জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Xeroderma Pigmentosum থেকে পুনর্নির্দেশিত)
জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম
প্রতিশব্দডিস্যাঙ্কটিস–ক্যাশিওনে ব্যাধি[১][২]

এক্সপি১ / এক্সপি২ / এক্সপি৩ / এক্সপি৪ / এক্সপি৫ / এক্সপি৬ / এক্সপি৭[৩]

জেরোডার্ম পিগমেন্টোসাম ১/২/৩/৪/৫/৬/৭[৩]

জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম পরিপূরক গ্রুপ এ/বি/সি/ডি/ই/এফ/জি[৩]

জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম গ্রুপ এ/বি/সি/ডি/ই/এফ/জি[৩]
জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত আট বছর বয়সী এক গুয়াতেমালান মেয়ে শিশু[৪]
বিশেষত্বচিকিৎসা জিনতত্ত্ব
লক্ষণসামান্য সময় রোদে থাকার পর ত্বকের গুরুতর রোদে পোড়া, সূর্যের আলোতে আসা অংশে ছুলির মতো দাগ, শুষ্ক ত্বক, ত্বকের স্বাভাবিক রঙে পরিবর্তন[১]
জটিলতাত্বকের ক্যান্সার, মস্তিষ্কের ক্যান্সার, ছানি পড়া[১]
রোগের সূত্রপাতছয় মাস বয়সের পূর্বেই দৃশ্যমান হয়[২]
স্থিতিকালআজীবন
কারণজিনগত ব্যাধি (অটোসোমের পশ্চাৎপসারণ)[১]
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতিলক্ষণ ও জিনতাত্ত্বিক পরীক্ষণ থেকে নিশ্চিতকৃত[৫]
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয়ট্রাইকোথায়োডিসট্রফি, কোকেইন ব্যাধি, সেরিব্রোওকুলোফেসিওস্কেলিটাল ব্যাধি, এরিথ্রোপোয়েটিক প্রোটোপোরফাইরিয়া[৬]
প্রতিরোধঅনিরাময়যোগ্য
চিকিৎসাসূর্য ও অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকা, রেটিনয়েড ক্রিম, ভিটামিন ডি[৫][৬]
আরোগ্যসম্ভাবনাপ্রত্যাশিত আয়ু প্রায় ৩০ বছরের মতো কমে যায়।[৭]
সংঘটনের হার• ১,০০,০০০ জনে একজন (বৈশ্বিক)[৩]

• ৩৭০ জনে একজন (ভারত)[৮][৯]

• ২২,০০০ জনে একজন (জাপান)[৩]

• ২,৫০,০০০ জনে একজন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)[১০]

• ৪,৩০,০০০ জনে একজন (ইউরোপ)

• ১০,০০,০০০ জনে একজন (যুক্তরাজ্য)[৩]

জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম (সংক্ষেপে এক্সপি) হলো এক ধরনের জিনগত ব্যাধি, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ (বিশেষ করে অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত) পুনর্গঠনের ক্ষমতা হ্রাস পায়।[১] সামান্য সময় রোদে থাকার পরেও গুরুতর রোদে পোড়া, সূর্যের আলোয় আসা ত্বকে ছুলির মতো দাগ, ত্বকের শুষ্কতা এবং স্বাভাবিক রঙের পরিবর্তন এর অন্যতম প্রধান লক্ষণ।[১] বধিরতা, দেহসমন্বয়ে সমস্যা, বুদ্ধি হ্রাস, জ্ঞান হারানো প্রভৃতি স্নায়বিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।[১] ব্যাধির জটিলতায় ত্বকের ক্যান্সারছানি পড়ার উচ্চ ঝুঁকি থাকে। ব্যাধিতে আক্রান্তদের অর্ধেক দশ বছর বয়সের মধ্যে ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।[১] এছাড়াও মস্তিষ্কের ক্যান্সার প্রভৃতি অন্যান্য ক্যান্সারেরও উচ্চ ঝুঁকি থাকে।[১]

জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম হলো অটোসোমের ওপর প্রভাব বিস্তারী। অন্তত নয়টি নির্দিষ্ট জিনে পরিব্যক্তির কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।[১][৬] স্বাভাবিক অবস্থায় অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকের কোষের ডিএনএর পরিবর্তন নিউক্লিওটাইড কর্তন পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় সংশোধিত হয়।[১] জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ এইভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত যেতে পারে না।[১] ডিএনএর অস্বাভাবিকতা যত বাড়তে থাকে, ত্বকের কোষে তত বেশি পরিবর্তন ঘটে এবং কোষ মারা যেতে থাকে বা ক্যান্সারকোষে পরিণত হয়।[১] সাধারণত লক্ষণ অনুযায়ী বা জিনতাত্ত্বিক পরীক্ষণ থেকে এই ব্যাধি শনাক্ত করা হয়।[৫]

জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম এক ধরনের অনিরাময়যোগ্য ব্যাধি। এখন পর্যন্ত এর নিরাময়ের কোনো উপায় আবিষ্কৃত হয়নি।[৬] ব্যাধির চিকিৎসার জন্য সূর্যের আলো সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে হয়।[৬] রোদে বের হওয়ার সময় অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধী জামা, সানস্ক্রিন বা কালো রোদচশমা পরে প্রতিরোধের কাজ করা যায়।[৬] রেটিনয়েড ক্রিম ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।[৬] পরিপূরক হিসেবে সাধারণত ভিটামিন ডি-এর প্রয়োজন হয়।[৫] যদি ত্বকে ক্যান্সার হয়, সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চিকিৎসা করা হয়।[৬] এই ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রত্যাশিত আয়ু স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ বছর কম হয়।[৭]

সারা বিশ্বের প্রতি ১,০০,০০০ জনে প্রায় একজন ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হন।[৩] অঞ্চলভেদে ভারতে প্রতি ৩৭০ জনে একজন,[৮] জাপানে প্রতি ২০,০০০ জনে একজন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ২,৫০,০০০ জনে একজন এবং ইউরোপে প্রতি ৪,৩০,০০০ জনে একজন এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হন।[১০] পুরুষ ও নারীরা প্রায় সমানভাবেই আক্রান্ত হন।[১১] ১৮৭০-এর দশকে মোর কাপোশি সর্বপ্রথম জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামের অবস্থা বর্ণনা করেন।[৫][১১] ১৮৮২ সালে কাপোশি এই রোগদশায় শুষ্ক, রঙিন ত্বকের বৈশিষ্ট্যের জন্য জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম শব্দটির অবতারণা করেন।[১১] এই রোগে আক্রান্তদের অনেক সময় “নিশীথ শিশু” বা “চাঁদের শিশু” নামে ডাকা হতো।[১২][১৩]

রোগাক্রান্তের লক্ষণ ও চিহ্নসমূহ[সম্পাদনা]

নেপালে জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত শিশু

জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহের লক্ষণ ও চিহ্নসমূহ:

জিনতত্ত্ব[সম্পাদনা]

জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য হিসেবে বংশধারায় বাহিত হয়।

জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামের অন্যতম প্রধান প্রচ্ছন্ন জিনবাহিত ত্রুটি হলো নিউক্লিওটাইড কর্তন পুনর্গঠন (এনইআর) এনজাইম উৎপাদনকারী জিন পরিব্যক্ত হয়। যার ফলে এনইআর এনজাইম হ্রাস পায় বা একেবারেই থাকে না।[১৪] সময়মতো শনাক্ত করা না হলে সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মি দেহকোষের ডিএনএর পরিবর্তন সাধন করতে পারে। স্নায়বিক অস্বাভাবিকতার সাথে অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শের সম্পর্ক নেই। কিন্তু এই অস্বাভাবিকতার কারণ এখনও স্পষ্ট বোঝা সম্ভব হয়নি। সবচেয়ে আধুনিক মতবাদ অনুসারে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বিপাকক্রিয়া চলার সময় ডিএনএর জারণক্ষয় ঘটে এবং এনইআর এই ধরনের ক্ষয় পূরণ করে নেয়।[১৫]

ডিএনএ ক্ষয়পূরণ যেহেতু জিনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়, তাই সেটি পরিব্যক্তির মাধ্যমে পরিবর্তিত হতে পারে। জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম (এক্সপি; এমআইএম ২৭৮৭০০) প্রভৃতি ব্যাধি ডিএনএর ক্ষয়পূরণের জন্য দায়ী জিনের পরিবর্তনের জন্য তৈরি হয়। এই রোগ ত্বকের কোষের ডিএনএতে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি কাটিয়ে উঠার অন্যতম প্রধান অন্তরায়। অটোসোমাল রিসেসিভ ডিজঅর্ডার জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত ব্যক্তি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রতি মাত্রাতিরিক্ত সংবেদনশীল। সামান্যতম সূর্যের উপস্থিতিতে ত্বকে রঙিন দাগ, টিউমার ও ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাভাবিক ব্যক্তির তুলনায় ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১,০০০ গুণ বেশি।

জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম কোষের আণবিক ত্রুটি আক্রান্তের সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসা ত্বকের কোষে পরিব্যক্তির হার গুরুতরভাবে বৃদ্ধি করে। পরিব্যক্তির হারের বৃদ্ধি সম্ভবত ত্বকের স্বাভাবিক রঙের পরিবর্তন ও ত্বকের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। আক্রান্ত রোগীর টিউমার কোষের পি৫৩ জিনের পরিব্যক্তি পরীক্ষা করে জানা যায়, অধিকাংশ টিউমার কোষের পি৫৩ পরিব্যক্তি অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ঘটে থাকে।[১৬] অন্যান্য সকল জিনতাত্ত্বিক ব্যাধির মতো এই রোগেও পরিবারের ভবিষ্যৎ গর্ভধারণে রোগাক্রান্তের সম্ভাব্যতা, একাকী থাকার মানসিক চাপ এবং কর্মজীবনের প্রভাব সম্পর্কে পরামর্শদান ও মানসিক সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে। জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম নিরাময়যোগ্য নয়। রোগাক্রান্ত অধিকাংশ ব্যক্তি অল্পবয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

এক্সপি ক্ষয়পূরণ প্রোটিন[সম্পাদনা]

এক্সপিএ প্রোটিন নিউক্লিওটাইড কর্তন পুনর্গঠনের সময় ডিএনএর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ কর্তনের জন্য ডিএনএর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অন্যান্য ডিএনএ ক্ষয়পূরণ এনজাইম সন্নিবেশনের স্থান হিসেবে কাজ করে।[১৭]

এক্সপিবি (ইআরসিসি৩) প্রোটিন প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে ডিএনএর প্যাঁচ খুলতে শুরু করে। এই এক্সপিবি(ইআরসিসি৩) জিনে পরিব্যক্তির ফলে শুধু জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম অথবা জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামের সাথে সম্মিলিতভাবে কোকেইন সিনড্রোম দেখা যায়।[১৮]

এক্সপিসি জিন গ্লোবাল জেনোমিক নিউক্লিওটাইড এক্সিশন রিপেয়ারে (জিজি-এনইআর) প্রাথমিক ক্ষতি নির্ণয়ের জন্য আরএডি২৩বি প্রোটিনের সাথে একটি কমপ্লেক্স গঠন করে।[১৯] এই কমপ্লেক্স তাপগতীয়ভাবে ডিএনএ ডুপ্লেক্সকে অস্থিতিশীল করা বিশাল সংখ্যক ক্ষতি চিহ্নিত করতে পারে।

এক্সপিডি (ইআরসিসি২) প্রোটিন এক্সপিবি হেলিকেজ-ধারক অনুলিপন/পুনর্গঠন কমপ্লেক্স অনুলিপন ফ্যাক্টর ২ এইচের (TFIIH) সাথে সম্মিলিতভাবে প্রাথমিক ক্ষয় শনাক্তের সাথে সাথে ডিএনের প্যাঁচ খুলতে শুরু করে। এক্সপিডি(ইআরসিসি২) জিনে পরিব্যক্তির ফলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাধি দেখা যায়; যেমন: জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম, ট্রাইকোথায়োডিসট্রফি (টিটিডি) বা একইসাথে জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম ও কোকেইন সিনড্রোম (এক্সপিসিএস)।[২০][২১] ট্রাইকোথায়োডিসট্রফি এবং কোকেইন সিনড্রোম উভয় ক্ষেত্রেই অকালবার্ধক্যের লক্ষণ দেখা যায়, যার থেকে মনে করা হয় ডিএনএ ক্ষয়পূরণের ঘাটতি এবং অকালবার্ধক্যের মধ্যে সম্পর্ক বিদ্যমান (বার্ধক্যের ডিএনএ ক্ষয় তত্ত্ব দেখুন)।

এক্সপিই দুইটি সাবইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত একটি হেটারোডাইমারিক প্রোটিন। এদের মধ্যে বৃহত্তর সাবইউনিট ডিডিবি১ প্রধানত সিইউএল৪এ এবং সিইউএল৪বি-ভিত্তিক ই৩ ইউবিকাইটিন লাইগেজ কমপ্লেক্সের ভিত্তি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এই কমপ্লেক্সগুলো দ্বারা ইউবিকাইটিনকৃত সাবস্ট্রেট প্রোটিনগুলো ডিএনএ পুনর্গঠনের জন্য কাজ করে।[২২]

এক্সপিএফ (ইআরসিসি৪) প্রোটিন ইআরসিসি১ প্রোটিনের সাথে একটি কমপ্লেক্স গঠন করে, যা সাধারণত ইআরসিসি১-এক্সপিএফ হিসেবে প্রকাশ করা হয়। এই কমপ্লেক্স ডিএনএর ক্ষতের স্থানের উভয় দিকে স্বল্প দূরত্বে ডিএনএর প্যাঁচ খুলে দেয়। এরপর এটি এন্ডোনিউক্লিউয়েজ হিসেবে কাজ করে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানের ৫' প্রান্তের ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ সূত্রকে কেটে দেয়।[২৩] ইআরসিসি১-এক্সপিএফের ঘাটতিসম্পন্ন পরিব্যক্ত কোষ শুধু এনইআরের ক্ষেত্রেই নয়, বরং দ্বিসূত্রক ভাঙা ও আন্তঃসূত্রক সংযোগের ক্ষেত্রেও অকার্যকর।

এক্সপিজি প্রোটিন হলো এক ধরনের এন্ডোনিউক্লিয়েজ, যা এনইআরের সময় ক্ষতযুক্ত নিউক্লিওলাস ডিএনএর ৩' প্রান্ত কর্তনের জন্য দায়ী। এক্সপিজি(ইআরসিসি৫) জিনের পরিব্যক্তির ফলে শুধু জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম, অথবা এর সাথে কোকেইন সিনড্রোম, অথবা এক্সপিয়ের সাথে শিশুদের জন্য মারণব্যাধি সেরিব্রো-অক্যুলো-ফ্যাসিও-স্কেলিটাল সিনড্রোম দেখা যায়।[২৪]

রোগনির্ণয়[সম্পাদনা]

প্রকারভেদ/টাইপ[সম্পাদনা]

জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামের সাতটি পরিপূরক গ্রুপ এবং একটি প্রকরণ রূপ রয়েছে:

প্রকার ডিজিজেস ডাটাবেস ওএমআইএম জিন লোকাস অন্য নাম / বর্ণনা
প্রকার এ, ১, এক্সপিএ ২৯৮৭৭ ২৭৮৭০০ এক্সপিএ ৯কিউ২২.৩ জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম গ্রুপ এ - রোগের সবচেয়ে সাধারণ রূপ
প্রকার বি, ২, এক্সপিবি ২৯৮৭৮ ১৩৩৫১০ এক্সপিবি ২কিউ২১ জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম গ্রুপ বি
প্রকার সি, ৩, এক্সপিসি ২৯৮৭৯ ২৭৮৭২০ এক্সপিসি ৩পি২৫ জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম গ্রুপ সি
প্রকার ডি, ৪, এক্সপিডি ২৯৮৮০ ২৭৮৭৩০ ২৭৮৮০০ এক্সপিডি ইআরসিসি৬ ১৯কিউ১৩.২-কিউ১৩.৩, ১০কিউ১১ জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম গ্রুপ ডি অথবা শি স্যাংকটিস-ক্যাশিওনি সিনড্রোম (এক্সপিডির একটি উপপ্রকরণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়)
প্রকার ই, ৫, এক্সপিই ২৯৮৮১ ২৭৮৭৪০ ডিডিবি২ ১১পি১২-পি১১ জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম গ্রুপ ই
প্রকার এফ, ৬, এক্সআরএফ ২৯৮৮২ ২৭৮৭৬০ ইআরসিসি৪ ১৬পি১৩.৩-পি১৩.১৩ জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম গ্রুপ এফ
প্রকার জি, ৭, এক্সপিজি ২৯৮৮৩ ২৭৮৭৮০ ১৩৩৫৩০ আরএডি২ ইআরসিসি৫ ১৩কিউ৩৩ জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম গ্রুপ জি এবং সিওএফএস সিনড্রোম টাইপ ৩
প্রকার ভি, এক্সপিভি ২৭৮৭৫০ পিওএলএইচ ৬পি২১.১-পি১২ জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামের প্রকরণ - এই রোগীদের একটি বিশেষ ধরনের জিনে পরিব্যক্তি ঘটে, যা পলিমারেজ-ইটা নামের বিশেষায়িত ডিএনএ পলিমারেজ সংশ্লেষণ করে। পলিমারেজ-ইটা ক্ষতে অনুলিপন করতে পারে। ডিএনএ অনুলিপন প্রক্রিয়ায় কোষ সংশ্লেষণ দশায় প্রবেশের সময় এর প্রয়োজন হয়।

চিকিৎসা[সম্পাদনা]

জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামের প্রাথমিক অবস্থায় অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে বিশেষায়িত কাপড়ে আচ্ছাদিত শিশু

এই ব্যাধি নিরাময়যোগ্য নয়। এই রোগের সকল চিকিৎসা রোগলক্ষণকে প্রশমিত করা বা প্রতিকারের স্বার্থে করা হয়। ঘরে থেকে কিংবা সুরক্ষাযুক্ত আচ্ছাদন ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করে সরাসরি সূর্যালোকের সংস্পর্শ এড়িয়ে চললে রোগলক্ষণ এড়ানো যায় বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।[২৫] ক্রায়োথেরাপিফ্লুরোরাসিল দিয়ে কেরাটোসিসের চিকিৎসা করা যেতে পারে।[৪] গুরুতর পরিস্থিতিতে আচ্ছাদিত জানালা কিংবা ফ্লুরোসেন্ট বাল্বের সামান্যতম অতিবেগুনি রশ্মিও গুরুতর হতে পারে এবং লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করতে পারে।[২৬]

২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ক্লিনুভেল ফার্মাসিউটিক্যালস ঘোষণা দেয় যে, তারা তাদের এফডিএ-অনুমোদিত ফ্ল্যাগশিপ ওষুধ সেনিসকে জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্তদের ওপর প্রয়োগ করার জন্য গবেষণা করবে, যাতে তারা আরও বেশি সময় রোদের আলোয় থাকতে পারে এবং কোনো রোগ লক্ষণ প্রকাশ না পেতে পারে।[২৭][২৮][২৯]

আরোগ্যতা[সম্পাদনা]

স্নায়বিক সমস্যা দেখা না গেলে যেকোনো ধরনের জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম আক্রান্ত রোগীর প্রত্যাশিত আয়ু হয় ৩৭ বছর। অন্যদিকে স্নায়বিক সমস্যা দেখা গেলে প্রত্যাশিত আয়ু কমে যায় ২৯ বছরে।[৩]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত রোগী যদি জীবনে কোনোদিন সূর্যালোকের সংস্পর্শে না আসেন, তাহলে ৪০ বছর পর্যন্ত তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৭০% পর্যন্ত হতে পারে।[৩০]

ভারতে জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত অনেকে রোগী অল্পবয়সে ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে যদি সময়মতো ব্যাধি শনাক্ত করা হয় এবং কোনো স্নায়বিক সমস্যা না দেখা যায়, অতিবেগুনি রশ্মি ও সূর্যালোক থেকে বেঁচে থাকার জন্য দরকারি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে তারা মধ্যবয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারেন।[৩১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৭৪ সালে হেবরা ও মোর কাপোশি সর্বপ্রথম জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম সম্পর্কে বর্ণনা করেন। ১৮৮২ সালে ব্যাধিতে আক্রান্তদের শুষ্ক ও অস্বাভাবিক রঙের কারণে এই অবস্থার নামকরণ করেন “জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম”।

১৯৬৮ সালে জেমস ক্লিভার অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ডিএনএর পরিবর্তন, সমস্যাযুক্ত ডিএনএ পুনর্গঠন ও ক্যান্সারের আন্তঃসম্পর্ক প্রদর্শন করে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন।[৩২]

সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্তদের শক্তভাবে সূর্যালোক এড়িয়ে চলতে হয়। তাই তাদের অনেক সময় “অন্ধকারের শিশু”, “নিশীথ শিশু” বা “ভ্যাম্পায়ার শিশু” বলা হয়। এগুলো তাদের প্রতি অপমানসূচক।[৩৩]

বিভিন্ন কল্পকাহিনিভিত্তিক শিল্প ও সাহিত্যমূলক কর্মে জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। এই সংক্রান্ত চলচ্চিত্রগুলোর প্রধান বক্তব্য থাকে জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত কিশোর বা কিশোরী তার ভালোবাসার সম্পর্কের জন্য সূর্যের আলোয় আসার সাহস করবে কি-না।[৩৪]

১৯২১ ও ১৯২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জার্মান ভাষায় দুই পর্বের ধারাবাহিক চলচ্চিত্র চিলড্রেন অব ডার্কনেস জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম নিয়ে বানানো প্রথমদিককার জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।

১৯৬৪ সালে রবার্ট গিস্ট পরিচালিত, ফোর স্টার টেলিভিশন প্রযোজিত এবং জোন ক্রফোর্ড, পল বুর্ক, চার্লস বিকফোর্ডডায়ান বেকার অভিনীত মার্কিন নাটকীয় চলচ্চিত্র ডেলা এই চর্মরোগ নিয়ে নির্মিত অন্যতম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি মূলত এনবিসির রয়েল বে নামক একটি ধারাবাহিকের পাইলট পর্বের জন্য নির্মিত হয়েছিল।

দ্য ডার্ক সাইড অব দ্য সান হলো বজিদার নিকোলিচ পরিচালিত ১৯৮৮ সালের মার্কিন-যুগোস্লাভ নাটকীয় চলচ্চিত্র। ব্র‍্যাড পিট প্রথমবারের মতো এই চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। পিট চলচ্চিত্রে এই রোগে আক্রান্ত এবং এর প্রতিকার খুঁজতে থাকেন।

২০০১ সালে নিকোল কিডম্যান অভিনীত মার্কিন মনস্তাত্ত্বিক ভৌতিক চলচ্চিত্র দি আদার্স মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রে অ্যান ও নিকলাস নামের দুইটি শিশু থাকে, যাদের আলোকসংবেদী এক বিরল রোগের কারণে সূর্যালোক সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে দেখা যায়।

১৯৯৪ সালে সিবিএস চিলড্রেন অব দ্য ডার্ক নামে একটি টেলিভিশন চলচ্চিত্র নির্মাণ করে। জিম ও কিম হ্যারিসন দম্পতি ও তাদের জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত দুই কন্যার জীবন নিয়ে বাস্তব কাহিনি-নির্ভর এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়।[৩৫][৩৬]

লরলিন ম্যাকড্যানিয়েলের বই হাউ ডু আই লাভ দি-তে “নাইট ভিশন” নামের একটি গল্প রয়েছে। গল্পের নায়ক, লিউকেমিয়া থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্রেট, জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত শায়লার প্রেমে পড়ে।

ডিন কুন্টজের মুনলাইট বে ত্রয়ী উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ক্রিস্টোফার স্নো জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত। যার ফলে তার জীবনের অধিকাংশ সময় রাতের অন্ধকারে বিচরণ করতে হয়েছে। ত্রয়ীর প্রথম ও দ্বিতীয় উপন্যাস ফিয়ার নাথিংসিজ দ্য নাইট ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হয়। তবে ২০২০ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সম্ভাব্য রাইড দ্য স্টর্ম নামের তৃতীয় উপন্যাসটি এখনও প্রকাশিত হয়নি।[৩৭][৩৮]

২০১১ সালে ফ্রান্সে জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত এক ১৩ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে নাটুকে চলচ্চিত্র দ্য মুন চাইল্ড নির্মিত হয়। রোগের কারণে ছেলেটি দিনের বেলায় সূর্যের আলোতে চলাফেরা করতে পারত না।

২০১২ সালে 'সান কিসড নামের তথ্যচিত্রে নাভাহো জাতির দেশত্যাগের সময়ে নাভাহো জাতিতে জেরোডার্মা পিগমেন্টোসামে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা এবং এর জিনতাত্ত্বিক বংশপরম্পরায় আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়।[৩৯][৪০][৪১]

২০১৮ সালে জাপানি চলচ্চিত্র অ্যা সং টু দ্য সান অবলম্বনে মিডনাইট সান নামের একটি প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। এতে ক্যাটি প্রাইস নামের এক তরুণীর অসুস্থতা এবং তার জীবন ও ভালোবাসার সম্পর্কে তার প্রভাব দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে ক্যাটি দুর্ঘটনাক্রমে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে, যার কারণে তার স্নায়বিক বৈকল্য দেখা দেয় এবং শেষ পর্যন্ত সে মারা যায়।[৪২]

গবেষণার দিকনির্দেশনা[সম্পাদনা]

জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম নিয়ে গবেষণা বর্তমানে দুইটি প্রধান শাখায় বিভক্ত: ব্যাধি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা এবং ডিএনএ ক্ষয়পূরণের সাথে সম্পর্কিত স্বাভাবিক জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত অনুধাবন।[৩২] এই ব্যাধি নিয়ে গবেষণার ফলে প্রাপ্ত তথ্য ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ভূমিকা রাখছে।[৩২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Xeroderma pigmentosum"জেনেটিকস হোম রেফারেন্স (ইংরেজি ভাষায়)। ইউএস লাইব্রেরি অব মেডিসিন। ২৬ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৮ 
  2. "Xeroderma pigmentosum"ডার্মনেটএনজেড.অর্গ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  3. মিরিয়াড উইমেন’স হেলথ (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়) https://myriadwomenshealth.com/2014/05/hello-world/। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. হ্যালপার্ন জে, হপিং বি, ব্রস্টফ জেএম (অক্টোবর ২০০৮)। "Photosensitivity, corneal scarring and developmental delay: Xeroderma Pigmentosum in a tropical country"কেসেস জার্নাল (ইংরেজি ভাষায়)। (১): ২৫৪। ডিওআই:10.1186/1757-1626-1-254পিএমআইডি 18937855পিএমসি 2577106অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  5. "Xeroderma Pigmentosum"নর্ড (ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর রেয়ার ডিজঅর্ডারস) (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৮ 
  6. "Xeroderma pigmentosum"জেনেটিক অ্যান্ড রেয়ার ডিজিজ ইনফরমেশন সেন্টার (জিএআরডি) (ইংরেজি ভাষায়)। মার্কিন স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগ। ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৮ 
  7. আহমদ, শামিম; হানাওকা, ফুমিও (২০০৮)। মলিক্যুলার মেকানিজমস অব জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম (ইংরেজি ভাষায়)। স্প্রিঙ্গার সায়েন্স অ্যান্ড বিজনেস মিডিয়া। পৃষ্ঠা ১৭। আইএসবিএন 9780387095998 
  8. "When daylight kills: India's XP children"দ্য টেলিগ্রাফ (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯। আইএসএসএন 0307-1235। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  9. "A life in the shadows: India's XP children, in pictures"দ্য টেলিগ্রাফ (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। ১০ অক্টোবর ২০১৯। আইএসএসএন 0307-1235। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১ 
  10. লেহমান এআর, ম্যাকগিবন ডি, স্তেফানিনি এম (নভেম্বর ২০১১)। "Xeroderma pigmentosum"অরফানেট জার্নাল অব রেয়ার ডিজিজেস (ইংরেজি ভাষায়)। : ৭০। ডিওআই:10.1186/1750-1172-6-70পিএমআইডি 22044607পিএমসি 3221642অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  11. গ্রিফিথস, ক্রিস্টোফার; বার্কার, জোনাথন; ব্লাইকার, তানিয়া; শালমার্স, রবার্ট; ক্রিমার, ড্যানিয়েল (২০১৬)। রুক’স টেক্সটবুক অব ডার্মাটোলজি, ৪ খণ্ড (ইংরেজি ভাষায়)। জন উইলি অ্যান্ড সন্স। আইএসবিএন 9781118441190 
  12. সালওয়ে জেজি (২০১১)। মেডিক্যাল বায়োকেমিস্ট্রি অ্যাট অ্যা গ্ল্যান্স (ইংরেজি ভাষায়)। জন উইলি অ্যামড সন্স। পৃষ্ঠা ৩১৩। আইএসবিএন 9781118292402 
  13. "Moon children"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯৯৯। 
  14. ফ্রাইডবার্গ ইসি, ওয়াকার জিসি, সাইড ডব্লিউ, উড আরডি, শ্যুলৎস আরএ, এলেনবার্গার টি (২০০৬)। ডিএনএ রিপেয়ার অ্যান্ড মিউটাজেনেসিস (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়াশিংটন: এএসএম প্রেস। পৃষ্ঠা ১১১৮। আইএসবিএন 978-1-55581-319-2 
  15. ব্রুকস পিজে (জুলাই ২০০৮)। "The 8,5'-cyclopurine-2'-deoxynucleosides: candidate neurodegenerative DNA lesions in xeroderma pigmentosum, and unique probes of transcription and nucleotide excision repair"ডিএনএ রিপেয়ার (ইংরেজি ভাষায়)। (৭): ১১৬৮–৭৯। ডিওআই:10.1016/j.dnarep.2008.03.016পিএমআইডি 18495558পিএমসি 2797313অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  16. দায়া-গ্রোসজায়ান এল, সারাসিন এ (এপ্রিল ২০০৫)। "The role of UV induced lesions in skin carcinogenesis: an overview of oncogene and tumor suppressor gene modifications in xeroderma pigmentosum skin tumors"। মিউটেশন রিসার্চ (ইংরেজি ভাষায়)। ৫৭১ (১–২): ৪৩–৫৬। ডিওআই:10.1016/j.mrfmmm.2004.11.013পিএমআইডি 15748637 
  17. সুগিতানি এন, সিভলি আরএম, পেরি কেই, কাপ্রা জেএ, চাজিন ডব্লিউজে (আগস্ট ২০১৬)। "XPA: A key scaffold for human nucleotide excision repair"ডিএনএ রিপেয়ার (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৪: ১২৩–১৩৫। ডিওআই:10.1016/j.dnarep.2016.05.018পিএমআইডি 27247238পিএমসি 4958585অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  18. টেমপ্লেট:সাময়কী উদ্ধৃতি
  19. সুগাসাওয়া কে, ঙ জেএম, মাসুতানি সি, ইওয়াই এস, ভ্যান ডার স্পেক পিজে, একার এপি, হানাওকা এফ, বুৎস্মা ডি, হিজমেকার্স জেএইচ (আগস্ট ১৯৯৮)। "Xeroderma pigmentosum group C protein complex is the initiator of global genome nucleotide excision repair"। মলিক্যুলার সেল (ইংরেজি ভাষায়)। (২): ২২৩–৩২। ডিওআই:10.1016/s1097-2765(00)80132-xঅবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 9734359 
  20. আন্দ্রেসো জেও, হিজমেকার্স জেএইচ, মিশেল জেআর (ডিসেম্বর ২০০৬)। "Nucleotide excision repair disorders and the balance between cancer and aging"। সেল সাইকেল (ইংরেজি ভাষায়)। (২৪): ২৮৮৬–৮। ডিওআই:10.4161/cc.5.24.3565অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 17172862 
  21. ভ্যান ডি ভেন এম, আন্দ্রেসো জেও, ভ্যান ডার হোর্স্ট জিটি, হিজমেকার্স জেএইচ, মিশেল জেআর (নভেম্বর ২০১২)। "Effects of compound heterozygosity at the Xpd locus on cancer and ageing in mouse models"। ডিএনএ রিপেয়ার (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ (১১): ৮৭৪–৮৩। ডিওআই:10.1016/j.dnarep.2012.08.003পিএমআইডি 23046824 
  22. আয়োভিন বি, আয়ানেলা এমএল, বেভিলাকুয়া এমএ (ডিসেম্বর ২০১১)। "Damage-specific DNA binding protein 1 (DDB1): a protein with a wide range of functions"। দি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড সেল বায়োলজি (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৩ (১২): ১৬৬৪–৭। ডিওআই:10.1016/j.biocel.2011.09.001পিএমআইডি 21959250 
  23. সিজবার্স এএম, ডে লাট ডব্লিউএল, আরিজা আরআর, বিগারস্টাফ এম, ওয়েই ওয়াইএফ, মগস জেজি, কার্টার কেসি, শেল বিকে, ইভানস ই, ডে জং এমসি, রেডমেকার্স এস, ডে রুইজ জে, জেস্পার্স এনজি, হিজমেকার্স জেএইচ, উড আরডি (সেপ্টেম্বর ১৯৯৬)। "Xeroderma pigmentosum group F caused by a defect in a structure-specific DNA repair endonuclease"। সেল (ইংরেজি ভাষায়)। ৮৬ (৫): ৮১১–২২। hdl:1765/3110অবাধে প্রবেশযোগ্যএসটুসিআইডি 12957716ডিওআই:10.1016/s0092-8674(00)80155-5পিএমআইডি 8797827 
  24. বার্নহুর্ন এস, উইটেনবুগার্ড এলএম, জার্স্মা ডি, ভার্মেইজ ডব্লিউপি, ট্রেসিনি এম, ওয়াইমায়ার এম, মেননি এইচ, ব্রান্ট আরএম, ডি ওয়ার্ড এমসি, বটার এসএম, সরকার এএইচ, জেস্পার্স এনজি, ভ্যান ডার হোর্স্ট জিটি, কুপার পিকে, হিজমেকার্স জেএইচ, ভ্যান ডার প্লুইজম আই (অক্টোবর ২০১৪)। "Cell-autonomous progeroid changes in conditional mouse models for repair endonuclease XPG deficiency"প্লস জেনেটিক্স (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ (১০): ই১০০৪৬৮৬। ডিওআই:10.1371/journal.pgen.1004686পিএমআইডি 25299392পিএমসি 4191938অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  25. নুসবাউম, রবার্ট; ম্যাকইনস, রডেরিক; উইলার্ড, হান্টিংটন (১ জানুয়ারি ২০১৬)। জেনেটিক্স ইন মেডিসিন (ইংরেজি ভাষায়)। এলসেভিয়ার। আইএসবিএন 978-14377-0696-3 
  26. "Xeroderma pigmentosum"ইন্ডিয়া টুডে (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪। ২০২০-০৭-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  27. "SCENESSE® (afamelanotide 16mg) – Welcome to CLINUVEL" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  28. "FDA approves first treatment to increase pain-free light exposure in patients with a rare disorder"এফডিএ (ইংরেজি ভাষায়)। কমিশনারের কার্যালয়। ২৪ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  29. "Scenesse (afamelanotide) for adults with a history of phototoxic reactions from EPP"সেনিস® (অ্যাফামেলানোটাইড) (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  30. ক্রেমার, কেনিথ এইচ (১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭)। "Xeroderma Pigmentosum"আর্কাইভস অব ডার্মাটোলজি (ইংরেজি ভাষায়)। ১২৩ (২): ২৪১। ডিওআই:10.1001/archderm.1987.01660260111026। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০২০ 
  31. "Xeroderma Pigmentosum | Skin Disorder | Skin Cancer | Treatment in Mumbai | India"দি এস্থেটিক ক্লিনিক (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  32. ক্রেমার কেএইচ, ডিজিওভান্না জেজে (মার্চ ২০১৫)। "Forty years of research on xeroderma pigmentosum at the US National Institutes of Health"ফটোকেমিস্ট্রি অ্যান্ড ফটোবায়োলজি (ইংরেজি ভাষায়)। ৯১ (২): ৪৫২–৯। ডিওআই:10.1111/php.12345পিএমআইডি 25220021পিএমসি 4355260অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  33. আলমিডা, ক্রেইগ এ; বেরি, শিলা এ (২৬ আগস্ট ২০১১)। ক্যান্সার: ব্যাসিক সায়েন্স অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল অ্যাস্পেক্টস (ইংরেজি ভাষায়)। জন উইলি অ্যান্ড সন্স। আইএসবিএন 9781444357394 
  34. ওয়ালশ, ক্যাটি (২৩ মার্চ ২০১৮)। "No spark in sick teen romance"ট্রিবিউন নিউ সার্ভিস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৮  অজানা প্যারামিটার |অ্যাজেন্সি= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  35. হোল্ডার, ক্যাথলিন (১ মে ১৯৯৪)। "Family in Twilight for Sun-Sensitive Girls : Health: Two daughters have a rare genetic intolerance that leaves victims vulnerable to skin cancers, blindness and neurological damage after exposure to sunlight" (ইংরেজি ভাষায়)। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  36. ভরোস, ড্রিউ (১৫ এপ্রিল ১৯৯৪)। "Review: 'Children of the Dark'" (ইংরেজি ভাষায়)। ভ্যারাইটি। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  37. "2017 Interview"কাপ্রাদিও.অর্গ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭। 
  38. "Frequently Asked Questions"ডিন কুন্টজ (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৮ 
  39. "A Rare Genetic Disorder Is Stalking the Children of the Navajo Nation In POV's 'Sun Kissed,' Premiering Thursday, Oct. 18, 2012, on PBS" (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ জুন ২০১২। ২৯ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৮ 
  40. জিফ, ডেবোরাহ। "Hiding From the Sun"দি আলবুকার্ক জার্নাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৮ 
  41. বেন্ডার, অ্যালবার্ট (৬ মার্চ ২০১৩)। "Rare disease suddenly arises on Navajo Reservation"পিপল’স ওয়ার্ল্ড (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৮ 
  42. Midnight Sun (ইংরেজি ভাষায়), সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

শ্রেণীবিন্যাস
বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান