২২ রমজান
অবয়ব
২২ রমজান হলো ইসলামি চান্দ্র বর্ষপঞ্জির নবম মাস রমজানের ২২তম দিন। এটি হিজরি বছরের ২৫৮তম দিন। তবে যদি শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ করে, তাহলে এটি ২৫৯তম দিন হবে এবং যদি সফর, রবিউস সানি, জমাদিউস সানি ও শাবান ৩০ দিনে পূর্ণ হয়, তাহলে এটি হবে বছরে ২৬০তম দিন। এই দিনটির পরে হিজরি বছরের সমাপ্তি পর্যন্ত আরও প্রায় ৯৬ বা ৯৭ দিন বাকি থাকে।
ঘটনাবলী
[সম্পাদনা]- ১ হিজরি: নবী মুহাম্মদ ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সামরিক অভিযান শুরু করেন; যেমন সাইফুল-বাহর অভিযান (নেতৃত্বে ছিলেন হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব) [১] রাবিগ অভিযান (নেতৃত্বে ছিলেন উবাইদা ইবনে হারিস)[২] ও খারার অভিযান (নেতৃত্বে ছিলেন সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস)।
- ৮ হিজরি: নবী মুহাম্মদের নেতৃত্বে ১২০০০ মুসলিম সৈন্য তায়েফ যুদ্ধে অংশ নেয়। এই যুদ্ধ তায়েফ বিজয় ও হুনাইন যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা সাকিফ ও হাওয়াযিন গোত্র দমন করার জন্য পরিচালিত হয়। [৩]
- ৫৫৯ হিজরি: হালাবের শাসক সুলতান নূরুদ্দীন জেংকি হারিম যুদ্ধে ফ্রাঙ্ক সেনাদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেন।
- ৬৫৭ হিজরি: মঙ্গোল বাহিনী বাগদাদ ধ্বংসের পর সিরিয়ার দিকে অগ্রসর হয়। বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল কিতবুঘা, সাঙকানফুর ও বাইজু এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন হালাকু খান।
- ৭০৫ হিজরি: ইবনে তাইমিয়া মিশরের কায়রো শহরে পৌঁছান। তাকে মামলুক সুলতান মনসুর হুসামুদ্দীন লাজিন ডেকে পাঠান এবং শামে বিচার করে তাকে কায়রোর দুর্গে আটক রাখা হয়।
- ৮৩১ হিজরি: সুলতান বার্সবায়ের আমলে দুটি ফ্রাঙ্ক জলদস্যু জাহাজ আলেকজান্দ্রিয়া আক্রমণের জন্য এলে মমলুক সৈন্যদের দেখে পালিয়ে যায়।
- ১১৮২ হিজরি: উসমানীয়দের অনুগত ক্রিমিয়ার খান রুশ-উসমানী শীতকালীন যুদ্ধে এক আকস্মিক আক্রমণে ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে হাজার হাজার লোক বন্দী করেন।
- ১৩৫৫ হিজরি: আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, জর্জিয়া ও কিরগিজস্তান সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হয়ে ওঠে।
- ১৩৬২ হিজরি: বশারা আল-খুরী লেবাননের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
- ১৩৭৪ হিজরি: মিশরের 'দারুল হিলাল' প্রতিষ্ঠান থেকে 'হাওয়া আল-জাদীদাহ' নামক ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়, যার প্রধান সম্পাদিকা হন আমিনা আল-সাঈদ। তিনি ছিলেন প্রথম আরব নারী, যিনি নিজে কোনো সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠা না করেও তার সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন।
- ১৩৯০ হি: সিরীয় অভ্যুত্থানের নেতা হাফেজ আল-আসাদ নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন, যাতে তিনি নিজেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব রাখেন।
- ১৪৩১ হি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন শেষের ঘোষণা দেন এবং জানান যে, এখন ইরাকিরাই তাদের দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
- ১৪৩২ হি: ত্রিপোলির সবুজ চত্বরে বিদ্রোহীরা পৌঁছায় এবং গাদ্দাফির বাহিনী পিছু হটলে হাজার হাজার মানুষ ত্রিপোলি, বেনগাজি ও আল-বায়দায় গাদ্দাফি পতনের আনন্দে উদযাপন করে।
- ১৪৩৩ হি:
- মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি সেনাবাহিনীর প্রধান তানতাবী ও চিফ অফ স্টাফ সামি আনানসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেন।
- সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েল আল-হালকিকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ হিজাবের পদত্যাগের পর করা হয়।
- সিরীয় সেনাবাহিনী হালবের দুর্গে গোলাবর্ষণ করে, যেখানে বিদ্রোহী বাহিনী আশ্রয় নিয়েছিল।
- ১৪৩৪ হি: তিউনিসিয়ার শায়ানবি পর্বতে এক হামলায় ৮ সেনা নিহত হয়, যার মধ্যে ২ জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এর জবাবে সেনাবাহিনী ব্যাপক সামরিক অভিযান চালায়।
- ১৪৩৬ হি: রাশিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রস্তাবে ভেটো দেয়, যাতে স্রেব্রেনিৎসা হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলা হয়েছিল।
- ১৪৩৭ হি: লেবাননের আল-কাক শহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৫ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়।
- ১৪৪০ হি: মিসরের জামালেক ক্লাব মরক্কোর নাহদাত বারকান ক্লাবকে ফাইনালে হারিয়ে আফ্রিকান কনফেডারেশন কাপ জেতে।
জন্ম
[সম্পাদনা]- ২৭৭ হিজরি: আব্দুর রহমান নাসির লিদিনিল্লাহ – আন্দালুসে উমাইয়া রাষ্ট্রের অষ্টম শাসক ও কর্দোবার প্রথম খলিফা।
- ২৮২ হিজরি: জাফর আল-মুকতাদির বিল্লাহ – আব্বাসীয় খেলাফতের অষ্টাদশ খলিফা। [৪]
- ১০৮৪ হিজরিতে: তৃতীয় আহমদ– উসমানীয় সাম্রাজ্যের ২৪তম সুলতান। [৫]
- ১২৮৬ হিজরি: শাকিব আরসালান–লেবাননী লেখক, সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ।
- ১৩২৯ হিজরি: শফিক নূরুদ্দিন – মিশরীয় অভিনেতা।
- ১৩৬৮ হিজরি:
- মুহাম্মদ আলী– সৌদি অভিনেতা।
- মুস্তাফা বিন হামজা –মরক্কোর ধর্মীয় আলেম।
- ১৩৭৫ হিজরি: হুসাইন আল-মানসুর – কুয়েতি অভিনেতা।
- ১৩৮২ হিজরি: ইয়াসমিন – মিশরীয় অভিনেত্রী।
- ১৪১২ হিজরি: ইসরায়া আল-যুয়াবি – জর্ডানীয় অভিনেত্রী।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]- ৩৯৯ হিজরি: আহমদ ইবনে মুহাম্মদ আবু রুকামাক আল-তাকি – আনতাকিয়ার একজন কবি।
- ১৪১২ হিজরি: তাহিয়্যা কাজেম – মিশরের প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি।
- ১৪১৫ হিজরি: মোহাম্মদ রেজা – মিশরীয় অভিনেতা।
- ১৪১৬ হিজরি: ওয়াজিহ আল-বারুদি – সিরীয় চিকিৎসক ও কবি।
- ১৪২৮ হিজরি: কাসিম আন-নাসের –জর্ডানের সেনাবাহিনীর জেনারেল, যিনি ফিলিস্তিন যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
- ১৪৩২ হিজরি: মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-ফয়সাল – সৌদি রাজপুত্র, কবি ও ক্রীড়ানুরাগী।
- ১৪৩৬ হিজরি: সৌদ ফয়সাল – সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
- ১৪৪০ হিজরি: কাইস আল-ইয়াসেরি – ইরাকি গণমাধ্যমকর্মী, অধ্যাপক ও কবি।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- ইবনে কাসির, মুহাম্মদ (২০১৩)। আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ (বাংলা ভাষায়)। ঢাকা: ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আইএসবিএন 984-06-0565-8।
- আল-যাহাবী, শামসুদ্দীন (২০১৫)। তারিখুল ইসলাম (আরবি ভাষায়)। বৈরুত: দারুল-কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ। আইএসবিএন 27-45143-53-0।
- আল-যাহাবী, শামসুদ্দীন (২০১৪)। সিয়ারু আলামিন নুবালা (আরবি ভাষায়)। বৈরুত: আল-রিসালা প্রকাশনী। আইএসবিএন 978-9-933-44665-9।
- খতিব বাগদাদী (২০১১)। তারিখে বাগদাদ (আরবি ভাষায়)। বৈরুত: দারুল কুতুব ইলমিয়্যা। আইএসবিএন 978-274510-466-3।
- তাবারি, মুহাম্মদ ইবনে জারির (২০১১)। তারিখে তাবারি: তারিখুর রুসুল ওয়াল মুলুক (আরবি ভাষায়)। বৈরুত: দারুল কুতুব ইলমিয়া। আইএসবিএন 978-27451-3263-5।
- হামাবি, ইয়াকুত (২০১১)। মু'জামুল বুলদান (আরবি ভাষায়)। বৈরুত: দারুল কুতুব ইলমিয়া। আইএসবিএন 978-27451-1432-7।
- সুয়ুতী, জালালুদ্দীন (২০১০)। তারিখ আল-খুলাফা (আরবি ভাষায়)। সৌদি আরব: দারুল মিনহাজ। আইএসবিএন 978-99534-9819-5।
- ইলমাজ উজতুনা (২০১০)। তারিখ আল-দাওলাহ আল-উসমানিয়া (আরবি ভাষায়)। বৈরুত: দারুল কুতুব আরাবি। আইএসবিএন 978-61441-5031-3।
- ইয়াগি, ইসমাইল আহমদ (২০১৪)। আল-দাওলাহ আল-উসমানিয়া, ফিত তারিখিল ইসলামি আল-হাদিস (আরবি ভাষায়)। মাকতাবাতুল আবিকান। আইএসবিএন 978-60350-3695-5।
- বারদি, ইবনে তাগরি (২০১৬)। আল-নুজুম আল-যাহিরাহ ফি মুলুক মিসর ওয়াল কাহিরাহ (আরবি ভাষায়)। কায়রো: দারুল কুতুব আল-মিসরিয়া। আইএসবিএন 978-97781-2018-9।
- ইবনে ইয়াস (২০১৮)। বাদায়ি' আল-জুহুর ফি ওয়াকায়ি' আল-দুহুর (আরবি ভাষায়)। নিল ওয়াফুরাত।
- আল-মাকদিসি, আবু শামা (২০১৮)। আল-রওজাতাইন ফি আখবার আল-দাওলাতাইন আল-নুরিয়া ওয়াস সালাহিয়া (আরবি ভাষায়)। কায়রো: মুয়াসসাসাতুর রিসালা। আইএসবিএন 978-191264-335-6।
- আল মাকরিজি, আলি ইবনে আহমদ (২০০৮)। আস-সুলুক লিমারিফা দুয়াল আল-মুলুক (আরবি ভাষায়)। দার আল-জামান।
- ড. আব্দুর রহিম, আল-হাজ্জি (২০০৫)। তারিখুল আন্দালুস আল-ইসলামি। দাম্মাম (সৌদি আরব): দার ইবনুল জাওযি।
- রহমান, ড. আতাউর (২০২৩)। ইতিহাসে ইসলাম: নবী থেকে খেলাফত। ঢাকা: ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
- ডেভিড, ফ্রমকিন (১৯৮৯)। অ্য পিচ টু ইন্ড অল পিচ: দ্য ফ্যাল অফ দ্য অটোমান অ্যাম্পায়ার (A Peace to End All Peace: The Fall of the Ottoman Empire)। আইএসবিএন 0-8050-0857-8।
- Harvey, Leonard Patrick (১৯৯২)। Islamic Spain, 1250 to 1500। Chicago: University of Chicago Press। আইএসবিএন 0-226-31962-8।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ الطبقات الكبرى، ابن سعد، ج2، ص6، دار صادر، بيروت.।
- ↑ Haykal, M. H. (1935). Translated by al-Faruqi, I. R. A. (1976). The Life of Muhammad, পৃষ্ঠা: ২৮১ (ইংরেজি) | Chicago: North American Trust Publications।
- ↑ "witness-pioneer.org"। www.witness-pioneer.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৪।
- ↑ Bowen, Harold (১৯২৮)। The Life and Times of ʿAlí Ibn ʿÍsà: The Good Vizier। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 88।
- ↑ Freely, John (২০০১)। The lost Messiah। Viking। পৃষ্ঠা 132।