বিষয়বস্তুতে চলুন

জীব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা రుద్రుడు చెచ్క్వికి (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৫:১৭, ৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (v2.05 - উইকিপিডিয়া পরীক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে (পাঠ্যের সাথে শিরোনাম যুক্ত))। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

পৃথিবীতে জীবন
সময়গত পরিসীমা: Late Hadean - Recent
These Escherichia coli cells provide an example of a prokaryotic microorganism
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
শ্রেণীবিহীন: Life on Earth (Gaeabionta)
Domains and Kingdoms

জীববিজ্ঞানের ভাষায় জ্ঞাত মহাবিশ্বের যেসমস্ত সত্তা জীবনের বৈশিষ্ট্যাবলি ধারণ ও প্রদর্শন করে, তাদের জীব (ইংরেজি: Organism বা Life form) বলে।

জীবদেরকে শ্রেণীকরণবিজ্ঞানের মাধ্যমে বিভিন্ন দলে ভাগ করা হয়েছে যাদের মধ্যে আছে বহুকোষীয় প্রাণী, উদ্ভিদছত্রাক শ্রেণীর জীব এবং এককোষীয় অণুজীব যেমন প্রোটিস্ট, ব্যাকটেরিয়া এবং আর্কিয়া শ্রেণীর জীব।[] সব ধরনের জীব প্রজনন, বৃদ্ধি ও বিকাশ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং উদ্দীপনায় সাড়া দিতে সক্ষম। বহুকোষীয় জীবগুলির দেহ বিকাশলাভের সময় এগুলির কোষগুলির পৃথকীকরণ ঘটে এবং বিশেষ বিশেষ কাজের জন্য দেহকলা ও অঙ্গের উদ্ভব ঘটে।

একটি জীব হয় প্রাককেন্দ্রিক বা সুকেন্দ্রিক। প্রাককেন্দ্রিক জীবগুলিকে দুইটি অধিরাজ্যে (ডোমেইন) ভাগ করা হয়েছে - ব্যাকটেরিয়া ও আর্কিয়া। অন্যদিকে সুকেন্দ্রিক জীবগুলির কোষগুলির ভেতরে ঝিল্লিতে আবৃত একটি কোষকেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস থাকে এবং একই সাথে ঝিল্লি দ্বারা আবৃত কোষীয় অঙ্গাণু নামের বিভিন্ন প্রকোষ্ঠ থাকে (যেমন প্রাণীকোষের মাইটোকন্ড্রিয়া এবং উদ্ভিদকোষের প্লাস্টিড)।[] ছত্রাক, প্রাণী ও উদ্ভিদ হলো সুকেন্দ্রিক জীবসমূহের তিনটি রাজ্যের উদাহরণ।

বিভিন্ন প্রাক্কলন অনুযায়ী পৃথিবীতে বর্তমানে জীব প্রজাতির সংখ্যা ২০ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ কোটি পর্যন্ত হতে পারে।[] এদের মধ্যে প্রায় ১৭ লক্ষ প্রজাতির জীব সম্পর্কে তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে।[] পৃথিবীর ইতিহাসে এ পর্যন্ত ৫০০ কোটির বেশি প্রজাতির জীবের আবির্ভাব হয়েছে এবং এদের শতকরা ৯৯ ভাগই[] বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়।[][]

২০১৬ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান বিশ্বে বিরাজমান সমস্ত জীবের সর্বশেষ সার্বজনীন অভিন্ন পূর্বপুরুষ জীব-এর ৩৫৫টি বংশাণুর একটি সংকলন চিহ্নিত করা হয়।[][]

তথ্যসূত্র

  1. Hine, RS. (২০০৮)। A dictionary of biology (6th সংস্করণ)। Oxford: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 461আইএসবিএন 978-0-19-920462-5 
  2. Cavalier-Smith T. (১৯৮৭)। "The origin of eukaryotic and archaebacterial cells"। Annals of the New York Academy of Sciences503 (1): 17–54। এসটুসিআইডি 38405158ডিওআই:10.1111/j.1749-6632.1987.tb40596.xপিএমআইডি 3113314বিবকোড:1987NYASA.503...17C 
  3. Brendan B. Larsen; Elizabeth C. Miller; Matthew K. Rhodes; John J. Wiens (সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "Inordinate Fondness Multiplied and Distributed:The Number of Species on Earth and the New Pie of Life" (পিডিএফ)The Quarterly Review of Biology92 (3): 230। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৯ 
  4. Anderson, Alyssa M. (২০১৮)। "Describing the Undiscovered"Chironomus: Journal of Chironomidae Research (31): 2–3। ডিওআই:10.5324/cjcr.v0i31.2887অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  5. Kunin, W.E.; Gaston, Kevin, সম্পাদকগণ (১৯৯৬)। The Biology of Rarity: Causes and consequences of rare – common differencesআইএসবিএন 978-0-412-63380-5। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৫ 
  6. Stearns, Beverly Peterson; Stearns, S.C.; Stearns, Stephen C. (২০০০)। Watching, from the Edge of Extinction। Yale University Press। পৃষ্ঠা preface x। আইএসবিএন 978-0-300-08469-6। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৭ 
  7. Novacek, Michael J. (৮ নভেম্বর ২০১৪)। "Prehistory's Brilliant Future"New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  8. Weiss, Madeline C.; Sousa, Filipa L.; Mrnjavac, Natalia; Neukirchen, Sinje; Roettger, Mayo; Nelson-Sathi, Shijulal; Martin, William F. (২০১৬)। "The physiology and habitat of the last universal common ancestor"। Nature Microbiology1 (9): 16116। এসটুসিআইডি 2997255ডিওআই:10.1038/nmicrobiol.2016.116পিএমআইডি 27562259 
  9. Wade, Nicholas (২৫ জুলাই ২০১৬)। "Meet Luca, the Ancestor of All Living Things"New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬