ডেভিড স্মিথ (ক্রিকেটার, জন্ম ১৯৫৬)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(David Smith (Surrey, Sussex and Worcestershire cricketer) থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ডেভিড স্মিথ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামডেভিড মার্ক স্মিথ
জন্ম (1956-01-09) ৯ জানুয়ারি ১৯৫৬ (বয়স ৬৮)
বলহাম, লন্ডন, ইংল্যান্ড
ডাকনামস্মাজার, স্মার্ফ
উচ্চতা৬ ফুট ৪ ইঞ্চি (১.৯৩ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫১৪)
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট৩ এপ্রিল ১৯৮৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮৮)
৪ মার্চ ১৯৮৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওডিআই৩ এপ্রিল ১৯৯০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ৮০ ১৫
ব্যাটিং গড় ২০.০০ ১৫.০০
১০০/৫০ –/– –/–
সর্বোচ্চ রান ৪৭ ১০*
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং –/– –/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

ডেভিড মার্ক স্মিথ (ইংরেজি: David Smith; জন্ম: ৯ জানুয়ারি, ১৯৫৬) লন্ডনের বলহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে, সাসেক্স ও ওরচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘স্মাজার’ ডাকনামে পরিচিত ডেভিড স্মিথ

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

বাটারসী গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ডেভিড স্মিথের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৭৩ সালে সারে দলের পক্ষে প্রথম খেলতে শুরু করেন। কিন্তু আঘাতপ্রাপ্তি ও কর্তৃপক্ষের সাথে মনোমালিন্যের কারণে তিনি নিজেকে স্বাভাবিকভাবে মেলে ধরতে পারেননি।

১৯৭৩ সালে সারে দলের পক্ষে কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নেন। এক দশককাল এ দলের সাথে অবস্থানের পর ১৯৮৪ সালে ওরচেস্টারশায়ারের দিকে ধাবিত হন। সেখানে তিনি ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে নিজের সহজাত ক্রীড়াপ্রতিভা মেলে ধরেন। ফলশ্রুতিতে, ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন। ১৯৮৭ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দলে ফিরে আসেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও দুইটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ডেভিড স্মিথ। সবগুলো টেস্টই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে কিংস্টনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ৩ এপ্রিল, ১৯৮৬ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও, ৪ মার্চ, ১৯৮৬ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ৩ এপ্রিল, ১৯৯০ তারিখে ব্রিজটাউনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন।

কিংস্টনে তার টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। প্রথম টেস্টে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় টেস্টে তুখোড় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলিং আক্রমণ রুখে দিয়ে উভয় ইনিংসেই দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। কিংস্টন টেস্টে কেবলমাত্র ১ ও ০ রান তুলেন। পরের টেস্টে ৪৭ ও ৩২ রানের ইনিংস খেলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান তুলেন। তবে, পিঠের আঘাতের কবলে পড়ে সফরের বাদ-বাকী সময় তাকে মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়েছিল।

অবসর[সম্পাদনা]

সারে দলের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময় অতিবাহিত করার পর ১৯৮৯ সালে সাসেক্স দলের পক্ষে যুক্ত হন। ঐ বছরের শীতকালে গ্রাহাম গুচের আঘাতের কারণে তাকে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে প্রেরণ করা হয়। দূর্ভাগ্যবশতঃ সফরের প্রথম প্রস্তুতিমূলকখেলায় বৃদ্ধাঙ্গুলীতে আঘাত পান। এরফলে, সিরিজের কোন টেস্টেই তাকে খেলানো হয়নি।[১]

ওভালে খেলার পর ১৯৮৯ সালে দক্ষিণাঞ্চলীয় সাসেক্সের সাথে যুক্ত হন। ১৯৯৩ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় ১২৪ রান তুলেন। তবে, স্মরণীয় ঐ খেলায় ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে তাকে পরাজয় দেখতে হয়েছিল। সাসেক্স দলের ৩২১/৭ সত্ত্বেও পরবর্তীতে তার দল পরাজিত হয়। দল থেকে অবসর গ্রহণের পর হোভে সাসেক্স দলের কোচিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সবমিলিয়ে ৩১৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ৩৬.১৭ গড়ে ১৫,২৬৫ রান সংগ্রহ করেছেন। সর্বোচ্চ রান করেন ২১৩। ২৮টি শতক, ৭৬টি অর্ধ-শতক ও ২০৪টি ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন তিনি।

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

কাউন্টি দল পরিবর্তনের ফলে ডেভিড স্মিথ সর্বদাই পরিচিতি লাভ করতে পারেননি। তবে, সর্বাপেক্ষা আক্রমণাত্মক বোলিং মোকাবেলায় সাহসী মনোভাব গ্রহণে তার ভূমিকা সন্দেহাতীতভাবেই তাকে স্মরণীয় করে রাখবে।

ছয় ফুট চার ইঞ্চি লম্বাটে গড়নের বামহাতি ব্যাটসম্যান সোজাসাপ্টা অবস্থানে আগ্রাসী দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে প্রতিপক্ষীয় বোলারদের অন্যতম ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়াতেন। খেলায় প্রভাববিস্তারকারী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। তিনি তার দক্ষতা ও ফাস্ট বোলিংয়ের বিপরীতে সাহসিকতা প্রদর্শনের কারণে সুপরিচিত ছিলেন। তার চঞ্চল প্রকৃতির মনোভাবের কারণে বরখাস্ত হন ও তিনবার সারে দলে যোগ দিয়েছিলেন।[১] কিন্তু, তার খামখেয়ালীপণার কারণে অন্যদের মাঝে এর বিরূপ প্রভাব পড়তো। ফলে, সচরাচর তার তুলনায় অন্যদেরকে তেমন গণনায় ধরা হতো না।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 149আইএসবিএন 1-869833-21-X 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]