বিষয়বস্তুতে চলুন

পচাম্পালি শাড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Renamed user c4a36f15bc7798269081d4eaeca1c196 (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২০:১৮, ৪ জুলাই ২০২২ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

পচাম্পালি শাড়ি
ভৌগোলিক নির্দেশক
বারান্দায় পচাম্পালি শাড়ি পরিহিতা বালিকা ১৮৯৫ সালে হারমান লিন্ডে দ্বারা চিত্র।
অঞ্চলভুদান পচাম্পালি,
নালগোণ্ডা জেলা,
তেলেঙ্গানা
দেশভারত
নথিবদ্ধ২০০৫


পচাম্পালি শাড়ি অথবা পচাম্পালি ইক্কত ভারতের তেলাঙ্গানা রাজ্যের নালগোণ্ডা জেলায় নির্মিত একটি শাড়ি। এগুলি ইক্কত শৈলীর ধাঁচে রঙ এবং ঐতিহ্যগত জ্যামিতিক নকশার জন্য জনপ্রিয়। জটিল জ্যামিতিক নকশাগুলি তাঁতশিল্পীদের কুশলী হস্তে নতুন দিশা পেয়ে বাজারে সুন্দর শাড়ি এবং বস্ত্র উপাদান হিসাবে রূপায়িত হয়েছে। ভারত সরকারের সরকারি বিমানবাহক এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানসেবিকারা বিশেষভাবে নকশা করা পচাম্পালি শাড়ী পড়েন। [][]

ইতিহাস

প্রাচীন ইক্কত বয়নের অন্যতম কেন্দ্র ছিল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ সঙ্গে প্রতিবেশী উড়িষ্যাগুজরাত[] অন্ধ্রপ্রদেশে পচাম্পালি ইক্কত যেস্থান গুলিতে তৈরি হয় সেখানে এটি পগুদুবন্ধু, চিতকি এবং বুড্ডাভাশি নামে পরিচিত। ভারতের অন্যান্য স্থানে এটি পচাম্পালি শাড়ি হিসাবে খ্যাত। পচাম্পালি নামটি যেসমস্ত গ্রামে এই শাড়ি তৈরি হয় তারই একটির নাম থেকে এসেছে। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে তৈরি ইক্কতের থেকে পচাম্পালি ইক্কতের নকশার নিজস্ব অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে। প্রাচীনকালে বয়ন কেন্দ্রগুলি বিজয়বাড়াচেন্নাইয়ের মধ্যবর্তী চিরালা ও জেন্ত্রপেটা শহরে অবস্থিত ছিল। কিন্তু পরে বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়। [] বর্তমানে বেশিরভাগ বুনন পচাম্পালি গ্রামে হয়, যেখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি এই বস্ত্র উৎপাদন তাঁতযন্ত্র আছে। [] এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের পরীক্ষামূলক তালিকায় ভারতের কিংবদন্তি শাড়ি বয়ন গুচ্ছ হিসাবে স্থান করে নিয়েছে।

বুনন

বর্তমানে বয়ন শিল্পটি নালগন্ডা জেলার পচাম্পালি, কয়ালগুডাম, চোউতুপল্লা, স্রিরপুরম, ভুবনগিরি, চুইগোট্টালা এবং গলতেপেল্লা ও আরো কিছু নিকটবর্তী গ্রামে বেঁচে আছে।পচাম্পালি ইক্কতের স্বতন্ত্র জটিল নকশা এবং বুননের জালের দুইদিকের সুতাগুলিকে প্রথমে রঙ করা ও পরে বয়ন করাকে একত্রে দ্বিগুন ইক্কত বস্ত্র বলে।বুননটি সুতীর, সিল্ক এবং সিক(সিল্ক ও কটন) - সূক্ষ্ম রেশম এবং তুলার একটি মিশ্রণ। ক্রমশ প্রাকৃতিক উৎস এবং তাহার মিশ্রণ থেকে রঙগুলি নেওয়া হচ্ছে।

ভৌগোলিক ইঙ্গিত বিশেষাধিকার

পচাম্পালি শাড়ি ২০০৫ সালে মেধা স্বত্ব অধিকার সংরক্ষণ অথবা ভৌগোলিক ইঙ্গিত মর্যাদা পেয়েছে।[] পচাম্পালি ইক্কত পচাম্পালি হ্যান্ডলুম তাঁতি সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং পচাম্পালি হ্যান্ডলুম টাই এণ্ড ডাই সিল্ক শাড়ি প্রস্তুতকারক সমিতির নথিভুক্ত সম্পত্তি। []

আধুনিক ব্যবহার

রাহুল মিশ্রর মত জনপ্রিয় ডিজাইনাররাও পচাম্পালি ইক্কতের জ্যামিতিক নকশার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।সমস্ত ভারতে অবস্থিত তাজ হোটেলগুলিতে এক্সক্লুসিভ তাজ খাজানা দোকানে এই ধরনের নকশাকার পোশাক বিক্রি হচ্ছে।

তথ্যসূত্র

  1. "Pochampally sarees go places"। Nalgonda, Telangana: The Hindu। ২০০৪-০১-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৪-২১ 
  2. "Pochampally silk sarees for AI airhostesses"The Hindu Business Line। Hyderabad, India। ২০০৪-০২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৪-২১ 
  3. Ikat Textiles of India
  4. "Facilitation of IPR Protection through Geographical Indications: Pochampally"। Ministry of Textiles, Government of India। ২০১৫-০৪-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৪-২১ 
  5. "GI Research: Pochampally"। Ministry of Textiles, Government of India। ১২ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ