রোনালদো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Ronaldo থেকে পুনর্নির্দেশিত)
রোনালদো
২০১৯ সালে রোনালদো
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম রোনালদো লুইস নাজারিও দে লিমা
জন্ম (1976-09-18) ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ (বয়স ৪৭)
জন্ম স্থান রিউ দি জানেইরু, ব্রাজিল
উচ্চতা ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান আক্রমণভাগের খেলোয়াড়
যুব পর্যায়
1990–1993 São Cristóvão[১]
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
1993–1994 Cruzeiro 14 (12)
1994–1996 পিএসভি 46 (42)
1996–1997 বার্সেলোনা 37 (34)
1997–2002 ইন্টার মিলান 68 (49)
2002–2007 রিয়াল মাদ্রিদ 127 (83)
2007–2008 মিলান 20 (9)
2009–2011 করিন্থিয়ান্স 31 (18)
মোট 343 (247)
জাতীয় দল
1993 Brazil U17 7 (5)
1996 Brazil U23 8 (6)
1994–2011 ব্রাজিল 98 (62)
অর্জন ও সম্মাননা
পুরুষদের ফুটবল
 ব্রাজিল-এর প্রতিনিধিত্বকারী
ফিফা বিশ্বকাপ
বিজয়ী ১৯৯৪ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
বিজয়ী ২০০২ কোরিয়া-জাপান
রানার-আপ ১৯৯৮ ফ্রান্স
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

রোনালদো (পর্তুগিজ উচ্চারণ: [χoˈnawdu luˈiz naˈzaɾiu dʒi ˈlimɐ]; জন্ম: ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬) ব্রাজিলের ফুটবল তারকা। তিনি একজন খ্যাতিমান স্ট্রাইকার। তার পুরো নাম - রোনাল্দো লুইস নাজারিও ডি লিমা। তিনি বড়ো রোনাল্ডো নামে পরিচিত। ব্রাজিলীয় ফুটবলার হিসেবে করিন্থিয়াসের পক্ষ হয়ে ২০১১ সালে খেলে অবসর গ্রহণ করেন। ‘’৯০-এর দশক থেকে শুরু করে ২০০০-এর দশকের প্রথমার্ধে বিশ্বের অন্যতম দক্ষ গোলদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তিনি মাত্র ২১ বৎসর বয়সে ১৯৯৭ সালে ইউরোপিয়ান ফুটবলার হিসেবে ফিফা বালোঁ দ’অর এবং ২৬ বৎসর বয়সে ২০০২ সালে পুনরায় এই খেতাব অর্জন করেন। উপরন্তু, তিনি দু’জন ব্যক্তির মধ্যে একজন হিসেবে ফিফা’র বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে তিনবার মনোনিত হন (অন্যজন হলেন ফরাসী ফুটবলার জিনেদিন জিদান)। ২০০৭ সালে রোনাল্দো ফরাসী ফুটবলে সর্বকালের সেরা একাদশের একজন হিসেবে স্থান পান এবং পেলে’র উত্তরসূরী হিসেবে ফিফা’র ১০০জন সেরা খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে মনোনিত হন। ২০১০ সালে তিনি গোল.কম-এর অনলাইন ভোটের ৪৩.৬৩% ভোট পেয়ে ’প্লেয়ার অব দ্য ডিকেড’সহ সেন্টার ফরোয়ার্ডের ‘টিম অব দ্য ডিকেড’ সম্মাননা পান। ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১০ তারিখে রোনাল্ডো ঘোষণা করেন যে দু’বছর চু্ক্তির বর্ধিতাংশ হিসেবে করিন্থিয়াসের খেলোয়াড় হিসেবে ২০১১ মৌসুমে ফুটবল জগৎ থেকে অবসর নিবেন। তিনি বিশ্বব্যাপী ফুটবল বোদ্ধা ও সমর্থকদের কাছে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে চিহ্নিত। রোনাল্ডো ব্রাজিলের পক্ষে ৯৭টি আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে ৬২টি গোল করেন। তিনি ১৯৯৪ ও ২০০২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলে রোনাল্ডো ১৫তম গোল করে জার্মানির গার্ড মুলারের ১৪ গোলের রেকর্ড ভঙ্গ করে বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।

ক্লাব পর্যায়ে[সম্পাদনা]

১৯৯৩: ক্রুজিরো[সম্পাদনা]

১৯৯৩ সালে রোনাল্দো ক্রুজিরো দলে যোগদান করে ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়েন ও দলটিকে সফলতম দলের পর্যায়ে নিয়ে যান। কোপা ডো ব্রাজিল চ্যাম্পিয়নশীপে ১৪ খেলায় ১২ গোল করে ১মবারের মতো দলটিকে শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠিত করান। স্মরণযোগ্য যে, শৈশবে তার প্রিয় দল হিসেবে ফ্লেমিঙ্গোতে যেতে চাইলে ব্রাজিলীয় বিশ্বকাপের অন্যতম প্রতিভা জারজিনহো রোনাল্দো’র প্রতিভা দেখে বিস্মিত হন এবং ক্রোজিরোতে চলে যেতে সাহায্য করেন।

১৯৯৪-১৯৯৬: পিএসভি আইণ্ডহোভেন[সম্পাদনা]

১৭ বছরে বয়সী রোনাল্ডোকে ’৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে একটি খেলায়ও অংশ নিতে হয়নি। এর পর রোনাল্ডো পিএসভি আইণ্ডহোভেনে যোগদান করেন। ব্রাজিলীয় তারকা ফুটবলার রোমারিও’র পরামর্শে ইউরোপের ক্যারিয়ার গড়তেই মূলতঃ তিনি পিএসভি-তে যোগ দেন। ১৯৮৮-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত রোমারিও দলটিতে স্ট্রাইকার হিসেবে ছিলেন। রোনাল্দো ১ম মৌসুমে হল্যান্ডে লীগ পর্যায়ে ৩০ গোল করেন। ২য় মৌসুমে হাঁটুর আঘাতে জর্জরিত হলে বেশীরভাগ সময়ই দলের বাইরে ছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিটি খেলাতেই গড়ে একটির মতো গোল করেন অর্থাত ১৩ খেলায় ১২ বার বিপক্ষের গোলপোস্টে বল ঢোকান। পিএসভি’তে থাকাকালীন ১৯৯৫ সালে এরিডিভাইস সর্বোচ্চ গোলদাতা হন এবং ১৯৯৬ সালে দলকে ডাচ কাপ জেতান।

১৯৯৬-১৯৯৭: বার্সেলোনা[সম্পাদনা]

পিএসভি’তে থাকাকালীন অবস্থায় ইন্টার মিলান এবং বার্সেলোনা দলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। ততকালীন রেকর্ড হিসেবে ১৭ মিলিয়ন ডলারের ট্রান্সফার ফি প্রদান করে বার্সেলোনা‘র দলভূক্ত হন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে সকল স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রোনাল্দো ৪৯ খেলায় ৪৭ গোল করে সকলকে বিস্মিত করেন এবং বার্সা-কে ইউইএফএ কাপ উইনার কাপ, কোপা ডেল রে এবং সুপারকোপা ডি ইস্পানা জয়ে বিরাট ভূমিকা রাখেন; বিশেষ করে ইউইএফএ কাপ উইনার কাপের ফাইনালে তুরুপের গোল করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৭ সালে ৩৭ খেলায় ৩৪ গোল করে লা লিগা’য় সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। ২০০৮-০৯ মৌসুম পর্যন্ত লা লিগা’য় রোনাল্দোর ৩০ গোল অক্ষুণ্ন ছিল। সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে রোনাল্দো ফিফা কর্তৃক বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান। এছাড়াও তিনি ব্যলুন ডি’অরের রানার-আপ হন।

১৯৯৭-২০০২: ইন্টার মিলান[সম্পাদনা]

বার্সায় থাকাকালীন পুনরায় রোনাল্দো’র চুক্তিনামা নিয়ে সমস্যা হয়। রোনাল্দো অসন্তুষ্ট চিত্তে মৌসুমটি শেষ করেন এবং পরবর্তী বছরের জন্য ইন্টার মিলান কর্তৃপক্ষ ততকালীন বিশ্বরেকর্ডীয় ১৯ মিলিয়ন পাউণ্ডের বিনিময়ে কিনে নেয়। রোনাল্দো পুনরায় সর্বোতভাবে ক্লাবটিকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং এ সময়ে ইউইএফএ কাপের ফাইনালে ৩য় গোলটি করে বিজয়ী হতে সাহায্য করেন।

রোনাল্দো প্রতশ মৌসুমে ইতালীয় স্টাইলে খেলতে থাকেন এবং লীগের গোলদাতাদের মধ্যে ২য় হন। তিনি পুর্ণাঙ্গ ফরোয়ার্ড হিসেবে উন্নতির চেষ্টা চালান। তিনি প্রথম পছন্দ হিসেবে পেনাল্টি আদায়সহ ফ্রিকিকের মাধ্যমে গোলদানে সক্ষমতা অর্জন করেন এবং শেষ মৌসুমে দলনেতার ভূমিকায় আসীন হন। ইন্টারে থাকাকালীন ডার্বি ডেলা ম্যাডোনিনায় প্রবল প্রতিপক্ষ এসি মিলানের বিরুদ্ধে অনেক গোল করেন। ১৯৯৭ সালে ২য় বারের মতো ফিফা কর্তৃক বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান ও ব্যলন ডি’অর অর্জন করেন। পরের বছর অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপের পর ফিফা ঘোষিত ২য় বারের মতো বছরের সেরা খেলোয়াড় হন এবং ৩য় বারের মতো সেরা ইউরোপিয়ান ফুটবলারের সম্মান পান। এই অর্জনগুলো তার ক্যারিয়ারসহ পরিষ্কারভাবে এবং ব্যাপকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে সবাই মেনে নেয়।

নভেম্বর ২১, ১৯৯৯ সালে সিরি এ ম্যাচে লিসি’র বিরুদ্ধে খেলা চলাকালীন রোনাল্দো হাঁটুতে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন ও মাঠে গড়াগড়ি খান। ডাক্তারী পরীক্ষায় দেখা যায় তিনি হাঁটুতে ফাঁটল ধরেছে এবং অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পরে। এপ্রিল ১২, ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো মাঠে ফিরে আসেন। কিন্তু লাজি’ও বিরুদ্ধে কোপা ইটালিয়া প্রতিযোগিতার ১ম পর্বের ফাইনালে তিনি মাত্র ৭ মিনিট খেলে পুনরায় ২য় বারের মতো হাঁটুতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। দুই দুইবার অপারেশন এবং কয়েকমাস বিশ্রামে থেকে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে নিজেকে মেলে ধরেন ও ব্রাজিলকে ৫ম বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে সহায়তা করেন। পরে ২০০২ সালে রোনাল্দো ৩য় বারের মতো বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান এবং ইন্টার থেকে রিয়াল মাদ্রিদে চলে যান। ইতালীয় সংবাদপত্রে রোনাল্দো তার অন্যতম পরিচিত ডাক নাম হিসেবে ইল ফিনোমেনো নামকে পরিচিত ঘটান। টাইমস অনলাইন কর্তৃক ইন্টারের সর্বকালের সেরা ২০ জনের একজন হিসেবে মনোনীত হন এবং একমাত্র শারীরিক আঘাতই তাকে উচ্চতম আসনে উঠতে বাঁধা দেয়। তিনি নেরাজুরিতে ৯৯ খেলায় ৫৯ গোল করেন।

২০০২-২০০৭: রিয়েল মাদ্রিদ[সম্পাদনা]

রোনাল্দো ৩৯ মিলিয়ন পাউণ্ডের বিনিময়ে রিয়েল মাদ্রিদের সাথে চুক্তিনামায় স্বাক্ষরের পর তার জার্সি নম্বর প্রথম দিনেই সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে। অক্টোবর, ২০০২ পর্যন্ত আঘাতের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন কিন্তু তার সমর্থকেরা তার নাম ধরে উজ্জ্বীবিত করার প্রাণান্ত চেষ্টা করে। রিয়েল মাদ্রিদের পক্ষে অভিষেকেই দু’টি গোল করেন। তিনি সান্টিয়াগো বারনেবিউ থেকে অভিবাদন গ্রহণ করেন। একই অভিবাদন গ্রহণ করেন এথলেটিক বিলবো’র বিরুদ্ধে চূড়ান্ত খেলায় গোল করে ১ম মৌসুমেই ২৩ গোল করে লা লিগা চ্যাম্পিয়নশীপ শিরোপা লাভে সহায়তা করেন। রিয়েলে থাকাকালীন ২০০২ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ এবং ২০০৩ সালে স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ে অবদান রাখেন। চ্যাম্পিয়নস লীগের ২য় পর্যায়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন ও ম্যান.ইউ-কে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় করেন। রিয়েল ২০০৩-০৪ মৌসুমে রোনাল্দো’র আঘাতের পূর্ব পর্যন্ত জয়ের ধারায় আসে ও অপ্রতিদন্দ্বী হয়ে উঠেছিল এবং কোপা ডেল রে ফাইনালে হেরে যায়, চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় ও লীগে ছন্দপতনের অধ্যায় শুরু হয়। এই মৌসুমে তিনি ২৪ গোল করে লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন এবং দল ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হারলেও পিচিচি এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। রিয়েল মাদ্রিদ আর্সেনালের কাছে হেরে শেষ ষোলতে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয় ও তৃতীয়বারের মতো ট্রফিবিহীন অবস্থায় দিন কাটায়। রিয়েল মাদ্রিদে থাকাকালীন তাদের বৃহত প্রতিপক্ষ হিসেবে এটলিকো মাদ্রিদ ও বার্সোলোনার মতো দলগুলোর বিরুদ্ধে রোনাল্ডো গোল করেছিলেন। রুদ ভ্যান নিস্টেলরুইকে ২০০৬ সালে সাথে পেয়ে রোনাল্দো ইনজুরী ও ওজন বৃদ্ধির বিষয়গুলোকে পাশ কাটিয়ে দলের ম্যানেজার ফ্যাবিও ক্যাপিলো’র সহায়তায় আরো আগ্রাসী হয়ে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে তোলেন।

২০০৭-২০০৮: এসি মিলান[সম্পাদনা]

১৮ জানুয়ারী, ২০০৭ তারিখে জানা যায়, রোনাল্দো এসি মিলানের সাথে ৭.৫ মিলিয়ন পাউণ্ডের বিনিময়ে দল বদল করেছেন। রোনাল্দো চুক্তির বাকী সময়ের অর্থ প্রদান করে তবেই রিয়েল মাদ্রিদ ত্যাগ করতে পারবেন। কিন্তু এসি মিলান ঐ পরিমাণ অর্থ প্রদানে প্রস্তুত ছিল না। বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২৫ তারিখে রোনাল্দো মাদ্রিদ থেকে মিলানে চলে যান এসি মিলানের পক্ষে রোমা’র বিরুদ্ধে খেলার জন্য। ক্লাবের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, রোনাল্দো চিকিতসার জন্য মিলানে গিয়েছিলেন এবং রিয়েল মাদ্রিদের কর্মকর্তাদের সাথে এসি মিলানের একটি মিটিং সোমবারে অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ জানুয়ারি মিলানেলো ট্রেনিং কমপ্লেক্সে রোনাল্দো ক্লাবের ডাক্তারদের উপস্থিতিতে মেডিক্যাল টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ও সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন এবং দলে ৯৯নং জার্সিধারী খেলোয়াড় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে অনুষ্ঠিত অভিষেক ম্যাচে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন এবং ২-১ গোলে লিভোরনো দলের বিরুদ্ধে জয়ী হন। ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ তারিখে সিয়েনায় অনুষ্ঠিত পরের খেলায় রোনাল্দো দু’টি গোল করেন এবং পরে ৩য় গোল করে ৪-৩ গোল করে শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় দলকে জয়ী করে শুভ সূচনা করেন। প্রথম মৌসুমে তিনি ১৪ খেলায় ৭ গোল করেন। এসি মিলানে অবস্থান করায় মিলান ডার্বিতে রোনাল্দো গুটিকয়েক খেলোয়াড় হিসেবে ইন্টার মিলান ও এসি মিলান উভয় দলের পক্ষে অংশ নিয়ে দু’দলেই গোল করেন (ইন্টার মিলানে ৯৮-৯৯ মৌসুম এবং এসি মিলানে ২০০৬-০৭ মৌসুমে)। এই বিরল সৌভাগ্যে অন্যজন হলেন - লাতান ইব্রাহিমোভিক। এছাড়াও, রোনাল্দো গুটিকয়েক খেলোয়াড়ের একজন হিসাবে প্রবল প্রতিপক্ষ রিয়েল মাদ্রিদ ও বার্সোলোনার মতো দলে খেলে মাতিয়ে তোলেন। অধিকন্তু, রোনাল্দো কখনোই সরাসরি প্রতিপক্ষের দলগুলোর সাথে স্থানান্তরিত হননি। শারীরিক অসুস্থতা ও ওজন সমস্যায় পড়ে রোনাল্দো মাত্র ৩০০ মিনিটের বেশি সময় এই মৌসুমে খেলেন। তিনি সান সিরোয় অনুষ্ঠিত নেপোলীর বিরুদ্ধে ৫-২ গোলে জয়ী দলে একমাত্র গোল করেন ও গোলটি তাকে স্মরণীয় করে রাখে। এই প্রথম এসি মিলানে অনেক আক্রমণাত্মক ভঙ্গীতে কাকা, আলেকজান্দ্রো পাতো ও রোনাল্দো’র মতো ত্রয়ী স্ট্রাইকার নামায় যা কা-পা-রো নামে তাদেরকে একত্রে ডাকা হতো। এসি মিলানের পক্ষে ২০ খেলায় ৯ গোল করেন রোনাল্দো। এতগুলো সাফল্য স্বত্ত্বেও রোনাল্দো তার ক্লাব ক্যারিয়ারে ইউইএফএ চ্যাম্পিয়নস্‌ লীগে জয়ী হতে পারেননি। ২০০৬-০৭ মৌসুমে এসি মিলান শিরোপাধারী হলেও মাদ্রিদের বিরুদ্ধে খেলায় অনির্ধারিত কারণে অংশ নেননি। সম্ভবতঃ তিনি ২০০৩ সালে রিয়েল মাদ্রিদকে সেমি-ফাইনালে উঠালেও জুভেন্টাসের কারণে হেরে যান বিধায় অংশ নেননি। ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ তারিখে রোনাল্দো কয়েকবার হাঁটুর আঘাতের কারণে স্টেচারে করে মাঠের বাইরে যান ও হাসপাতালে যেতে বাধ্য হন। ঐ খেলায় এসি মিলান লিভোরনোর সাথে ১-১ গোল করে ড্র করতে বাধ্য হয়। এসি মিলান ম্যাচ শেষে জানায় রোনাল্দো তার বাম পায়ের হাঁটুতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। ডান পায়ে ১৯৯৮ ও ২০০০ সালে আঘাতের পর এটি ৩য় বারের মতো ডান পায়ে আঘাতে ঘটনা ঘটলো রোনাল্দোর জীবনে। ঐ মৌসুম শেষে চুক্তি নবায়ণ না হওয়ায় তিনি মিলান থেকে ছাড়া পান।

২০০৯-২০১১: করিন্থিয়াস[সম্পাদনা]

রোনাল্দো হাঁটুতে অস্ত্রোপাচার শেষে ফ্ল্যামিংগোতে যোগদানের আগ্রহ দেখালে ক্লাবের পরিচালনা পরিষদ জানায়, তিনি যে কোন সময় যোগদান করতে পারেন ও তার জন্য জন্য ক্লাবের দরজা খোলা। কিন্তু, ৯ ডিসেম্বর তিনি ফ্ল্যামিংগোর লীগ প্রতিপক্ষ করিন্থিয়াসের সাথে ১ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেন।[২] এই ঘোষণাটি ব্রাজিলের প্রচার মাধ্যমে খুবই প্রচারণা পায় যে তার ভালবাসা ফ্ল্যামিংগোর চেয়ে করিন্থিয়াসেই বেশি যদিও রোনাল্দো ঘোষণা করেছিলেন তিনি ফ্ল্যামিংগো সমর্থক এবং কখনো প্রতিপক্ষে যোগ দেবেন না।[৩]

৪ মার্চ, ২০০৯: এস্টাডো জুসিলিনো কুবিটসেকে অনুষ্ঠিত কোপা ডো ব্রাজিল কাপে ১ম ম্যাচ খেলেন জর্গ হেনরিকের পরিবর্তে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ইতুম্বিয়ারার বিরুদ্ধে।[৪] করিন্থিয়াসের পক্ষে ক্যাম্পিওনাটো পাওলিস্টা কাপে পালমেইরাসের বিরুদ্ধে ১ম গোল করেন ৮ মার্চ, ২০০৯ তারিখে।[৫] তিনি ক্যাম্পিওনাটো পাওলিস্টা কাপে ১৪ খেলার মধ্যে ১০ গোল করে করিন্থিয়াসকে জয়ী হতে সাহায্য করেন।[৬] রোনাল্দো ইন্টারনাসিওনালকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে করিন্থিয়াসকে ৩য় বারের মতো (ক্যারিয়ারে ২য়) ব্রাজিল কাপ জয়ে সাহায্য করেন। এছাড়াও কোপা লিবেরাটাডোরস ২০১০ জয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত গোয়িয়াসের বিপক্ষে খেলে পুনরায় মাঠে ফিরে আসেন। ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তারিখে তিনি সাও পাওলোর বিপক্ষে গোল করে ১-১ ড্র করতে সাহায্য করেন। তিনি ব্রাজিলীয় সিরি এ ২০০৯ লীগে ২০ খেলায় ১২ গোল করেন। ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে রোনাল্দো চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেন। এতে করে তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত খেলবেন ও এরপরই তিনি ক্রীড়াঙ্গন থেকে অবসর নিবেন।[৭]

২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলাম্বিয়ান দল ডিপোর্টেস টোলিমা'র কাছে পরাজিত হযে করিন্থিয়াস ২০১১ সালের কোপা লিবারট্যাডোরসে খেলার যোগ্যতা হারায়। এর পরপরই তিনি ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।[৮][৯][১০]

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে[সম্পাদনা]

১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের পক্ষে রেকাইফে অনুষ্ঠিত আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচের মাধ্যমে রোনাল্দোর আন্তর্জাতিক খেলায় অভিষেক হয়। ঐ বছরই যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে ১৭ বছর বয়সী রোনাল্দো কোন ম্যাচ খেলেননি। তিনি রোনাল্দিনহো (পর্তুগীজ শব্দ লিটিল রোনাল্দো) নামে পরিচিত ছিলেন কেননা তার বড় ও দলীয় সঙ্গী হিসেবে রোনাল্দো রডরিগুয়েজ ডি জিসাস টুর্ণামেন্টে রোনাল্দো নামে এবং ডাক নাম হিসেবে রোনাল্দাও (বড় রোনাল্দো) অংশ নেন। ফলে তাদের চিহ্নিত করণে যথাক্রমে লিটিল ও বিগ রোনাল্দো হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। এছাড়াও ব্রাজিলীয় খেলোয়াড় হিসেবে রোনাল্দো ডি আসিস মোরিয়েরা নামে একজন খেলোয়াড় ছিলেন, তিনি রোনাল্দিনহো নামে চিহ্নিত ও রোনাল্দিনহো গাওচো হিসেবে ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলের প্রধান জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আটলান্টায় আয়োজিত অলিম্পিক গেমসে রোনাল্দো তার শার্টে রোনাল্দিনহো নামে মাঠে নামেন দু’বছরের বড় রোনাল্দো গুইয়ারোর জন্য। অলিম্পিকে ব্রাজিল ব্রোঞ্জ মেডেল জয়ী হয়। ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ সালের ফিফার বছরের সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদার অধিকারী রোনাল্দো ১৯৯৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপে ৪ গোল করে তিনটি সম্মাননা লাভ করেন। ফাইনালের আগে তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ না হলেও কোচ মারিও জাগালোকে প্রভাবান্বিত করে খেলেন। কিন্তু ফ্রান্সের গোলরক্ষক ফাবিয়েন বার্থেজের সাথে পুনরায় সংঘর্ষে পড়েন ও আঘাতপ্রাপ্ত হন। খেলায় ব্রাজিল স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে ৩-০ গোলে হেরে যায়। ব্রার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল নিওরোলজি বিভাগের অধ্যাপক আর্দ্রিয়ান উইলিয়ামসের মতে, “রোনাল্দো অস্ত্রোপাচারের পর স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেননি এবং ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি তার সেরা দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেন না - যদিও তিনি তা পারেননি।” ২০০২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে রোনাল্দো পুনরায় তার দক্ষতা দেখিয়ে রেকর্ডসংখ্যক ৫ম বারের মতো ব্রাজিলকে জয়ী করান এবং তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে ৮ গোল করে গোল্ডেন সু জয়ী হন ও গোল্ডেন বলের পুরস্কারে রানার-আপ হয়ে টুর্ণামেন্টের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় মনোনীত হন। তিনি কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোলবিহীন অবস্থায় থাকলেও টুর্ণামেন্টের প্রতিটি প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে গোল করেন। ফাইনাল খেলায় জার্মানির বিরুদ্ধে তার একাদশ ও দ্বাদশ গোল করার মাধ্যমে বিশ্বকাপে পেলের ১২ গোলের সমকক্ষ হন। ২ জুন ২০০৪: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে পেনাল্টির মাধ্যমে অপ্রত্যাশিতভাবে হ্যাট্রিক করে ব্রাজিলকে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ খেলায় উত্তীর্ণ ঘটান। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিল তাদের গ্রুপের প্রথম দু’টি খেলায় ক্রোয়েশিয়া ও অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ী হয় যাতে রোনাল্দো অতিরিক্ত ওজনধারী ও গতিহীন ছিলেন। এরপরও কোচ কার্লোস আলবার্তো পেরেইরা অতিরিক্ত সময়ে তাকে খেলান ও ৩য় খেলায় জাপানের বিপক্ষে দু’টি গোল করে ২০তম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপে গোল করার বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হন এবং বিশ্বকাপে গার্ড মুলারের রেকর্ডসংখ্যক ১৪ গোলের সমকক্ষ হন (রোনাল্দো ফ্রান্স ৯৮, কোরিয়া / জাপান ২০০২ এবং জার্মানি ২০০৬) এবং শেষ ১৬ দলের একটি দল ঘানার বিপক্ষে ১৫তম গোল করে মুলারের রেকর্ড ভঙ্গ করেন। মৃদুভাষী রোনাল্দো ২০০৬ বিশ্বকাপে তার ৩য় গোল করে জার্গেন ক্লিনস্‌ম্যানের পর ২য় খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিটি বিশ্বকাপে কমপক্ষে ৩ গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। যদিও কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ১-০ গোলে হেরে ব্রাজিল বিদায় নেয়।

বিশ্বকাপ ফুটবলে গোল[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৯৯৭ সালে রোনাল্দো ব্রাজিলীয় মডেল ও অভিনেত্রী সুসানা ওয়ার্নারের সাথে ব্রাজিলীয় টেলিনোভেলা মালহাকাওয়ে তিনটি পর্বে একত্রে অভিনয় করে একে-অপরের সাথে পরিচিত হন। কিন্তু বিয়ে না করেই দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক বজায় রাখেন ও ১৯৯৯ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত মিলানে একত্রে বাস করেন। এপ্রিল, ১৯৯৯ সালে রোনাল্দো ব্রাজিলীয় প্রমিলা ফুটবলার মিলেনে ডোমিনগুয়েজকে বিয়ে করেন ও তাদের প্রথম সন্তান রোনাল্দ জন্ম নেয়। ২০০৫ সালে রোনাল্দো ব্রাজিলীয় মডেল এবং এমটিভি ভিজে দানিয়েলা সিকারেলির সাথে সম্পর্ক গড়েন। চাটিও ডি চানটিলিতে অনুষ্ঠিত বিয়েটি মাত্র ৩ মাসে টেকে। অনুষ্ঠানে ৭ লক্ষ ইউরো ব্যয় হয় বলে জানা যায়। এছাড়াও, রোনাল্দো ব্রাজিলীয় সুপার মডেল রাইকা অলিভিরার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন যা ডিসেম্বর, ২০০৬-এ শেষ হয়ে যায়।

ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

আন্তর্জাতিক[সম্পাদনা]

বছর অনুযায়ী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি ও গোলের সংখ্যা।[১১]

ব্রাজিল জাতীয় দল
বছর উপস্থিতি গোল
১৯৯৪
১৯৯৫
১৯৯৬
১৯৯৭ ২০ ১৫
১৯৯৮ ১০
১৯৯৯ ১০
২০০০
২০০১
২০০২ ১২ ১১
২০০৩
২০০৪ ১১
২০০৫
২০০৬
২০০৭
২০০৮
২০০৯
২০১০
২০১১
মোট ৯৮ ৬২

সম্মাননা[সম্পাদনা]

ক্লাব[সম্পাদনা]

ক্রুজেইরো[১২]

পিএসভি আইন্দোভেন[১২]

বার্সেলোনা[১২]

ইন্টার মিলান[১২]

রিয়াল মাদ্রিদ[১২]

করিন্থিয়াস[১২]

জাতীয় দলে[সম্পাদনা]

ব্রাজিল[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Após início pobre em Bento Ribeiro, Ronaldo conquista o mundo"Globo Esporte (Portuguese ভাষায়)। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  2. Independent.co.uk ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে Ronaldo agrees to join Corinthians
  3. Goal.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ মে ২০০৮ তারিখে Ronaldo: No Milan? I'll Go To Flamengo
  4. "Aos 22min do 2º tempo, Ronaldo estréia pelo Corinthians" (Portuguese ভাষায়)। Terra। ৪ মার্চ ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০০৯ 
  5. "Com gol de Ronaldo no final, Corinthians arranca empate contra o Palmeiras" (Portuguese ভাষায়)। Folha Online। ৮ মার্চ ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০০৯ 
  6. News.Xinhuanet.com, (ইংরেজি)
  7. "Ronaldo Renews Corinthians Contract, Will Retire In 2011"। Reuters। 22 February।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)[অকার্যকর সংযোগ]
  8. "Ronaldo confirma o fim da carreira (In Portuguese)" (Portuguese ভাষায়)। GloboEsporte। 13 February।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  9. Gallas, Daniel (১৪ জানুয়ারি ২০১১)। "Ronaldo's troubled farewell"BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  10. "Ronaldo confirms retirement"ESPN Soccernet। ১৪ জানুয়ারি ২০১১। ২৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  11. "Ronaldo Luís Nazário de Lima – Goals in International Matches"। Rsssf.com। ২৩ জুলাই ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  12. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; FIFA Profile নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
মাইকেল ওয়েন
ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার
২০০২
উত্তরসূরী
পাভেল নেদভেদ
পূর্বসূরী
মাথিয়াস সামার
ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার
১৯৯৭
উত্তরসূরী
জিনেদিন জিদান