বিষয়বস্তুতে চলুন

উদ্দেশ্য (ব্যাকরণ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Ahammed Saad (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৯:২৪, ১৯ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

ব্যাকরণ শাস্ত্রে, বাক্য বা বাক্যাংশে যাকে নিয়ে কিছু বলা হয়, তাকে উদ্দেশ্য বলে। ক্ষেত্রবিশেষে একে কর্তা বা কর্তৃপদও বলে। কর্তৃপদ হলো বাক্য বা বাক্যাংশের ক্রিয়াপদকে যা নিয়ন্ত্রণ করে। কর্তা বা কর্তৃপদ বাংলা বাক্য গঠনের মূল তিনটি উপাদানের একটি। উদাহরণস্বরূপ, সুমন বল খেলে, এই বাক্যে বিশেষ্য পদ ‘সুমন’কে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হচ্ছে, তাই এটি বাক্যটির উদ্দেশ্য বা কর্তা।

প্রসারক

বাক্য দীর্ঘতর হলে উদ্দেশ্য অংশের সঙ্গে নানা ধরনের শব্দবর্গ যুক্ত হতে পারে। উদ্দেশ্যকে এইসব শব্দ ও বর্গ প্রসারিত করে বলে এগুলোর নাম উদ্দেশ্যের প্রসারক।

শনাক্তকরণ

অবস্থানের ভিত্তিতে

উদ্দেশ্য সাধারণত বাক্যের প্রথমে বসে। কিন্তু বাচ্যের পরিবর্তনের ফলে যদি উদ্দেশ্যের সাধারণ অবস্থান পরিবর্তিত হয়, তবে উদ্দেশ্য শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পরে। যেমন-

  • টম রসায়ন পড়ছে।
  • রসায়ন পড়া হচ্ছে টম দ্বারা।

বাক্য দুইটির ভাব একই, কিন্তু কর্তৃপদের অবস্থান পরিবর্তনের ফলে উদ্দেশ্যেরও বদল হয়েছে।

মূল বিশেষ্য বনাম ক্রিয়াপদের বিশেষ্য

দীর্ঘ বাক্যে কর্তৃপদ, যেটি বিশেষ্য অথবা সর্বনাম হয়, তা ছাড়াও ক্রিয়াপদকে সহায়তাকারী আরেকটি বিশেষ্য থাকতে পারে, যাকে পূরক বলে। "টম রসায়ন পড়ছে" এই উদাহরণটিতে ‘টম’ উদ্দেশ্য হলে ‘রসায়ন’ হবে পূরক। কিন্তু বাচ্যের পরিবর্তনের ফলে পরবর্তী উদাহরণটিতে ‘রসায়ন’ যখন বাক্যের প্রথমে এসেছে, তখন এটিই উদ্দেশ্যে পরিণত হয়েছে এবং ‘টম’ পূরক হয়ে গেছে।

প্রকারভেদ

বাক্যের উদ্দেশ্য দুই প্রকার:

  • সরল উদ্দেশ্য: একটিমাত্র পদবিশিষ্ট কর্তৃপদ, যেমন- সুমন বল খেলে।
  • জটিল উদ্দেশ্য: একের অধিক পদবিশিষ্ট কর্তৃপদ, যেমন- লেবুর শরবত এসব দিয়ে তৈরি হয়।

আরও দেখুন

উদ্ধৃতি