৭৬২-৭৬৩ খ্রিস্টাব্দের আলীয় বিদ্রোহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আলীয় অভ্যুত্থান ৭৬২-৭৬৩
তারিখসেপ্টেম্বর ৭৬২ – ফেব্রুয়ারি ৭৬৩
অবস্থান
হেজাজ ও দক্ষিণ ইরাক
ফলাফল আব্বাসীয়দের বিজয়, আলীয় নেতাদের মৃত্যু
বিবাদমান পক্ষ
আব্বাসীয় খিলাফত আলীয়
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
আল মনসুর
ঈসা ইবনে মুসা
মুহাম্মাদ নফসে যাকিয়্যা 
ইব্রাহিম ইবনে আব্দাল্লাহ  আহত অবস্থায় মৃত

৭৬২–৭৬৩ খ্রিস্টাব্দের আলীয় বিদ্রোহ অথবা মুহাম্মাদ নফসে যাকিয়্যার বিদ্রোহ ছিল সদ্যপ্রতিষ্ঠিত আব্বাসীয় খিলাফতের বিরুদ্ধে আলীয়দের শাখা হাসানিয়দের একটি বিদ্রোহ। মুহাম্মাদ নাফসে যাকিয়্যা ("বিশুদ্ধ আত্মা" বলেও পরিচিত) এবং ইব্রাহিম ইবনে আব্দাল্লাহর নেতৃত্বাধীন হাসানিয়রা আব্বাসীয় পরিবারের ক্ষমতার বৈধতাকে অস্বীকার করে। আব্বাসীয়দের ক্রমবর্ধান অত্যাচারের প্রতিক্রিয়ায় দুই ভাই মুহাম্মাদ ৭৬২ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরে মদিনায় এবং ইব্রাহিম নভেম্বরে বসরায় বিদ্রোহ শুরু করেন।[১] বিদ্রোহে তাদের অনুসারীদের উদ্দীপনাহীন সমর্থনের পাশাপাশি যথাযথ সমন্বয় ও সংগঠনের অভাবে খলিফা আল মনসুরের নেতৃত্বে আব্বাসীয়রা দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পেরেছিল। ইব্রাহিমের বিদ্রোহ ঘোষণার মাত্র দুই সপ্তাহ পর খলিফা হেজাজে মুহাম্মাদের মুখোমুখি হয়ে তাকে পরাজিত করেন এবং ইব্রাহিমের বিদ্রোহ দমনের জন্য সৈন্য প্রেরণ করেন। ইব্রাহিম দক্ষিণ ইরাকে প্রাথমিকভাবে কিছু সফলতা লাভ করেন কিন্তু যুদ্ধ পরিচালনা ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী শিয়া দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে তার সৈন্যদের মাঝে বিভাজন শুরু হয়। অবশেষে ইব্রাহিমের বাহিনী ৭৬৩ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে বাখামরায় পরাজিত হয়। এর অল্পকিছুদিন পর আঘাতের ফলে ইব্রাহিম মারা যান। বিদ্রোহের ব্যর্থতা আলীয় উত্তেজনাকে প্রশমিত করতে না পারলেও এটি আব্বাসীয় রাজবংশের ক্ষমতার ভিত্তি আরও দৃঢ় করেছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Kennedy (2004), p. 130