দ্রাহশান আরদা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Drahşan Arda থেকে পুনর্নির্দেশিত)
দ্রাহশান আরদা
জন্ম ১৯৪৫ (বয়স ৭৮–৭৯)
এদির্নে, তুরস্ক
অন্য পেশা বিদ্যালয় শিক্ষিকা
বছর দায়িত্ব
১৯৬৮–১৯৯৭ রেফারি

দ্রাহশান আরদা (তুর্কি: Drahşan Arda; জন্ম:১৯৪৫) একজন তুর্কি ফুটবল রেফারি ও বিদ্যালয় শিক্ষিকা। ক্রীড়াক্ষেত্রে তিনি ১৯৬৮ হতে ১৯৯৭ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩০ বছর তুরস্কজার্মানির বাভারিয়ার ফুটবল ম্যাচ পরিচালনাকারী ছিলেন। তিনি ফিফা কর্তৃক স্বীকৃত ফুটবল ম্যাচ পরিচালনাকারী বিশ্বের প্রথম নারী রেফারি।[১][২][৩][৪]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

দ্রাহশান আরদা তুরস্কের এদির্নের অধিবাসী,[৫] উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণকালীন তিনি বাস্কেটবলভলিবল খেলতেন। পরবর্তীকালে তিনি ফুটবলের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন।[৬] বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হিসেবে তিনি তার পেশাদার জীবন শুরু করেছিলেন। ১৯৬৭ সালের ৫–২৬ নভেম্বর তুরস্কের জঙ্গুলদাক প্রদেশে তারিক ইয়ামাক পরিচালিত একটি রেফারি প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন করার মাধ্যমে তিনি তার রেফারি সনদ অর্জন করেছিলেন।[৬]

রেফারি জীবন[সম্পাদনা]

তুরস্কের একটি আঞ্চলিক ফুটবল লীগে কারাবুক ডেমিরজেলিকজানদারমাগুচু দলের মধ্যকার ম্যাচে সহকারী রেফারি হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করার মাধ্যমে দ্রাহশান আরদা রেফারি হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তাকে পদোন্নতি দিয়ে প্রধান রেফারি করা হয়েছিল। তিনি সাধারণত বিভিন্ন দলের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচ সমূহের দায়িত্ব পেতেন।[৬] আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ১৯৬৮ সালের ২৬ জুন, প্রথম রেফারি হিসেবে ফুটবল ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন।[৫]

১৯৭২ সালে তিনি জার্মানির মিউনিখে বসবাস শুরু করেন।[৬][৭] বাভারিয়ায় তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এবং অনেক শিশুকে খেলাধুলা শুরু করতে সহায়তা করেছিলেন।[৫] শিক্ষকতার পাশাপাশি জার্মানিতেও তিনি ফুটবল খেলা পরিচালনার কাজটি অব্যাহত রেখেছিলেন।[১] তিনি অধিকাংশ একক রেফারি পরিচালিত ম্যাচের খেলা পরিচালনা করেছিলেন।[৬] তিনি ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।[৫]

স্বীকৃতি ও অবসর[সম্পাদনা]

রেফারি হিসেবে ৩০ বছর অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ বাভারিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাকে একটি স্বর্ণের ব্যাজ এবং একটি ফলক দিয়ে সম্মানিত করেছে।[১][৫] তার আবেদন ও প্রামাণ্য নথি উপস্থাপনের পর, ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর ফিফা তাকে পৃথিবীর প্রথম নারী রেফারি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।[১][২][৪]

টানা ৩০ বছর ফুটবল রেফারির দায়িত্ব পালন করার পর , ১৯৯৭ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। অবসরের পর দরিদ্র শিশুদের কল্যাণে তার ব্যবহৃত রেফারি পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী নিলামে তুলেছিলেন। অবসরের পর, তিনি সাত বছরের জন্য বাভারিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের শৃঙ্খলা বোর্ডে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৬][৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "FIFA confirms Turkish woman as world's first female football referee"ডেইলি সাবাহ। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮। ২৬ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২১ 
  2. "FIFA confirms Drahşan Arda as first woman football referee"হুরিয়েট ডেইলি নিউজ। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮। ২৯ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২১ 
  3. "The Week in Quotes"ফিফা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। ২৯ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২১  |
  4. "Making History: Female Soccer Referees"। Groundhopper Soccer Guide। ২৯ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২১ 
  5. "İlk kadın hakem Drahşan Arda kimdir? Drahşan Arda nereli?"মিল্লিয়েট (তুর্কি ভাষায়)। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮। ২৮ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০২১ 
  6. "Hakemlik Zor Bir Hobiymiş" (তুর্কি ভাষায়)। সকরেটিস ডেরগি। ২০১৮। ২৮ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০২১ 
  7. ব্লেনডিন,ফ্রানজিস্কা (২৪ জুন ২০২১)। "Die ersten Schiedsrichterinnen"লিজেন্ডে ভেরলোরেন (জার্মান ভাষায়)। ২৯ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২১