২০২৫ সালের জুনে ইসরায়েলের ইরানে হামলা
| ইরান–ইসরায়েল যুদ্ধ | |||||||
|---|---|---|---|---|---|---|---|
| মধ্যপ্রাচ্য সংকট (২০২৩–বর্তমান)-এর অংশ অংশ | |||||||
| |||||||
| বিবাদমান পক্ষ | |||||||
|
সহযোগিতায়: |
| ||||||
| সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
| জড়িত ইউনিট | |||||||
| হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
|
ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী ২৪ জন নিহত[৪] ৫৯২ জন আহত[৫] ইরানের দাবি অনুযায়ী ৫টি F-35 যুদ্ধবিমান ধ্বংস[৬] |
ইরানের দাবি অনুযায়ী | ||||||
|
১ জন সিরীয় বেসামরিক নাগরিক নিহত[১২] ৫ জন জর্ডানীয় বেসামরিক নাগরিক আহত[১৩] | |||||||
১৩ জুন ২০২৫ সালের ভোরে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হামলা শুরু করে। এই অভিযানের কোডনাম ছিল অপারেশন রাইজিং লায়ন (Operation Rising Lion)।[১৪][১৫] এই হামলা পরিচালনা করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ও মোসাদ। তাদের লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন।[১৬] এই হামলা ছিল ইরানে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরান–ইরাক যুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।[১৭]
তেহরানের বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়, বিশেষ করে সামরিক ঘাঁটির নিকটবর্তী এলাকায় এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের আবাসিক পল্লিতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বিশাল আগুন এবং পরপর বিস্ফোরণের বর্ণনা দেন।[১৮] বিস্ফোরণ ঘটে নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্র এলাকায়, যা ইরানের ইসফাহান প্রদেশে অবস্থিত এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা।[১৯] খোন্দাব এবং খোররামাবাদের পারমাণবিক স্থাপনাও লক্ষ্যবস্তু ছিল।[২০]
এই হামলায় হোসেন সালামি, ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর কমান্ডার, নিহত হন।[২১][২২] মোহাম্মদ বাঘেরি, ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ, ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি অনুযায়ী নিহত হয়েছেন।[২৩] পারমাণবিক বিজ্ঞানী ফেরেদুন আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি-ও নিহত হন, ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী।[২৪]
এই হামলায় ইরানের সামরিক সদস্য এবং বেসামরিক নাগরিক উভয়েই নিহত হন।[২৫] ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে ছিল পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক স্থাপনা ও আবাসিক এলাকা।[২৬]
হামলার পূর্ববর্তী মাসগুলোতে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তির জন্য আলোচনা করছিল, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেছিলেন। বর্তমানে ইরান ৬০% বিশুদ্ধতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যা অস্ত্র-মানের প্রায় কাছাকাছি, এবং আরও উন্নত কেন্দ্রিফিউজ বসিয়ে কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই কার্যক্রম কোনো নাগরিক উদ্দেশ্য ছাড়িয়ে যাচ্ছে।[২৭] হামলার একদিন আগে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা ঘোষণা দেয়, ইরান ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তাদের পারমাণবিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।[২৮] এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান নতুন একটি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র চালু করে এবং উন্নত কেন্দ্রিফিউজ বসায়।[২৯]
ভূমিকা
[সম্পাদনা]
১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লব ইরান–ইসরায়েল সম্পর্কের একটি দৃশ্যপট পরিবর্তন ঘটায়, যা তখনকার সম্পর্কের পর এক আকস্মিক উত্তরণ ঘটায়। তৎপরবর্তী সময়ে, ইরেলকে একটি ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে বিলুপ্ত করার লক্ষ্য ইরানের অঞ্চলের কর্মবিষয়ক কৌশলের একটি কেন্দ্রীয় ভিত্তি হয়ে ওঠে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিই ইসরায়েলকে "ক্যান্সারজনিত টিউমার" এবং "বিফল ও ধ্বংসপ্রাপ্ত" জাতি হিসেবে অভিহিত করেছেন, এবং ২০১৪ সালে তার বিলুপ্তির নির্দেশনায় নির্দিষ্ট একটি ৯‑পয়েন্ট পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ২০১৫ সালে তিনি বলেন, ইরান বিভিন্ন প্রক্সি সংগঠনে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছে, যেগুলি অনেকগুলো পশ্চিমা কর্তৃপক্ষের মতে নাস্তিক সংগঠন (designated terrorist organizations) হিসেবে তালিকাভুক্ত; এগুলো ইরানের "অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স (Axis of Resistance)" অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) লেবাননের হেজবোল্লাহ প্রতিষ্ঠা ও সশস্ত্রতায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে; পাশাপাশি ইরান ফিলিস্তিনের হামাস, ও প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ-কেও অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহ করেছে। খামেনিই ২০২৪ সালে হামাসের ৭ অক্টোবরের বর্বরতার পর মনে করেন, এসব জঙ্গিভিত্তিক হামলা "ইসরায়েলকে ধ্বংসের পথে" নিয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েক বছরে, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি আরও ত্বরান্বিত করেছে, যা ইসরায়েলের কাছে অস্তিত্বের জন্য গুরুতর হুমকি, বিশেষত ইরান যে বারবার ইসরায়েলকে ধ্বংসের ডাকে; এই লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক আকাঙ্ক্ষার অন্যতম কৌশলগত উদ্দেশ্য হিসেবে আ্যখ্যায়িত হয়।[৩০] এছাড়াও পশ্চিমা বিশ্বে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে পারমাণবিক ছড়ানো (nuclear proliferation), পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদ (nuclear terrorism),[৩১] এবং সন্ত্রাসবাদ ও বিদ্রোহদলের প্রতি ইরানের সমর্থন।[৩২] 2010 সালে তহুরানে সংগঠিত স্টাক্সনেট (Stuxnet) সাইবার হামলার মতো গোপন অভিযান পারমাণবিক কর্মসূচিতে বিঘ্ন ঘটাতে পরিচালিত হয়েছিল। ২০১৫ সালে যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা (JCPOA) স্বাক্ষরিত হয়, যা ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ডে কঠোর সীমাবেধ আরোপ করে এবং এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্ত স্থাপন করে।[৩৩] ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র JCPOA থেকে প্রত্যাহার করে, যার ফলে আবার নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।[৩৪] বর্তমানে ইরান ৬০% বিশুদ্ধতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে এবং উন্নত কেন্দ্রিফিউজার স্থাপনের মাধ্যমে দ্রুতগতিতে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেন, এই কর্মসূচি কোনো শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য পূরণ করছে না।[২৭] ২০২৪ সালের মে মাসে "ইন্সটিটিউট ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি" (ইউএস ভিত্তিক চিন্তাধারার প্রতিষ্ঠান) ধারণা করে, ইরান এক সপ্তাহে একটি পারমাণবিক বোমার জন্য যথেষ্ট অস্ত্র-যোগ্য ইউরেনিয়াম উৎপাদন করতে পারে, এবং এক মাসে সাতটির মতো সৃষ্টি করতে সক্ষম হতে পারে।[৩৫] ইরান উত্তর কোরিয়ার মডেলের উপর ভিত্তি করে দীর্ঘ-পরিসর ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি উন্নয়ন করেছে; এর সর্বশেষ সংস্করণে ৩,০০০ কিমি পরিসর পর্যন্ত পারমাণবিক-ক্যাপাবল রেঞ্জও থাকতে পারে, যা ইউরপ মধ্যেও আঘাত হানার সক্ষমতা রাখে।[৩৬] ২০২৫ সালের জুনে, IAEA প্রথমবারের মতো ২০ বছরের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক দায়িত্ব উল্লঙ্ঘন বিষয়ক সতর্কতা জানায়।[২৮] 이에 উত্তরেই ইরান নতুন সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র চালু করে এবং উন্নত কেন্দ্রিফিউজার বসায়।[২৯]
ইসরায়েল বারবার আন্তর্জাতিক মহলকে ইরানের পারমাণবিক হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে এবং কর্মসূচিকে নির্মূল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এটি প্রবর্তন করেছে বেগিন নীতি (Begin Doctrine), একটি প্রতিরোধী নীতিমালা যা ঘোষণা করে, কোনো আঞ্চলিক প্রতিপক্ষকে WMD (Weapons of Mass Destruction) তৈরি করতে দেয়া হবে না।[৩৭] এই নীতির আওতায় পূর্বে চালানো হয়েছে অপারেশন ওপেরা (Operation Opera) ইরাকে এবং অপারেশন আউটসাইড দ্য বক্স (Operation Outside the Box) সিরিয়ায়।[৩৭][৩৮] ২০১৮ সালে, মোসাদ এজেন্টেরা তেহরানের একটি গুদামে প্রবেশ করে AMAD প্রকল্প-এর পারমাণবিক রেকর্ড সংগ্রহ করে; সেখানে ছিল ওয়ারহেড ডিজাইন, বিস্ফোরক পরীক্ষা এবং ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের পরিকল্পনা।[৩৯] ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পারমাণবিক-শক্তিধর ইরান প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা নিতে।[৪০][৪১][৪২] একটি ভাষণে, নেটানিয়াহু ইরানিদের প্রতি বলেছেন, তিনি আশা করেন একদিন তাদের বর্তমান শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাবে এবং ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তির সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।[৪৩]
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণে ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা যেমন S‑300 SAM সিস্টেম দুর্বল হয়েছে।[৪৪] এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি হামলায় ইরানে অবস্থিত পারমাণবিক অস্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান (পারচিন) ধ্বংস করা হয়েছিল।[৪৫]
১২ জুন, ABC News জানিয়েছে, ইসরায়েল প্রস্তুত করছে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান;[৪৬] কয়েক ঘণ্টা পরে, CBS News জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে ইসরায়েল "সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত" একটি অভিযান চালানোর জন্য। ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গেই থাকার অপশন বিবেচনা করেছিল, তবে নিয়ন্ত্রণে নেতৃত্ব নেয়নি।[৪৭] পরবর্তী দিনে, যুক্তরাষ্ট্রের জেরুসালেম দূতাবাস কর্মীদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে, যদিও মাইক হকাবি (Mike Huckabee), আমেরিকার দূত, বলেন, "সম্ভাব্য নয়" ইসরায়েল অনুমতি ছাড়া ইরানে আক্রমণ করবে; তিনি বিশ্বাস করেন ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।[৪৮] বিমান আক্রমণের আগে, ইসরায়েল ট্রাম্প প্রশাসনকে জানায়, তারা অনুমোদন ছাড়া আক্রমণ করবে না।[১৮]
হামলা
[সম্পাদনা]২০২৫ সালের ১৩ জুন ভোরে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ (IDF)) ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক অবকাঠামোর উপর একটি বৃহৎ আকারের বিমান হামলা শুরু করে।[৪৯] ইসরায়েলি সময় অনুযায়ী সকাল ৬:৩০ নাগাদ, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী (Israeli Air Force) পাঁচটি পৃথক ঢেউয়ে হামলা পরিচালনা করে।[৫০] এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত বহু স্থান, পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ও কমান্ডারদের অবস্থান।[৪৯] মোসাদ (Mossad) সমন্বিতভাবে গোপন নাশকতা অভিযান পরিচালনা করে, যার মাধ্যমে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোর উপর আঘাত হানা হয়।[৫১] ইসরায়েলের দাবি, তারা এমন সব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে যা তেহরান পূর্বানুমান করতে পারেনি।[৪৯] আইডিএফ জানায়, প্রাথমিক হামলায় ২০০টিরও বেশি ইসরায়েলি বিমান প্রায় ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে ৩৩০টিরও বেশি অস্ত্র ফেলে।[৫২]
স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ (Israel Katz) সমগ্র দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং সতর্ক করেন যে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিআক্রমণ আসন্ন।[৫৩] ইরানি পাল্টা আক্রমণের আশঙ্কায় গোটা ইসরায়েলে সতর্ক সংকেত চালু করা হয়, যদিও রিপোর্ট করার সময় পর্যন্ত ইরান কোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেনি।[৪৯] কাটজ ইসরায়েলের হামলাকে "প্রাক-emptive strike" হিসেবে অভিহিত করেন।[৫৪] আইডিএফের মতে, গোপন গোয়েন্দা তথ্য জানায় যে ইরান কয়েক দিনের মধ্যেই ১৫টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করেছে।[৪৯]
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) বলেন, ইরানকে থামানো না গেলে "অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে। হতে পারে এক বছর, কিংবা তারও কম সময়ে"।[৫৫] তাই নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন, "অপারেশন রাইজিং লায়ন (Operation Rising Lion)" চালু করা হয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল নাতাঞ্জের মূল সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির নির্দিষ্ট অংশ। এই অভিযান চলবে "যতদিন সময় লাগে" ততদিন পর্যন্ত। নেতানিয়াহু ইরানের পারমাণবিক প্রচেষ্টাকে "ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য স্পষ্ট ও তাৎক্ষণিক হুমকি" হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন, এই পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে "আমরা আমাদের আরব প্রতিবেশীদেরও রক্ষা করছি" ইরানের আগ্রাসন থেকে। ইসরায়েলের সময় অনুযায়ী সকাল ৪:৩৫ পর্যন্ত ইরান কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।[৫৬] নেতানিয়াহু নিরাপত্তা মন্ত্রিসভাকে ডেকে বৈঠক করেন।[৪৯]
তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়, বিশেষত সামরিক ঘাঁটির আশপাশে এবং ঊর্ধ্বতন কমান্ডারদের আবাসিক এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশাল আগুন ও বারবার বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা গেছে।[১৮][৫৭] ফার্স নিউজ এজেন্সি (Fars News Agency), যা আইআরজিসি’র সাথে যুক্ত, জানায় যে তেহরানের পূর্বাঞ্চলের শারাক-এ-মাহাল্লাতি (Shahrak-e Mahallati) এলাকায় বহু বাসভবনে আঘাত হানা হয়েছে, যেখানে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা বসবাস করেন।[৫৭] রিপোর্টে আরও জানানো হয়, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সদর দপ্তরেও আগুন লেগেছে।[৫৮]
বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ইরানের ইসফাহান প্রদেশের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্র (Natanz Nuclear Facility) এলাকায়, যেখানে ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র অবস্থিত: ভূগর্ভস্থ "ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্ট (FEP)" এবং উপরের "পাইলট ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্ট (PFEP)"। ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন "জোরালো বিস্ফোরণ" নিশ্চিত করে।[৫৯] খোন্দাব (Khondab) এবং খোররামাবাদ (Khorramabad)-এ অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতেও হামলা চালানো হয়।[২০]
২০২৫ সালের ২২ জুন ইরানে হামলায় অবশেষে অনেক উত্তেজনার পরে ইসরায়েলের সাথে যোগ দেয় আমেরিকা।[৬০] রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে মার্কিন বাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ফোরদো, ইসফাহান, নাতাঞ্জ স্থাপনায় "অত্যন্ত সফল আক্রমণ" করে এবং আরও বলেন যে ভারী সুরক্ষিত ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনার "পতন" হয়েছে।[৬১] যদিও ইরানের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় যে এই মার্কিন হামলায় আংশিক ক্ষতি হয়েছে এবং হামলার আগেই ওই কেন্দ্রগুলো থেকে পারমাণবিক উপাদান সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ।[৬২]
হতাহত
[সম্পাদনা]খবরে জানা গেছে যে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হয়েছেন। আইডিএফ (IDF) জানিয়েছে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি (Mohammad Bagheri) সম্ভবত এই হামলায় নিহত হয়েছেন।[২৩] যদিও ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ (IRNA) এই দাবিকে অস্বীকার করেছে,[৬৩] কিন্তু আধা-সরকারি ফার্স নিউজ এজেন্সি (Fars News Agency) তা নিশ্চিত করেছে।[৬৪] ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, হোসেইন সালামি (Hossein Salami), বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC)-এর কমান্ডার, নিহত হয়েছেন।[২২] পরে এই তথ্য IRGC নিজেই নিশ্চিত করে।[৬৫] আরেক শীর্ষ কমান্ডার ঘোলাম আলি রাশিদ (Gholam Ali Rashid)-ও নিহত হন।[৫৪][৬৬]
নুর নিউজ (Nour News) জানায়, সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনেই (Ali Khamenei)-এর উপদেষ্টা আলি শামখানি (Ali Shamkhani) গুরুতর আহত হন[৬৭] এবং পরে তাঁর আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন।[৬৮]
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ফারেদুন আব্বাসি-দাবানী (Fereydoun Abbasi-Davani) ও মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি (Mohammad Mehdi Tehranchi) নিহত হয়েছেন।[২৪][৬৯]
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, হতাহতের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।[২৫][৭০] তাসনিম নিউজ এজেন্সি (Tasnim News Agency) জানায়, হামলায় ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩৫ জনই নারী ও শিশু। আহতদের চামরান হাসপাতাল (Chamran Hospital)-এ স্থানান্তর করা হয়।[৭১]
উল্লেখযোগ্য মৃত্যু
[সম্পাদনা]| হোসেইন সালামি (Hossein Salami) | বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC)-এর সর্বাধিনায়ক |
| মোহাম্মদ বাঘেরি (Mohammad Bagheri) | ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ |
| ঘোলাম আলি রাশিদ (Gholam Ali Rashid) | ইরান বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার |
| আলি শামখানি (Ali Shamkhani) | সর্বোচ্চ নেতার রাজনৈতিক উপদেষ্টা |
| ফারেদুন আব্বাসি-দাবানী (Fereydoun Abbasi-Davani) | পারমাণবিক বিজ্ঞানী |
| মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি (Mohammad Mehdi Tehranchi) | পারমাণবিক বিজ্ঞানী |
পরবর্তী পরিস্থিতি
[সম্পাদনা]তাসনিম নিউজ এজেন্সি (Tasnim News Agency) জানায়, ইরানের কর্তৃপক্ষ ইমাম খোমেইনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Imam Khomeini International Airport)-এ সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে, যদিও এই স্থাপনাটি সরাসরি হামলার শিকার হয়নি।[৭২][৭৩] একইভাবে ইসরায়েলের বিমানবন্দরগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়।[৭৪] জর্ডান-ও তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।[৭৫] এর ফলে সৌদি আরবের হজ পালনরত যাত্রীদের প্রত্যাবর্তন ফ্লাইট বাতিল করা হয়।[৭৬]
চীন ইরানে থাকা তাদের নাগরিকদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে।[৭৭] ইরাকের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, তারা পূর্বসতর্কতা হিসেবে তাদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।[৭৮]
নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগ (NYPD) জানায়, তারা নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত ইহুদি ও ইসরায়েলি স্থানগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করছে।[৭৯]
আইডিএফের তথ্যমতে, ইরান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ১০০টিরও বেশি ড্রোন ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে পাঠিয়েছে।[৫৬]
প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]অভ্যন্তরীণ
[সম্পাদনা]ইরান
[সম্পাদনা]ইরান সরকার দেশের ভিতরে সংবাদ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।[৮০] ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আবুলফজল শেখারচি (Abolfazl Shekarchi) জানান, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।[৮১] সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনেই (Ali Khamenei) এক বিবৃতিতে এই হামলাকে "অপরাধ" আখ্যা দিয়ে বলেন, "সিয়োনি শাসন নিজেই নিজের জন্য তিক্ত ও বেদনাদায়ক পরিণতির আয়োজন করেছে"।[৮২] ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাতিসংঘ সনদের অধীনে ইরান আইনি ও নৈতিকভাবে জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে এবং যুক্তরাষ্ট্রকেও এই "সিয়োনি অভিযান"-এর ফলাফলের দায় নিতে হবে।[৮৩] আইআরজিসি (IRGC) জানায়, তাদের প্রধান হোসেইন সালামি নিহত হলেও বাহিনী প্রতিশোধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।[৬৩] আহমদ বাহিদি (Ahmad Vahidi)-কে অস্থায়ী কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।[৮৪]
- ইরানি প্রবাসীরা
- অধিকারকর্মী মাসিহ আলিনেজাদ (Masih Alinejad) বলেন, "একজন সন্ত্রাসীকে সরানো কোনো ট্র্যাজেডি নয়, বরং এটা বিচার প্রতিষ্ঠার পথে একটি পদক্ষেপ।"[৮৫]
ইসরায়েল
[সম্পাদনা]বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) ট্রাম্পকে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, এই হামলা ছিল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের হুমকি প্রতিহত করার অবিলম্বিক সামরিক প্রয়োজনে গৃহীত পদক্ষেপ।[৮৬][৮৭][৮৮] তিনি আরও জানান, "এই হুমকি দূর না হওয়া পর্যন্ত" হামলা চলবে।[৮৯] আইডিএফের চিফ অব স্টাফ এয়াল জামির (Eyal Zamir) জানান, ইসরায়েলি বাহিনী "দশ হাজারেরও বেশি সৈন্য মোতায়েন করছে এবং সকল সীমান্তে প্রস্তুত রয়েছে"।[৯০]
আন্তর্জাতিক সংস্থা
[সম্পাদনা]
United Nations জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস (António Guterres) উভয় পক্ষকে "সর্বোচ্চ সংযম" দেখাতে বলেন।[৯১] তার মুখপাত্র ফারহান হাক (Farhan Haq) বলেন, "মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উত্তেজনা জাতিসংঘ মহাসচিব নিন্দা করেন"।[৯২]
আন্তর্জাতিক
[সম্পাদনা]এই section তে অত্যধিক পরিমাণে প্যাঁচালপূর্ণ বিবরণ থাকতে পারে যা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পাঠকবর্গের আগ্রহের বিষয় হতে পারে। Specifically, routine expressions of concern. (June 2025) |
অস্ট্রেলিয়া: পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং জানান, তিনি পরিস্থিতি দেখে "ভীত", এটি "অস্থির অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে"।[৯৩]
বাংলাদেশ: ইরানের উপর ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছে। দেশটি সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং জোর দিয়ে বলেছে যে "কূটনীতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাই স্থায়ী শান্তির একমাত্র কার্যকর পথ।"[৯৪]
চীন: ইরানে অবস্থিত দূতাবাস পরিস্থিতিকে "গুরুতর ও জটিল" বলে অভিহিত করে নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলে।[৫৬] একই সতর্কতা জারি করে তেল আবিব দূতাবাস।[৯৫]
ভারত: বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ভারত পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।[৫৬]
জাপান: মুখ্য ক্যাবিনেট সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি জানান, সরকার "কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে" এবং "জাপানি নাগরিকদের রক্ষা করতে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে"।[৯৬]
ওমান: ওমান ইসরায়েলকে এই হামলার ও এর পরিনতির জন্য দায়ী করে।[৯৭]
নিউজিল্যান্ড: প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন বলেন, এই হামলা "বিপজ্জনক", পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স শান্তি পুনঃস্থাপনের আহ্বান জানান।[৫৮][৯৮]
সৌদি আরব: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে "জঘন্য" বলে আখ্যা দেয় এবং এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানায়।[৯৯]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, ইসরায়েল এই হামলা স্বতন্ত্রভাবে চালিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়। তিনি বলেন, ইসরায়েল এই আক্রমণকে আত্মরক্ষার অধিকার হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। রুবিও ইরানকে সতর্ক করে বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বা কর্মীদের টার্গেট করা উচিত নয়।"[৫৮][১০০] সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম সমর্থন জানিয়ে লেখেন, "খেলা শুরু। ইসরায়েলের জন্য দোয়া করো।".[১০১] হাউজ স্পিকার মাইক জনসন বলেন, "ইসরায়েল সঠিক করেছে" এবং আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।[১০২][১০৩] সিনেটর জ্যাক রিড বলেন, "ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত উত্তেজনাকর ও বিপজ্জনক"।[১০৪] জন ফেটারম্যান ও জিম রিশ ইসরায়েলকে সমর্থন জানান। রিশ বলেন, "আমরা আজ রাতে ইসরায়েলের পাশে আছি"।[১০৫] সিনেট মেজরিটি লিডার জন থুন বলেন, ইরান তার পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করেছে এবং দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল ধ্বংসের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে আসছে।[১০৫]
কিউবা: প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল ইরানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন "ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আক্রমণের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই, যা মধ্যপ্রাচ্যে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এবং অপ্রত্যাশিত পরিণতি সহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে।"[১০৬]
তুরস্ক: প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ইরানের প্রতি সমর্থন জানান এবং বলেন যে, ইসরায়েল "পুরো অঞ্চলকে আগুনে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে"।[১০৭]
ফ্রান্স: ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ইরান ও ইসরায়েল উভয়কে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, "তেহরানে সরকার উৎখাতের চেষ্টা হবে একটি কৌশলগত ভুল।"[১০৮]
যুক্তরাজ্য: পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি বলেন যে তিনি "শঙ্কিত এবং আমাদের জরুরিভাবে উত্তেজনা কমাতে হবে এবং বেসামরিক নাগরিকদের আরও ক্ষতি রোধ করতে হবে,"[১০৭]
জার্মানি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন এবং সতর্ক করে দিয়েছেন যে "আরও উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকি এখন বাস্তবতা।" "ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল ইসরায়েলকেই নয়, বরং সৌদি আরব এবং এই অঞ্চলের বৃহত্তর স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকিস্বরূপ। এখানকার দেশগুলির একটি স্পষ্ট লক্ষ্য রয়েছে: পারমাণবিক বিস্তার রোধ করা। জার্মানি উত্তেজনা হ্রাসে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,"[১০৭]
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]তেলের দাম ৮ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।[১০৯] বৈশ্বিক ফিউচার বাজার ধসে পড়ে; ডাও জোন্স (DOW) ফিউচারস ৬০০ পয়েন্ট হারায়।[১১০][১১১]
সংস্থাগুলোর প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]- ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ (Democracy for the Arab World Now) এই হামলাকে "অবৈধ ও অপ্ররোচিত" বলে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলের থেকে সম্পর্ক বিছিন্ন করার আহ্বান জানায়।[১১২]
- ন্যাশনাল ইরানিয়ান আমেরিকান কাউন্সিল (National Iranian American Council) বলে, এই হামলার "আন্তর্জাতিক আইনের কোনো বৈধতা নেই" এবং এতে "অসংখ্য নিরীহ প্রাণ হুমকির মুখে পড়েছে"।[১১৩]
জোটগুলোর প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]জি-৭ চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানান জি-৭ জোটের নেতারা। তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যে এই অস্থিতিশীলতার জন্য ইরানকে দায়ী করেন।[১১৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত সূত্রসমূহ:
- "US helps Israel shoot down barrage of Iranian missiles"। AP News। Associated Press। ১৩ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০২৫।
- "US air defense systems, naval destroyer help down Iranian missiles fired at Israel"। The Times of Israel। ১৪ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০২৫।
- Carter, Brian; Rezaei, Ben; Reddy, Ria; Borens, Avery; Schmida, Ben; Moorman, Carolyn; Parry, Andie (১৬ জুন ২০২৫)। "Iran Update Special Report, June 16, 2025, Evening Edition"। Critical Threats Project। Washington, D.C.: Institute for the Study of War। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০২৫।
- ↑ "IRAN'S BASIJ INCREASES SECURITY, SETS UP MORE CHECKPOINTS"। Iranwire। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০২৫।
- ↑ "What are the Iranian drones that attacked Israel?"। The Jerusalem Post (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২৫।
- ↑ "IDF: 80-90% of Iranian missiles intercepted, but 24 Israelis killed in attacks"। The Jerusalem Post। ১৬ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০২৫।
- ↑ "Israeli death toll rises to 24; nearly 600 injured"। Israel Hayom। ১৬ জুন ২০২৫।
- ↑ "Iran shoots down Israeli drone, fighter jet: Reports"। Al Jazeera English। ১৭ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০২৫।
- ↑ "Israel-Iran live updates: IDF says it killed Iran's new wartime chief of staff"। NBC News। ১৭ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০২৫।
- ↑ "Iran launches new strikes on Israel as Israeli attack widens"। BBC। ১৫ জুন ২০২৫। ১৫ জুন ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- ↑ "Israel will achieve its objectives against Iran within a week or two, say IDF officials"। The Times of Israel। ১৭ জুন ২০২৫।
- ↑ "Israeli army claims it destroyed 30% of Iran's missile launchers"। Al Jazeera English। ১৬ জুন ২০২৫।
- ↑ Rogoway, Tyler (১৬ জুন ২০২৫)। "Iranian F-14 'Persian Tomcats' obliterated in Israeli airstrike"। TWZ।
- ↑ "Rights group says woman killed in western Syria, likely by Iranian drone"। The Times of Israel। ১৬ জুন ২০২৫।
- ↑ Husseini, Rana (১৪ জুন ২০২৫)। "Five people injured from falling object in Irbid — PSD"। Jordan Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০২৫।
- ↑ "Netanyahu Says Operation 'Rising Lion' Will Last 'as Many Days as It Takes'"। The Wall Street Journal।
- ↑ "Israel launches Operation Rising Lion to target Iran's nuclear threat"। The Jerusalem Post। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ Iran's state TV footage shows residential building in Tehran damaged by Israeli strike (News) (ইংরেজি ভাষায়)। Associated Press। ১৩ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Israel attacks Iran's nuclear and missile sites with explosions heard across Tehran. Live updates here"। CTVNews (ইংরেজি ভাষায়)। The Associated Press। ১৩ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 Kingsley, Patrick; Boxerman, Aaron; Fassihi, Farnaz (১৩ জুন ২০২৫)। "Israel Launches Attack on Iran as Tehran Scrambles Jets: Live Updates"। The New York Times (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Explosions heard in Natanz, home to key nuclear site, says Iranian state television"। The Times of Israel (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- 1 2 "Live - Israel attacks Iran, Revolutionary Guards chief killed"। Iran International (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "مرگ سردار سلامی و تنی چند از فرماندهان سپاه" [Death of General Salami and several IRGC commanders]। IRNA (ফার্সি ভাষায়)। ১৩ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- 1 2 "Iran's Revolutionary Guard commander Hossein Salami killed in Israeli strike, says Iranian state media"। The Times of Israel (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- 1 2 "Military chief Mohammed Bagheri possibly killed in Israel strike on Iran"। The Jerusalem Post (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- 1 2 "Iran state media names two nuclear scientists killed in Israeli strike"। The Times of Israel (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- 1 2 "Iran State Media Says Civilians Killed In Israel Strikes On Tehran"। barrons (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;APNewsVideo20250613নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - 1 2 "Iran's alarming nuclear dash will soon test Donald Trump"। The Economist। আইএসএসএন 0013-0613। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- 1 2 "UN nuclear watchdog finds Iran in non-compliance with its obligations"। Euro News। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
- 1 2 Salem, Mostafa; Pleitgen, Frederik (১২ জুন ২০২৫)। "Iran threatens nuclear escalation after UN watchdog board finds it in breach of obligations"। CNN (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;AllinSimon2010নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Wilnerনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Freilich2018নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;ArmsControlনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;NYTimesTrumpTranscriptনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Economist20240520নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Barnes20250131নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - 1 2 উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Slama2021নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Makovsky20120910নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;SangerBergman20180715নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Martinez20120927নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;NBC20180501নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Miller20150303নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;TimesOfIsrael20241224নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;FassihiBergman20241026নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Ravid20241115নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Martinez20250612নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;JacobsBrennanLaPortaWatsonAke20250612নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;RasgonOdenheimer20250612নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - 1 2 3 4 5 6 উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;JPost20250613aনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Israel has so far carried out 5 waves of strikes in Iran, military official says"। Times of Israel (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Report: Mossad carried out covert sabotage operations against Iranian air defenses, long-range missiles"। The Times of Israel (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "IDF: 200 aircraft involved in opening strikes on Iran, with several top officials killed"। www.timesofisrael.com (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Israel begins preemptive strike against Iran, defense minister says; sirens wail across Israel"। ১৩ জুন ২০২৫।
- 1 2 উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Ostermanনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Borgerনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - 1 2 3 4 উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;CNNLive20250612নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - 1 2 উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;IranIntlLive20250613aনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - 1 2 3 উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;APNewsLiveনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Explosions heard in Natanz, home to key nuclear site, says Iranian state television"। The Times of Israel। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
- ↑ "ইরানের পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলার পর যা বললেন ট্রাম্প"। www.ajkerpatrika.com। ২ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৫।
- ↑ "US joins Israel in attacks against Iran, strikes key nuclear sites"। Al Jazeera (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৫।
- ↑ "পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, ইরান বলছে 'কিছু ছিল না ভেতরে'"। দেশ রূপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৫।
- 1 2 উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;AlJazeeraLive20250613নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Fabian, Emanuel। "Report: Iran's military chief Bagheri killed in Israeli strike"। The Times of Israel (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "IRGC says ready to respond despite killing of its chief"। Al Jazeera। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Iran's Revolutionary Guards chief killed in Israeli attack - state media"। Iran International (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Senior adviser to Ali Khamenei 'critically injured': Report"। Al Jazeera English। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Khamenei's top advisor Shamkhani killed in Israeli raid, sources say"। Iran International। ১৩ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Two Iranian nuclear scientists killed in attacks: Tasnim agency"। Al Jazeera English। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;WashingtonPost20250612নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Mostly women and children among 50 injured in Israeli attack: Report"। Al Jazeera। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Flights suspended at Tehran's main airport"। Al Jazeera English। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "After Israel strikes Iran, airlines divert flights, airspace closed"। Reuters। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Israeli strike on Iran grounds flights, leaves tens of thousands of Israelis stranded"।
- ↑ "Jordanian army issues statement following 'Israeli' attack on Iran"। Roya News।
- ↑ "پروازهای بازگشت حجاج تا اطلاع ثانوی لغو شد"। IRNA।
- ↑ "Embassy urges Chinese in Iran to stay alert after Israeli airstrikes, explosions"। South China Morning Post। ১৩ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
- ↑ "Iraq's transportation ministry says Iraqi airspace is temporarily closed and air traffic is suspended"। Yahoo News (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "NYPD steps up protection of Jewish, Israeli sites after Iran strikes"। The Times of Israel (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "دادستانی کل کشور خطاب به فعالان مجازی و رسانه ها"।
- ↑ "Update from Farnaz Fassihi"। The New York Times (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Iran's Supreme Leader: Israel must prepare for 'bitter and painful' fate following attack"। Al Jazeera। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Iran says US will also be responsible for Israel's 'adventure'"। Al Jazeera। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Ahmad Vahidi appointed as TEMPORARY COMMANDER-IN-CHIEF OF THE IRGC"। X (formerly Twitter)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Alinejad Masih on X"।
- ↑ https://www.nbcnews.com/now/video/israel-launched-strikes-on-iran-to-roll-back-uranium-threat-netanyahu-says-241496645844।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|title=অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ https://www.timesofisrael.com/an-immediate-operational-necessity-why-israel-finally-attacked-irans-nuclear-facilities/amp/।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|title=অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ "Live updates: Israel strikes Iran"। ১২ জুন ২০২৫।
- ↑ "Strikes to continue 'for as many days as it takes'"। 1News।
- ↑ "Israeli military chief says army 'mobilising tens of thousands'"। Al Jazeera English। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "World reacts to Israeli strike on Iran"। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "UN chief condemns 'military escalation"। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Australia 'alarmed' by escalation"। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Bangladesh concerned over Israeli attack on Iran"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৪ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০২৫।
- ↑ https://www.reuters.com/world/china/china-cautions-citizens-iran-warns-those-israel-potential-attacks-2025-06-13/
- ↑ "Japan Govt Vows to Protect Nationals"। ১৩ জুন ২০২৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Ari, Lior Ben (১৩ জুন ২০২৫)। "Oman: 'Israel is responsible for this escalation and its consequences'"। Ynetnews (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৫।
- ↑ "Asia Pacific reacts to Israeli strikes"।
- ↑ "Saudi Arabia condemns attacks"। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "US confirms it is uninvolved"। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "'Game on,' says key US senator"। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Update from Robert Jimison"। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "'Israel IS right': Top US lawmaker"। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "US senator slams 'reckless escalation'"। ১২ জুন ২০২৫।
- 1 2 উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;JewishInsider20250613নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Cuban president strongly condemns Israeli attacks on Iran"। www.radiohc.cu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 "World leaders weigh in on 'alarming' Israel-Iran strikes"। Al Jazeera (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৫।
- ↑ এএফপি ,বিবিসি (১৭ জুন ২০২৫)। "ইরানে সরকার উৎখাতের চেষ্টা হবে একটি কৌশলগত ভুল: মাখোঁ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৫।
- ↑ https://www.bbc.com/news/articles/cn4qe4w1n2go
- ↑ https://www.cnbc.com/amp/2025/06/12/stock-market-today-live-updates.html।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|title=অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ https://www.investors.com/market-trend/stock-market-today/dow-jones-futures-crude-oil-israel-strikes-iran/।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|title=অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ "Rights group calls on US to 'decouple' interests with Israel"। ১৩ জুন ২০২৫।
- ↑ "Iranian-American advocacy group denounces Israel's deadly strikes"। ১২ জুন ২০২৫।
- ↑ রয়টার্স (১৭ জুন ২০২৫)। "ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন, ইরানকে দোষারোপ জি-৭ জোটের"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|শেষাংশ=প্যারামিটারে সাধারণ নাম রয়েছে (সাহায্য)
- ↑ যুক্তরাষ্ট্র কেবল আত্মরক্ষামূলক ভূমিকা পালন করেছে।[১]
- ↑ হুথি নেতৃত্বাধীন সব সরকারি সংস্থার বৈধতা প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিল, গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল, এবং যুক্তরাষ্ট্র।
<ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-alpha"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি