বিষয়বস্তুতে চলুন

আবরণী কলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা FaysaLBinDaruL (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:০৪, ১৩ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (তথ্যসূত্র)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

পরিবর্তন সূচক এপিথেলিয়াম

আবরণী কলা (Epithelial Tissue) হল {[প্রাণী টিস্যুর]} চার ধরনের মৌলিক টিস্যুর একটি এবং সেই সাথে যোজক কলা, পেশী কলা এবং স্নায়বিক কলার অংশ। আবরণী কলাগুলি সারা শরীর জুড়ে অঙ্গ এবং রক্তনালীর বাহিরের দিকে এবং সেইসাথে ভেতরের দিকের অঙ্গগুলির গহব্বরের ভেতরের দিকে আবরণী বা আচ্ছাদন হিসাবে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ এপিডার্মিস, ত্বকের বাইরেরতম স্তর।

আবরণী কোষের তিনটি প্রধান অংশ রয়েছে। সেগুলো হলো শল্কাকার, স্তম্ভাকার এবং ঘনকাকার। এগুলি কোষের একক স্তরে সাধারণ আবরণ হিসাবে কাজ করে। কিছু কলাতে নিউক্লিয়াস থাকার কারণে স্তম্ভাকার কোষের একটি স্তর স্তরীভূত হতে পারে। এই ধরনের কলাকে ছদ্ম-স্তরীভূত বলা হয়। এই কোষগুলোর সমস্ত গ্রন্থি আবরণী কোষ দ্বারা গঠিত। আবরণী কোষগুলির কাজ হলো স্রাব, শোষণ, সুরক্ষা, আন্তঃকোষীয় পরিবহন এবং সংবেদন

আবরণী স্তরগুলিতে কোন রক্তনালী থাকে না। তাই তাদের অবশ্যই ভিত্তি ঝিল্লির মাধ্যমে অন্তর্নিহিত সংযোজক কলা থেকে পদার্থের বিস্তারের মাধ্যমে পুষ্টি গ্রহণ করতে হয়।[][] কোষ জংশনগুলি আবরণী কলাগুলিতে ভালভাবে যুক্ত থাকে।

উৎপত্তি

এপিথেলিয়াম (Epithelium) শব্দটি গ্রিক শব্দ epi অর্থাৎ upon এবং thelio অর্থাৎ grows থেকে সৃষ্টি হয়েছে। ডাচ অ্যানাটমিস্ট রুইশ প্রথম এই কলা পর্যবেক্ষণ করেন।

শ্রেণীবিন্যাস

এপিথেলিয়ামের প্রকারভেদ

স্তর সংখ্যার ভিত্তিতে আবরণী কলা তিন প্রকার

  1. সরল আবরণী কলা
  2. স্তরীভূত আবরণী কলা
  3. ছদ্ম-স্তরীভূত আবরণী কলা

গঠনগত দিক দিয়ে আবরণী কলা তিন প্রকার

  1. শল্কাকার আবরণী কলা
  2. ঘনকাকার আবরণী কলা
  3. স্তম্ভাকার আবরণী কলা

চিত্র

তথ্যসূত্র

  1. Dellmann's textbook of veterinary histology। Wiley-Blackwell। ২০০৬। পৃষ্ঠা 18। আইএসবিএন 978-0-7817-4148-4 
  2. Freshney, 2002: p. 3