দামোদর মুখোপাধ্যায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

দামোদর মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ফেব্রুয়ারি ১৮৫৩ - মৃত্যু: ১৯০৭) একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক, অনুবাদক ও সম্পাদক।

প্রথম জীবন[সম্পাদনা]

দামোদর মুখোপাধ্যায়ের জন্ম হয় ১২৫৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে তার মামাবাড়িতে। প্রসিদ্ধ বাংলা ব্যাকরণ রচয়িতা লোহারাম শিরোরত্ন তার মামা ছিলেন। তার পৈতৃক নিবাস শান্তিপুর। মামাবাড়িতেই তিনি প্রধানত প্রতিপালিত হন। কৃষ্ণনগর ও বহরমপুরে তার শিক্ষালাভ হয়। তিনি ইংরেজি, বাংলা ও সংস্কৃত এই তিন ভাষাতে দক্ষ ছিলেন।[১]

সাহিত্যকীর্তি[সম্পাদনা]

তিনি অনেকগুলি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। যার মধ্যে 'মৃন্ময়ী' ও 'নবাব নন্দিনী' উপন্যাসদুটি যথাক্রমে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কপালকুণ্ডলাদুর্গেশনন্দিনীর উপসংহার। তিনি কিছু ইংরেজি উপন্যাস বাংলাতে অনুবাদ করে প্রকাশ করেছিলেন। এছাড়া তিনি নয়টি টীকা ও ভাষ্যসহ শ্রীমদ্ভগবত গীতার একটি বড় সংস্করণ প্রকাশ করেছিলেন। এই বইটি প্রায় সাড়ে তিন হাজার পাতার ছিল। 'জ্ঞানাঙ্কুর' ও 'প্রবাহ' নামক দুটি পত্রিকা তিনি কিছুদিন সম্পাদনা করেছিলেন।[১]

গ্রন্থ তালিকা[সম্পাদনা]

  • মৃন্ময়ী (১৮৭৪)
  • বিমলা (১৮৭৭)
  • দুই ভগ্নী (১৮৮১)
  • কমলকুমারী (১৮৮৪)
  • প্রতাপসিংহ (১৮৮৪)
  • মা ও মেয়ে (১৮৮৪)
  • বিষবিবাহ (১৮৮৮)
  • শুক্লবসনা সুন্দরী (১৮৯০)
  • শান্তি (১৮৯৩)
  • যোগেশ্বরী (১৮৯৮)
  • নবাবনন্দিনী (১৯০১)
  • সোনার ফসল (১৯০১)
  • কর্মক্ষেত্র (১৯০২)
  • অন্নপূর্ণা (১৯০২)
  • আদর্শ প্রেম (১৯১৩)

সমালোচনা[সম্পাদনা]

অধ্যাপক অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে দামোদর মুখোপাধ্যায়ের শিল্পবোধ ও পরিমাণবোধের বিশেষ অভাব ছিল। না হলে তিনি কপালকুণ্ডলা ও দুর্গেশনন্দিনীর উপসংহার লিখতে প্রবৃত্ত হবেন কেন? তার অধিকাংশ উপন্যাস বিশেষত্ববর্জিত। সেগুলি বয়স্ক বালকভুলানো উপকথায় পর্যবসিত হয়েছে।[২]

১৩১৪ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে তার মৃত্যু হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. জীবনীকোষ (ভারতীয় ঐতিহাসিক) - শশীভূষণ বিদ্যালঙ্কার - তৃতীয় খণ্ড 
  2. আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দী - অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]