বিষয়বস্তুতে চলুন

হানবালী (মাযহাব)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Mohammad Shis (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২১:১২, ৬ নভেম্বর ২০২২ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

মুসলিম বিশ্বের মানচিত্র। হাম্বলি (গাঢ় সবুজ)।

হাম্বলি বা হানবালি মাযহাব সুন্নি ইসলামের অন্যতম চারটি মাযহাবের মধ্যে একটি। এটা ইরাকি পণ্ডিত ইমাম আবু আব্দুল্লাহ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল আশ-শাইবানির নামে নামকরণ করা হয়েছে, আর প্রাতিষ্ঠানিরূপ দিয়েছেন ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলের ছাত্ররা। চারটি মাযহাবের মধ্যে, হাম্বলি মাযহাবের অনুসারী সংখ্যাই সবচেয়ে কম। বাংলাদেশেও এ মাযহাবের অনুসারী সংখ্যা খুব কম। চার মাযহাবের মধ্যে একমাত্র হাম্বলি মাযহাবকে একইসাথে ফিকহআকিদার মাযহাবরূপে গণ্য করা হয়। হাম্বলি মাযহাবের আকিদাকে ক্ষেত্রবিশেষে আহলুস সুন্নাহ, হাম্বলি বা মাজহাবে হাম্বলি আকিদা বলেও পরিচয় দেওয়া হয়।

এ মাযহাবটি বর্তমানে সৌদি আরবে প্রতিষ্ঠিত, যেখানে এর অধিকাংশ অনুসারী রয়েছে। তবে এ ছাড়াও কাতার, মিশর, সিরিয়াতেও এ মাযহাবের অনেক অনুসারী রয়েছে। অধুনা পশ্চিমাবিশ্ব, কাশ্মির, এমনকি বাংলাদেশেও এ মাযহাবের অনুসারী পাওয়া যায়, যদিও বাংলাদেশে এর সংখ্যা এখনও খুব কম।

স্বকীয় নিয়ম

  • অযু: যে ৭টি বিষয় অযু ভেঙ্গে দেয় তার মধ্যে অন্যতম একটা হলো শারিরীক চাহিদাবশত বিপরীত লিঙ্গের কারও ত্বক স্পর্শ করা, যেটা অনেকটা মালেকি মাযহাবের সাথে মিলে যায়। অন্যদিকে শাফেয়ি মাযহাবে বিপরীত লিঙ্গের কাওকে স্পর্শ করলেই অযু ভেঙ্গে যায়, যেখানে হানাফি মাযহাবে শুধুমাত্র কাওকে স্পর্শ করলে অযু ভাঙ্গে না।
  • রুকু: রুকুতে যাওয়ার আগে এবং রুকু থেকে দাঁড়ানোর সময় হাত তুলা (রাফউল ইয়াদাইন) সুন্নত, যেখানে শাফেয়ি মাযহাবের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে। এবং রুকু থেকে দাঁড়ানোর পর নামাযরত ব্যক্তি চায়লে আগের মত হাত বাঁধতে পারে। যেখানে অন্য মাযহাবে হাত দু পাশে ছেড়ে দাঁড়ানোই নিয়ম।
  • তাশাহুদ: আল্লাহর নাম উচ্চারণের সময় আঙুল উঠাতে ও নামাতে হয়।
  • তাসমিয়া বা বিসমিল্লাহ বলা: ওযু, গোসল ও তয়াম্মুমে বিসমিল্লাহ বলা এ মাযহাবে ওয়াজিব বলে বিবেচিত।
  • কোন ওজর না থাকলে, পুরুষের জন্য জামায়াতে নামায পড়া ওয়াজিব (বাধ্যতামূলক) বলে বিবেচিত।

প্রসিদ্ধ আলিমগণ

আরও পড়ুন

তথ্যসূত্র