জানকীনাথ বসু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জানকীনাথ বসু
জন্ম২৮ মে, ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দ
মৃত্যু২ ডিসেম্বর, ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দ (বয়স ৭৪)
কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাআইনজীবী
সন্তান৮ পুত্র
৬ কন্যা

জানকীনাথ বসু (২৮ মে, ১৮৬০ – ২ ডিসেম্বর, ১৯৩৪) ছিলেন ভারতীয় উকিল এবং আইনজীবী। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সুভাষচন্দ্র বসুব্যারিস্টার শরৎচন্দ্র বসুর পিতা।[১][২]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

জানকীনাথ বসু ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দের ২৮ মে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কোদালিয়া গ্রামে পিতা হরনাথ বসুর চতুর্থ পুত্র হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪] তিনি অ্যালবার্ট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে কিছুুুুুকাল সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়ার পর পরবর্তীতে জেনারেল অ্যাসেম্বলি ইন্সটিটিউটে (বর্তমানে স্কটিশ চার্চ কলেজ) এবং রাভেনশো কলেজে পড়াশোনা করেন এবং সেখান থেকে তিনি স্নাতক হন।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি কটকের আদালতে ওকালতি অনুশীলন শুরু করেন এবং পরবর্তীতে সেখানকার আইনজীবী হয়েছিলেন।[১] ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে তিনি কটক মিউনিসিপ্যালিটির প্রথম বেসরকারি সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি সরকারী প্লেডার নিযুক্ত হন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সংস্থার সদস্য হন এবং তাঁকে রায় বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে মতানৈক্যকের কারণে তিনি সরকারি উকিল ও পাবলিক প্রসিকিউটর পদে ইস্তফা দেন এবং ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে সরকারের দমননীতির প্রতিবাদে রায় বাহাদুর উপাধি ত্যাগ করেন।[৫]

ব্যক্তি জীবন[সম্পাদনা]

জানকীনাথ ছিলেন হরনাথ বসু এবং কামিনী বসুর পুত্র। তাঁর ভাইয়েরা ছিলেন যদুনাথ বসু, কেদারনাথ বসু ও দেবেন্দ্রনাথ বসু। তিনি ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে উত্তর কলকাতার হাটখোলার বিখ্যাত কায়স্থ ভরদ্যাজ বংশের প্রভাবতী দেবীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি শরৎচন্দ্র বসু এবং সুভাষচন্দ্র বসু সহ তাদের আট পুত্র এবং ছয় কন্যার শিক্ষায় যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছিলেন।[১][৫] কলকাতায় থাকাকালীন তিনি ব্রাহ্মসমাজের নেতাদের সংস্পর্শে আসেন এবং তাদের ভাবধারা তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। আইনজীবী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন তাঁকে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে নিয়ে আসে। ফলে তিনি তাঁর অনেক আদর্শ এবং ভাবধারাকে খুব অল্প বয়সেই তাঁর নবম পুত্র সুভাষের মধ্যে সঞ্চারিত করতে পেরেছিলেন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Ashu Pasricha (২০০৮)। "Life and Times"Encyclopaedia of Eminent Thinkers (vol. : 16 The Political Thought Of Subhas Chandra Bose)। Concept Publishing Company। পৃষ্ঠা 12–14। আইএসবিএন 978-81-8069-496-7 
  2. Mihir Bose (২০০৪)। Raj, Secrets, Revolution: A Life of Subhas Chandra Bose। Grice Chapman Publishing। পৃষ্ঠা 29–। আইএসবিএন 978-0-9545726-4-8 
  3. An Indian Pilgrim: An Unfinished Autobiography And Collected Letters 1897-1921, Subhas Chandra Bose, Asia Publishing House, London, 1965, p. 1
  4. An Indian Pilgrim: An Unfinished Autobiography (Netaji:Collected Works, Vol.1) , Subhas Chandra Bose, Oxford University Press, 1997, p. 244
  5. বসু, সুভাষচন্দ্র বসু (১৯৪৫)। ভারত পথিক: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আত্মজীবনী। এলগিন রোড, কলিকাতা: সিগনেট প্রেস। পৃষ্ঠা ১০–১৩।