পিটার ডি. মিচেল
পিটার মিচেল | |
---|---|
জন্ম | পিটার ডেনিস মিচেল ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯২০ মিচাম, সারে, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ১০ এপ্রিল ১৯৯২ বডমিন, কর্নওয়াল, ইংল্যান্ড | (বয়স ৭১)
জাতীয়তা | যুক্তরাজ্য |
মাতৃশিক্ষায়তন | কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | এটিপি সংশ্লেষণের কর্মপদ্ধতি আবিষ্কার |
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | জৈব রসায়ন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় |
অভিসন্দর্ভের শিরোনাম | The rates of synthesis and proportions by weight of the nucleic acid components of a Micrococcus during growth in normal and in penicillin containing media with reference to the bactericidal action of penicillin (১৯৫০) |
স্বাক্ষর | |
পিটার ডেনিস মিচেল, এফআরএস[১] একজন ব্রিটিশ জৈব রসায়নবিদ ছিলেন, যিনি এটিপি সংশ্লেষণের রাসায়নিক কর্মপদ্ধতি আবিষ্কার করেন। [২][৩]
শিক্ষা ও প্রারম্ভিক জীবন
১৯২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মিচেল সারে কাউন্টির মিচাম এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। [৪] তার বাবার নাম ক্রিস্টোফার গিবস মিচেল এবং মার নাম কেট বিয়েট্রিস ডরোথি ট্যাপলিন। ক্রিস্টোফার পেশায় একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। মিচেলের মামা স্যার গডফ্রে ওয়ে মিচেল বিখ্যাত জর্জ উইম্প্রে স্থাপত্য কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন। মিচেল কুইনস কলেজ, ট্যান্টন ও কেমব্রিজের জেসাস কলেজে অধ্যয়ন করেন। সেখানে তিনি প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বিষয়ে ট্রাইপস ডিগ্রি লাভ করেন। অধীত বিষয়গুলোর মধ্যে জৈব রসায়নে তিনি বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠেন।
১৯৪২ সালে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পদে নিযুক্ত হন। ১৯৫১ সালে তিনি পেনিসিলিনের কর্মপদ্ধতির উপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।[৫]
কর্মজীবন ও গবেষণা
১৯৫৫ সালে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মাইকেল ফ্লিন মিচেল-কে জৈব রাসায়নিক গবেষণা ইউনিট প্রতিষ্ঠার আহবান জানান। ১৯৬১ সালে তিনি এর জ্যেষ্ঠ প্রভাষক নিযুক্ত হন। ১৯৬২ সালে মিচেল সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। কিন্তু তার কাজের প্রতি প্রাতিষ্ঠানিক বিরোধিতা এবং দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে মিচেল পদত্যাগ করেন।
১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সালে তিনি রিজেন্সি যুগের প্রাসাদোপম ভবন গ্লিন নিবাসের পুনঃসংস্কার তত্ত্বাবধান করেন। কর্নওয়ালের বডমিনের কাছে কার্ডিনহামে গ্লিন নিবাস অবস্থিত ছিল। পুনঃসংস্কার করে তিনি একে গবেষণাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এবং তার গবেষণা সহকর্মী জেনিফার ময়েল গ্লিন গবেষণা লিমিটেড নামে গবেষণা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন। রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটন ও বিক্রিয়া ব্যবস্থা নিয়ে মিচেল ও ময়েল বিস্তারিত গবেষণা করেন।[৬][৭][৮][৯]
বৈজ্ঞানিক গবেষণা
১৯৬০ এর দশকে এটিপি জৈবমুদ্রা নামে পরিচিত ছিল। তবে ধারণা করা হতো, এটিপি মাইটোকন্ড্রিয়ায় বিক্রিয়ক (সাবস্ট্রেট) স্তরীয় ফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। মিচেলই ছিলেন সর্বপ্রথম বিজ্ঞানী, যার প্রদত্ত তত্ত্বের আলোকে অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন আলোকে এটিপি সৃষ্টির প্রক্রিয়া আবিষ্কৃত হয়।
মিচেল অনুধাবন করতে সক্ষম হন, তড়িৎরাসায়নিক বিভব পার্থক্যে আয়নের মুক্ত সঞ্চালন এটিপি তৈরির প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। ১৯৬০ এর দশকে এটিপি তৈরির বিষয়ে পূর্বতন তত্ত্বগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করে তিনি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন। তিনি জানতেন, সকল জীবন্ত কোষেরই মেমব্রেন বিভব বা পর্দা বিভব বিদ্যমান। তাড়িতিক শক্তির মাধ্যমেই কোনো পর্দা বা মেমব্রেনে আহিত আয়নের চলাচল নিয়ন্ত্রিত হয়। কণাসমূহ উচ্চ শক্তির এলাকা থেকে নিম্ন শক্তির এলাকায় সঞ্চালিত হচ্ছে - এর আলোকে মিচেল এটিও বলেন, তাপগতীয় শক্তিও আয়ন সঞ্চালনে ভূমিকা রাখে। এভাবেই মিচেল দেখান, এটিপি সংশ্লেষণ এবং তড়িৎ-রাসায়নিক উপাদানসমূহ পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত। [১০]
এটিপি সিন্থেজ নামক প্রোটিনের আবিষ্কারের ফলে মিচেলের তত্ত্ব প্রমাণিত হয়। এটি কোষপর্দায় অবস্থিত তড়িৎরাসায়নিক উপাদানের অভ্যন্তরীণ শক্তি ব্যবহার করে এটিপি তৈরি করে। পরবর্তীতে আন্দ্রে জাগেরদফ আবিষ্কার করেন, ক্লোরোপ্লাস্টের থাইলাকয়েড পর্দায় পিএইচ মানের পার্থক্য এটিপি সংশ্লেষণের জন্য দায়ী। [১১]
পুরস্কার
১৯৭৮ সালে তাঁকে রসায়নে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। জীবনীশক্তির স্থানান্তর প্রক্রিয়া আবিষ্কারের জন্য তিনি এ সম্মানে ভূষিত হন।[১২] ১৯৭৪ সালে তিনি রাজকীয় সমিতির ফেলো নির্বাচিত হন। [১৩]
তথ্যসূত্র
- ↑ Slater, Edward Charles (1 নভেম্বর, 1994)। "Peter Dennis Mitchell, 29 September 1920 - 10 April 1992"। Biographical Memoirs of Fellows of the Royal Society। 40: 283–305। ডিওআই:10.1098/rsbm.1994.0040 – royalsocietypublishing.org (Atypon)-এর মাধ্যমে। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Mitchell, Peter Dennis (1920–1992), biochemist"। Oxford Dictionary of National Biography। ডিওআই:10.1093/ref:odnb/51236।
- ↑ "Peter Mitchhell and the chemiosmotic hypothesis"। www.life.illinois.edu।
- ↑ "Peter Mitchell"। www.nndb.com।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Mitchell, Peter (16 অক্টোবর, 1966)। "Chemiosmotic Coupling in Oxidative and Photosynthetic Phosphorylation"। Biological Reviews। 41 (3): 445–501। ডিওআই:10.1111/j.1469-185X.1966.tb01501.x – Wiley Online Library-এর মাধ্যমে। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Mitchell, Peter (1 মে, 1972)। "Chemiosmotic coupling in energy transduction: A logical development of biochemical knowledge"। Journal of bioenergetics। 3 (1): 5–24। ডিওআই:10.1007/BF01515993 – Springer Link-এর মাধ্যমে। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Mitchell, P. (1 ফেব, 1970)। "Aspects of the chemiosmotic hypothesis"। Biochemical Journal। 116 (4): 5P–6P। ডিওআই:10.1042/bj1160005P। পিএমআইডি 4244889। পিএমসি 1185429 – portlandpress.com-এর মাধ্যমে। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Mitchell, Peter (21 অক্টোবর, 1976)। "Possible molecular mechanisms of the protonmotive function of cytochrome systems"। Journal of Theoretical Biology। 62 (2): 327–367। ডিওআই:10.1016/0022-5193(76)90124-7 – ScienceDirect-এর মাধ্যমে। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ http://www1.ci.uc.pt/pessoal/manolo/Mitchell.pdf
- ↑ Jagendorf, A T; Uribe, E (16 জানু, 1966)। "ATP formation caused by acid-base transition of spinach chloroplasts."। Proceedings of the National Academy of Sciences of the United States of America। 55 (1): 170–177। পিএমআইডি 5220864 – PubMed Central-এর মাধ্যমে। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "The Nobel Prize in Chemistry 1978"। NobelPrize.org।
- ↑ "Fellowship of the Royal Society"। web.archive.org। 15 অক্টোবর, 2015। Archived from the original on ১৫ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২০। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)