শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি
| শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি | |
|---|---|
| ශ්රී ලංකා ජනාධිපති இலங்கை சனாதிபதி | |
| সম্বোধনরীতি |
|
| এর সদস্য | শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভা জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (শ্রীলঙ্কা) |
| বাসভবন | রাষ্ট্রপতি ভবন, কলম্বো |
| মনোনয়নদাতা | শ্রীলঙ্কার নাগরিক |
| নিয়োগকর্তা | প্রত্যক্ষ নির্বাচন |
| মেয়াদকাল | পাঁচ বছর |
| গঠনের দলিল | শ্রীলঙ্কার সংবিধান |
| পূর্ববর্তী | সিলনের রাজা |
| সর্বপ্রথম | উইলিয়াম গোপালাওয়া |
| গঠন | ২২ মে ১৯৭২ |
| প্রথম | উইলিয়াম গোপালাওয়া |
| ডেপুটি | প্রধানমন্ত্রী |
| ওয়েবসাইট | president রাষ্ট্রপতির সচিবালয় |
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি হচ্ছে শ্রীলঙ্কার সরকারপ্রধান। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি শ্রীলঙ্কা সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রপতি পদাধিকার বলে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি, তার অবস্থান শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও উপরে, তিনিই (রাষ্ট্রপতি) শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
নির্বাচন প্রক্রিয়া
[সম্পাদনা]যোগ্যতা
[সম্পাদনা]শ্রীলঙ্কার সংবিধানের ধারা ৩১ রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীর জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতাগুলো নির্ধারণ করেছে:
- "প্রার্থীকে অবশ্যই একজন শ্রীলঙ্কার নাগরিক হতে হবে যিনি কোনো স্বীকৃত রাজনৈতিক দল বা আইনসভার সদস্য কর্তৃক মনোনীত হয়েছেন।"
- "যে ব্যক্তি দুবার জনগণের দ্বারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি তৃতীয়বারের মতো এই পদে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য বলে গণ্য হবেন।"
- প্রার্থীকে অবশ্যই শ্রীলঙ্কার একক নাগরিকত্ব ধারণ করতে হবে।[১]
নির্বাচন
[সম্পাদনা]রাষ্ট্রপতি জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে পাঁচ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হন। কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, যেখানে প্রতিটি মেয়াদ শপথগ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হয়।[২]
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন একটি সীমিত ক্রমিক ভোটিং পদ্ধতির মাধ্যমে। ভোটাররা প্রেসিডেন্টের জন্য সর্বোচ্চ তিনটি ক্রমিক পছন্দ প্রকাশ করতে পারেন। যদি প্রথম গণনায় কোনো প্রার্থী মোট বৈধ ভোটের ৫০% এর বেশি না পান, তাহলে শীর্ষ দুই প্রার্থী ব্যতীত বাকি সব প্রার্থী বাদ পড়ে। এরপর বাদ পড়া প্রার্থীদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দের ভোট দুটি শীর্ষ প্রার্থীর মধ্যে পুনর্বণ্টন করা হয়, যতক্ষণ না একজন স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন।[৩]
শ্রীলঙ্কার সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ (৩এ)(ক)(i) অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট তার প্রথম মেয়াদ শুরুর চার বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময়ে একটি ঘোষণার মাধ্যমে জনগণের কাছে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার অনুমোদন চাইতে পারেন।
তবে, অনুচ্ছেদ ৪০ অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের পদে উত্তরাধিকারসূত্রে (যেমন, আগের প্রেসিডেন্টের অপসারণ, মৃত্যু বা পদত্যাগের কারণে) আসেন, তাহলে তিনি এই অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।[১]
উত্তরাধিকার বা শূন্যতা
[সম্পাদনা]রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে মৃত্যু, পদত্যাগ, অক্ষমতা বা অভিশংসন। রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে, সংসদ কর্তৃক নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
সংবিধানের ধারা ৪০ অনুসারে, রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পদ শূন্য হলে সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। নতুন রাষ্ট্রপতি পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতির মেয়াদের অবশিষ্ট সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। উত্তরসূরি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ইতিহাসে দুইবার রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হয়েছে:
- ১৯৯৩ সালে রাষ্ট্রপতি প্রেমদাসার হত্যাকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী ডি. বি. বিজেতুঙ্গা রাষ্ট্রপতি হন।
- ২০২২ সালে রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[৪]
কার্যকাল
[সম্পাদনা]১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতি পদ সৃষ্টির সময় কার্যকাল ছিল ছয় বছর। ১৯৭৮ সালে নির্বাহী প্রেসিডেন্সি চালু হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রপতি প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন এবং ছয় বছরের মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন, সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে।[৫]
সংবিধানের ধারা ৩১(৩এ) অনুসারে, রাষ্ট্রপতির কার্যকাল তার শপথগ্রহণের তারিখ থেকে শুরু হয়। প্রথম মেয়াদের চার বছর পূর্ণ হলে তিনি অকালীন নির্বাচন ডাকতে পারেন।[৬] রাষ্ট্রপতি যদি অকালীন নির্বাচন না ডাকেন, তবে পরবর্তী নির্বাচন চলমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ও এক মাস আগে অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধানের ১৯তম সংশোধনী রাষ্ট্রপতির কার্যকাল পাঁচ বছরে কমিয়ে আনে। এ সংশোধনী অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রথম মেয়াদের চার বছর শেষে অকালীন নির্বাচন ডাকতে পারেন।
তাছাড়া, ধারা ৩১(৩এ) এ উল্লেখ রয়েছে যে, ধারা ৪০ এর অধীনে রাষ্ট্রপতি পদে আসীন ব্যক্তি অকালীন নির্বাচন ডাকার অধিকার পাবেন না এবং তিনি তার পূর্বসূরির মেয়াদের অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
ক্ষমতা ও কর্তব্য
[সম্পাদনা]কর্তব্য
[সম্পাদনা]সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কর্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- সংবিধান সম্মান ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা;
- জাতীয় সমন্বয় ও একীভূতকরণ প্রচার করা;
- সাংবিধানিক পরিষদ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু কার্যক্রম নিশ্চিত ও সহায়তা করা;
- নির্বাচন কমিশনের পরামর্শে অবাধ ও ন্যায্য নির্বাচন ও গণভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করা।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
সাংবিধানিক ক্ষমতা
[সম্পাদনা]রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার উপর খুব কম সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি সংসদের কাছে দায়বদ্ধ এবং সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে অভিশংসিত হতে পারেন। যুদ্ধ বা শান্তি ঘোষণা, জরুরি অবস্থা জারি করে কোনো আইন বাতিল বা নতুন প্রবিধান জারির ক্ষমতা তার রয়েছে। তবে ৬ মাসের বেশি জরুরি অবস্থা বলবৎ রাখতে সংসদীয় অনুমোদন প্রয়োজন। বৈদেশিক আক্রমণের ক্ষেত্রে "জাতীয় প্রতিরক্ষা অবস্থা" জারি করে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রদেশে মার্শাল ল জারি করতে পারেন। এছাড়া, দুর্নীতি, রাষ্ট্রদ্রোহিতা বা শাসনে অক্ষমতার ভিত্তিতে জাতীয় বা প্রাদেশিক সরকার বরখাস্ত করতে পারেন।[৭]
সংসদীয় ক্ষমতা
[সম্পাদনা]রাষ্ট্রপতি প্রতি তিন মাসে একবার সংসদে উপস্থিত হওয়ার অধিকার রাখেন (ভোট দেওয়ার অধিকার নেই)। তিনি সংসদে বক্তব্য দিতে বা বার্তা প্রেরণ করতে পারেন এবং সংসদ আহ্বান, স্থগিত বা ভঙ্গ করতে পারেন।[৮]
প্রশাসনিক ক্ষমতা
[সম্পাদনা]প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ, প্রাদেশিক গভর্নর, সরকারি কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত ও সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাভুক্ত। তিনি সচিব, কর্মী ও স্টাফও নিয়োগ দিতে পারেন।[৯]
বিচারিক ক্ষমতা
[সম্পাদনা]প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, আপিল আদালতের বিচারক ও হাইকোর্টের জজদের নিয়োগ ও অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির রয়েছে। তিনি ক্ষমা প্রদর্শন করতে পারেন এবং দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা থেকে দায়মুক্তি ভোগ করেন। কোনো বিষয় তদন্তের জন্য রাষ্ট্রপতির তদন্ত কমিশন গঠন করতে পারেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
কূটনৈতিক ক্ষমতা
[সম্পাদনা]রাষ্ট্রপতি শ্রীলঙ্কার প্রধান কূটনীতিক হিসেবে বিদেশি নেতা ও সরকারের সাথে আলোচনা পরিচালনা এবং কূটনৈতিক প্রতিনিধি নিয়োগ দেন।[১০]
আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব
[সম্পাদনা]রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেওয়া, সিংহাসন বক্তৃতা (নতুন সরকারের নীতিবক্তব্য উপস্থাপন), স্বাধীনতা দিবস ও স্মরণ দিবস উদযাপন, "ওয়াপ মাগুল" (জমি চাষের অনুষ্ঠান), পেরাহেরা সন্দেশ গ্রহণ এবং জাতীয় সম্মাননা প্রদান তার দায়িত্ব। বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র গ্রহণও এই অন্তর্ভুক্ত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
নিয়োগ
[সম্পাদনা]প্রাদেশিক গভর্নর, রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা, সমন্বয় সচিব, প্রেসিডেন্ট’স কাউন্সিল (বিশিষ্ট আইনজীবী), সশস্ত্র বাহিনীর এডিসি (সহকারী), চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রভৃতি নিয়োগের ক্ষমতা তার রয়েছে।[১১]
সুযোগ-সুবিধা
[সম্পাদনা]বেতন
[সম্পাদনা]রাষ্ট্রপতি (২০১৬ সাল অনুযায়ী) মাসিক ১,০০,০০০ শ্রীলঙ্কান রুপি (≈ ১,০০০ মার্কিন ডলার) বেতন পান, যা সমন্বিত তহবিল থেকে পরিশোধিত হয়। ২০০৬ সালে এই বেতন ২৫,০০০ শ্রীলঙ্কান রুপি (≈ ৫০০ ডলার) থেকে বাড়িয়ে ১,০০,০০০ রুপি করা হয়।
কর সুবিধা
[সম্পাদনা]প্রথাগতভাবে, রাষ্ট্রপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতিরা আয়কর থেকে মুক্ত। এই প্রথাটি প্রজাতন্ত্র-পূর্ব যুগ থেকে চলে আসছে, যখন রাজপরিবার করমুক্ত ছিল। ২০১৮ সালে আয়কর বিল পাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির করমুক্তি বাতিল করা হয়।[১২]
আইনি সুরক্ষা
[সম্পাদনা]রাষ্ট্রপতি তার কার্যকালে দায়িত্ব পালনকালীন যেকোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা থেকে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনাক্রম্যতা ভোগ করেন।[১৩]
বাসস্থান
[সম্পাদনা]
কলম্বোতে রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন হলো প্রেসিডেন্ট’স হাউস (পূর্বে গভর্নর-জেনারেলের বাসভবন হিসেবে "কুইন্স হাউস" নামে পরিচিত)। সরকার এই বাসভবনের খাবার ও কর্মচারীদের ব্যয় বহন করে। রাষ্ট্রপতির অন্যান্য বাসস্থানের মধ্যে রয়েছে:
- প্রেসিডেন্ট’স প্যাভিলিয়ন – ক্যান্ডিতে অবস্থিত দ্বিতীয় সরকারি বাসভবন;
- কুইন্স কটেজ – নুয়ারা এলিয়ার অবকাশযাপন কেন্দ্রে অবস্থিত সরকারি অবসরকালীন বাসস্থান।
সম্প্রতি কিছু রাষ্ট্রপতি, যেমন চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা ও মহিন্দ রাজাপক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহ্যবাহী বাসভবন টেম্পল ট্রিস ব্যবহার করেছেন। অন্যদিকে, জে. আর. জয়েবর্ধনে ও মৈত্রিপালা সিরিসেনার মতো রাষ্ট্রপতিরা প্রেসিডেন্ট’স হাউস ব্যবহার করতে অস্বীকার করেন। জয়েবর্ধনে তার ব্যক্তিগত বাসভবন ব্রেমারে থাকতেন, আর সিরিসেনা ব্যবহার করতেন বিজয়রাম মাওয়াথার তার প্রাক্তন মন্ত্রী বাসভবন।
ভ্রমণ
[সম্পাদনা]স্থলপথে ভ্রমণের জন্য রাষ্ট্রপতি সাঁজোয়া কালো মার্সিডিজ-বেঞ্জ এস-ক্লাস (এস৬০০) পুলম্যান গার্ড গাড়ি ব্যবহার করেন। অভ্যন্তরীণ আকাশপথে শ্রীলঙ্কা বিমানবাহিনীর ৪নং (ভিভিআইপি/ভিআইপি) হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রন ব্যবহৃত হয়। বিদেশ ভ্রমণের জন্য শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের বিশেষ বা নিয়মিত ফ্লাইট ব্যবহৃত হয়। আনুষ্ঠানিক উপলক্ষ্যে শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীর জাহাজ বা নৌকা "প্রেসিডেনশিয়াল ইয়ট" হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
নিরাপত্তা
[সম্পাদনা]প্রেসিডেন্ট’স সিকিউরিটি ডিভিশন (PSD) রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধান ইউনিট। মাহিন্দা রাজাপক্ষের শাসনামলে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট প্রেসিডেন্ট’স গার্ড গঠন করা হয়। এর আগে, ১৯৯৬ সাল থেকে সেনা কর্মীরা PSD-এর অধীনে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের নিরাপত্তা দিতেন। চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার আমলে ৫ম রেজিমেন্ট শ্রীলঙ্কা আর্মার্ড কোর প্রথম সেনা ইউনিট হিসেবে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তায় নিয়োজিত হয়। তবে ২০১৫ সালে মৈত্রিপালা সিরিসেনা প্রেসিডেন্ট’স গার্ড বিলুপ্ত করেন।[১৪] বর্তমানে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) প্রদান করে।
রাষ্ট্রপতির পতাকা (১৯৭২−২০২২)
[সম্পাদনা]শপথগ্রহণের পর নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি তার কার্যালয়ের প্রতীক হিসেবে একটি অনন্য পতাকা গ্রহণ করতেন। প্রতিটি রাষ্ট্রপতির পতাকায় তার ব্যক্তিগত বা আঞ্চলিক প্রতীক অন্তর্ভুক্ত থাকত। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমসিংহ এই প্রথা বাতিল করেন।
রাষ্ট্রপতির ডিসপ্যাচ ব্যাগ
[সম্পাদনা]'এটাচি কেস' নামে পরিচিত এই বিশেষ ব্যাগে রাষ্ট্রপতির গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ নথি বহন করা হয়। শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী এই ব্যাগটি ডিজাইন করেছে। প্রতিটি রাষ্ট্রপতি তার উত্তরসূরির হাতে এই ব্যাগ হস্তান্তর করেন।[১৫]
টীকা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 "Sri Lanka 1978 (rev. 2015) Constitution - Constitute"। www.constituteproject.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ Shamim, Sarah। "Sri Lanka election 2024: Who could be the next president, what's at stake?"। Al Jazeera (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Presidential Elections Act, No.15 of 1981" (পিডিএফ)। Election Commission of Sri Lanka। ৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "Sri Lanka PM Wickremesinghe sworn in as acting president - govt official"। Reuters। ১৫ জুলাই ২০২২। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- ↑ "Sri Lanka's 6-year Presidential term: problem in drafting 19th amendment explained"। EconomyNext (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ জুন ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ DeVotta, Neil (২০২১)। "Sri Lanka: The Return to Ethnocracy"। Journal of Democracy। ৩২ (1): ৯৬–১১০। ডিওআই:10.1353/jod.2021.0003। আইএসএসএন 1086-3214। ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ Perera, Boniface (২৬ জুন ২০২৪)। "WHO WILL CHAMPION THE RACE?"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ – PressReader এর মাধ্যমে।
- ↑ "Sri Lanka 1978 (rev. 2010) Constitution - Constitute"। www.constituteproject.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Sri Lanka (05/07)"। U.S. Department of State। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Sri Lanka's Presidential Elections - 2024 Who will Champion the Race?"। www.dailymirror.lk (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ "Sri Lanka Army Officers Service Regulations" (পিডিএফ)। ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "NEW BILL TO TAX LANKA'S PRESIDENT"। ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ "With No Immunity, Sri Lanka's Rajapaksa Faces Legal Troubles"। Voice of America (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Army personnel removed from Presidential Guard"। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "Presidential Dispatch Bag designed by Army handed over to President"। ২ ডিসেম্বর ২০২২। ২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০২২।
| শ্রীলঙ্কা বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |