেশ |
বিরতিস্থল | |
স্টেশন | ৩৯ |
ইতিহাস | |
চালু | ১৮৯৫-৯৮ |
কারিগরি তথ্য | |
ট্র্যাকসংখ্যা | ২ / ১ |
ট্র্যাক গেজ | ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) মিটার-গেজ রেলপথমিটারগেজ |
আখাউড়া-লাকসাম-চট্টগ্রাম লাইন হল একটি রেল পথ যেটি আখাউড়াকে যুক্ত করেছে বন্দর শহর চট্টগ্রামের সঙ্গে। এই লাইন থেকে একটি শাখা লাইন চাঁদপুর সদর হয়ে নোয়াখালী পর্যন্ত গেছে। এই রেল পথ বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনস্থ।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]আসাম থেকে চা চট্টগ্রাম বন্দরে পরিবহনের জন্য রেলপথ নির্মাণ শুরু হয় ১৮৯১ সালে। ১৮৯৫ সালে চট্টগ্রাম-কুমিল্লা অংশ চালু হয় এর পর ১৮৯৭-৯৮ সালে আখাউড়া হয়ে বদরপুর পর্যন্ত রেলপথ স্থাপিত হয়। ১৯০৩ সালে লুমডিং অংশ চালু হয়।[১][২][৩]
কক্সবাজার ও গুনদুম সংযোগ
[সম্পাদনা]চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পযর্ন্ত ৯৯ দশমিক ৩ কিলোমিটার এবং রামু থেকে মায়ানমারের নিকট গুনদুম পযর্ন্ত ২৮ দশমিক ৯৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। অর্থাৎ প্রকল্পের আওতায় মোট ১২৭ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার সিংগেল লাইনকে ডুয়েল গেজ ট্রাক নির্মাণ করা হবে। যে কারণে অবিশ্বাস্যভাবে ব্যয় বাড়ছে। এটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে।[৪][৫][৬]
আগরতলা সংযোগ
[সম্পাদনা]ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকার আগরতলার সঙ্গে আখাউড়ার মধ্যে রেল সংযোগ ঘটাতে ১৪ কিমি রেলপথ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেল যাবে আগরতলা রেলস্টেশন হয়ে সিদ্ধিআশ্রম, বাধারঘাট, চাড়িপারা, নিশ্চিন্তপুর হয়ে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন। সেখান থেকে যাবে আখাউড়া রেল স্টেশন। নিশ্চিন্তিপুর হবে সীমান্ত রেল স্টেশন। নিশ্চিন্তিপুর থেকে গঙ্গাসাগর স্টেশনে নতুন করে পাতা হবে রেল লাইন। সেখান থেকে আগের লাইনের পাশ ধরে রেল যাবে আখাউড়া পর্যন্ত।[৭][৮] কলকাতা থেকে আগরতলার দূরত্ব ১৬৫০ কিলোমিটার। আর এই রেল পথ গঠিত হলে আগরতলা ও কলকাতার দূরত্ব হবে ৫০০ কিমি। রেলপথ দ্বারা চট্টগ্রাম বন্দর ও আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করতে পারবে ত্রিপুরা ও উত্তর-পূর্ব ভারত।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ কাজী আবুল ফিদা (২০১২)। "রেলওয়ে"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "Report on the administration of North East India (1921–22)"। p. 46। Google Books/ Mttal Publishers Distributors। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ S.N.Singh, Amarendra Narain, Purnendu Kumar। "Socio Economic and Political Problems of Tea Garden Workers: A Study of Assam, Published 2006, ISBN 81-8324-098-4"। p. 105। Mittal Publications, New Delhi। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Work begins on Bangladesh rail link"। Democratic Voice of Burma। ৩ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Railway to link Cox Bazar"। The Daily Star। ১৫ আগস্ট ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Trans-Asian Railway project finally set to take off"। The Daily Star। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Rail Link"। The Telegraph। ৮ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "India approves new railway link with Bangladesh"। Two Circles.net। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১১।