সাই-হাব
সাইটের প্রকার | ফাইল আদানপ্রদান |
---|---|
উপলব্ধ |
|
মালিক | Alexandra Elbakyan |
বাণিজ্যিক | না |
নিবন্ধন | None |
চালুর তারিখ | ১৬ এপ্রিল ২০১১[১] |
বর্তমান অবস্থা | সক্রিয় |
বিষয়বস্তুর লাইসেন্স | Hosts material without regard to copyright |
সাই-হাব একটি অবৈধ লাইব্রেরির ওয়েবসাইট যা লক্ষাধিক গবেষণাপত্র ও বইতে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদান করে।[৪] যাতে ৫৮,০০০,০০০-এর বেশি অ্যাকাডেমিক প্রকাশনা ও নিবন্ধ প্রকাশকের পে-ওয়ালকে এড়িয়ে সরাসরি ডাউনলোড করা যায়। নানা শিক্ষামূলক সংগঠনের প্রক্সি ব্যবহার করে এতে প্রতিদিন প্রচুর নতুন নিবন্ধ আপলোড করা হয় এবং সেগুলি লিব্-জেন (LibGen) রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
প্রত্যেক গবেষণামূলক নিবন্ধ পড়ার জন্য সাধারণত ৩০ ডলার মত মূল্য দিতে হয়। গবেষণা-নিবন্ধগুলির এই দামী পে-ওয়ালের প্রতিবাদে ২০১১ সালে সাই-হাব তৈরি করেছিলেন কাজাখ্ ছাত্রী আলেকজান্দ্রা এলবাক্যান (Alexandra Elbakyan)।
২০১৫ সালে গবেষণামূলক প্রকাশক এলসেভিয়ার সাই-হাবের বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে নিউ-ইয়র্ক-এ মামলা দায়ের করে। এই মামলায় সাই-হাবের আসল ডোমেইনটি নিষিদ্ধ করা হয়। এর পরে সাই-হাব অনেকগুলি ডোমেইন ব্যবহার করেছে, যার কিছু কিছু নানা দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। সাই-হাবের ভূমিকা অত্যন্ত বিতর্কিত। বৈজ্ঞানিক ও অ্যাকাডেমিক সমাজের কিছু অংশ এর উচ্চ প্রশংসা করলেও বেশ কিছু প্রকাশক তীব্র নিন্দাও করেছেন।
ইতিহাস
২০১১ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর[৫] কাজাখস্তানের এক সফটওয়্যার ডেভলপার ও স্নায়বিক প্রযুক্তি গবেষক আলেকজান্দ্রা এলবাক্যান সাই-হাব প্রকল্পটি শুরু করেন।[৬] তাঁর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল গবেষণাকে পে-ওয়াল থেকে মুক্ত করা যাতে অনেক বেশি মানুষের কাছে তা উপলব্ধ হয় এবং জ্ঞানের প্রসার ঘটে।[৭] যেহেতু সব প্রয়োজনীয় নিবন্ধেরই ৩২ ডলার করে দাম, তাই গবেষণা-শেয়ারিং ফোরাম-এর মাধ্যমে এরকম "পিরেটেড" নিবন্ধ না পেলে তিনি একটি কাজাখ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে পারতেন না বলে আলেকজান্দ্রার দাবি।[৮][৯] এই প্রক্রিয়ায় জড়িত হয়ে পড়ার পর ও শ-খানেক নিবন্ধ আপলোড করার পর তিনি প্রক্রিয়াটি স্বয়ংক্রিয় করার দিকে মন দেন।
প্রকল্পটির যে আসল ডোমেইন-নাম, Sci-Hub.org, সেটি কোর্টের রায়ের পর নভেম্বর ২০১৫ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই একই মাসে .io ডোমেইন নিয়ে প্রকল্পটির পুনরাগমন ঘটে।সাইটটির চীনা নিয়ামক Now.cn-এ এলসেভিয়ার অভিযোগ জানানোর পর .io ডোমেইনটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও .bz, .cc, বা .ac ডোমেইনে সাইহাব চালু আছে।সরাসরি আইপি ঠিকানা (৮০.৮২.৭৮.১৭০) দিয়ে বা .onion Tor গুপ্ত সার্ভিস দিয়ে (scihub22266oqcxt.onion)-ও সাইহাবে যাওয়া যায়।টরেণ্টফ্রীক বলেছে এসব সাইট বন্ধ করা কার্যত অসম্ভব।
ভারত, ইন্দোনেসিয়া, পাকিস্তান, ইরান, চীন, রাশিয়া ও ব্রেজিলের মত উন্নয়নশীম দেশগুলিতে এই সাইটের ব্যাপক জনপ্রিয়তা। ২০১৬ সালের শুরুতে এলবাক্যান যে তথ্য উন্মোচন করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে উন্নত দেশগুলিতেও এর চল প্রচুর।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলি থেকে অনেক ডাউনলোড হয়েছে বলে দেখা গেছে।
যদিও সাইহাব বিনামূল্যে যেসব সাইট গবেষণামূলক নিবন্ধ দেয় তার অন্যতম, কিন্তু এটিই প্রথম যা পে-ওয়াল এড়ানোর প্রক্রিয়াকে স্বয়ংক্রিয় করেছে।অন্যান্য প্রক্রিয়া হল নিবন্ধের রচয়িতাদের ই-মেইল করে নিবন্ধের জন্য অনুরোধ করা বা #ICanHazPDF টুইটার ট্যাগের মত অনলাইন গবেষণা ফোরাম বা সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অনুরোধ জানানো।
ওয়েবসাইট
সাইহাব ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রিপ্শন বা কোনো অর্থ ছাড়া নিবন্ধ পাওয়া যায়।২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাইটটি দাবি করেছিল তারা দিনে ২০০০০০ অনুরোধ সরবরাহ করে- যা ২০১৫ সালে "sci-hub.org" নিষিদ্ধ হওয়ার আগের দৈনিক ৮০০০০এর চেয়ে বেশি।
সাইটটি প্রকাশকদের পে-ওয়াল পেরোতে ব্যবহার করে নানা শিক্ষামূলক সংঘঠনের আইডি ও পাসওয়ার্ড, যারা এইসব পত্রিকা ক্রয় করে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে এলবাক্যান 'সায়েন্স'কে বলেছিলেন যে সারা বিশ্বের প্রচুর গবেষকরা নিজেদের আইডি-পাসওয়ার্ড স্বেচ্ছায় বেনামীভাবে সাই-হাবকে দান করেন, যদিও প্রকাশকদের দাবি যে সাইহাব ফিশিং-এর মাধ্যমে এই তথ্য সংগ্রহ করে। সাইহাব JSTOR, স্প্রিংগার, সেজ, এলসেভিয়ার ইত্যাদি অনেক জার্নালের গবেষণাপত্র পেতে পারে। ২০১৩ সালে সাইহাব লাইব্রেরি জেনেসিস (LibGen) নামক রুশ পুস্তক ও পত্রিকা ভাণ্ডারের সাথে কাজ করা শুরু করে। যদি অনুরোধের গবেষণাপত্র তথ্যভাণ্ডারে থাকে, তাহলে সেটি কোনো শংসাপত্র ছাড়াই অনুরোধকারীকে দিয়ে দেওয়া হবে। যদি লিবজেন-এ নিবন্ধটি না থাকে তবে সাইহাব সেটি ডাউনলোড করে ভবিষ্যতের জন্য লিবজেনে সঞ্চয় করে রাখবে। সাধারণ হিসেব অনুযায়ী সাইহাব ৫ কোটির উপর নিবন্ধ ডাউনলোড করে লিব-জেনে সঞ্চয় করে রেখেছে। সাইহাবের খরচা চলে ব্যবহারকারীর অর্থসাহায্যে, যা বিটকয়েনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়।
সাইহাবের গতিবিধি শুধু বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রে সীমাবদ্ধ নয়, যদিও কলা ও সমাজবিজ্ঞানের প্রকাশিত গবেষণাপত্রগুলি অপেক্ষাকৃত কম ডাউনলোড হয় (সাইহাবের সর্বোচ্চ ১০০ ডাউনলোডের মধ্যে ১০ শতাংশ)।
মামলা
সাইটটির বিরুদ্ধে এখন এলসেভিয়ারের মামলা চলছে। কিছু কোর্টের দলিল রয়েছে যাতে সাইটটি কীভাবে জনগণের কাছে উপলব্ধ হয় তার প্রযুক্তিগত আলোচনা আছে। এলসেভিয়ারের দাবি যে সাইহাব অবৈধভাবে গবেষক ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউণ্ট চুরি করে তাই দিয়ে তাদের সায়েন্সডিরেক্ট নামের সাইটে বিনামূল্যে প্রবেশ করছে। যেহেতু সাইটটি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অবস্থিত তাই যুক্তরাষ্ট্রের আইনে এই মামলা চালানো এক জটিল প্রক্রিয়া। লাইব্রেরি জেনেসিস (LibGen) এর বিরুদ্ধেও একইরকম মামলা চলছে। লিবজেন হয় নেদারল্যান্ড বা রাশিয়ায় অবস্থিত।
মামলাগুলির প্রত্যুত্তরে এলবাক্যান বলেছেনঃ
নিজের সপক্ষে আলেকজান্দ্রা এলবাক্যান রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সনদের অনুচ্ছেদ ২৭-এর অংশ উদ্ধৃত করেছেনঃ "বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ও এর সুফলসমূহের অংশীদার হওয়ার অধিকার রয়েছে", যা তাঁর মতে গবেষকদের সমগ্র কাজ প্রকাশকরা ন্যূনতম প্রচেষ্টায় ছেপেও প্রকাশকরা যে অর্থ দাবি করছেন তাতে বিঘ্নিত হচ্ছে। ইলেক্ট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশন সাই-হাব ও তার সহকর্মী সাইট লিবজেন-এর পাশে দাঁড়িয়েছে। মামলার ফলে এলসেভিয়ারের বিরুদ্ধে নিন্দা হয়েছে, এবং ২০১৫ রায়ের পরে গবেষক, লেখক ও শিল্পীদের একটি গোষ্ঠী সাইহাব ও লাইব্রেরি জেনেসিসের সমর্থনে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন। তাতে মামলাটিকে বিশ্বের সমস্ত গবেষকদের উপর হামলা বলে সম্বোধন করা হয়েছিল এবং এও বলা হয়েছিল যে "এটি লেখক, সম্পাদক ও পাঠকদের সবাইকে একইরকমভাবে অবমাননা করে। এটি আমাদের শ্রমের উপর আশ্রয় করে জনগণের থেকে আমাদের কাজকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং আমাদেরকেই তা থেকে বঞ্চিত করে।" এই মামলার করার জন্য এবং একই সময়ে ওয়েবের দৃষ্টিগোচরতা বাড়ানোর অছিলায় উইকিপিডিয়াকে অর্থদানের জন্যও এলসেভিয়ার সমালোচনা হয়।
প্রতিক্রিয়া
সাইহাব বৈপ্লবিক" বলে প্রশংসিত হয়েছে এবং বলা হয়েছে এটি আমাদের জ্ঞান আহরণের প্রক্রিয়ার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে", অন্যদিকে কিছু প্রকাশকরা বেশ নিন্দা করেছেন, এমনকি এও বলেছেন যে সাইহাবের ফলে অন্য বৈধ উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার মাধ্যমের অবমাননা হচ্ছে আর প্রকাশকরা তৃতীয়-বিশ্বের দেশগুলিতে যেভাবে জ্ঞান পৌঁছে দিতে চাইছেন তা ব্যাহত হচ্ছে। লাইব্রেরি গবেষকদের মধ্যে আন্তর-লাইব্রেরি ঋণ ব্যবহার কমানোর জন্য এর সমালোচনা হয়েছে।
অন্যদিকে দাবি করা হয়েছে যে ক্রমবর্ধমান সাবস্ক্রিপ্শন মূল্যের জন্য হার্ভার্ড বা কর্নেল ইউনিভার্সিটি কর্নেলের মত নামী পশ্চিমী প্রতিষ্ঠানেও জার্নাল সাবস্ক্রিপ্শন কমাতে হচ্ছে। কিছু আমেরিকান শহর ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সাই-হাবের সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়তো এর ইঙ্গিত দিচ্ছে (যদিও এটি সাইটটি ব্যবহারের সুবিধার জন্যও হতে পারে)। গবেষণাকে আরো বেশি সর্বজনের মাঝে অবারিত করার যে ক্রমপ্রক্রিয়া তার একটি পদক্ষেপ বলা যেতে পারে সাইহাবকে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট অনুযায়ী, অনেক গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক এবং উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারের প্রবক্তারা বলেন যে এলবাক্যান গবেষকদের "ন্যাপ্স্টার মুহূর্ত" দিয়েছেন, সেই অবৈধ সঙ্গীত-শেয়ারিং সাইটের উল্লেখ করে যা "বাজারকে স্থায়ীভাবে পাল্টে দিয়েছিল"।
সাইহাব তৈরি করার জন্য এলবাক্যান বীরের সম্মান পেয়েছেন এবং বলা হয়েছে তিনি "অ্যারন সোয়ার্জ-এর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী"। তাঁকে এডওয়ার্ড স্নোডেনের সাথেও তুলনা করা হয়েছে, কারণ তিনি আমেরিকান আইনে অবৈধ দলিলপত্র "লিক" করে রাশিয়ায় আত্মগোপন করেছেন। তাঁকে সাম্প্রতিক কালের "রবিন হুড" ও "বিজ্ঞানের রবিন হুড"-ও বলা হয়েছে।
২০১৬র আগস্টে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক গাব্রিয়েল জে. গার্ডনারকে, যিনি সাইহাব ও অন্যান্য অনুরূপ সাইটের বিষয়ে গবেষণাপত্র লিখেছেন, চিঠি পাঠিয়েছিল অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকান পাবলিশার্স। চিঠিতে গার্ডনারকে সাইটটির প্রচার করতে বারণ করা হয়েছিল, কারণ তিনি আমেরিকান লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে সাইটটি নিয়ে কথা বলেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ গবেষণা চাপা দেওয়ার জন্য ওই প্রকাশক গোষ্ঠীর কড়া নিন্দা করা হয়, এবং এই চিঠিটি ও ক্যাল স্টেট লং বিচ-এর পাঠাগার সংক্রান্ত ডীন (যিনি গার্ডনারের কাজের সমর্থন জানিয়েছিলেন) দ্বারা লিখিত জবাবী চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে।
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "sci-hub.org"। ICANN WHOIS। ৯ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ Bohannon, John; Elbakyan, Alexandra (২০১৬-০৪-২৮)। "Open access"। Data from: Who's downloading pirated papers? Everyone (Data Set)। Dryad Digital Repository। ডিওআই:10.5061/dryad.q447c।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Bohannon
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Himmelstein, Daniel S; Romero, Ariel Rodriguez; Levernier, Jacob G; Munro, Thomas Anthony; McLaughlin, Stephen Reid; Greshake Tzovaras, Bastian; Greene, Casey S (১ মার্চ ২০১৮)। "Sci-Hub provides access to nearly all scholarly literature"। eLife (ইংরেজি ভাষায়)। 7। আইএসএসএন 2050-084X। ডিওআই:10.7554/eLife.32822। পিএমআইডি 29424689। পিএমসি 5832410 ।
- ↑ "About Sci-Hub" (ইংরেজি ভাষায়)। ডিসেম্বর ৪, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Lifeboat Foundation Bios: Alexandra A. Elbakyan" (ইংরেজি ভাষায়)। Lifeboat Foundation। ৭ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Van der Sar, Ernesto (২৭ জুন ২০১৫)। "Sci-Hub Tears Down Academia's "Illegal" Copyright Paywalls"। TorrentFreak (ইংরেজি ভাষায়)। Lennart Renkema। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "Science "Pirate" Attacks Elsevier's Copyright Monopoly in Court - TorrentFreak" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৯-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-২৯।
- ↑ Kravets, David (২০১৬-০৪-০৩)। "A spiritual successor to Aaron Swartz is angering publishers all over again"। arstechnica.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-২৯।