কোষতত্ত্ব
জীববিজ্ঞান |
---|
সিরিজের একটি অংশ |
জীববিদ্যায় কোষতত্ত্ব সেই ঐতিহাসিক বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব, যা এখন সর্বস্বীকৃত, যে সমস্ত জীব কোষ দ্বারা গঠিত যা নাকি সকল জীবের শারীরিক ও গঠনগত একক ও এই কোষগুলো বিগত কোষগুলো থেকে উৎপন্ন। কোষ সমস্ত জীবের মৌলিক গাঠনিক ও প্রজননগত একক।
কোষতত্ত্বের তিনটে বিন্দু নিম্নপ্রদত্ত -
- প্রত্যেক জীব এক বা একাধিক কোষ দ্বারা নির্মিত
- কোষ সমস্ত জীবের মূল গঠনগত ও সাংগঠনিক একক
- কোষের উদ্ভব পূর্বসৃষ্ট কোষ থেকে হয়
জীবনের কোনও সর্বস্বীকৃত সংজ্ঞা নেই,[১] তাই কিছু জীববিজ্ঞানী অকোষীয় সত্তা যেমন ভাইরাস কে জীব মানেন, তাই প্রথম সিদ্ধান্তের সাথে মতভেদ পোষণ করেন।
ইতিহাস
সময় সময় তে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে একটানা সংস্করণ হয়েছে ও বিবর্ধন প্রযুক্তি কোষের আবিষ্কারের জন্য উন্নত হল। এই আবিষ্কারের বড় শ্রেয় রবার্ট হুক কে যায়, ও কোষের বিজ্ঞানসম্মত অধ্যয়ন অর্থাৎ কোষবিদ্যার সূচনা হল। কাঠের ছিপির টুকড়োকে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের তলায় রেখে দেখার পর অনেক ছিদ্র (ছেদ) দেখতে পেলেন। এটা সেকালের জন্য বড়ো আশ্চর্যের বিষয় ছিল, কারণ এটা মনে করা হয়েছিল যে এমনটা আগে কেউই দেখেনি। এই তত্ত্বকে পরবর্তী কালে সমর্থন করার জন্য Theodor(থিওডোর) Schwann(শোয়ান) ও Matthias (ম্যাথিয়াস)Schleiden ()দুজনেই প্রাণীদের ও উদ্ভিদদের কোষগুলোর পড়াশোনা করতে লাগলেন। তাঁরা উভয় প্রকারের কোষের মধ্যে পার্থক্য বের করলেন। তাঁরা এটা শেষমেশ এই পরিকল্পনা প্রকাশিত করলেন যে কোষ কেবল উদ্ভিদদের জন্যেই নয় বরং প্রাণীদের জন্যেও মৌলিক।[২]
অণুবীক্ষণ যন্ত্র
রবার্ট হুকের অণুবীক্ষণ যন্ত্র ১৭ই শতাব্দীর লিউওেনহুকের যন্ত্রের প্রতিমূর্তি, এটা ছাড়া যে এর অণুবীক্ষণ যন্ত্রের বিবর্তন ৩০০ গুণ বেশি। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেই কোষের আবিষ্কার সম্ভব হতে পারল। খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে রোমীয়রা কাচ বানাতে সফল হলেন। ওরা আবিষ্কার করলেন যে কাচের তলায় জিনিস বড় দেখা যেত। দ্বাদশ শতাব্দীর ইতালিতে সাল্ভিনো দি আরমান্তে একটি কাচের টুকড়ো একটি চোখের ওপর ফিট করলেন, যেটা চোখে বিবর্ধন প্রভাব ঘটতে দিল। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে চশমায় লেন্সের বিস্তৃত ব্যবহারের কারণে সম্ভবত সীমিত বিবর্তন যুক্ত সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্রের (আতশকাচের) প্রসার ঘটল। যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র যেখানে অভিলক্ষ কে অভিনেত্রের সঙ্গে যুক্ত করে উচ্চ বিবর্তন যুক্ত সৎ প্রতিবিম্ব নির্মিত করে, ১৬২০ সালে ইউরোপে দেখা দেয়। ১৬৬৫ সালে রবার্ট হুক ছ ইঞ্চ লম্বা ও ভিতরে দুটো উত্তল লেন্স যুক্ত একটি অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করেন ও প্রতিফলিত আলোর তলায় নমুনা পরীক্ষা নিরিক্ষা করে মাইক্রোগ্রাফিয়া নামক বইতে তাঁর পর্যবেক্ষণ করলেন। হুক সুস্পষ্ট প্রতিবিম্ব পাওয়ার জন্য, সরাসরি প্রেরিত আলোর তলায় নমুনা পরীক্ষা করার জন্য এক লেন্স যুক্ত সরলতর অণুবীক্ষণ যন্ত্রেরও ব্যবহার করেছিলেন।[৩]
অ্যান্থনি ভন লিউয়েনহুকের একটি বিস্তৃত আণুবীক্ষণিক অধ্যয়ন করলেন। উনি একজন কাপড়ের ব্যবসায়ী ছিলেন যিনি ১৬৬৮ সালে আমস্টারডামে শিক্ষানবিশি কালে একটি অণুবীক্ষণ যন্ত্র দেখে তাঁর রুচি উৎপন্ন হয়ে থাকে। ১৬৬৮ এর ঠিক পূর্বে কোনো সময়ে উনি কাচ ভাঙতে শুরু করেন। এইভাবে উনি নিজের জন্য একটা অণুবীক্ষণ যন্ত্র বানালেন। উনি একটি লেন্সের সাহায্যে বানালেন।
তথ্যসূত্র
- ↑ "Villarreal, Luis P. (August 8, 2008) Are Viruses Alive? Scientific American"।
- ↑ "National Geographic Society. (2019, May 22). "History of the Cell: Discovering the Cell". Retrieved November 05, 2020."।
- ↑ "Gest, H (2004). "The discovery of microorganisms by Robert Hooke and Antoni Van Leeuwenhoek, fellows of the Royal Society". Notes and Records of the Royal Society of London. 58 (2): 187–201. doi:10.1098/rsnr.2004.0055. PMID 15209075. S2CID 8297229."।
- ↑ ""A glass-sphere microscope". Funsci.com. Archived from the original on 11 June 2010. Retrieved 13 June 2010."।
গ্রন্থপঞ্জি
- Wolfe, Stephen L. (১৯৭২)। Biology of the cell। Wadsworth Pub. Co.। আইএসবিএন 978-0-534-00106-3।
আরও পড়া
- Turner W (জানুয়ারি ১৮৯০)। "The Cell Theory Past and Present"। J Anat Physiol। 24 (Pt 2): 253–87। পিএমআইডি 17231856। পিএমসি 1328050 ।
- Tavassoli M (১৯৮০)। "The cell theory: a foundation to the edifice of biology"। Am. J. Pathol.। 98 (1): 44। পিএমআইডি 6985772। পিএমসি 1903404 ।
বহিঃসংযোগ
- Mallery C (২০০৮-০২-১১)। "Cell Theory"। ২০১৮-১২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-২৫।
- "Studying Cells Tutorial"। ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-২৫।