বিষয়বস্তুতে চলুন

২০২৫ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০২৫ সালের জুনে লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েনকৃত ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা

২০২৫ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থার (ICE) পরিচালিত অভিযানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ, সহিংসতা এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং সামরিক মোতায়েনের ঘটনাও ঘটে, যা যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সময়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সঙ্কটে পরিণত হয়।

পটভূমি

[সম্পাদনা]

২০২৫ সালের জুন মাসের শুরুতে ICE লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের অভিবাসনপ্রবণ এলাকাগুলোতে ব্যাপক অভিযান চালায়। এই অভিযানে বহু অনথিভুক্ত অভিবাসী, শিক্ষার্থী ও পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর ফলে স্থানীয় অভিবাসী সম্প্রদায় এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটে, যখন অনেক শিক্ষার্থী স্কুল ও কলেজ থেকে স্নাতক হচ্ছিল, এবং তাদের পরিবারও অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছিল।[]

বিক্ষোভ ও সহিংসতা

[সম্পাদনা]

অভিযানের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামে। বিক্ষোভকারীরা শহরের বিভিন্ন অংশে অবরোধ সৃষ্টি করে, গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছু ড্রাইভারবিহীন গাড়িকে লক্ষ্য করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।[] পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও ফ্ল্যাশ গ্রেনেড ব্যবহার করে। বিক্ষোভের সময় অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক লরেন টমাসি রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হন।[]

সামরিক মোতায়েন ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

[সম্পাদনা]

পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ায় ২,০০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য এবং অতিরিক্ত ৭০০ মেরিন সৈন্য মোতায়েনের আদেশ দেন। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এই ফেডারেল হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তা “রাজ্য সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন” বলে উল্লেখ করেন। এ নিয়ে ফেডারেল ও রাজ্য প্রশাসনের মধ্যে তীব্র আইনি ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।[]

প্রভাব ও পরিণতি

[সম্পাদনা]

এই ঘটনার ফলে শুধু লস অ্যাঞ্জেলেস শহরেই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসন নীতি নিয়ে বিতর্ক নতুন মাত্রা পায়। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ICE-এর পদক্ষেপ এবং অতিরিক্ত বল প্রয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। অনেকে আশঙ্কা করছেন, ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ ও ২০২৮ অলিম্পিক গেমস আয়োজক শহর হিসেবে লস অ্যাঞ্জেলেসের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Los Angeles ICE raids leave immigrant students and families in fear during graduation season"। The 19th News। ৭ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০২৫ 
  2. "LA under siege: Driverless cars ablaze, Marines on alert amidst escalating protests"। TV9 বাংলা। ৮ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০২৫ 
  3. "লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ, রাবার বুলেটে সাংবাদিক আহত"। BBC বাংলা। ৮ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০২৫ 
  4. "লস অ্যাঞ্জেলসে বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি, ট্রাম্পের সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক"। SAY ALWAYS TRUTH। ৮ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০২৫