আলফন্সো থিওডর রবার্টস
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আলফন্সো থিওডর রবার্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৭ কিংসটাউন, সেন্ট ভিনসেন্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৪ জুলাই, ১৯৯৬ মন্ট্রিল, কানাডা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৯২) | ৯ মার্চ ১৯৫৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩১ মার্চ ২০২০ |
আলফন্সো আল্ফি থিওডর রবার্টস (ইংরেজি: Alphonso Theodore Roberts; জন্ম: ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৭ - মৃত্যু: ২৪ জুলাই, ১৯৯৬) সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন আল্ফি রবার্টস নামে পরিচিত আলফন্সো থিওডর রবার্টস। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]
১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৭ তারিখে সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনসে আলফন্সো থিওডর রবার্টসের জন্ম। সেন্ট জর্জেস অ্যাংলিকান স্কুলে ভর্তি হন। এরপর, সেন্ট ভিনসেন্ট বয়েজ গ্রামার স্কুলে পড়াশুনো করেন। গ্রামার স্কুলে অধ্যয়নকালে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলায় আগ্রহান্বিত হয় উঠেন।
বিখ্যাত ক্রিকেট তারকা স্যার এভারটন উইকসের সুপারিশক্রমে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর কুইন্স রয়্যাল কলেজে বৃত্তিধারী হন। এ সময়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়।
১৯৫৫-৫৬ মৌসুম থেকে ১৯৫৯-৬০ মৌসুম পর্যন্ত আলফন্সো রবার্টসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মার্চ, ১৯৫৫ সালে কম্বাইন্ড আইল্যান্ডসের সদস্যরূপে ত্রিনিদাদের বিপক্ষে ৭৪ রানের ইনিংসটি তাকে খ্যাতি এনে দেয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন আলফন্সো রবার্টস। ৯ মার্চ, ১৯৫৬ তারিখে অকল্যান্ডে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
এভারটন উইকস ও কিংবদন্তীতুল্য গ্যারি সোবার্সের সাথে ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। এ সময়ে তার বয়স ছিল ১৮ বছর। তৎকালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অন্যতম সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন। ক্ষুদে দ্বীপের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। অকল্যান্ডে তার একমাত্র টেস্টটিতে ২৮ ও ০ রান তুলেন। ফলশ্রুতিতে, নিউজিল্যান্ড দল ২৬ বছর চেষ্টার পর তাদের প্রথম টেস্ট বিজয়ের রেকর্ড গড়ে।
এ সফরের পর তিনি আর মাত্র ১৩৭ রান তুলেছিলেন। এরপর ত্রিনিদাদে চলে যান। সেখানে, স্থানীয় খেলোয়াড়দের পরিবর্তে তার অন্তর্ভূক্তির প্রশ্নে বিরূপ সমালোচনার মুখোমুখি হন। ফলশ্রুতিতে, অল্প কিছুদিন পরই সেন্ট ভিনসেন্টে প্রত্যাবর্তন করেন। সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অধিনায়ক জেফ স্টলমেয়ার মন্তব্য করেন যে, সেরা প্রতিভা ও তরুণকে ত্রিনিদাদ হারালো।
কানাডায় অভিবাসন[সম্পাদনা]
এক পর্যায়ে ক্রীড়ার তুলনায় শিক্ষা ও রাজনীতি বিষয়ে আগ্রহী হয়ে পড়েন। ১৯৬১ সালের মধ্যে ক্রিকেট খেলা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। সেন্ট ভিনসেন্টে সরকারি চাকুরিতে যুক্ত হয়ে পড়েন। এরপর, মন্ট্রিলের কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ও কানাডায় অভিবাসিত হন। ১৯৬২ সালে পড়াশুনোর লক্ষ্যে কানাডায় অভিবাসিত হন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ হবার পর মন্ট্রিলে অনেকগুলো বছর কাজ করেন। ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন আল্ফি রবার্টস।
১৯৬৬ সালে কানাডায় তিনি তার একমাত্র খেলায় অংশ নেন। মাউন্ট রয়্যালের সদস্যরূপে সফররত নিউইয়র্ক দলের বিপক্ষে খেলেন। চার বছর খেলার জগৎ থেকে দূরে থাকার পর ব্যাট হাতে নিয়ে দর্শনীয় অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। এরপর আর তাকে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি।
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ক্রিকেটের সাথে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি জাজ সঙ্গীতে আগ্রহী ছিলেন। এভারটন উইকস তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ২৪ জুলাই, ১৯৯৬ তারিখে ৫৮ বছর বয়সে কানাডার মন্ট্রিল এলাকায় আলফন্সো রবার্টসের দেহাবসান ঘটে।[১]
২০০১ সালে মন্ট্রিলে তার নামানুসারে ‘দ্য আল্ফি রবার্টস ইনস্টিটিউট’ নামীয় স্বাধীন বেসরকারী সংস্থা গঠন করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানে তার জীবন, কর্ম, প্রকাশিত বিভিন্ন মুদ্রিত প্রতিবেদন সংরক্ষিত রয়েছে। জুন, ২০০৫ সালে সংস্থা থেকে ‘এ ভিউ ফর ফ্রিডম: আল্ফি রবার্টস স্পিকস অন দ্য ক্যারিবিয়ান, ক্রিকেট, মন্ট্রিল, এন্ড সি.এল.আর. জেমস’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। তার মৃত্যুর পূর্বে জানুয়ারি, ১৯৯৫ সালে ডেভিড অস্টিন ব্যাপকভাবে স্বাক্ষাৎকার ধারনের বিষয়টি ঐ গ্রন্থে তুলে ধরা হয়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- টম ডিউডনি
- ডেনিস অ্যাটকিনসন
- এক টেস্টের বিস্ময়কারী
- ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে আলফন্সো থিওডর রবার্টস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে আলফন্সো থিওডর রবার্টস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- The Alfie Roberts Institute Webpage
- News about book celebrating Alfie Roberts' life