৭ম পদাতিক ডিভিশন (পাকিস্তান)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
৭ম পদাতিক ডিভিশন
৭ম পদাতিক ডিভিশনের চিহ্ন
সক্রিয়১৯৪০-বর্তমান
দেশ পাকিস্তান
আনুগত্য যুক্তরাজ্য
ব্রিটিশ ভারত
 পাকিস্তান
শাখা পাকিস্তান সেনাবাহিনী
ধরনসেনা ডিভিশন
ভূমিকামিশ্রিত সেনা যুদ্ধ (পদাতিক, সাঁজোয়া, গোলন্দাজ)
আকার২০,০০০ সৈনিক
অংশীদার১১ কোর
ডিভিশন সদরপেশোয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়া, পাকিস্তান
ডাকনামস্বর্ণালী তীর
রঙকালো এবং স্বর্ণালী
যুদ্ধসমূহদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৪৭
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১
সিয়াচেন দ্বন্দ্ব
উপসাগরীয় যুদ্ধ
কার্গিল যুদ্ধ
কমান্ডার
জেনারেল অফিসার কমান্ডিং
মেজর জেনারেল নঈম আখতার
কর্নেল স্টাফ
কর্নেল আখতার

৭ম পদাতিক ডিভিশন হচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি ডিভিশন, এই ডিভিশনকে পেশোয়ার ডিভিশন বা স্বর্ণালী তীর ডিভিশন নামেও ডাকা হয়। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্যতম সবচেয়ে পুরোনো ডিভিশন এই ৭ম ডিভিশন ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্বারা তৈরি হয়েছিলো। এই ডিভিশনের সৈনিকরা পাকিস্তানের জন্মলগ্নের পর থেকেই ভারতের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে অনেক বার।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৪০ সালের ১ অক্টোবর তারিখে এই ডিভিশনের গোঁড়াপত্তন ঘটে বর্তমান পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওকারাতে; এবং তখন এটির নাম ছিলো ৭ম ভারতীয় পদাতিক ডিভিশন। তৈরি হওয়ার পর পরই এই ডিভিশনকে পাঠানো হয় মধ্য প্রাচ্যে এবং পরে ১৯৪৩ সালে বার্মা অভিযানে পাঠানো হয়। ১৯৪৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এই ডিভিশনের সৈন্যরা আরাকানে যুদ্ধ করে। জাপানি সৈন্যদের সাথে এই ডিভিশনের সেনারা লড়াই করে ব্যাটল অব অ্যাডমিন বক্স নামক যুদ্ধে। এর পরে এই ডিভিশনের সেনাদের আসামে আনা হয় এবং তারা ওখানে কোহিমার যুদ্ধে অংশ নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ব্যাটল অব সেন্ট্রাল বার্মা এবং থাইল্যান্ডে জাপানি সেনাদের উপর আক্রমণে অংশ নেয় এই ডিভিশনের সেনারা।

পাকিস্তান[সম্পাদনা]

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ডিভিশনটি নবগঠিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে স্থানান্তরিত হয়ে যায় এবং ইংরেজ মেজর জেনারেল ফ্রেডরিক লোফটাস টোটেনহ্যাম স্বাধীন পাকিস্তানে এই ডিভিশনের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান, এর কিছু কাল পর মেজর জেনারেল শাকির নামের একজন স্থানীয় পাকিস্তানি এই ডিভিশনের কমান্ড গ্রহণ করেন। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৪৭-এ অংশ নেয় এই ডিভিশন পুঞ্চ জেলাতে

১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় এই ডিভিশনের কমান্ডার ছিলেন মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া খান যিনি পরে দেশটির সেনাপ্রধান হয়েছিলেন।

১৯৭৫ সালে ১১ কোর তৈরি করা হলে এই ডিভিশনটি কোরটির কমান্ডের অধীনে চলে যায়, ১৯৭৫ সালের আগ পর্যন্ত ডিভিশনটির কমান্ড স্বতন্ত্র ছিলো এবং এর কমান্ডার সরাসরি সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের কাছে জবাবদিহি করতেন।

অধীনস্ত ব্রিগেডসমূহ[সম্পাদনা]

  • ৬ পদাতিক ব্রিগেড
  • ২৭ পদাতিক ব্রিগেড
  • ১০২ পদাতিক ব্রিগেড