কাটোয়া
কাটোয়া | |
---|---|
শহর | |
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৯′ উত্তর ৮৮°০৮′ পূর্ব / ২৩.৬৫° উত্তর ৮৮.১৩° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | পূর্ব বর্ধমান জেলা |
স্থাপিত | ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দ |
সরকার | |
• শাসক | কাটোয়া পৌরসভা |
আয়তন | |
• মোট | ১০৬.৮ বর্গকিমি (৪১.২ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ২১ মিটার (৬৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৪৫,৬২,০৩১ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন কোড | ৭১৩১৩০ |
এলাকা কোড | +৯১-৩৩-৩৪৫৩ |
কাটোয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি মহানগর ও পৌরসভা এলাকা। কাটোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন। গঙ্গা ও অজয়ের মিলনস্থলে কাটোয়া শহরটি গড়ে উঠেছে। কাটোয়া শহরটি চার্ জেলা সীমানা শহর। কাটোয়া শহর থেকে সহজেই পূর্ব বর্ধমান জেলা নদীয়া জেলা মুর্শিদাবাদ জেলা এবং বীরভূম জেলা যাওয়া যায়।
ভূগোল
[সম্পাদনা]কাটোয়ার ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক হয় ২৩.৬৫° উঃ ৮৮.১৩° পূঃ। সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ২১ মি (৬৯ ফুট)। এটি অজয় নদ এবং ভাগীরথী নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত এবং তাই পূর্ব, পশ্চিমে এবং উত্তরে জল দ্বারা সীমাবদ্ধ।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]কাটোয়া ভাগীরথী নদী ও অজয় নদের তীরবর্তী একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থান। পৌষ ৯১৬ বঙ্গাব্দে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু এখানে কেশব ভারতীর কাছে দীক্ষা নেন।[১][২] নাম হয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যগিরি, তাই কাটোয়ার মাহাত্ম্য বৈষ্ণবতীর্থ হিসাবেও। তাঁর সেই দীক্ষাস্থলের নাম এখন গৌরাঙ্গবাড়ি।
মধ্যযুগীয় বঙ্গয় এই শহরটিকে তৎকালীন বাংলা সুবাহর রাজধানী, মুর্শিদাবাদের প্রবেশপথ বলে মানা হতো।[৩] বাংলার নবাব মুর্শিদকুলী খান, তাঁর রাজত্বকালে (১১২৩-১১৩৩ বঙ্গাব্দ) প্রথম কাটোয়াতে একটি চৌকি প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের আমলে (রাজত্বকাল: ১১৪৭ – ১১৬২ বঙ্গাব্দ) নাগপুরের মারাঠা রাজা প্রথম রঘুজী ভোঁসলের মারাঠা সৈন্যরা (বর্গী) এ অঞ্চলে লুটপাট শুরু করে। তারা কাটোয়ায় ঘাঁটি তৈরি করেছিল। মারাঠা 'বর্গী'দের প্রধান ভাস্কর পণ্ডিত এখানে দুর্গাপূজা প্রচলন করেন[৪]। ২ আশ্বিন ১১৪৯ বঙ্গাব্দ (১৭ সেপ্টেম্বর ১৭৪২ খ্রিস্টাব্দ) ভাস্কর পণ্ডিত যখন কাটোয়ায় দুর্গাপুজা পালন করছিলেন, নবাব আলীবর্দী খান কাটোয়ার এক মাইল উত্তরে উদ্ধারনপুরের কাছে গঙ্গা পার হয়ে অকস্মাৎ হামলা করেন এবং এই যুদ্ধে মারাঠা দস্যুদের পরাজয় ঘটে (কাটোয়ার প্রথম যুদ্ধ)।[৫][৬] ১১৫২ বঙ্গাব্দ (ডিসেম্বর ১৭৪৫ খ্রিস্টাব্দ) সালে রঘুজী ভোঁসলের সেনাবাহিনী আবার বঙ্গের ওপরে হামলা করে। কাটোয়ার দ্বিতীয় যুদ্ধে নবাব আলীবর্দী খান আবার তাদের হারায়। মারাঠারা এরপর বাংলা থেকে বিতাড়িত হয়।[৭] ৫ আষাঢ় ১১৬৪ বঙ্গাব্দে (১৯ জুন ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ) পলাশীর যুদ্ধে যাওয়ার পথে, কাটোয়াতে সর্বশেষ নবাবী গ্যারিসনকে পরাজিত করেছিলেন রবার্ট ক্লাইভের ইংরেজি সৈন্যবাহিনী। তার দুই দিন পরে, কাটোয়াতেই রবার্ট ক্লাইভ এবং তার সেনাপতি সমূহ একটি পরামর্শসভায় হুগলি নদী পার হয়ে পলাশীর অভিমুখী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।[৮] ৪ শ্রাবণ ১১৭০ বঙ্গাব্দ (১৯ জুলাই, ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দ), কাটোয়ার তৃতীয় যুদ্ধে ব্রিটিশ সৈন্যরা মীর কাসেমের পরাজয় ঘটায়।[৯]
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে এবং বিখ্যাত ধর্মপ্রচারক উইলিয়াম কেরির পুত্র উইলিয়াম কেরি জুনিয়রের মতো ধর্মপ্রচারকদের উৎসাহে, কাটোয়া একটি শহুরে এলাকায় পরিণত হয়।[১০][১১] খ্রিস্টাব্দ ঊনবিংশ শতাষ্ফীর মাধ্যমে, কাটোয়া একটি সমৃদ্ধশালী শহর হয়ে ওঠে যার প্রধান অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ছিল লবণের নদীমাতৃক বাণিজ্য।[৩] খ্রিস্টাব্দ ১৮৫০ সালে '10th Act of Municipal Rules' অনুযায়ী কাটোয়া একটি তেহসিল শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮ চৈত্র ১২৭৫ বঙ্গাব্দ (১ এপ্রিল ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দ) কাটোয়া পৌরসভা সেই শহরের শাসন সত্তা হিসেবে স্থাপিত হয়।[৩][১২] খ্রিস্টাব্দ বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকে রেলওয়ের নির্মাণের সাথে কাটোয়ার নগরীকরণের প্রক্রিয়া আরো দ্রুততর চলে: কাটোয়া-আজিমগঞ্জ (১৯০৩ সালে নির্মিত), কাটোয়া-ব্যান্ডেল (১৯১২), কাটোয়া-বর্ধমান (১৯১৫) এবং কাটোয়া-আহমেদপুর (১৯১৭)।
কাটোয়ার গঙ্গা নদী ঘাটের কাছে রয়েছে কিছু ঐতিহাসিক মসজিদ, যা নবাবী আমলে তৈরি। এখানে একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে যা মুর্শিদাবাদের কাঠগোলা বাগানবাড়ি র সাথে সংযোগ রয়েছে॥এই পথেই নবাবের সেনারা চলাচল করত॥ বর্তমানে এই পথ বন্ধ॥
॥
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]ভারতের ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুসারে কাটোয়া শহরের জনসংখ্যা হল ৮১,৬১৫ জন;[১৩] এর মধ্যে পুরুষ ৪১,৩৫০ (৫১%) এবং নারী ৪০,২৬৫ (৪৯%)।
এখানে সাক্ষরতার হার ৮৭.১৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৯০.২৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮৩.৯৪%। পশ্চিমবঙ্গের গড় সাক্ষরতার হার ৭৬.২৬%; তার চাইতে কাটোয়ার সাক্ষরতার হার বেশি।
এই শহরের জনসংখ্যার ৮.৩৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
২০১১ জনগণনা অনুসারে, কাটোয়ার জনসংখ্যার ৮১.৯৭ শতাংশ হিন্দু এবং ১৭.৭৫ শতাংশ মুসলিম; অবশিষ্ট শিখ, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন সম্প্রদায়ের ও অসূচিত গণজনের জনসংখ্যা অত্যন্ত অল্প।[১৩]
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]কাটোয়ার অর্থনীতি কৃষি ও কৃষি-সম্পর্কিত ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। কাটোয়ার পার্শ্ববর্তী এলাকার উর্বর মাটি, হুগলি, অজয় ও দামোদর নদীর পলল দ্বারা সমৃদ্ধ।[১৪] পারিপার্শিক গ্রামাঞ্চলে প্রধান শস্যর মধ্যে পরে ধান, পাট, সরিষা, আঁখ এবং বিভিন্ন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় শাকসবজি।[১৫] অঞ্চলের কৃষি পণ্য বিপণনের জন্য এবং পার্শ্ববর্তী জনগোষ্ঠীর খুচরা ও ভোক্তা সেবা প্রদানের জন্য কাটোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।[৩] শিল্প বলতে কুটিরশিল্প এবং ক্ষুদ্র কৃষি সম্পর্কিত উদক্তা, যেমন চালকল বা পাটকল ইত্যাদির মধ্যে সীমিত।
২০১১ সালে শহুরে এলাকার মধ্যে, 0.৮১% শ্রমিক কৃষি খাতে নিযুক্ত, ৫.৯৬% শ্রমিক উৎপাদন খাতে নিযুক্ত, এবং ৯৩.৭০% শ্রমিক সেবা খাতে নিযুক্ত।[৩]
কাটোয়া সুপার থার্মাল পাওয়ার স্টেশন একটি সুপার-ক্রিটিকাল (৬৬০ মেগাওয়াট x ২) ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র যেটা বর্তমানে কাটোয়া থেকে ৮ কি.মি. দূরে শ্রীখণ্ড গ্রামে জাতীয় তাপবিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড (এন.টি.পি.সি.) দ্বারা নির্মাণাধীন।[১৬]
পর্যটন
[সম্পাদনা]কাটোয়ার পর্যটক আকর্ষণের মধ্যে পড়ে:
- শ্রী গৌরঙ্গ বারি মন্দির: যে স্থলে শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু তাঁর গুরু কেশব ভারতীর নিকট সন্নাস্যব্রতে দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন।[১৭][১৮]
- মাধাইতলা আশ্রম: শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর দুই বিখ্যাত শিষ্য, জগাই ও মাধাই দ্বারা পরিদর্শিত একটি আশ্রম, এবং বর্তমানে গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।[১৭][১৮]
- শাহ আলমের দরগাহ: নবাব মুর্শিদকুলী খান দ্বারা নির্মিত, অষ্টদশ শতকের একটি প্ৰত্নতাত্ত্বিক নির্মাণ।[১৮]
মানব সম্পদ
[সম্পাদনা]শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
[সম্পাদনা]উচ্চশিক্ষা
[সম্পাদনা]১১০ টি মতো উচ্চবিদ্যালয় আছে সমগ্র কাটোয়া মহকুমাতে।
কাটোয়া শহরে মোট উচ্চবিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮টি
• কাটোয়া কাশীরাম দাস বিদ্যায়তন
• কাটোয়া ভারতী ভবন উচ্চ বিদ্যালয়
• কাটোয়া জানকীলাল শিক্ষাসদন
• কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানি উচ্চ বিদ্যালয়
• কাটোয়া বালিকা বিদ্যালয়
• কাটোয়া শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ
• কাটোয়া কাশীশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়
• কাটোয়া আদর্শপল্লি উচ্চ বিদ্যালয়
দাঁইহাট শহরে মোট উচ্চবিদ্যালয় সংখ্যা ৩ টি
• দাঁইহাট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়
• দাঁইহাট উচ্চবিদ্যালয়
• দাঁইহাট ড. সুধাময় চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়
এছাড়াও মহকুমার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উচ্চবিদ্যালয়গুলি হল (edited by Ankit) -
• মাথরুন নবীনচন্দ্র বিদ্যায়তন
• মাজিগ্রাম বিশ্বেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়
মহাবিদ্যালয়
- কাটোয়া মহাবিদ্যালয়[১৯]
- কান্দরা কলেজ
- চন্দ্রপুর কলেজ
- খুদরুণ সরকারি মহাবিদ্যালয়
- কাটোয়া বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অব্ টেকনোলজি
- বঙ্গ প্রৌদ্যোগিকী সংস্থান, কাটোয়া[২০]
- কাটোয়া সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান[২১]
গ্রন্থাগার
[সম্পাদনা]- কাটোয়া মহকুমা গ্রন্থাগার[২২]
- কাটোয়া লিটল ম্যাগাজিন আর্কাইভ
- দাঁইহাট টাউন লাইব্রেরি
জনস্বাস্থ্য
[সম্পাদনা]কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল একটি ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল যেখান থেকে পুরো মহকুমার স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়।[২৩] এছাড়া কয়েকটা বেসরকারি নার্সিং হোমও শহরের স্বাস্থ্যসেবায় নিযুক্ত আছে।[৩]
কাটোয়া থেকে পাঁচ কি.মি. দূরে অবস্থিত, আনন্দনিকেতন সোসাইটি ফর মেন্টাল হেলথ কেয়ার একটি অলাভজনক সংস্থা যেখানে শারীরিক, মানসিক এবং/বা বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতাযুক্ত ৩৫০ শিশু, কিশোরী এবং প্রাপ্তবয়স্ককে আবাসিক যত্ন প্রদান করা হয়।[২৪]
জননিরাপত্তা
[সম্পাদনা]পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের কাটোয়া থানার অধিক্ষেত্রে পরে কাটোয়া ও দাঁইহাট পৌর এলাকা এবং কাটোয়া-১ ও কাটোয়া-২ সিডি ব্লক। মোট অধিক্ষেত্র এলাকা হল ৩৫১.০৩ বর্গ কি.মি.।[২৫]
সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]কাটোয়ার প্রধান সংস্কৃতি পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জায়গার সমতুল্য এবং বাঙালি হিন্দু সংস্কৃতি দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। কাটোয়ার জনপ্রিয় উৎসবের মধ্যে পরে:
- পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ (১৪/১৫ এপ্রিল)
- রথযাত্রা (আষাঢ়, জুলাই)
- দুর্গা পূজা (আশ্বিন / চৈত্র, সেপ্টেম্বর / অক্টোবর)
- জগদ্ধাত্রী পূজা (কার্তিক, অক্টোবর / নভেম্বর)
- কালী পূজা (কার্তিক, অক্টোবর / নভেম্বর)
- কার্তিক লড়াই (কার্তিক, নভেম্বর)
- সরস্বতী পূজা (মাঘ, ফেব্রুয়ারি / মার্চ)
- দোল পূর্ণিমা বা দোল যাত্রা (ফাল্গুন, ফেব্রুয়ারি / মার্চ)
- গৌড়-পূর্ণিমা, চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মদিন (ফাল্গুন, ফেব্রুয়ারি / মার্চ)
কাটোয়া অঞ্চলের কার্তিক পূজা বা "কার্তিক লড়াই" বিশেষ প্রসিদ্ধ।[২৬][২৭] উপাসনার বস্তু হলো একটি নবীন যুবকের প্রতিমা, যাকে তারুণ্যের অনুযায়ী 'ন্যাংটো কার্তিক' বলা হয়। বৃহত্তর কাটোয়া এলাকায়, ২৫০-এর বেশি সমিতি কার্তিক পূজা সংগঠন করে এবং একে অপরে প্যান্ডেলের অলঙ্করণ বা দেবতার ভাস্কর্যের উপর প্রতিযোগিতা করে।[২৬][২৮] পূজার দিনের পরে, সেই প্রতিমা নিয়ে সমিতির সদস্যরা এবং শহরের বাসিন্দারা সারা শহর ঘুরে নিকটবর্তী হুগলী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করতে যায়। মিছিলের সহিত অনেক গান-বাজনা, নাচ, হই-চই হয় যাতে পুরো শহরটা সেই উৎসবের আনন্দতে মেতে ওঠে।[২৬]
পরিবহন
[সম্পাদনা]সড়কপথ
[সম্পাদনা]কাটোয়া সড়কপথে জেলা সদর বর্ধমানের সাথে যুক্ত। কাটোয়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মহাসড়ক ৬ দ্বারা সিউড়ি ও শিবপুরের সঙ্গে সংযুক্ত, এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মহাসড়ক ১৪ দ্বারা বোলপুর ও পলাশীর সাথে সংযুক্ত। হুগলি নদী অতিক্রম করার সবচেয়ে নিকটবর্তী সেতু হচ্ছে ৪১ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিথ নবদ্বীপ-মায়াপুরের গৌরাঙ্গ সেতু।
রেলপথ
[সম্পাদনা]হাওড়া - আজিমগঞ্জ ও হাওড়া - কাটোয়া লাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন হল কাটোয়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন। হাওড়া হতে উত্তরবঙ্গের রেলপথে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। এখানে কিছুকাল আগে পর্যন্ত কাটোয়া - আহমেদপুর ও কাটোয়া - বর্ধমান ঐতিহ্যবাহী ন্যারো গেজ রেল চলাচল করতো। বর্তমানে ন্যারো গেজের বদলে কাটোয়া-আহমাদপুর লাইন এবং কাটোয়া-বর্ধমান লাইন ব্রড গেজে উন্নতীকরণ হয়েছে। কাটোয়া থেকে হাওড়া যেতে গেলে মোট ৩৯ টি স্টেশন পড়বে
জলপথ
[সম্পাদনা]জাতীয় জলপথ ১-এর ওপরে কাটোয়ায় একটি ৩০ মিটার (৯৮ ফুট) লম্বা ভাসমান নোঙ্গরস্থান আছে। ভাগীরথী নদীর অপর পারে দেবগ্রাম হয়ে নদীয়া জেলার সাথে নদীপথে যোগাযোগ আছ।
প্রশাসন
[সম্পাদনা]কাটোয়া শহরটি বিশ (২০) প্রশাসনিক ওয়ার্ডে বিভক্ত।[২৯] প্রতি পাঁচ (৫) বছর, কাটোয়া পৌরসভা নির্বাচনে প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে একটি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়।[৩০] সবচেয়ে সাম্প্রতিক নির্বাচন ২০২২ সালে হয়েছিল।[৩১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Kesava Bharati offered the sannyasa order to Sri Caitanya Mahaprabhu in the year 1432 sakabda (A.D. 1510) in Katwa - Vaniquotes". vaniquotes.org. Retrieved 2018-01-23.
- ↑ "Sri Gauranga Bari Temple at Katwa – Where Lord Caitanya took sannyasa". http://www.iskcondesiretree.com. Retrieved 2018-01-23.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Roy, Tuhin. "Unacknowledged Urbanisation and Dynamics of Urban Mobility: An Experience of Katwa Town, District: Burdwan, West Bengal, India" (PDF). Quest: Multidisciplinary Journal of Humanities and Social Sciences. 3: 5.
- ↑ সৌমেন দত্ত (১ ২ অক্টোবর ০১৪)। "ভাস্কর পন্ডিতের পূজোর সাক্ষ্য"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৪.০১.২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ড. মুহম্মদ আব্দুর রহিম. বাংলাদেশের ইতিহাস. আলীবর্দী ও মারাঠা আক্রমণ. পৃ. ২৯৪.
- ↑ Jacques, Tony. Dictionary of Battles and Sieges. Greenwood Press. p. 516. ISBN 978-0-313-33536-5. Archived from the original on 2015-06-26.
- ↑ মারাঠা আক্রমণ। "ঐতিহাসিক পটভূমিকা"। ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার। ২৭ ২ ফেব্রুয়ারি ০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪.০১.১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=, |আর্কাইভের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Sengupta, Nitish (২০১১)। Land of Two Rivers। Penguin Books। পৃষ্ঠা 158-162; 170। আইএসবিএন ISBN 9780143416784
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। - ↑ Malleson, George Bruce (১৮৮৫)। The Decisive Battles of India, from 1746 to 1849 Inclusive (ইংরেজি ভাষায়)। Allen।
- ↑ "William Robinson"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১২।
- ↑ Andrews, C. F. (Charles Freer) ([c1932])। What I owe to Christ [microform]। New York, Cincinnati [etc.] : The Abingdon press। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Peterson, J.C.K. (1997). "Bengal District Gazetteers - Burdwan" (PDF). Government of West Bengal: 218.
- ↑ ক খ "Katwa City Population Census 2011 - West Bengal"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২৪।
- ↑ "Geography : Burdwan District"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৭।
- ↑ "Business and Economy of Bardhaman, Industries in Bardhaman"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৭।
- ↑ Majumdar, Arkamoy Dutta (২০১৭-০৪-১২)। "NTPC puts Katwa power project on hold"। http://www.livemint.com/। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৮।
|সংবাদপত্র=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ ক খ "West Bengal : Katwa"। IndiaTravelCompanion.com। ২০১৮-০২-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৭।
- ↑ ক খ গ "Tourism : Burdwan District"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৭।
- ↑ "::Welcome To The Official Website Of Katwa College::"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৭।
- ↑ "Bengal Institute of Technology - Katwa,Burdwan | University | India | eListing.in"। eListing.in (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০২-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৭।
- ↑ ":: KATWA GOVERNMENT PRIMARY TEACHER'S TRAINING INSTITUTE ::"। ২০১৮-০২-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৭।
- ↑ "Town Library Automation » Katwa Sub-Divisional Library" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৭।
- ↑ "Welcome to WB HEALTH Portal"। ২০১৮-০২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২০।
- ↑ "Anandaniketan"। ২০১৮-০২-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২০।
- ↑ "Burdwan District Police"। ২০১৮-০২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২০।
- ↑ ক খ গ "কেন আজও ন্যাংটো কার্তিকের পুজো হয় কাটোয়ায়?"। Sangbad Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২২।
- ↑ "আলোয় সেজেছে রাস্তা, কার্তিক পুজোকে ঘিরে জমজমাট কাটোয়া– News18 Bengali"। ২০১৮-০২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২২।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব। "কার্তিকের থিমে কুরুক্ষেত্র, ছৌ"। anandabazar.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৩।
- ↑ "Number of wards to be increased in 26 municipalities in Bengal : All India Trinamool Congress" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০২-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২২।
- ↑ "Offical Web Site of Department of Municipal Affairs, Govt of West Bengal"। ২০১৮-০২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২২।
- ↑ The Kolkata Gazette: West Bengal State Election Commission Notification. Kolkata: Government of West Bengal. 2015. p. 343.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |