৪র্থ কোর (ভারত)
৪র্থ কোর | |
---|---|
সক্রিয় | জানুয়ারি ১৯৪২-নভেম্বর ১৯৪৫ অক্টোবর ১৯৬২ - বর্তমান |
দেশ | ভারত |
শাখা | ভারতীয় সেনাবাহিনী |
ধরন | সেনা কোর (ফিল্ড কোর) |
অংশীদার | পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড, ভারত |
গ্যারিসন/সদরদপ্তর | তেজপুর, আসাম |
ডাকনাম | গজরাজ কোর |
কমান্ডার | |
উল্লেখযোগ্য কমান্ডার | লেঃ জেনারেল ব্রিজ মোহন কল লেঃ জেনারেল শ্যাম মানেক শ লেঃ জেনারেল সগত সিং |
৪র্থ কোর হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ফিল্ড কোর। ১৯৬২ সালে এটি তৈরি করা হয়। এই কোর ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলো।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৭১ সালের বাংলাদেশ যুদ্ধ
[সম্পাদনা]১৯৭১ সালে এই কোরের অধিনায়ক ছিলেন লেঃ জেনারেল সগত সিং, তিনি তার এই কোরের অধীনে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।[১] এই কোরের ৫৭তম ডিভিশনে বাঙালিদেরকে নেওয়া হয়েছিলো, তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে যুদ্ধ করেছিলো।[২] পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৪তম পদাতিক ডিভিশনের ২৭তম ব্রিগেড ভারতীয় ৫৭ ব্রিগেডের সঙ্গে লড়াই করছিলো, উভচর সেনা আক্রমণে মেঘনা নদীতে ভালোই দক্ষতা দেখিয়েছিলো পাকিস্তান। পাকিস্তানি দূর্ধর্ষ সৈনিকেরা মেঘনা সেতুতে হামলা চালিয়ে সেটা ভেঙে দিয়েছিলো, জেনারেল সগত, অধিনায়ক ৪ কোর, হেলিকপ্টার হামলা দিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ভারতীয় এবং বাঙালি মুক্তিসেনাদের হামলায় পাকিস্তানি ১৪তম ডিভিশন দূর্বল হয়ে পড়ছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে।
২৩তম পদাতিক ডিভিশন (ভারত)কে পাকিস্তানি ১৪তম ডিভিশনকে ধ্বংস করার দায়িত্ব দেন জেনারেল সগত, কুমিল্লা এবং চাঁদপুরে তুমুল লড়াই করেছিলো পাকিস্তানি ১৪ ডিভিশন আর ভারতীয় ২৩ ডিভিশন। ১৫ই ডিসেম্বর ভারতীয়দের কাছে ১৪ ডিভিশনের অধিনায়ক জেনারেল আব্দুল মজিদ ভারতীয় কোর অধিনায়ক জেনারেল সগতকে চিঠি দেন যে তারা পরাজয় মেনে নিয়েছেন।
অধীনস্ত ডিভিশনসমূহ
[সম্পাদনা]কোরটি মূলত ব্রিটিশদের তৈরি করে যাওয়া তবে ভারতীয়রা ১৯৪৯ সালে কোরটি ভেঙে দিয়ে ১৯৬১ সালে নতুন করে তৈরি করেছিলো, এই কোরের অধীন আছেঃ
- ৭১ পদাতিক ডিভিশন
- ৫ম মাউন্টেন ডিভিশন
- ২১ মাউন্টেন ডিভিশন
আগেকার যুগের ব্যবহৃত ডিভিশনগুলো এই কোরে এখন আর নেই।
কোর অধিনায়কদের তালিকা
[সম্পাদনা]নাম | পদবী | কার্যালয়ে বসার তারিখ | কার্যালয় ত্যাগের তারিখ | কমিশনপ্রাপ্তির ইউনিট | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|---|
কে টি পরনায়ক | লেঃ জেনারেল | ২০০৯ | ২০১০ | রাজপুতনা রাইফেলস | [৩] |
জ্ঞান ভূষণ | মার্চ ২০১০ | ২৯ জুন ২০১১ | মাহার রেজিমেন্ট | [৪] | |
শক্তি গুরুং | ৩০ জুন ২০১১ | ১৫ আগস্ট ২০১২ | গ্রেনেডিয়ার্স | [৫] | |
চঙ্গোলি আনন্দ কৃষ্ণ | ১৬ আগস্ট ২০১২ | ১৯ আগস্ট ২০১৩ | ৪ গোর্খা রাইফেলস | [৬] | |
অনিল কুমার অহুজা | ২০ আগস্ট ২০১৩ | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ | গোলন্দাজ | [৭] | |
শরৎ চাঁদ | ২৮ অক্টোবর ২০১৪ | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ | গাড়ওয়াল রাইফেলস | [৮] | |
দেবরাজ আনবু | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ | শিখ হাল্কা পদাতিক | [৯] | |
অমরজিৎ সিংহ বেদী | ২৫ নভেম্বর ২০১৬ | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ | গাড়ওয়াল | [১০] | |
গুরপাল সিংহ সংঘ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ | ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ | গ্রেনেডিয়ার্স | [১১][১২] | |
মনোজ পাণ্ডে | ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ | এখন | সেনা প্রকৌশল | [১৩][১৪] |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ John H. Gill, An Atlas of the 1971 India - Pakistan War: The Creation of Bangladesh, Near East South Asia Centre for Strategic Studies (National Defense University), p.28-29
- ↑ The Indian infiltration began on the night of 1/2 December. See Maj. Gen. Ashok Kalyan Verma’s vivid and thoughtful account in Rivers of Silence (New Delhi: Lancer, 1998), 87-178. (Gill, An Atlas of the 1971 India - Pakistan War, NESA Centre/NDU, p.28 and p.95)
- ↑ "The Tribune, Chandigarh, India - Nation"। www.tribuneindia.com। ২০১৬-০৩-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৯।
- ↑ "17"। sainiksamachar.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৯।
- ↑ Trade, TI। "The Assam Tribune Online"। www.assamtribune.com। ২০১৭-১২-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৯।
- ↑ "Lt Gen Krishnan takes charge at Gajraj Corps"। Firstpost (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৮-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৯।
- ↑ India, Press Trust of (২০১৩-০৮-২০)। "Lt Gen Ahuja takes over as GOC Gajraj Corps"। Business Standard India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৯।
- ↑ India, Press Trust of (২০১৪-১০-২৮)। "Lt Gen Sarath Chand takes over command of Gajraj 4 Corps"। Business Standard India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৯।
- ↑ "Lt Gen Devraj Anbu takes charge as new GOC of 4 corps"। The Economic Times। ২০১৫-১১-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৯।
- ↑ "Lt Gen Amarjeet Singh Bedi takes over as GOC, Gajraj Corps"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৯।
- ↑ "Lt Gen Gurpal Singh Sangha is the new General Officer Commanding, Bengal Area"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৫-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৯।
- ↑ "Lt Gen Gurpal Singh Sangha takes over as GOC of Gajraj Corps"। outlookindia.com/। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৯।
- ↑ India, Press Trust of (২০১৮-১২-৩০)। "Lt Gen Manoj Pande takes charge of Gajraj Corps"। Business Standard India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১১।
- ↑ http://www.uniindia.com/lt-gen-manoj-pande-takes-over-as-new-chief-of-southern-command-pune/other/news/976506.html