আব্দুল কাদের জিলানী
আব্দুল কাদির আল জিলানী | |
---|---|
আরবী ক্যালিগ্রাফিতে আব্দুল কাদির জিলানীর নাম | |
পুরো নাম | আল-সাইয়িদ মহিউদ্দীন আবু মুহাম্মদ আব্দুল কাদির আল-জিলানী আল-হাসানী ওয়াল-হুসাইনী |
জন্ম | ১ রমযান ৪৭০ হিজরী |
[১][২] | |
আকীদা | আথারী |
জন্মস্থান | গিলন প্রদেশ, তাবারিস্তান, পারস্য |
মৃত্যু | ১১ রবিউস সানি ৫৬১ হিজরী ≈ ফেব্রুয়ারি ১৪, ১১৬৬ সিই[৩][৪] |
সমাধি স্থান | বাগদাদ, ইরাক |
পিতা | আবু সালিহ মুসা আল-হাসানি |
মাতা | উম্মুখ খায়ের ফাতিমা |
স্ত্রী (সকল) | মদিনা, সাদিকা, মু'মিনাহ, মাহবুবা |
পুত্র (সকল) | সাফিউদ্দীন, শরীফুদ্দীন, আবু বকর, সিরাজুদ্দীন, ইয়াহয়িয়া, মুসা, মুহাম্মদ, ইব্রাহিম, আব্দুল্লাহ, আব্দুর রহমান, আবু নাসির মুসা |
উপাধী | মুহায়ি'দ-দীন, সুলতান আল-আউলিয়া, গাউসুল আযম[টীকা ১] |
আব্দুল কাদের জিলানী হলেন ইসলাম ধর্মে অন্যতম প্রধান আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ত্ব। তিনি ইসলামের অন্যতম প্রচারক হিসাবে সুবিদিত। সূফীরা তাকে 'বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ)' নামে ব্যক্ত করা হয়। আধ্যাত্মিকতায় উচ্চমার্গের জন্য বড়পীর, ইরাকের অন্তর্গত 'জিলান' নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করায় জিলানী, সম্মানিত হিসাবে আবু মোহাম্মদ মুহিউদ্দীন প্রভৃতি উপাধি ও নামেও তাকে সম্বোধন করা হয়।[৬]
পরিচ্ছেদসমূহ
জন্ম[সম্পাদনা]
আব্দুল কাদের হিজরি ৪৭১ সনের রমজান মাসের ১ তারিখে বাগদাদ নগরের জিলান শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবু সালেহ মুছা জঙ্গী এবং মাতার নাম সাইয়েদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা। তার মাতা ছিলেন হাসান ইবনে আলীর বংশধর।
ধর্ম প্রচার[সম্পাদনা]
শিক্ষা-দীক্ষায় পূর্ণতা অর্জনের পর তিনি নিজেকে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজে নিয়োজিত করেন। বিভিন্ন মাহফিলে তিনি ইসলামের সুমহান আদর্শ যুক্তিপূর্ণ ভাষায় বর্ণনা করতেন। তার মহফিলে শুধু মুসলমান নয়, অনেক অমুসলিমও অংশগ্রহণ করতো। তার বক্তব্য শুনে অনেক অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।[৬]
বই[সম্পাদনা]
তিনি কাব্য, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ের পণ্ডিত ছিলেন। তার রচিত বহু গ্রন্থ রয়েছে। এসব গ্রন্থের মধ্যে ফতহুল গায়ের গুনিয়াতুত তালেবীন, ফতহুর রবযানী, কালীদায়ে গাওসিয়া উল্লেখযোগ্য।[৬]
মৃত্যু[সম্পাদনা]
হিজরী ৫৬১ সালের ১১ রবিউসসানী আব্দুল কাদের পরলোক গমন করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তার ওফাত দিবস সারা বিশ্বের সূফীরা প্রতি বছর অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকেন এবং তার মৃত্যুবার্ষিকী ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম হিসেবে পরিচিত।[৬]
টীকা[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ John Renard, The A to Z of Sufism. p 142. আইএসবিএন ০৮১০৮৬৩৪৩X
- ↑ Juan Eduardo Campo, Encyclopedia of Islam, p. 288. আইএসবিএন ১৪৩৮১২৬৯৬৪
- ↑ Shad, Abdur Rahman. Ali Al-Murtaza. Kazi Publications; 1978 1st Edition. Mohiyuddin, Dr. Ata. Ali The Superman. Sh. Muhammad Ashraf Publishers; 1980 1st Edition. Lalljee, Yousuf N. Ali The Magnificent. Ansariyan Publications; Jan 1981 1st Edition.
- ↑ "Hijri Date"। ১১ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ www.al-baz.com, www.al-baz.com। "Titles"। www.al-baz.com।
- ↑ ক খ গ ঘ বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ],মোঃ নুরুজ্জামান শাহরিয়ার,দৈনিক ইনকিলাব। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৩ ফেব্রেুয়ারি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।