অস্থিসন্ধি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা RiazACU (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৫:১৬, ২১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (42.0.5.248-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Zaheen-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

অস্থিসন্ধি
Diagram of a typical synovial (diarthrosis) joint
Depiction of an intervertebral disk, a cartilaginous joint
বিস্তারিত
তন্ত্রMusculoskeletal system
Articular system
শনাক্তকারী
লাতিনArticulus
Junctura
Articulatio
মে-এসএইচD007596
টিএ৯৮A03.0.00.000
টিএ২1515
এফএমএFMA:7490
শারীরস্থান পরিভাষা

অস্থিসন্ধি বলতে দুই বা ততোধিক অস্থির সংযোগস্থলকে বোঝায়। প্রতিটি অস্থিসন্ধির অস্থি সমূহ একরকম স্থিতিস্থাপক রজ্জুর মত বন্ধনী দিয়ে অাটকানো থাকে যাতে অস্থিগুলো সহজে সন্ধিস্থল থেকে বিচ্যুত হতে না পারে ৷ সন্ধিস্থল বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ সঞ্চালনে সাহায্য করে ৷ অামাদের দেহের সব অস্থিসন্ধি একরকম নয় ৷ এদের কোনোটি একেবারে অনড় যেমন :— আন্তঃকশেরুকীয় অস্থিসন্ধি ,অাবার কোনোটি সহজে সণ্চালন করা যায় যেমন :— হাত , পায়ের অস্থিসন্ধি ৷

সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি

একটি অস্থিসন্ধিতে দুটি মাত্র অস্থির বর্হিভাগ এসে মিলিত হয়ে একটি সরল সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি গঠন করে ৷ আর যখন দুয়ের অধিক অস্থি মিলিত হয় তখন তাকে জটিল সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি বলে ৷ যে অস্থিসন্ধি ক্যাপসুল বা অস্থিসন্ধি অাবরনী এবং সাইনোভিয়াল রস নামক এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ সহ অস্থিসন্ধি গহ্বর নিয়ে গঠিত তাকে সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি বলে ৷ এ অস্থিসন্ধির অংশগুলো হলো - তরুণাস্থিতে আবৃত অস্থিপ্রান্ত , সাইনোভিয়াল রস এবং অস্থিসন্ধিকে দৃঢ়ভাবে আটকে রাখার জন্য অস্থিবন্ধনী বা লিগামেন্ট বেষ্টিত একটি মজবুত আবরণী বা ক্যাপসুল ৷ অস্থিসন্ধিতে সাইনোভিয়াল রসতরুণাস্থি থাকাতে অস্থিতে অস্থিতে ঘর্ষণ ও তদজ্জনীত ক্ষয় হ্রাস পায় ও অস্থিসন্ধির নড়াচড়া করাতে কম শক্তি ব্যয় হয় ৷

প্রকারভেদ

অস্থিসন্ধি কয়েক ধরনের হয় যেমন :—

     ১) নিশ্চল অস্থিসন্ধি:— নিশ্চল অস্থিসন্ধিগুলো অনড় অর্থ্যাৎ নাড়ানো যায় না ৷ যেমন- করোটিকা অস্থিসন্ধি ৷
     ২) ঈষৎ সচল অস্থিসন্ধি:- এসব অস্থিসন্ধি একে অন্যের সাথে সংযুক্ত থাকলেও নাড়ানো যায় ৷ যেমন- মেরুদন্ডের অস্থিসন্ধি ৷
     ৩) পূর্ণ সচল অস্থিসন্ধি:— এ সকল অস্থিসন্ধি সহজে নাড়ানো যায় ৷পূর্ণ সচল অস্থিসন্ধি অাবার দুই প্রকার ৷ যথা :—

১) বল ও কোটর সন্ধি:— বল ও কোটর সন্ধিতে সন্ধিস্থলে একটি অস্থির মাথার মতো গোল অংশ অন্য অস্থির কোটরে এমন ভাবে স্থাপিত থাকে যাতে অস্থিটি বাকানো, পার্শ্বচালনা ও সকল দিকে নাড়ানো সম্ভভপর হয়।

২) কবজি সন্ধি :— কবজা যেমন দরজার পাল্লাকে কাঠামোর সাথে অাটকে রাখে , সেরুপ কবজার মতো সন্ধিকে কবজা সন্ধি বলে ৷ যেমন - হাতের কনুই, জানু এবং অাঙ্গুল গুলিতে এ ধরনের সন্ধি দেখা যায় ৷ এসব সন্ধি কেবল একদিকে নাড়ান যায় ৷

আরোও দেখুন

তথ্যসূত্র

[১]

বহিঃসংযোগ

  1. মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান