বিষয়বস্তুতে চলুন

বিনিময় ভারসাম্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৩:১৬, ২০ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0.9.2)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ও বৈদেশিক ঋণগ্ৰস্থ দেশ

বিনিময় ভারসাম্য (ইংরেজি: Balance of Payments) হচ্ছে একটি দেশের সাথে বিশ্বের অপরাপর দেশগুলোর মধ্যে সংঘঠিত আর্থিক লেনদেনের হিসাবরক্ষণ ।[] পণ্য ও সেবা আমদানি–রপ্তানির বিপরীতে পরিশোধিত অর্থ, আর্থিক মূলধন এবং তহবিল স্থানান্তর এই হিসাবের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত । বিনিময় ভারসাম্য হিসাবসমূহ কোন দেশের একটি নির্দিষ্ট সময়ের, সাধারণত: এক বছরের, আন্তর্জাতিক লেনদেনের সারসংক্ষেপ এবং এটি একটি একক মুদ্রায়, সাধারণত সেই দেশের স্থানীয় মুদ্রায় প্রকাশ করা হয় । একটি দেশের তহবিলের উৎসসমূহ, যেমন রপ্তানী আয় বা বৈদেশিক ঋণ এবং বিনিয়োগ ইত্যাদি ধনাত্মক বা উদ্বৃত্ত উপাদান হিসেবে হিসাবভুক্ত হয় । তহবিলের ব্যবহার, যেমন আমদানি ব্যয় বা অন্যদেশে বিনিয়োগ ঋণাত্মক বা ঘাটতি উপাদান হিসেবে হিসাবভুক্ত হয় ।

বিনিময় ভারসাম্য হিসাবের সব উপাদান যখন অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তার যোগফল অবশ্যই শুন্য হবে; তাতে সামগ্রিক ভাবে কোন উদ্বৃত্ত বা ঘাটতি থাকতে পারে না । উদাহরণস্বরূপ, একটি দেশ যদি রপ্তানির থেকে বেশি আমদানি করে, তবে তার বাণিজ্য ভারসাম্যে ঘাটতি দেখা দেবে বা বাণিজ্য ঘাটতি হবে । কিন্তু এই ঘাটতি অবশ্যই অন্যান্য উপায়ে পূরণ করতে হবে, সেটা হতে পারে বিদেশী বিনিয়োগ থেকে অর্জিত তহবিলের মাধ্যমে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিকমুদ্রার রিজার্ভ খরচ করে, অথবা অন্য দেশ থেকে ঋণ গ্রহণ করে ।

সামগ্রিক বিনিময় ভারসাম্য হিসাবে সব ধরনের লেনদেন অন্তর্ভুক্ত করার পর যদিও সর্বদা ভারসাম্য বজায় থাকে, কিন্তু বিনিময় ভারসাম্যের স্বতন্ত্র উপাদানসমূহ যেমন চলতি হিসাব, মূলধন হিসাব (কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব ব্যতীত), বা এ দুই এর সমষ্টিতে, ভারসাম্যহীনতা সম্ভব । মূলধন হিসাবের যোগফলের ভারসাম্যহীনতা উদ্বৃত্ত দেশে সম্পদের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে, অন্যদিকে ঘাটতি দেশগুলি আরো ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ে । "বিনিময় ভারসাম্য" শব্দটি প্রায়ই এই সঙ্কলনটিকে নির্দেশ করে: একটি দেশের বিনিময় ভারসাম্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে উদ্বৃত্ত হবে (একইঅর্থে, বিনিময় ভারসাম্য ধনাত্মক হবে) যখন তহবিল অর্জন (যেমন রপ্তানি পণ্য বিক্রি এবং বন্ড বিক্রি) তহবিলের ব্যয় থেকে সেই পরিমানে বেশি হবে (যেমন আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধ এবং বিদেশী বন্ড ক্রয়ের জন্য অর্থ পরিশোধ) । অন্যদিকে বিনিময় ভারসাম্যে ঘটতি হবে যদি (একইঅর্থে, বিনিময় ভারসাম্য ঋণাত্মক হবে) আগেরটির থেকে পরেরটি পরিমানে বেশি হয় ।

তথ্যসূত্র

  1. Sloman, John (২০০৪)। Economics। Penguin। পৃষ্ঠা 516, 517, 555–559। 

বহিঃসংযোগ

ডাটা

বিশ্লেষণ