গাঁজা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

গাঁজা
প্রচলিত শণ
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
শ্রেণীবিহীন: সপুষ্পক উদ্ভিদ
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Rosids
বর্গ: Rosales
পরিবার: Cannabaceae
গণ: গাঁজা
L.
প্রজাতি[১]

গাঁজা (/ˈkænəbɪs/, ইংরেজি: Cannabis) মূলত সপুষ্পক উদ্ভিদের গণ, যেখানে সাতিভা গাঁজা,[২] ইন্ডিকা গাঁজা এবং রুডের্লাইস গাঁজা[১], এই তিনটি ভিন্ন প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি মধ্যদক্ষিণ এশিয়ার স্থানীয় প্রজাতি।[৩] গাঁজা দীর্ঘকাল ধরে বীজ ও বীজ তেল, ঔষধি উদ্দেশ্যে এবং একটি বিনোদনমূলক ড্রাগ হিসাবে শণ আঁশের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আঁশের উৎপাদন বৃদ্ধি নির্বাচন করতে বাণিজ্যিক শণ পণ্যসমূহ গাঁজা গাছ থেকে তৈরি করা হয়।

বিবরণ[সম্পাদনা]

ভিন্ন ভিন্ন নামে বিভিন্ন দেশে এর বিস্তার। গাঁজা গাছের শীর্ষ পাতা, ডাল এবং ফুল যা এই উপমহাদেশে গাঁজা নামে পরিচিত একই জিনিস পশ্চিমা দেশ গুলোতে মারিজুয়ানা বা মারিহুয়ানা নামে পরিচিত। গাছের পাতা বা ডালের আঠালো কষ দিয়ে তৈরী এ অঞ্চলের চরস নামের জিনিসটিই পশ্চিমা দেশের হাশিশ।[২] এছাড়াও ভাং, সিদ্ধি, পাট্টি, সব্জি, গ্রাস, মাজুন এবং নানা নামে ডাকা হয়। [২][৪]

ভেষজ গুণ[সম্পাদনা]

গাঁজা শরীরের বিষ-ব্যথা সারায়। এ কথার বর্ণনা রয়েছে ভারতবর্ষের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তবে এ কথাও সুবিদিত যে, গাঁজা, ভাং ও মারিজুয়ানা গ্রহণ মানুষের স্মরণশক্তি হ্রাস করে এবং দীর্ঘ মেয়াদে মনোবৈকল্য ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এখন গাঁজা, ভাং ও মারিজুয়ানার ওপর গবেষণা করে জেনেছেন, এ সব মাদকদ্রব্য থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ব্যথানাশক ওষুধ প্রস্তুত করা সম্ভব, যা মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না। গবেষণাটি করেছে ফ্রান্সের বায়োমেডিকেল ইনস্টিটিউট।[৫] এর নেতৃত্ব দিয়েছে আইএনএসইআরএম। ফ্রান্সের গবেষকরা জানান, 'তারা ইঁদুরের মস্তিষ্কের যে অংশের কোষের নিউরনে গাঁজা বা মারিজুয়ানার মাদক ক্রিয়া করে তা ওষুধ প্রয়োগ করে নিষ্ক্রিয় করেন প্রথম। এর পর ওই ইঁদুরের শরীরে এসব মাদক প্রবেশ করিয়ে দেখা গেছে, তাতে ইঁদুরটি বেহুশ হয় না। বরং ওটির প্রাণচাঞ্চল্য ঠিকই থাকে। এ অভিজ্ঞতা থেকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ব্যথানাশক হিসেবে গাঁজা বা মারিজুয়ানার ভালো গুণ মানুষের বিভিন্ন রোগের ওষুধ এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। শিগগিরই গাঁজা ও মারিজুয়ানার নির্যাস থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এ ওষুধ প্রস্তুত হবে। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ও আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেছেন, ভাং ও গুঞ্জি সেবনে ফুসফুসের ক্ষতি তামাক পাতায় প্রস্তুত সিগারেট পানের চেয়ে কম।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Geoffrey William Guy; Brian Anthony Whittle; Philip Robson (২০০৪)। The Medicinal Uses of Cannabis and Cannabinoids। Pharmaceutical Press। পৃষ্ঠা 74–। আইএসবিএন 978-0-85369-517-2 
  2. "Cannabis sativa information from NPGS/GRIN"। www.ars-grin.gov। ৫ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০০৮  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "grin" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  3. A. ElSohly, Mahmoud (২০০৭)। Marijuana and the Cannabinoids। Humana Press। পৃষ্ঠা 8। আইএসবিএন 1-58829-456-0। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১১ 
  4. A. ElSohly, Mahmoud (২০০৭)। Marijuana and the Cannabinoids। Humana Press। পৃষ্ঠা 8 ও 322। আইএসবিএন 1-58829-456-0। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-০২ 
  5. Watt, John Mitchell; Breyer-Brandwijk, Maria Gerdina: The Medicinal and Poisonous Plants of Southern and Eastern Africa 2nd ed Pub. E & S Livingstone 1962

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]