তপেশ্বর নারায়ণ রায়না

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Tapishwar Narain Raina থেকে পুনর্নির্দেশিত)
জেনারেল

তপেশ্বর নারায়ণ রায়না

পরম বিশিষ্ট সেবা ম্যাডেল, মহাবীরচক্র
জন্ম১৯২১
মৃত্যু১৯ মে ১৯৮০(1980-05-19) (বয়স ৫৮–৫৯)[১]
আনুগত্য ব্রিটিশ ভারত
 ভারত
সেবা/শাখা ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী
 ভারতীয় সেনাবাহিনী
কার্যকাল১৯৪২ - ১৯৭৮
পদমর্যাদা জেনারেল
ইউনিটকুমাওন রেজিমেন্ট
নেতৃত্বসমূহ ওয়েস্টার্ন কমান্ড
২য় কোর
২৫তম পদাতিক ডিভিশন
১১৪তম পদাতিক ব্রিগেড
১৪ কুমাওন
যুদ্ধ/সংগ্রামদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১
পুরস্কার পদ্মভূষণ
পরম বিশিষ্ট সেবা ম্যাডেল
মহাবীরচক্র
তপেশ্বর নারায়ণ রায়না
সেনাবাহিনী প্রধান
কাজের মেয়াদ
১ জুন ১৯৭৫ – ৩১ মে ১৯৭৮
পূর্বসূরীগোপাল গুরুনাথ বেউর
উত্তরসূরীওম প্রকাশ মালহোত্রা
কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত
কাজের মেয়াদ
ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – মে ১৯৮০
পূর্বসূরীমাহবুব আহমেদ
উত্তরসূরীজি এস ধিলোন

জেনারেল তপেশ্বর নারায়ণ রায়না (১৯২১ - মে ১৯৮০) ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। অবসরের পর তিনি কানাডায় যান ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে। পদ্মভূষণ যেটি হচ্ছে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক তপেশ্বরকে দেওয়া হয়।[২]

পূর্ব জীবন[সম্পাদনা]

তপেশ্বর লুধিয়ানাতে অধ্যায়ন করেন যেখানে তার বাবা বি এন রায়না হেড পোস্টমাস্টার হিসেবে চাকরি করতেন।[৩] তপেশ্বর ম্যারি আঁতোয়া নামের এক ফরাসি নারীকে বিয়ে করেছিলেন, তারা বাচ্চা নেননি।[৪]

সেনাতে তপেশ্বর[সম্পাদনা]

রায়না কুমাওন রেজিমেন্টের সৈনিক ছিলেন[৫] এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, ১৯৬২, '৬৫ এবং '৭১ সালের যুদ্ধতেও তার অবদান ছিলো।[৬]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন রায়না ছিলেন দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট, এই পদবীতে তিনি লড়াকু সৈনিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং গ্রেনেড বিস্ফোরণের আঘাতে তিনি তার একটি চোখ হারান, সেনাবাহিনীতে বাকীটা জীবন কৃত্রিম চোখ দিয়েই কাটিয়ে দেন তিনি।

১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের সময় রায়না ছিলেন ব্রিগেডিয়ার পদবীতে লাদাখ এলাকার একটি ব্রিগেডের অধিনায়ক, চীনের সঙ্গে যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রায়না মহাবীরচক্র পদক পান।

এরপরেই রায়নাকে ৩৩তম কোরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল স্টাফ (বিজিএস) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।[৭]

১৯৭১ সালে রায়না লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদবীতে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য ২য় কোরের কমান্ডারের দায়িত্ব পান। এই যুদ্ধের জন্যই তাকে পদ্মভূষণ পদক দেয়া হয়। ১৯৭৩ সালের ২৭শে অক্টোবর পশ্চিম সেনা কমান্ডের অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭৫ সালের ১ জুন পূর্ণ জেনারেল পদবীতে সেনাপ্রধান হবার আগ পর্যন্ত তিনি পশ্চিম সেনা কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চীফ (জিওসি-ইন-সি) ছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. http://indianarmy.nic.in/Site/FormTemplete/frmTemp1PTC2C.aspx?MnId=JDVp5MdpeiA2FxK7HbGXkA==&ParentID=7PyXNARie53Sgis+r/ml3A==
  2. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। নভেম্বর ১৫, ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২১, ২০১৫ 
  3. Little Known facts about Ludhianvis The Tribune, Dated 25 June 2000
  4. Fauji Beat The Tribune, Dated 25 November 2003
  5. "The Courage of 13 Kumaon"। Indianexpress.com। ২০ ফেব্রু ২০১২। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "Chief of Army Staff"। Indian Army Official Website। ১৯ জুন ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১২ 
  7. Obituary to a Hero ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে India Defence