নান্দেড় জেলা
নান্দেড় জেলা | |
---|---|
মহারাষ্ট্রের জেলা | |
মহারাষ্ট্রের মধ্যে নান্দেড়ের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | মহারাষ্ট্র |
বিভাগ | ঔরঙ্গাবাদ বিভাগ |
সদর শহর | Nanded |
তালুক | |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | ১. নান্দেড় লোকসভা কেন্দ্র, ২. হিঙ্গোলি লোকসভা কেন্দ্র (হিঙ্গোলি জেলার সাথে যৌথভাবে) ৩। লোহা লোকসভা কেন্দ্র (লাতুর জেলার সাথে যৌথ ভাবে লোহা) |
আয়তন | |
• মোট | ১০,৪২২ বর্গকিমি (৪,০২৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩৩,৬১,২৯২ |
• জনঘনত্ব | ৩২০/বর্গকিমি (৮৪০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ২৭.১৯ % |
জনমিতি | |
• সাক্ষরতা | ৭৫.৪৫% |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় সময় (ইউটিসি+05:30) |
জাতীয় সড়ক | জাতীয় সড়ক ২২২ (ভারত), জাতীয় সড়ক ২০৪ (ভারত) |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ৯৫৪ মিমি |
ওয়েবসাইট | http://nanded.nic.in |
নান্দেড় জেলা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যর একটি জেলা। জেলার সদর শহর নান্দেড়।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ৫,৫০,২৬১ | — |
১৯১১ | ৬,৭১,০৬৬ | +২২% |
১৯২১ | ৬,৪৯,৮২৫ | −৩.২% |
১৯৩১ | ৭,০৬,৭৭৩ | +৮.৮% |
১৯৪১ | ৭,৮৪,২৮৯ | +১১% |
১৯৫১ | ৮,৮৩,৫৩১ | +১২.৭% |
১৯৬১ | ১০,৭৯,৬৭৪ | +২২.২% |
১৯৭১ | ১৩,৯৭,৭৬২ | +২৯.৫% |
১৯৮১ | ১৭,৪৯,৩৩৪ | +২৫.২% |
১৯৯১ | ২৩,৩০,৩৭৪ | +৩৩.২% |
২০০১ | ২৮,৭৬,২৫৯ | +২৩.৪% |
২০১১ | ৩৩,৬১,২৯২ | +১৬.৯% |
জেলার আয়তন ১০,৫০২ বর্গকিমি এবং ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুসারে এর জনসংখ্যা ৩,৩৬১,২৯২ যার মধ্যে ২৭.১৯% জনগণ শহরাঞ্চলে বসবাস করেন[১]। গোদাবরী নদী বয়ে গেছে জেলার মধ্য দিয়ে।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব : সত্যখণ্ড গুরুদ্বার (হাজুর সাহেব), রেণুকা দেবী মন্দির মাহুর, কান্ধারের দরগাহ। বাণিজ্যিক ব্যাংক : ১৩২ শিল্পাঞ্চল : নান্দেড়, ধর্মাবাদ, লোহা, দেগলুর, কিনবট, কৃষ্ণুর (এস ই জেড)
অর্থনীতি
২০০৬ সালে পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রক নান্দেড়কে দেশের ২৫০ টি পিছিয়ে পড়া জেলার (মোট ৬৪০ টির মধ্যে) অন্যতম বলে ঘোষণা করে। এটি মহারাষ্ট্রের বারোটি পিছিয়ে পড়া জেলার মধ্যে যা বর্তমানে পশ্চাৎপদ অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচির (বিআরজিএফ) তহবিল গ্রহণ করছে[২]
ভৌগোলিক তথ্য
নান্দেড় জেলাটি ১৮ ডিগ্রী ১৫ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ থেকে ১৯ ডিগ্রী ৫৫ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৭ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৭৮ ডিগ্রী ২৫ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। জেলার আয়তন ১০,৩৩২ বর্গ কিলোমিটার।এটি রাজ্যের দক্ষিণ পূর্ব অংশে অবস্থিত। নান্দেড় জেলার উত্তরে যাবতমাল জেলা, পূর্বদিকে তেলঙ্গানা রাজ্যের আদিলাবাদ জেলা, নির্মল জেলা, নিজামাবাদ জেলা ও কামারেড্ডি জেলা, দক্ষিণে কর্ণাটক রাজ্যের বিদার জেলা, দক্ষিণ পশ্চিমে লাতুর জেলা এবং এর পশ্চিম সীমানায় পার্বনী জেলা ও হিঙ্গোলি জেলা দ্বারা সীমাবদ্ধ। জেলাটি অসম পাহাড়, মালভূমি, মৃদু ঢাল এবং উপত্যকা সহ আনডুলেটিং টোপোগ্রাফি বিশিষ্ট। ভৌগোলিকভাবে, জেলাটি দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত করা যেতে পারে, উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য অঞ্চল এবং গোদাবরী, মাঞ্জরা, মান্যাড়, পেনগঙ্গা নদীর অববাহিকা অঞ্চল।
জনমিতি
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে নান্দেড় জেলার জনসংখ্যা ৩,৩৬১,২২২ জন; জনসংখ্যার বিচারে যা প্রায় উরুগুয়ে রাষ্ট্র অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটের রাজ্যের সমান[৩]। জনসংখ্যা অনুযায়ী ভারতের জেলাগুলির মধ্যে এর অবস্থান ৯৯তম। জেলাটির জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩১৯ জন (৮৩০ জন / বর্গ মাইল)। ২০০১ এর দশকে এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৬.৭%। নান্দেড়ের লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষের মধ্যে ৯৩৭ জন মহিলা এবং জেলার সাক্ষরতার হার ৭৬.৯৪%। ধর্মের প্রেক্ষিতে জেলার জনসংখ্যার ৫০% হিন্দু, ৩৩% মুসলিম, ১৫% বৌদ্ধ, এবং ২% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী (শিখ এবং অন্যান্য সহ) [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ভাষা
ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, নান্দেড় জেলার জনসংখ্যার ৭৫.৪৬% মারাঠি, ১১.০৭% হিন্দি, ৯.৬৩% উর্দু, ২.১% তেলুগু এবং ০.৮৩% গোন্ড ভাষায় কথা বলেন[৪]। জেলায় ব্যবহৃত অন্যান্য ভাষা হ'ল দক্ষিণী উর্দু, বানজারা, কন্নাড়, পাঞ্জাবি, এবং ইন্দো-আর্য ভাষা অন্ধ। অন্ধ ভাষায় প্রায় ১০,০০,০০০ লোক কথা বলেন।
তথ্যসূত্র
- ↑ "Nanded District Population Census 2011, Maharashtra literacy sex ratio and density"। Census2011.co.in। ১৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Ministry of Panchayati Raj (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। ৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১১-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
Connecticut 3,574,097
- ↑ 2011 Census of India, Population By Mother Tongue