বিষয়বস্তুতে চলুন

ভারতে সাক্ষরতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা RiazACU (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৩:৫৮, ২ আগস্ট ২০২২ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (2409:4063:4EAA:F441:0:0:48B:2A15 (আলাপ)-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে InternetArchiveBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

১৯০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ভারতের সাক্ষরতা হার।

ভারতে সাক্ষরতা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান পন্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।[] ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সময় দেশের সাক্ষরতার হার ছিল ১২%। ২০১১ সালে এই হার বেড়ে হয়েছে ৭৪.০৪%।[][] ২০০৮ সালের জুন মাসে জাতীয় নমুনা সমীক্ষা কার্যালয় (এনএসএসও) পরিচালিত একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭ বছর বয়স পর্যন্ত সাক্ষরতার হার ৭২%, কিন্তু পূর্ণবয়স্ককদের (১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব) সাক্ষরতার হার ৬৬%।[]

সাক্ষরতার ক্ষেত্রে এই উন্নতি পাঁচ গুণ হলেও, ভারতে সাক্ষরতার হার বিশ্বের গড় সাক্ষরতার হার ৮৪%-এর অনেকটাই নিচে।[] বর্তমানে নিরক্ষর জনসংখ্যার নিরিখে ভারত বিশ্বে প্রথম স্থানের অধিকারী।[] সরকারিভাবে একাধিক নিরক্ষরতা-দূরীকরণ কর্মসূচি গ্রহণ সত্ত্বেও, ভারতের সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির হার "শ্লথ"।[] ১৯৯০ সালের একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছিল, সার্বিক সাক্ষরতা অর্জনে ভারতের ২০৬০ সাল লেগে যাবে।[] ২০১১ সালের জনগণনায় দেখা গেছে, ভারতের ২০০১-২০১১ দশকীয় সাক্ষরতা বৃদ্ধির হার ৯.২%, যা পূর্ববর্তী দশকীয় বৃদ্ধির হারের তুলনায় শ্লথতর।

ভারতে লিঙ্গভেদে শিক্ষাগত তারতম্য লক্ষিত হয়। ২০১১ সালে পূর্ণবয়স্ক (১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব) সাক্ষরতার হার পুরুষদের ক্ষেত্রে ৮২.১৫% ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬৫.৪৬%।[] নারী-সাক্ষরতার হার কম হওয়ার কুপ্রভাব পড়ছে পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রয়াসে পরিলক্ষিত হচ্ছে। গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, নারী সাক্ষরতার ফলে বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ে, এমনকি তাঁরা আর্থিকভাবে স্বাধীন না হলেও।[১০] অবশ্য সাম্প্রতিক জনগণনা থেকে জানা গিয়েছে, ২০০১-২০১১ দশকে ভারতে নারী সাক্ষরতা বৃদ্ধির হার (১১.৮%), পুরুষ সাক্ষরতা বৃদ্ধির হারের (৬.৯%) তুলনায় অধিক; যার অর্থ সাক্ষরতার ক্ষেত্রে লিঙ্গগত বিভেদ কমে আসছে।[১১]

পাদটীকা

  1. UNESCO: Literacy, UNESCO, ২০ মে ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা 
  2. Jayant Pandurang Nayaka, Syed Nurullah (১৯৭৪), A students' history of education in India (1800-1973), Macmillan 
  3. Census#India"Cencus Of India"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-৩১ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ২৪ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১১ 
  5. Crossette, Barbara (১৯৯৮-১২-০৯), "Unicef Study Predicts 16% World Illiteracy Rate Will Increase", New York Times, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৭ 
  6. "India has the largest number of illiterates in the world", Rediff, ২০০৭-১১-২১, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৭ 
  7. "India's literacy rate increase sluggish", Indiainfo.com, ২০০৮-০২-০১, ২০০৯-০৮-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২০, ... Literacy in India is increasing at a sluggish rate of 1.5 percent per year, says a recent report of the National Sample Survey Organisation (NSSO) ... India's average literacy rate is pegged at 65.38 percent ... 
  8. How Female Literacy Affects Fertility: The Case of India (পিডিএফ), Population Institute, East-West Center, ডিসেম্বর ১৯৯০, ২০১০-১২-২৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৫ 
  9. http://www.unfpa.org/swp/2009/en/pdf/EN_SOWP09_ICPD.pdf
  10. A. Dharmalingam, S. Philip Morgan (১৯৯৬), "Women's work, autonomy, and birth control: evidence from two south India villages", Population Studies, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৫ 
  11. Literates and Literacy Rates - 2001 Census (Provisional), National Literacy Mission, ২০০৯-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৭ 

বহিঃসংযোগ