আবওয়া অভিযান
আবওয়া অভিযান বা গাজওয়ায়ে আবওয়া[১] ২ হিজরির সফর মাসে (আগস্ট ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দ) সংঘটিত হয়।[২] ৭০জন সদস্য নিয়ে গঠিত বাহিনীকে মুহাম্মাদ এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কুরাইশ কাফেলার পথরোধ করার জন্য তিনি এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এক পর্যায়ে তিনি তাদের নিয়ে ওয়াদ্দান পৌছান। তবে বাহিনীটি কুরাইশদের মুখোমুখি হতে পারেনি। এই অভিযানকালে বনু দামরার সাথে মুহাম্মাদ এর মৈত্রী চুক্তি হয়েছিল।[১][২] এটি প্রথম কোনো অভিযান যাতে মুহাম্মাদ সশরীরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাহিনীটি মোট ১৫দিন মদিনার বাইরে ছিল। বাহিনীর পতাকা ছিল সাদা এবং হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব ছিলেন বাহিনীর পতাকাবাহক।[২]
পটভূমি
হিজরতের পর অবতীর্ণ কুরআনের আয়াতে মুসলিমদেরকে অস্ত্রধারণের অনুমতি দেয়া হয়। এসময় মুহাম্মাদ কুরাইশদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান প্রেরণ করেন। আবওয়া অভিযান তদ্রূপ একটি অভিযান ছিল।
বনু জামরাহর সাথে চুক্তি
অভিযানকালে বনু দামরা গোত্রের নেতা আমর ইবনে মুখশি যমরির সাথে মুহাম্মদ মিত্রতামূলক চুক্তি সম্পাদন করেন।[২][৩] এতে নিম্নোক্ত বক্তব্য ছিল:
"এটা হচ্ছে বনু দামরার জন্য আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ এর দলিল। এই গোত্রের লোকেরা তাদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা লাভ করবে। যতক্ষণ না তারা আল্লাহর দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত না হয় ততক্ষণ তারা আক্রান্ত হলে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে তাদের সাহায্য করা হবে। পক্ষান্তরে, যখনই রাসুলুল্লাহ তার সাহায্যের প্রয়োজনে তাদেরকে আহ্বান জানাবেন তখনই তার সাহায্যার্থে তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।"[২]
এই চুক্তির অর্থ উভয় পক্ষকে একে অপরকে আক্রমণ করা, একে অপরের শত্রু সম্মেলনে যোগদান করা বা একে অপরের শত্রুদের সমর্থন করা থেকে নিষেধ করা হয়েছিল। উইলিয়াম মন্টগোমেরি ওয়াট এটিকে মক্কা লোকদের উস্কে দেওয়ার মুহাম্মদের ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা হিসাবে দেখেছিলেন।[৪]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ Afzalur Rahman (১৯৯৩), Muhammad As a Military Leader, Kazi Publications, পৃষ্ঠা 119, আইএসবিএন 9781567441468
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Safiurahman Al-Mubaraki (১৯৯৬), The Sealed Nectar, Dar-us-Salam, পৃষ্ঠা 203, আইএসবিএন 9781484974858
- ↑ Muhammad Husayn Haykal, The Life of Muhammad, Islamic Book Trust, পৃষ্ঠা 217, আইএসবিএন 978-983-9154-17-7
- ↑ Watt, William Montgomery (১৯৮১)। Muhammad at Medina (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press।