গৌতম বুদ্ধ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Gautama Buddha থেকে পুনর্নির্দেশিত)
গৌতম বুদ্ধ
ভগবান বুদ্ধ
অন্য নামসিদ্ধার্থ গৌতম, সিদ্ধাত্থ গোতম, শাক্যমুণি বুদ্ধ,শাক্যসিংহ
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম
সিদ্ধার্থ গৌতম

আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৬ অথবা ৪৮৬অব্দ[১][২][পাদটীকা ১]
মৃত্যুমহাপরিনির্বাণ লাভ আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৩ অথবা ৪০০ অব্দে (৮০ বছর) [পাদটীকা ১]
দাম্পত্য সঙ্গীযশোধরা
সন্তান
পিতামাতা
যে জন্য পরিচিতবৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
অন্য নামসিদ্ধার্থ গৌতম, সিদ্ধাত্থ গোতম, শাক্যমুণি বুদ্ধ,শাক্যসিংহ
ঊর্ধ্বতন পদ
পূর্বসূরীকস্‌সপ বুদ্ধ [৪]
উত্তরসূরীমৈত্রেয় বুদ্ধ [৪]
গৌতম বুদ্ধ
চীনা নাম
চীনা 佛陀
বর্মী নাম
বর্মী ভাষাဂေါတမ ဗုဒ္ဓ
ভিয়েতনামীয় নাম
ভিয়েতনামী বর্ণমালা Tất-đạt-đa Cồ-đàm
থাই নাম
থাইพระพุทธเจ้า
কোরীয় নাম
হাঙ্গুল부처
জাপানি নাম
কাঞ্জি 釈迦
হিরাগানা しゃか
বাংলা নাম
বাংলাগৌতম বুদ্ধ
নেপালি নাম
নেপালিगौतम बुद्ध
san নাম
sanगौतम बुद्ध

গৌতম বুদ্ধ হলেন বৌদ্ধধর্মের ২৮তম বুদ্ধ ও একজন সম্যাক সম্বুুদ্ধ (তপস্বী) ও জ্ঞানী, [৫] যাঁর তত্ত্ব অনুসারে বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হয়।[পাদটীকা ৪] তিনি সিদ্ধার্থ গৌতম, শাক্যমুনি বুদ্ধ [পাদটীকা ৫] অথবা ‘বুদ্ধ’ উপাধি অনুযায়ী শুধুমাত্র বুদ্ধ নামেও পরিচিত। অনুমান করা হয়, তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৬২৫ অব্দে একদা প্রাচীন ভারতের পূর্বাঞ্চলে জীবিত ছিলেন এবং শিক্ষাদান করেছিলেন। [৬][৭][৮] [পাদটীকা ৬] গৌতম বুদ্ধ ভোগবাসনা চরিতার্থ-করণ এবং তার অঞ্চল জুড়ে প্রচলিত শ্রমণ আন্দোলনের আদর্শ অনুসারে অনুসারীদের কঠোর তপস্যার মধ্যে মধ্যপন্থা শিক্ষা দিয়েছিলেন। [৯] পরবর্তীকালে তিনি মগধ এবং কোশলসহ পূর্ব ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও শিক্ষাদান করেছিলেন। [৮][১০] তিনি মিথ্যাদৃষ্টি, অজ্ঞানতা, তৃষ্ণা, পুনর্জন্ম এবং কষ্ট থেকে মুক্ত হয়ে পরম সুখ নির্বাণের পথ শিখিয়েছিলেন।[৭][৮][পাদটীকা ৬]

বৌদ্ধরা তাকে সেই বোধিপ্রাপ্ত বা দিব্য [১১] শিক্ষক মনে করে, যিনি সম্পূর্ণ বুদ্ধত্ব অর্জন করেছেন এবং নিজের অন্তর্দৃষ্টির কথা সবাইকে জানিয়ে দিয়ে চেতন সত্ত্বাদের পুনর্জন্ম এবং দুঃখের সমাপ্তি ঘটাতে সাহায্য করেছেন। বৌদ্ধরা বিশ্বাস করেন যে গৌতম বুদ্ধের জীবনকাহিনী, কথোপকথনের বিবরণ, সন্ন্যাস নিয়মাবলী তার মৃত্যুর পর হতে সঙ্গায়নের মাধ্যমে বুদ্ধের বাণী সংরক্ষণ করে রাখতেন। ইতিহাসে এ রকম এই পর্যন্ত ছয়টি সঙ্গায়ন হয়েছে। প্রথম সঙ্গায়ন হয় বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের পর রাজা অজাতশত্রুর পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতের সপ্তপর্ণী গুহায় এবং এর দ্বিতীয়টি হয় বৈশালীতে কালাশোকের পৃষ্ঠপোষকতায় । তৃতীয়টি হয় সম্রাট অশোক মৌর্যের পৃষ্ঠপোষকতায়। এভাবে বড় বড় রাজা ও শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় ত্রিপিটক বুদ্ধবচন সংরক্ষিত হয়ে আসছে। [১২]

ঐতিহাসিক সিদ্ধার্থ গৌতম[সম্পাদনা]

বুদ্ধের সমসাময়িক প্রাচীন ভারতের রাজ্য ও শহরগুলির মানচিত্র

বুদ্ধের জীবনের ঐতিহাসিক তথ্য সম্পর্কে কোনও প্রকার দুর্বল দাবি উত্থাপন করতে গবেষকরা দ্বিধাবোধ করেন। তাদের অধিকাংশই মেনে নিয়েছেন যে, বুদ্ধ মহাজনপদের যুগে মগধ সাম্রাজ্যের শাসক বিম্বিসারের রাজত্বকালে জীবিত ছিলেন, শিক্ষাদান করেছিলেন এবং একটি ভিক্ষু সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন (আনু. ৫৫৮ – আনু. ৪৯১ BCE),[১৩][১৪] তার মৃত্যু হয়েছিল বিম্বিসারের উত্তরসূরি অজাতশত্রু শাসনকালের প্রথম দিকে। সেই হিসেবে বুদ্ধ ছিলেন জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীরের কনিষ্ঠ সমসাময়িক।[১৫][১৬] বৈদিক ব্রাহ্মণ্যবাদ ছাড়াও বুদ্ধের জীবন ছিল আজীবক, চার্বাক, জৈনধর্মঅঞ্জন প্রভৃতি প্রভাবশালী শ্রমণ চিন্তাধারার উদয়কালের সমসাময়িক।[১৭] দীর্ঘ নিকায় গ্রন্থে ব্রহ্মজাল সুত্রে এই ধরনের বাষট্টিটি মতবাদের কথা বিবৃত হয়েছে। সেই যুগেই মহাবীর, পূরণ কস্সপ, মক্খলি গোসাল, অজিত কেশকম্বলী, পকুধ কচ্চায়ন, সঞ্জয় বেলট্ঠিপুত্ত প্রমুখ প্রভাবশালী দার্শনিক তাদের মত প্রচার করেছিলেন। পিটকে সামান্নফল সুত্র এঁদের কথা উল্লিখিত হয়েছে। বুদ্ধ নিশ্চয় এঁদের মতবাদ সম্পর্কে অবহিত ছিলেন।[১৮][১৯][পাদটীকা ৭] বুদ্ধের প্রধান দুই শিষ্য সারিপুত্তমৌদ্গল্যায়ন প্রথম জীবনে ছিলেন সংশয়বাদী সঞ্জয় বেলট্ঠিপুত্তর প্রধান শিষ্য।[২১] ত্রিপিটকে প্রায়শই দেখা যায় যে, বুদ্ধ তার প্রতিদ্বন্দ্বী মতধারার সমর্থকদের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন। অর্থাৎ, বুদ্ধ নিজেও ছিলেন সমসাময়িক কালের অন্যতম শ্রমণ দার্শনিক।[২২] এমনও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে আলার কালামউদ্দক রামপুত্ত নামে দুই দার্শনিকও ঐতিহাসিক চরিত্র। বুদ্ধের জীবনকথায় “জন্ম, বয়ঃপ্রাপ্তি, সন্ন্যাসগ্রহণ, আধাত্মিক অনুসন্ধান, বোধিলাভ, শিক্ষাদান ও মহাপরিনির্বাণ”র ধারাটি সাধারণভাবে স্বীকৃত হলেও, প্রথাগত জীবনীগ্রন্থগুলিতে বিভিন্ন বিবরণের সত্যতা সম্পর্কে মতৈক্য খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়।[২৩][২৪]

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিককার অধিকাংশ ঐতিহাসিক ৫৬৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৪৮৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে তাঁর জীবনকাল হিসেবে নিরূপণ করেন।[১][২৫] ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে বুদ্ধের জীবনীর ওপর আয়োজিত একটি সম্মেলনে অধিকাংশের বক্তৃতায় ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের নিকটবর্তী বছরগুলির মধ্যে বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের সময়কাল বলে নিরূপণ করেন।[১][২৬][২৭][পাদটীকা ৬] এই বিকল্প মতবাদগুলি সমস্ত ঐতিহাসিকদের দ্বারা স্বীকৃত নয়।[৩২][৩৩][পাদটীকা ৮]

প্রাচীন গ্রন্থগুলি থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, সিদ্ধার্থ গৌতম শাক্য জনগোষ্ঠীতে জন্মগ্রহণ করেন। এই গোষ্ঠী খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মূল ভূখণ্ড থেকে সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক ভাবে কিছুটা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি ক্ষুদ্র গণতন্ত্র বা গোষ্ঠীতন্ত্র হিসেবে শাসন করত।[৩৭] সিদ্ধার্থ গৌতমের পিতা শুদ্ধোধন একজন নির্বাচিত গোষ্ঠীপতি ছিলেন, যার ওপর রাজ্যশাসনের দায়িত্ব ছিল।[৩৭] বৌদ্ধ ঐতিহ্যানুসারে, গৌতম অধুনা নেপালের লুম্বিনী নগরে জন্মগ্রহণ করেন ও কপিলাবস্তুতে বড় হয়ে ওঠেন।[পাদটীকা ২] প্রায় দুই শতাব্দী পরে সম্রাট অশোক গৌতমের জন্মস্থানে তীর্থ করতে গিয়ে লুম্বিনীতে স্তম্ভ স্থাপন করেন। এবং গৌতমের স্মৃতিবিজরিত স্থানগুলোতে তীর্থ যাত্রা করে সম্রাট স্তম্ভ, বিহার নির্মাণ করেন। তার অন্য একটি স্তম্ভে বিভিন্ন ধম্ম পুথির উল্লেখ রয়েছে, যার দ্বারা মৌর্য যুগে লিখিত বৌদ্ধ ঐতিহ্যের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়।[পাদটীকা ১২] পূর্ব আফগানিস্তানের জালালাবাদের নিকটে হাড্ডা হতে আবিষ্কৃত খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় থেকে প্রথম শতাব্দীতে গান্ধারী ভাষায় রচিত ও খরোষ্ঠী লিপিতে লিখিত সাতাশটি বার্চের ছালের গান্ধার বৌদ্ধ পুঁথিগুলি বর্তমানে টিকে থাকা বৌদ্ধ পুঁথিগুলির মধ্যে প্রাচীনতম।[৫২]

জীবনীগ্রন্থ[সম্পাদনা]

বিভিন্ন ঐতিহ্যশালী জীবনীগ্রন্থগুলি সিদ্ধার্থ গৌতমের জীবনীর মূল উৎস।[৫৩] ত্রিপিটকে বুদ্ধবংস নামক গ্রন্থে গৌতম বুদ্ধের জীবনীও পাওয়া যায়। যেহেতু পালি ত্রিপিটক বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের পর হতে সংকলিত হয়েছে তাই এই গ্রন্থের সত্যতা মেনে নিলেও ভুল হবে না। এই গ্রন্থে বর্ণনা তথাগত বুদ্ধ নিজেই প্রকাশ করেছেন।দ্বিতীয় শতাব্দীতে [৫৩] অশ্বঘোষ দ্বারা রচিত বুদ্ধচরিত[৫৪][৫৫][৫৬] নামক মহাকাব্যটি বুদ্ধের প্রথম পূর্ণ জীবনীগ্রন্থ। তৃতীয় শতকে রচিত ললিতবিস্তার সূত্র গৌতম বুদ্ধের জীবনী নিয়ে লিখিত পরবর্তী গ্রন্থ।[৫৭] সম্ভবতঃ চতুর্থ শতাব্দীতে রচিত মহাসাঙ্ঘিক লোকোত্তরবাদ ঐতিহ্যের মহাবস্তু গ্রন্থটি অপর একটি প্রধান জীবনী গ্রন্থ হিসেবে পরিগণিত হয়।[৫৭] তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীতে রচিত ধর্মগুপ্তক ঐতিহ্যের অভিনিষ্ক্রমণ সূত্র গ্রন্থটি বুদ্ধের একটি বিরাট জীবনীগ্রন্থ।[৫৮] সর্বশেষে পঞ্চম শতাব্দীতে রচিত বুদ্ধঘোষ রচিত থেরবাদ ঐতিহ্যের নিদানকথা উল্লেখ্য।[৫৯] ত্রিপিটকের অংশ হিসেবে জাতক,[৬০] মহাপদন সূত্ত ও আচারিয়াভুত সুত্তে বুদ্ধের পূর্ণ জীবনী না থাকলেও কিছু নির্বাচিত অংশ রয়েছে।। আর বুদ্ধঘোষের রচিত পদ্যচূড়ামণি গ্রন্থেও বুদ্ধের জীবনী পাওয়া যায়। [৬১] এই সমস্ত ঐতিহ্যশালী জীবনীগ্রন্থে বুদ্ধের জীবনী পাওয়া যায়। মহাবস্তু প্রভৃতি গ্রন্থে বুদ্ধকে লোকোত্তর সর্বোৎকৃষ্ট চরিত্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যিনি জাগতিক বিশ্বের সমস্ত ভার থেকে মুক্ত।[৬২][৬৩][৬৪] কিন্তু তা হলেও এই সমস্ত গ্রন্থ থেকে খুঁটিনাটি সাধারণ বিবরণগুলিকে একত্র করে বুদ্ধের জীবনের বিভিন্ন দিক সম্বন্ধে আলোকপাত সম্ভব হয়েছে।

প্রাচীন যুগের ভারতীয়রা ইতিহাস ও কালপঞ্জীর ব্যাপারে নির্লিপ্ত ছিলেন, বরং তারা দর্শনের ওপর বেশি মনোযোগী ছিলেন। বৌদ্ধ গ্রন্থগুলিতে এই ধারার চিত্র লক্ষ্য করা যায়, যেখানে তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি সম্বন্ধে যত বা উল্লেখ রয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে তার শিক্ষা ও দর্শনের বর্ণনা করা হয়েছে। এই গ্রন্থগুলিতে প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতি ও দৈনন্দিন জীবন সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।[৬৫] যাই হোক না কেন, এসব ঐতিহাসিক গ্রন্থ থেকে গৌতম বুদ্ধের ঐতিহাসিকতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।[৬৬]

নাম এবং উপাধি[সম্পাদনা]

"বুদ্ধ" এবং সিদ্ধার্থ গৌতম (পালি: Siddhattha Gotama) নাম ছাড়াও, তিনি শাক্যমুনি (" শাক্যদের ঋষি") এর মতো অন্যান্য নাম ও উপাধিতেও পরিচিত ছিলেন। [৬৭] [৬৮] গৌতমের বংশীয় নামের অর্থ "গোতমার বংশধর", "গোতম" অর্থ "যার কাছে সবচেয়ে বেশি আলো আছে", [৬৯] এবং ক্ষত্রিয় গোষ্ঠী তাদের বাড়ির পুরোহিতদের নাম গ্রহণ করে। . [৭০] [৭১]

হাদ্দা, আফগানিস্তানের তাপা শোটর মঠ থেকে উপবিষ্ট বুদ্ধ, খ্রিস্টীয় ২য় শতকে

উপাখ্যানগুলির একটি সাধারণ তালিকা সাধারণত ক্যানোনিকাল গ্রন্থগুলিতে একসাথে দেখা যায় এবং তার কিছু আধ্যাত্মিক গুণাবলীকে চিত্রিত করে:

  • সম্সমবুদ্ধো - পুরোপুরি স্ব-জাগ্রত
  • ভিজ্জা-কারনা-সাম্পানো - উচ্চতর জ্ঞান এবং আদর্শ আচরণে সমৃদ্ধ।
  • সুগত - ভাল গেছে বা ভাল কথা বলা.
  • লোকভিদু - বহু জগতের জ্ঞানী।
  • অনুত্তরো পুরীসা-দম্ম-সারথি - অপ্রশিক্ষিত লোকদের অদক্ষ প্রশিক্ষক।
  • সত্থদেব-মনুসানা - দেবতা ও মানুষের শিক্ষক।
  • ভাগবতো - ধন্য এক
  • অরহং - শ্রদ্ধার যোগ্য। অরহন্ত হল "কলঙ্কের সাথে ধ্বংসপ্রাপ্ত একজন, যিনি পবিত্র জীবন যাপন করেছেন, যা করতে হবে তা করেছেন, বোঝা চাপিয়েছেন, প্রকৃত লক্ষ্যে পৌঁছেছেন, সত্তার শৃঙ্খল ধ্বংস করেছেন এবং চূড়ান্ত জ্ঞানের মাধ্যমে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছেন।"
  • জিনা - বিজয়ী। যদিও এই শব্দটি সাধারণত জৈন ধর্মে মুক্তি লাভ করেছেন এমন একজন ব্যক্তির নাম বলতে ব্যবহৃত হয়, এটি বুদ্ধের জন্য একটি বিকল্প উপাধিও। [৭২]

পালি ত্রিপিটকে বুদ্ধের জন্য আরও অসংখ্য উপাধি এবং উপাধি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: সর্বদর্শী, সর্ব-অতিক্রমী ঋষি, পুরুষদের মধ্যে ষাঁড়, ক্যারাভান নেতা, অন্ধকার দূরীকরণকারী, চোখ, সারথিদের অগ্রণী, যারা অতিক্রম করতে পারে তাদের মধ্যে অগ্রণী।, ধর্মের রাজা ( ধর্মরাজ ), সূর্যের আত্মীয়, জগতের সাহায্যকারী ( লোকনাথ ), সিংহ ( সিহা ), ধম্মের প্রভু, চমৎকার জ্ঞানের ( ভারপানা ), দীপ্তিমান এক, মানবজাতির মশালবাহক, অতুলনীয় ডাক্তার এবং সার্জন, যুদ্ধে বিজয়ী, এবং শক্তির চালক। [৭৩]

জীবনী[সম্পাদনা]

প্রথম জীবন[সম্পাদনা]

লুম্বিনী নগরে সিদ্ধার্থের জন্ম

শ্বশুরালয় কপিলাবস্তু থেকে পিতৃরাজ্যে যাবার পথে অধুনা নেপালের তরাই অঞ্চলেরে অন্তর্গত লুম্বিনী গ্রামে এক শালগাছের তলায় সিদ্ধার্থের জন্ম দেন। তার জন্মের সময় বা সপ্তম দিনে মায়াদেবীর জীবনাবসান হয়। শুদ্ধোধন শিশুর জন্মের পঞ্চম দিনে নামকরণের জন্য আটজন ব্রাহ্মণকে আমন্ত্রণ জানালে তারা শিশুর নাম রাখেন সিদ্ধার্থ অর্থাৎ যিনি সিদ্ধিলাভ করেছেন।[৭৪] এই সময় পর্বতদেশ থেকে আগত অসিত নাম একজন সাধু নবজাত শিশুকে দেখে ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে এই শিশু পরবর্তীকালে একজন রাজচক্রবর্তী অথবা একজন সিদ্ধ সাধক হবেন।[৭৪] একমাত্র সর্বকনিষ্ঠ আমন্ত্রিত ব্রাহ্মণ কৌণ্ডিন্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, এই শিশু পরবর্তীকালে বুদ্ধত্ব লাভ করবেন।[৭৫] মাতার মৃত্যুর পর তিনি বিমাতা মহাপজাপতি গোতমী কর্তৃক লালিত হন।[৭৬] ষোলো বছর বয়সে তাকে সংসারের প্রতি মনোযোগী করার জন্য তার পিতামাতা তাকে কোলিয় গণের সুন্দরী কন্যা যশোধরার সাথে বিবাহ দেন ও রাহুল নামক এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। সিদ্ধার্থ তার জীবনের প্রথম উনত্রিশ বছর রাজপুত্র হিসেবে অতিবাহিত করেন। বৌদ্ধ পুঁথিগুলি অনুসারে পিতা শুদ্ধোধন তার জীবনে বিলাসিতার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও সিদ্ধার্থ বস্তুগত ঐশ্বর্য্য যে জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না, তা উপলব্ধি করা শুরু করেন।[৭৬]

মহাভিনিষ্ক্রমণ[সম্পাদনা]

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তুলিতে সিদ্ধার্থের মহাভিনিষ্ক্রমণ

কথিত আছে, উনত্রিশ বছর বয়সে রাজকুমার সিদ্ধার্থ প্রাসাদ থেকে কয়েকবার ভ্রমণে বেরোলে তিনি একজন বৃদ্ধ মানুষ, একজন অসুস্থ মানুষ, একজন মৃত মানুষ ও একজন সন্ন্যাসীকে দেখতে পান। সাংসারিক দুঃখ কষ্টে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ সিদ্ধার্থ তার সারথি ছন্নকে এঁদের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে, ছন্ন তাকে বুঝিয়ে বলেন যে সকল মানুষের নিয়তি যে তারা একসময় বৃদ্ধ, অসুস্থ হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হবে। মুণ্ডিতমস্তক পীতবর্ণের জীর্ণ বাস পরিহিত সন্ন্যাসী সম্বন্ধে ছন্ন তাকে বলেন, যে তিনি মানুষের দুঃখের জন্য নিজ গার্হস্থ্য জীবন ত্যাগ করেছেন, তিনিই সন্ন্যাসী। এই নূতন অভিজ্ঞতায় বিষাদগ্রস্ত সিদ্ধার্থ বাধর্ক্য, জরা ও মৃত্যুকে জয় করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়ে একজন সন্ন্যাসীর জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেন।[৭৭] সংসারের প্রতি বীতরাগ সিদ্ধার্থ এক রাত্রে ঘুমন্ত স্ত্রী, পুত্র, পরিবারকে নিঃশব্দ বিদায় জানিয়ে প্রিয় অশ্ব কন্থক]] নিয়ে প্রাসাদ ত্যাগ করেন। প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে বনের শেষ প্রান্তে পৌঁছে রাজবস্ত্র ত্যাগ করে তলোয়ার দিয়ে তার লম্বা চুল কেটে মুণ্ডিতমস্তক হন। এরপর কন্থকছন্নকে বিদায় জানিয়ে রাজগৃহের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

বোধিলাভ[সম্পাদনা]

কঠিন তপস্যার ফলে অস্থিচর্মসার সিদ্ধার্থ

প্রথমে তিনি আলার কালাম নামক একজন সন্ন্যাসীর নিকট যোগ শিক্ষা করেন।[৭৮][৭৯][৮০] কিন্তু তার প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর লাভ না করায় এরপর তিনি উদ্দক রামপুত্ত নামক অপর একজন সন্ন্যাসীর নিকট শিষ্যত্ব গ্রহণ করে যোগশিক্ষা লাভ করেন।[৮১] কিন্তু এখানেও তার জিজ্ঞাসা পূরণ না হওয়ায় তিনি তাকে ত্যাগ করে[৮২] বুদ্ধগয়ার নিকট উরুবিল্ব নামক একটি রম্য স্থানে গমন করেন।

শরীরকে অপরিসীম কষ্ট প্রদানের মাধ্যমে মুক্তিলাভ হয় এই বিশ্বাসে তিনি ও অন্য পাঁচজন তপস্বী ছয় বছর ধরে অনশন, শারীরিক নিপীড়ন ও কঠোর সাধনায় অতিবাহিত করেন। দীর্ঘকাল ধরে কঠোর তপস্যার পর তার শরীর অস্থিচর্মসার হয়ে পড়ে ও তার অঙ্গসঞ্চালনের ক্ষমতা কমে গিয়ে তিনি মরণাপন্ন হলে তার উপলব্ধি হয় যে, অনশনক্লিষ্ট দুর্বল দেহে শরীরকে অপরিসীম কষ্ট দিয়ে কঠোর তপস্যা করে বোধিলাভ সম্ভব নয়।[৮৩] ধর্মচক্রপ্রবর্তন সূত্রানুসারে,[৮৩] অসংযত বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং কঠোর তপস্যার মধ্যবর্তী একটি মধ্যম পথের সন্ধান করে বোধিলাভ সম্ভব বলে তিনি উপলব্ধি করেন।[৮৩] তিনি তাই আবার খাদ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেন ও সুজাতা নাম্নী এক স্থানীয় গ্রাম্য কন্যার কাছ থেকে তিনি এক পাত্র পরমান্ন আহার করেন।[৮৪] সিদ্ধার্থকে খাদ্য গ্রহণ করতে দেখে তার পাঁচজন সঙ্গী তার ওপর বিরক্ত হয়ে তাকে ছেড়ে চলে যান।

এই ঘটনার পরে একটি অশ্বত্থ গাছের তলায় তিনি ধ্যানে বসেন এবং সত্যলাভ না করে স্থানত্যাগ করবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেন।[৮৫] উনপঞ্চাশ দিন ধরে ধ্যান করার পর তিনি বোধি প্রাপ্ত হন।[৮৫][৮৬] এই সময় তিনি মানব জীবনে দুঃখ ও তার কারণ এবং দুঃখ নিবারণের উপায় সম্বন্ধে অন্তর্দৃষ্টি লাভ করেন, যা চতুরার্য সত্য নামে খ্যাত হয়।[৮৬] তার মতে এই সত্য সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করলে মুক্তি বা নির্বাণ লাভ সম্ভব।

ধর্মপ্রচার[সম্পাদনা]

সারনাথে অবস্থিত যে স্থানে গৌতম বুদ্ধ পাঁচজন শিষ্যকে প্রথম ধর্মশিক্ষা প্রদান করেন, সেই স্থানে নির্মিত ধমেখ স্তূপ

বোধিলাভের পর গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে তপুস্স ও ভল্লিক নামক বলখ অঞ্চলের দুইজন ব্যবসায়ীর সাক্ষাত হহয়, যারা তাকে মধু ও বার্লি নিবেদন করেন। এই দুইজন বুদ্ধের প্রথম সাধারণ শিষ্য। বুদ্ধ তার প্রাক্তন শিক্ষক আলার কালামউদ্দক রামপুত্তের সাথে সাক্ষাত করে তার নবলব্ধ জ্ঞানের কথা আলোচনার জন্য উৎসাহী ছিলেন, কিন্তু তাদের দুইজনেরই ততদিনে জীবনাবসান হয়ে গেছিল। এরপর তিনি বারাণসীর নিকট ঋষিপতনের মৃগ উদ্যানে যাত্রা করে তার সাধনার সময়ের পাঁচ প্রাক্তন সঙ্গী, যারা তাকে একসম পরিত্যাগ করেছিলেন, তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন ও তাদেরকে তার প্রথম শিক্ষা প্রদান করেন, যা বৌদ্ধ ঐতিহ্যে ধর্মচক্রপ্রবর্তন নামে খ্যাত। এই ভাবে তাদের নিয়ে ইতিহাসের প্রথম বৌদ্ধ সংঘ গঠিত হয়।

এরপর মহাকশ্যপ নামক এক অগ্নি-উপাসক ব্রাহ্মণ ও তার অনুগামীরা সংঘে যোগদান করেন। বুদ্ধ সম্রাট বিম্বিসারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিমতো বুদ্ধত্ব লাভের পরে রাজগৃহ যাত্রা করলে সঞ্জয় বেলাঢ্বিপুত্তের দুইজন শিষ্য সারিপুত্তমৌদ্গল্যায়ন সংঘে যোগদান করেন। বুদ্ধত্ব লাভের এক বছর পরে শুদ্ধোধন তার পুত্রকে কপিলাবস্তু শহরে আমন্ত্রণ জানান। একদা রাজপুত্র গৌতম রাজধানীতে সংঘের সাথে ভিক্ষা করে খাদ্য সংগ্রহ করেন। কপিলাবস্তুতে তার পুত্র রাহুল তার নিকট শ্রমণের দীক্ষাগ্রহণ করেন। এছাড়া আনন্দঅনুরুদ্ধ নামক তার দুইজন আত্মীয় তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। মহাকশ্যপ, সারিপুত্ত, মৌদ্গল্যায়ন, আনন্দ, অনুরুদ্ধরাহুল ছাড়াও উপলি, মহাকাত্যায়ন, পুণ্ণসুভূতি বুদ্ধের দশজন প্রধান শিষ্য ছিলেন।

তিন বছর পরে রোহিণী নদীর জলের অংশ নিয়ে শাক্যদের সাথে কোলীয় গণের একটি বিবাদ উপস্থিত হলে বুদ্ধ সেই বিবাদের মীমাংসা করেন। এর কয়েকদিনের মধ্যে শুদ্ধোধন মৃত্যুবরণ করলে গৌতম বুদ্ধের বিমাতা মহাপজাপতি গোতমী সংঘে যোগদানে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। গৌতম প্রথমে নারীদের সংঘে যোগদানের ব্যাপারে অমত প্রকাশ করলেও আনন্দের উৎসাহে তিনি সংঘ গঠনের পাঁচ বছর পরে সংঘে নারীদের ভিক্ষুণী হিসেবে প্রবেশের অনুমতি দেন।

আগের জীবন[সম্পাদনা]

পালি বুদ্ধবংশ এবং সংস্কৃত জাতকমলা - এর মতো কিংবদন্তি জীবনীগুলি বুদ্ধের (তাঁর জাগরণের আগে " বোধিসত্ত্ব " হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে) কর্মজীবনকে গৌতম হিসাবে তাঁর শেষ জন্মের আগে শত শত জীবনকাল বিস্তৃত হিসাবে চিত্রিত করে। জাতকদের মধ্যে এই পূর্ববর্তী জীবনের অনেক কাহিনী চিত্রিত হয়েছে। [৮৭] জাতকের বিন্যাসটি সাধারণত বর্তমানের একটি গল্প বলার মাধ্যমে শুরু হয় যা পরে কারও পূর্ব জীবনের গল্প দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়। [৮৭]

প্রাক-বৌদ্ধ অতীতকে একটি গভীর কর্মময় ইতিহাসের সাথে আবদ্ধ করার পাশাপাশি, জাতকগণ বোধিসত্ত্বের (বুদ্ধ হতে) বুদ্ধত্বের পথ ব্যাখ্যা করতেও কাজ করে। [৮৭] বুদ্ধবংশের মতো জীবনীতে, এই পথটিকে "চারটি অনির্দিষ্ট যুগ" ( অসমখেয়াস ) নিয়ে দীর্ঘ এবং কঠিন বলে বর্ণনা করা হয়েছে। [৮৭]

এই কিংবদন্তি জীবনীগুলিতে, বোধিসত্ত্ব অনেকগুলি বিভিন্ন জন্মের মধ্য দিয়ে যায় (প্রাণী এবং মানব), তার অতীত বুদ্ধের সাথে সাক্ষাতের দ্বারা অনুপ্রাণিত হন, এবং তারপর নিজেই বুদ্ধ হওয়ার জন্য একাধিক সংকল্প বা ব্রত ( প্রণিধান ) করেন। তারপর তিনি অতীতের বুদ্ধদের দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী পেতে শুরু করেন। [৮৭] এই গল্পগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল দীপঙ্কর বুদ্ধের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ, যিনি বোধিসত্ত্বকে ভবিষ্যতের বুদ্ধত্বের ভবিষ্যদ্বাণী দেন। [৮৭]

পালি জাতক ভাষ্য ( Jātakaṭṭhakathā ) এবং সংস্কৃত জাতকমালায় পাওয়া আরেকটি বিষয় হল কীভাবে বুদ্ধ-কে বুদ্ধত্বে পৌঁছানোর জন্য বেশ কিছু "পরিপূর্ণতা" ( পারমিতা ) অনুশীলন করতে হয়েছিল। [৮৭] জাতকরাও কখনও কখনও বোধিসত্ত্বের দ্বারা পূর্ববর্তী জীবনে করা নেতিবাচক কর্মগুলিকে চিত্রিত করে, যা গৌতম হিসাবে তার শেষ জীবনে তিনি যে অসুবিধাগুলি অনুভব করেছিলেন তা ব্যাখ্যা করে। [৮৭]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

প্রাচীনতম শিক্ষা খোঁজা[সম্পাদনা]

বৌদ্ধধর্মের প্রাচীনতম মূল বিষয়ে তথ্য পাওয়ার একটি পদ্ধতি হল পালি ক্যাননের প্রাচীনতম সংস্করণ এবং অন্যান্য গ্রন্থের তুলনা করা, যেমন সার্বস্তিবাদ, মুলসার্বস্তিবাদ, মহিষাসাক, ধর্মগুপ্তক এবং চীনা আগামাগুলির বেঁচে থাকা অংশগুলি।[৮৮][৮৯] এই উত্সগুলির নির্ভরযোগ্যতা এবং প্রাচীনতম শিক্ষাগুলির একটি মূল আউট করার সম্ভাবনা একটি বিতর্কের বিষয়। টিলম্যান ভেটারের মতে, অসঙ্গতিগুলি রয়ে গেছে, এবং সেই অসঙ্গতিগুলি সমাধান করার জন্য অন্যান্য পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।[৯০][৯১][৯২][৯৩][৯৪][৯৫][৯০][পাদটীকা ১৩]

ল্যাম্বার্ট স্মিথাউসেন-এর মতে, বৌদ্ধধর্মের আধুনিক পণ্ডিতদের তিনটি পদ রয়েছে:[৯৮]

  1. "নিকায়িক উপকরণের অন্তত একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মৌলিক একজাতীয়তা এবং যথেষ্ট সত্যতার উপর চাপ।"[পাদটীকা ১৪]
  2. "প্রাথমিক বৌদ্ধধর্মের মতবাদ পুনরুদ্ধার করার সম্ভাবনার বিষয়ে সংশয়বাদ।"[পাদটীকা ১৫]
  3. "এই বিষয়ে সতর্ক আশাবাদ।"

ঐতিহাসিক বুদ্ধ গৌতম "শাক্যমুনি" এর প্রতি তাদের গুনাবলী সম্পর্কে, রিচার্ড গোমব্রিচ, আকিরা হিরাকাওয়া, আলেকজান্ডার ওয়াইন এবং এ.কে. ওয়ার্ডার মনে করেন যে এই প্রারম্ভিক বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলিতে এমন উপাদান রয়েছে যা সম্ভবত এই চিত্রটিতে সনাক্ত করা যেতে পারে।[পাদটীকা ১৬][৯৫][১০৩][১০৪]

শারীরিক বৈশিষ্ট্যাবলী[সম্পাদনা]

নেপালের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। প্রাচীনতম সূত্র অনুসারে, বুদ্ধকে উত্তর-পূর্ব ভারতের একজন সাধারণ কামানো মানুষের মতো দেখাচ্ছিল।

প্রারম্ভিক সূত্রগুলি বুদ্ধকে অন্যান্য বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মতোই চিত্রিত করে। বিভিন্ন বক্তৃতায় বর্ণনা করা হয়েছে যে কীভাবে তিনি পৃথিবী ত্যাগ করার সময় "তার চুল এবং দাড়ি কেটে ফেলেছিলেন"। একইভাবে, দীর্ঘ নিকায় ৩-এ একজন ব্রাহ্মণ বুদ্ধকে কামানো বা টাক ( মুন্ডক ) মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। [১০৫] দীর্ঘ নিকায় ২ এও বর্ণনা করা হয়েছে যে কীভাবে রাজা অজাতশত্রু সংঘের কাছে যাওয়ার সময় বুদ্ধ সন্ন্যাসীদের মধ্যে কোনটি তা বলতে অক্ষম হন এবং তার মন্ত্রীকে তাকে নির্দেশ করতে বলতে হবে। অনুরূপভাবে, মধ্যম নিকায়-এ, একজন পুরুষ যিনি নিজেকে বুদ্ধের অনুসারী হিসাবে দেখেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে বুদ্ধের সাথে দেখা করেন কিন্তু তাকে চিনতে অক্ষম। [১০৬]

বুদ্ধকে সুদর্শন এবং স্পষ্ট বর্ণের (দীর্ঘ I:115; অঙ্গুত্তর নিকায় I:১৮১) হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে, অন্তত তার যৌবনে। বৃদ্ধ বয়সে, তবে, তিনি একটি স্তব্ধ শরীর, শিথিল এবং কুঁচকানো অঙ্গ সহ বর্ণনা করা হয়। [১০৭]

বিভিন্ন বৌদ্ধ গ্রন্থে বুদ্ধের অসাধারণ দৈহিক বৈশিষ্ট্যের একটি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে, যা "মহাপুরুষের ৩২টি লক্ষণ " (সংস্কৃত: mahāpuruṣa lakṣaṇa ) নামে পরিচিত।

আনালয়োর মতে, যখন তারা প্রথম বৌদ্ধ গ্রন্থে আবির্ভূত হয়, তখন এই শারীরিক চিহ্নগুলিকে প্রাথমিকভাবে সাধারণ ব্যক্তির কাছে অদৃশ্য বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল এবং সনাক্ত করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছিল। যদিও পরে, তারা নিয়মিত লোকেদের দ্বারা দৃশ্যমান এবং বুদ্ধের প্রতি অনুপ্রেরণামূলক বিশ্বাস হিসাবে চিত্রিত হয়েছে। [১০৮]

এই বৈশিষ্ট্যগুলি দীর্ঘ নিকায়ের লক্ষ্মণ সুত্ত (D, I:142) এ বর্ণিত হয়েছে। [১০৯]

বিভিন্ন ধর্মে বুদ্ধ[সম্পাদনা]

হিন্দুধর্ম[সম্পাদনা]

হিন্দুধর্মে গৌতম বুদ্ধকে কিছু পুরাণ অনুযায়ী বিষ্ণুর অবতার বলা হয়েছে।[১১০][১১১][১১২][১১৩][পাদটীকা ১৭] তবে ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী অঞ্জনের পুত্র অর্থাৎ সুগত বুদ্ধ বিষ্ণুর অবতার।[১১৫]

প্রকৃতপক্ষে, বুদ্ধের শিক্ষা পবিত্র বেদের কর্তৃত্ব এবং ব্রহ্ম-আত্মার ধারণাকে অস্বীকার করে।[১১৬][১১৭][পাদটীকা ১৮] ফলস্বরূপ, হিন্দু ধর্মের ছয়টি নৈষ্ঠিক আস্তিক দর্শন শাখার বিপরীতে বৌদ্ধধর্মকে সাধারণত একটি নাস্তিক দর্শন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।[১২১] এছাড়াও ত্রিপিটকের দীর্ঘ নিকায়ে ভগবান বুদ্ধ বলেছেন যে তিনি কারও অবতার নন।[১২২][১২৩][১২৪][১২৫][১২৬]

শিখধর্ম[সম্পাদনা]

শিখ গুরু গোবিন্দ সিং এর লেখা দশম গ্রন্থ নামক শিখ গ্রন্থের চব্বিশ অবতার নামক রচনায় গৌতম বুদ্ধকে বিষ্ণুর ২৩তম অবতার বলা হয়েছে।[১২৭]

ইসলাম[সম্পাদনা]

পবিত্র কুরআনের সূরা ৯৫:১ অনুযায়ী কেউ কেউ ইসলামের নবি যুল কিফ্‌লকে গৌতম বুদ্ধ হিসেবে শনাক্ত করে থাকে, যেখানে একটি বট বৃক্ষের কথা বলা হয়েছে যা কুরআনে উল্লেখিত অন্যান্য নবিদের জীবনের সাথে জড়িত নয়। কোনো অনুবাদকের মতে তাঁর জন্মস্থান কপিলাবস্তুতে হতে পারে।[১২৮]

অল্প পরিমাণ আহ্‌মদীয়া সম্প্রদায়ের মতেও তাঁকে নবি হিসেবে মানা হয়।[১২৯]

খ্রীষ্টধর্ম[সম্পাদনা]

ঋষি বারলাম ও জোসাফাতের জীবনী গৌতম বুদ্ধের জীবনী নির্ভর।[১৩০]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

Notes[সম্পাদনা]

  1. Some sources mention Kapilavastu as the birthplace of the Buddha. Gethin states: "The earliest Buddhist sources state that the future Buddha was born Siddhārtha Gautama (Pali Siddhattha Gotama), the son of a local chieftain—a rājan—in Kapilavastu (Pali Kapilavatthu) what is now Nepal."Gethin 1998, পৃ. 14 Gethin does not give references for this statement.
  2. According to the Buddhist tradition, following the Nidanakatha (Fausböll, Davids এবং Davids 1878, পৃ. [পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন]), the introductory to the Jataka tales, the stories of the former lives of the Buddha, Gautama was born in Lumbini, now in modern Nepal, but then part of the territory of the Shakya-clan.[১৩১][১৩২] In the mid-3rd century BCE the Emperor Ashoka determined that Lumbini was Gautama's birthplace and thus installed a pillar there with the inscription: "...this is where the Buddha, sage of the Śākyas (Śākyamuni), was born."(Gethin 1998, পৃ. 19)

    Based on stone inscriptions, there is also speculation that Lumbei, Kapileswar village, Odisha, at the east coast of India, was the site of ancient Lumbini.(Mahāpātra 1977; Mohāpātra 2000, পৃ. 114; Tripathy 2014 Hartmann discusses the hypothesis and states, "The inscription has generally been considered spurious (...)"Hartmann 1991, পৃ. 38–39 He quotes Sircar: "There can hardly be any doubt that the people responsible for the Kapilesvara inscription copied it from the said facsimile not much earlier than 1928."

    Kapilavastu was the place where he grew up:Keown ও Prebish 2013, পৃ. 436[ক]
    • Warder (2000, p. 45): "The Buddha [...] was born in the Sakya Republic, which was the city state of Kapilavastu, a very small state just inside the modern state boundary of Nepal against the Northern Indian frontier.
    • Walshe (1995, p. 20): "He belonged to the Sakya clan dwelling on the edge of the Himalayas, his actual birthplace being a few kilometres north of the present-day Northern Indian border, in Nepal. His father was, in fact, an elected chief of the clan rather than the king he was later made out to be, though his title was raja—a term which only partly corresponds to our word 'king'. Some of the states of North India at that time were kingdoms and others republics, and the Sakyan republic was subject to the powerful king of neighbouring Kosala, which lay to the south".
    • The exact location of ancient Kapilavastu is unknown.(Keown ও Prebish 2013, পৃ. 436) It may have been either Piprahwa in Uttar Pradesh, northern India (Nakamura 1980, পৃ. 18; Srivastava 1979, পৃ. 61–74; Srivastava 1980, পৃ. 108), or Tilaurakot (Tuladhar 2002, পৃ. 1–7), present-day Nepal (Huntington 1986, Keown ও Prebish 2013, পৃ. 436). The two cities are located only ২৪ কিলোমিটার (১৫ মাইল) from each other (Huntington 1986).
    See also Conception and birth and Birthplace Sources

উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "Bodhi" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "Buddha-statue" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "Buswell_Lopez_renunciation" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "deathplace" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "name_the_buddha" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত <ref> ট্যাগে কোন নাম আরোপ করা হয়নি।

উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "Upaddha" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।

<references>

  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; theravada নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. বৌদ্ধ ঐতিহ্যের নিদানকথা[৩৮]জাতক কাহিনী অনুসারে, গৌতম অধুনা নেপালের লুম্বিনী নগরে জন্মগ্রহণ করেন [৩৯][৪০] খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর মধ্যভাগে সম্রাট অশোক গৌতমের জন্মস্থান হিসেবে লুম্বিনীকে চিহ্নিত করে সেখানে একটি স্তম্ভ স্থাপন করে ...এই স্থানে বুদ্ধ শাক্যমুনি জন্মগ্রহণ করেন এই রকম উৎকীর্ণ করান।[৪১]
    কয়েকটি প্রস্তরলিপির ওপর নির্ভর করে মনে করা হয়ে থাকে যে ভারতের পূর্বসমদ্রতটে অধুনা উড়িষ্যা রাজ্যের কপিলেশ্বর গ্রামের লুম্বেই অঞ্চলটিই হল প্রাচীন লুম্বিনী।[৪২][৪৩][৪৪] হার্টম্যান এই তত্ত্ব পর্যালোচনা করে এই মতকে মিথ্যা প্রমাণ করে বলেন যে এই প্রস্তরলিপিগুলি ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের পরে নির্মিত।[৪৫]
    গৌতম কপিলাবস্তুতে বড় হয়ে ওঠেন[৪৬][পাদটীকা ৯][পাদটীকা ১০], যদিও কপিলাবস্তুকে অনেকে তার জন্মস্থান হিসেবেও মনে করেন।[পাদটীকা ১১] প্রাচীন কপিলাবস্তুর সঠিক অবস্থান এখনো নির্ণীত নয়।[৪৬] উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পিপরাহ্বা[৪৯][৪৬] বা নেপালের তিলোরাকোটের[৫০][৪৬] মধ্যে একটি শহরে প্রাচীন কপিলাবস্তুর অবস্থান বলে অনুমান করা হয়। এই দুই শহর মাত্র পনেরো মাইলের দুরত্বের ব্যবধানে অবস্থিত।{sfn
  3. According to Mahaparinibbana Sutta,[৩] Gautama died in Kushinagar, which is located in present-day Uttar Pradesh, India.
  4. Boeree, C George"An Introduction to Buddhism"। Shippensburg University। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  5. Baroni: "The sage of the Shakya people"[৫]
    • ৪১১–৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ: Dundas 2002, পৃ. 24: "...as is now almost universally accepted by informed Indological scholarship, a re-examination of early Buddhist historical material, [...], necessitates a redating of the Buddha's death to between 411 and 400 BCE..."
    • ৪০৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ: [২৮][২৯][৩০][৩১]
    • ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ: Narain, Awadh Kishore, সম্পাদক (২০০৩), The Date of the Historical Śākyamuni Buddha, New Delhi: BR Publishing, আইএসবিএন 81-7646-353-1 [২] Notes on the Dates of the Buddha Íåkyamuni দেখুন
  6. According to Alexander Berzin, "Buddhism developed as a shramana school that accepted rebirth under the force of karma, while rejecting the existence of the type of soul that other schools asserted. In addition, the Buddha accepted as parts of the path to liberation the use of logic and reasoning, as well as ethical behavior, but not to the degree of Jain asceticism. In this way, Buddhism avoided the extremes of the previous four shramana schools."[২০]
  7. ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রত্নতাত্ত্বিক রবার্ট কনিংহ্যাম লুম্বিনীর মায়াদেবী মন্দিরে ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের একটি বৃক্ষ মঠের অবশেষ আবিষ্কার করে মতপ্রকাশ করেন যে, এটি একটি বৌদ্ধ মঠ হতে পারে, এবং তা সত্য হলে বুদ্ধের জন্মের সময় পিছিয়ে যেতে পারে।[৩৪] অবশ্য প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই মঠ প্রাক-বুদ্ধ যুগের বৃক্ষপূজার স্থান কিনা তা নিয়ে সাবধানী এবং এ নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।[৩৪]
    রিচার্ড গোমব্রিখ অবশ্য কনিংহ্যামের মতকে বাতিল করে দিয়েছেন।[৩৫]
    জিওফ্রি স্যামুয়েলসের মতে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের আদি যুগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন স্থানগুলি যক্ষ পূজার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল, যেখানে বৃক্ষের পূজা করা হত, যেগুলির অধিকাংশ পরবর্তীকালে বৌদ্ধ তীর্থে পরিণত হয়।[৩৬]
  8. "The Buddha [...] was born in the Sakya Republic, which was the city state of Kapilavastu, a very small state just inside the modern state boundary of Nepal against the Northern Indian frontier.[৮]
  9. "He belonged to the Sakya clan dwelling on the edge of the Himalayas, his actual birthplace being a few miles north of the present-day Northern Indian border, in Nepal. His father was in fact an elected chief of the clan rather than the king he was later made out to be, though his title was raja – a term which only partly corresponds to our word 'king'. Some of the states of North India at that time were kingdoms and others republics, and the Sakyan republic was subject to the powerful king of neighbouring Kosala, which lay to the south[৪৭]
  10. "The earliest Buddhist sources state that the future Buddha was born Siddhārtha Gautama (Pali Siddhattha Gotama), the son of a local chieftain — a rājan — in Kapilavastu (Pali Kapilavatthu) what is now the Indian–Nepalese border."[৪৮]
  11. "These Dhamma texts – Extracts from the Discipline, the Noble Way of Life, the Fears to Come, the Poem on the Silent Sage, the Discourse on the Pure Life, Upatisa's Questions, and the Advice to Rahula which was spoken by the Buddha concerning false speech – these Dhamma texts, reverend sirs, I desire that all the monks and nuns may constantly listen to and remember. Likewise the laymen and laywomen."[৫১]
    "There is disagreement amongst scholars concerning which Pali suttas correspond to some of the text. Vinaya samukose: probably the Atthavasa Vagga, Anguttara Nikaya, 1:98-100. Aliya vasani: either the Ariyavasa Sutta, Anguttara Nikaya, V:29, or the Ariyavamsa Sutta, Anguttara Nikaya, II: 27-28. Anagata bhayani: probably the Anagata Sutta, Anguttara Nikaya, III:100. Muni gatha: Muni Sutta, Sutta Nipata 207-221. Upatisa pasine: Sariputta Sutta, Sutta Nipata 955-975. Laghulavade: Rahulavada Sutta, Majjhima Nikaya, I:421."[৫১]
  12. Exemplary studies are the study on descriptions of "liberating insight" by Lambert Schmithausen,[৯৬] the overview of early Buddhism by Tilmann Vetter,[৯৩] the philological work on the four truths by K.R. Norman,[৯৭] the textual studies by Richard Gombrich,[৯৫] and the research on early meditation methods by Johannes Bronkhorst.[৯২]
  13. Two well-known proponent of this position are A.K. Warder and Richard Gombrich.
    • According to A.K. Warder, in his 1970 publication Indian Buddhism, "from the oldest extant texts a common kernel can be drawn out."[৯৯] According to Warder, c.q. his publisher: "This kernel of doctrine is presumably common Buddhism of the period before the great schisms of the fourth and third centuries BC. It may be substantially the Buddhism of the Buddha himself, although this cannot be proved: at any rate it is a Buddhism presupposed by the schools as existing about a hundred years after the parinirvana of the Buddha, and there is no evidence to suggest that it was formulated by anyone else than the Buddha and his immediate followers".[৯৯]
    • Richard Gombrich: "I have the greatest difficulty in accepting that the main edifice is not the work of a single genius. By "the main edifice" I mean the collections of the main body of sermons, the four Nikāyas, and of the main body of monastic rules."[৯৫]
  14. A proponent of the second position is Ronald Davidson.
    • Ronald Davidson: "While most scholars agree that there was a rough body of sacred literature (disputed) [সিক] that a relatively early community (disputed) [সিক] maintained and transmitted, we have little confidence that much, if any, of surviving Buddhist scripture is actually the word of the historical Buddha."[১০০]
  15. Well-known proponents of the third position are:
    • J.W. de Jong: "It would be hypocritical to assert that nothing can be said about the doctrine of earliest Buddhism [...] the basic ideas of Buddhism found in the canonical writings could very well have been proclaimed by him [the Buddha], transmitted and developed by his disciples and, finally, codified in fixed formulas."[১০১]
    • Johannes Bronkhorst: "This position is to be preferred to (ii) for purely methodological reasons: only those who seek may find, even if no success is guaranteed."[৯৮]
    • Donald Lopez: "The original teachings of the historical Buddha are extremely difficult, if not impossible, to recover or reconstruct."[১০২]
  16. এই মতবাদটি সার্বজনীন নয়। কারণ কিছু কিছু মতবাদ অনুযায়ী বলরাম ও কৃষ্ণকে যথাক্রমে বিষ্ণুর ৮ম ও ৯ম অবতার বলে মনে করা হয়।[১১৪]
  17. যদিও নাস্তিক দর্শন বেদের প্রামাণ্যতা অস্বীকার করে তবুও বেদের কিছু আচারের সাথে অর্থাৎ আস্তিক দর্শনের সাথে নাস্তিক দর্শনের শাখাগুলোর কিছু মিল রয়েছে যা "ভারতীয় দর্শনের তারতম্য" করলে দেখা যায়। এছাড়া কারো মতে, বুদ্ধের শিক্ষা বেদকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করে যার কারণ বেদের বিভিন্ন সংস্কৃত শব্দের বা শ্লোকের ব্যাখ্যায় এর পূর্বেও গবেষকদের মধ্যে দ্বিমত দেখা গেছে।[১১৮][১১৯][১২০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Cousins 1996, পৃ. 57–63।
  2. Norman 1997, পৃ. 33।
  3. "Maha-parinibbana Sutta", Digha Nikaya (16), Access insight, part 5 
  4. Pali Tripitak,Sutta Pitaka, Khuddak Nikaya,Buddhabonso,Pali Text Socity
  5. Baroni 2002, পৃ. 230।
  6. Gethin (1998), pp. 5, 9, 10, 14.
  7. Strong (2001), p. 1.
  8. Warder (2000), p. 45. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "FOOTNOTEWarder200045" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  9. Laumakis 2008, পৃ. 4।
  10. Skilton 2004, পৃ. 41।
  11. Guang Xing (2005). The Three Bodies of the Buddha: The Origin and Development of the Trikaya Theory. Oxford: Routledge Curzon: pp.1 and 85
  12. Pali Atthakathea Sahitter Etibritto, Dilip Kumar Baruya, Adorn Publication,First publist : February 2013 p. xviii,30,31
  13. Rawlinson, Hugh George. (1950) A Concise History of the Indian People, Oxford University Press. p. 46.
  14. Muller, F. Max. (2001) The Dhammapada And Sutta-nipata, Routledge (UK). p. xlvii. ISBN 0-7007-1548-7.
  15. Smith 1924, পৃ. 34, 48।
  16. Schumann 2003, পৃ. 1-5।
  17. Jayatilleke 1963, chpt. 1-3।
  18. Walshe 1995, পৃ. 268।
  19. Collins 2009, পৃ. 199–200।
  20. Berzin, Alexander (এপ্রিল ২০০৭)। "Indian Society and Thought before and at the Time of Buddha"। Berzin archives। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  21. Nakamura 1980, পৃ. 20।
  22. Warder 1998, পৃ. 45।
  23. Buswell 2003, পৃ. 352।
  24. Lopez 1995, পৃ. 16।
  25. Schumann 2003, পৃ. 10–13।
  26. Prebish 2008, পৃ. 2।
  27. "ভারত: গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান কপিলাবস্তু যেভাবে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল"BBC News বাংলা। ২০২৩-০৯-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১০ 
  28. Gombrich 1992
  29. Uni. Heidelberg .
  30. Hartmann 1991
  31. Gombrich 2000
  32. Schumann 2003, পৃ. xv।
  33. Wayman 1993, পৃ. 37–58।
  34. Vergano, Dan (২৫ নভেম্বর ২০১৩)। "Oldest Buddhist Shrine Uncovered In Nepal May Push Back the Buddha's Birth Date"National Geographic। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  35. Gombrich, Richard (২০১৩), Recent discovery of "earliest Buddhist shrine" a sham?, Tricycle, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ .
  36. Samuels 2010, পৃ. 140–52।
  37. Gombrich 1988, পৃ. 49।
  38. Davids, Rhys, সম্পাদক (১৮৭৮), Buddhist birth-stories; Jataka tales. The commentary introd. entitled Nidanakatha; the story of the lineage. Translated from V. Fausböll's ed. of the Pali text by TW Rhys Davids (new & rev. সংস্করণ) .
  39. "Lumbini, the Birthplace of the Lord Buddha"। UNESCO। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১১ 
  40. "The Astamahapratiharya: Buddhist pilgrimage sites"। Victoria and Albert Museum। ৩১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১২ 
  41. Gethin 1998, পৃ. 19।
  42. Mahāpātra 1977
  43. Mohāpātra 2000, পৃ. 114।
  44. Tripathy 2014
  45. Hartmann 1991, পৃ. 38–39।
  46. Keown ও Prebish 2013, পৃ. 436।
  47. Walsh 1995, পৃ. 20।
  48. Gethin 1998, পৃ. 14।
  49. Nakamura 1980, পৃ. 18।
  50. Huntington 1986
  51. Dhammika 1993
  52. "Ancient Buddhist Scrolls from Gandhara"। UW Press। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ 
  53. Fowler 2005, পৃ. 32।
  54. Beal 1883
  55. Cowell 1894
  56. Willemen 2009
  57. Karetzky 2000, পৃ. xxi।
  58. Beal 1875
  59. Swearer 2004, পৃ. 177।
  60. Schober 2002, পৃ. 20।
  61. Pali Atthakatha sahitter itibritto,Dilip Kumar Baruya Adorn Publication, p.186
  62. Jones 1949
  63. Jones 1952
  64. Jones 1956
  65. Carrithers 2001, পৃ. 15।
  66. Armstrong 2000, পৃ. xii।
  67. John Baroni (2002), p. 310.
  68. সংস্কৃত: [ɕaːkjɐmʊnɪ bʊddʱɐ]
  69. Bopearachchi, Osmund (১ জানুয়ারি ২০২১)। "GREEK HELIOS OR INDIAN SŪRYA? THE SPREAD OF THE SUN GOD IMAGERY FROM INDIA TO GANDHĀRA": 946। 
  70. Brill's Encyclopedia of Hinduism Online 
  71. Macdonell, Arthur Anthony; Keith, Arthur Berriedale (১৯১২)। Vedic Index of Names and Subjects। John Murray। পৃষ্ঠা 240 
  72. Roshen Dalal (২০১৪)। The Religions of India: A Concise Guide to Nine Major FaithsPenguin Booksআইএসবিএন 9788184753967  Entry: "Jina"
  73. Snyder, David N. (2006) "The Complete Book of Buddha's Lists--explained." Vipassana Foundation, list 605 p. 429.
  74. Narada 1992, পৃ. 9–12।
  75. Narada 1992, পৃ. 11-12।
  76. Narada 1992, পৃ. 14।
  77. Conze 1959, পৃ. 39-40।
  78. Upadhyaya 1971, পৃ. 95।
  79. Laumakis 2008, পৃ. 8।
  80. Grubin 2010
  81. Armstrong 2004, পৃ. 77।
  82. Narada 1992, পৃ. 19-20।
  83. "Dhammacakkappavattana Sutta: Setting the Wheel of Dhamma in Motion"। Access to insight। ২০১২-০২-১২। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১২ 
  84. "The Golden Bowl"। Buddha net। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১২ 
  85. Gyatso 2007, পৃ. 8–9।
  86. "The Basic Teaching of Buddha"। SFSU। ২৯ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১২ 
  87. Strong (2001).
  88. Tse-Fu Kuan। "Mindfulness in similes in Early Buddhist literature"। Edo Shonin; William Van Gordon; Nirbhay N. SinghBuddhist Foundations of Mindfulness। পৃষ্ঠা 267। 
  89. Mun-Keat Choong (১৯৯৯)। The Notion of Emptiness in Early Buddhism। Motilal Banarsidass। পৃষ্ঠা 3। 
  90. Vetter (1988), p. ix.
  91. Warder (2000), p. [পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন].
  92. Bronkhorst (1993).
  93. Vetter (1988).
  94. Schmithausen (1990).
  95. Gombrich (1997).
  96. Schmithausen (1981).
  97. Norman (2003).
  98. Bronkhorst (1993), p. vii.
  99. Warder (2000), inside flap.
  100. Davidson (2003), p. 147.
  101. Jong (1993), p. 25.
  102. Lopez (1995), p. 4.
  103. Warder (2004), p. [পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন].
  104. Wynne, Alexander (২০১৯)। "Did the Buddha exist?"। JOCBS16: 98–148। 
  105. Olivelle, Patrick (1974), "The Origin and the Early Development of Buddhist Monachism", p. 19.
  106. Mazard, Eisel (2010). "The Buddha was bald," New Mandala.
  107. Dhammika (n.d.), pp. 23–24.
  108. Anālayo (2017b), pp. 137–138.
  109. Walshe (1995), pp. 441–460.
  110. Madan Gopal (১৯৯০)। India through the ages। Public Resource। Publications Division, Ministry of Information & Broadcasting, Government of India। পৃষ্ঠা ৭৪। 
  111. Doniger, Wendy (১৯৯৩-০১-০১)। Purana Perennis: Reciprocity and Transformation in Hindu and Jaina Texts (ইংরেজি ভাষায়)। SUNY Press। পৃষ্ঠা ২৪৩। আইএসবিএন 978-0-7914-1381-4 
  112. www.wisdomlib.org (২০২০-০৩-০৫)। "Incarnations of Vāsudeva [Chapter 18]"www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-০৬ 
  113. www.wisdomlib.org (২০২০-১০-২২)। "The Greatness of Śvetavārāha Tīrtha [Chapter 151]"www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-০৬ 
  114. https://archive.org/details/majestymeeknessc0000carm_c0y2/page/212/mode/2up
  115. "Srimad Bhagavatam Canto 1 Chapter 3 Verse 24"web.archive.org। ২০০৭-০৯-২৬। ২০০৭-০৯-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-০৬ 
  116. Gopal (1990), p. 73.
  117. Doniger (1993), p. 243.
  118. Maitreya (১৯২৫)। Buddha Mimansa 
  119. Kak, Subhash (২০১৮-০১-০১)। "The Buddha and the Veda"OSU and Medium 
  120. অশ্বঘোষ (২০০৮)। Buddhacarita [Life of Buddha] (ইংরেজি ভাষায়)। Olivelle, Patrick কর্তৃক অনূদিত (১ম সংস্করণ)। New York University Press and the JJC Foundation। পৃষ্ঠা xxx ও xlvii। আইএসবিএন 978-0-8147-6216-5 
  121. Johnson (1999), pp. 131–132.
  122. Olivelle, Patrick (1974), "The Origin and the Early Development of Buddhist Monachism", p. 19.
  123. Ambedkar, B.R.। "Book One, Part V – The Buddha and His Predecessors"The Buddha and his Dharma 
  124. Williams, Paul; Tribe, Anthony (২০০০)। Buddhist thought a complete introduction to the Indian tradition। London: Taylor & Francis e-Library। পৃষ্ঠা 1–10। আইএসবিএন 0-203-18593-5 
  125. Flood (1996), pp. 231–232.
  126. * Fo Guang Ta-tz'u-tien 佛光大辭典. Fo Guang Ta-tz'u-tien pien-hsiu wei-yuan-hui 佛光大辭典編修委員會. Taipei: Fo-kuang ch'u-pan-she, 1988. (Phật Quang Đại Từ điển. Phật Quang Đại Từ điển biên tu uỷ viên hội. Đài Bắc: Phật Quang xuất bản xã, 1988.)
    • Das Lexikon der Östlichen Weisheitslehren, Bern 1986.
    • Schumann, H.W.:
    Buddhismus: Stifter, Schulen und Syteme, Olten 1976.
    Der historische Buddha: Leben und Lehren des Gotama, Köln, 1982.
    • Hirakawa, Akira: A History of Indian Buddhism. From Śākyamuni to Early Mahāyāna. Translated and Edited by Paul Groner. University of Hawaii Press, 1990.
    • Thích Minh Châu (dịch): Trung bộ kinh 36 (MN 36) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৫-০৩-০১ তারিখে
    • Laumakis, Stephen (২০০৮), An Introduction to Buddhist philosophy, Cambridge; New York: Cambridge University Press, আইএসবিএন 978-0-52185413-9 
    • Warder, AK (২০০০), Indian Buddhism, Delhi: Motilal Banarsidass 
    • Anderson, Carol (১৯৯৯), Pain and Its Ending: The Four Noble Truths in the Theravada Buddhist Canon, Routledge 
    • Armstrong, Karen (২০০০), Buddha, Orion, আইএসবিএন 978-0-7538-1340-9 
  127. "Chaubis Avtar Dasam Granth"web.archive.org। ২০০৩-০৬-০১। Archived from the original on ২০০৩-০৬-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-০৬ 
  128. YUSUF, IMTIYAZ (২০০৯)। "Dialogue Between Islam and Buddhism through the Concepts Ummatan Wasaṭan (The Middle Nation) and Majjhima-Patipada (The Middle Way)"Islamic Studies48 (3): 367–394। আইএসএসএন 0578-8072 
  129. Valentine, Simon Ross (২০০৮)। Islam and the Ahmadiyya Jamaʻat: History, Belief, Practice (ইংরেজি ভাষায়)। Columbia University Press। পৃষ্ঠা ২৬। আইএসবিএন 978-0-231-70094-8 
  130. Levine, Nathan H. (২০১৯-০১-০১)। "Barlaam and Josaphat"Brill's Encyclopedia of Buddhism Volume II 
  131. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; WHC নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  132. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Victoria and Albert Museum নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

What Was The Buddha Like? by Ven S. Dhammika

বৌদ্ধ পদবীসমূহ
পূর্বসূরী
কাশ্যপ বুদ্ধ
বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরসূরী
আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ