২০২৫ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আন্দোলন
| আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আন্দোলন | |||
|---|---|---|---|
| ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী ঘটনাবলীর অংশ | |||
৯ মে তারিখে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার নিকটে হেয়ার রোডের দিকে আন্দোলনকারীরা | |||
| তারিখ | ৮ মে ২০২৫ – ১১ মে ২০২৫ (৩ দিন) | ||
| অবস্থান | সমগ্র বাংলাদেশ | ||
| কারণ |
| ||
| লক্ষ্য |
| ||
| পদ্ধতি | বিক্ষোভ • সমাবেশ • অবরোধ • অনলাইন আন্দোলন | ||
| ফলাফল |
| ||
| পক্ষ | |||
| |||
| নেতৃত্ব দানকারী | |||
| |||
| ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান |
|---|
| বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধশ্রেণীর অংশ |
৮ মে ২০২৫ সালে রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের ব্যানারে সারা বাংলাদেশে আন্দোলন শুরু হয়। ১০ মে ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান মামলার রায় না আসা পর্যন্ত সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত জানানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে।[১]
২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে সেখানে স্বেচ্ছায় নির্বাসন গ্রহণ করেন। ৮ মে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ সমগ্র দেশে বিতর্কের সৃষ্টি করে যার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চলাকালে জুলাই গণহত্যার নির্দেশ প্রদানের অভিযোগ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সরকারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে তখন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ সরকারপ্রধান তথা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচির সূচনা করেন যা পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের ব্যানারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে পরিণত হয়।
আন্দোলন তিনটি দাবির উপর ৮ মে হতে ১১ মে পর্যন্ত চলমান ছিল: সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে রাজনৈতিক দলের বিচারের বিধান অন্তর্ভুক্তি এবং জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র জারি। চলমান আন্দোলনের মাঝে ১০ মে ২০২৫ সালে সরকার কর্তৃক কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দেওয়ার বিধান রেখে আইন সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরবর্তীতে ১২ মে ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারকার্য শেষ হয়ে রায় না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সকল সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম ও অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয় এবং রাজনৈতিক দলটির নিবন্ধন স্থগিত করা হয়।
পটভূমি
[সম্পাদনা]
২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শাসিত সরকার বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে সরকার কর্তৃক আন্দোলনকারীদের উপর জুলাই গণহত্যা পরিচালিত হয়। অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পর সরকারের পতন হয় এবং শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে স্বেচ্ছায় সেখানে নির্বাসন গ্রহণ করে। এরপর বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসা মুহাম্মদ ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে একাধিকবার আন্দোলন করা হলেও সরকার নিষিদ্ধ করেনি।[২] ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ৮ মে ২০২৫ সালে আবদুল হামিদ দেশত্যাগ করে থাইল্যান্ডে গমন করেন।[৩][৪] উল্লেখ্য যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়নি এবং অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে চিকিৎসাজনিত কারণ দেখিয়ে আবদুল হামিদ দেশত্যাগ করেছে।[৫] আবদুল হামিদের দেশত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য আবদুল হান্নান মাসউদ ক্ষোভ প্রকাশ করে দাবি করেন যে বিমানবন্দরে প্রথমে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ আবদুল হামিদকে দেশত্যাগে বাধা দিলেও রাষ্ট্রপতির দপ্তরের নির্দেশে কর্মীরা আবদুল হামিদকে যেতে দিয়েছিল।[৬] মামলার আসামী হওয়ার পরেও সফলতার সাথে আবদুল হামিদের দেশত্যাগ আলোচনার জন্ম দেয়। ঘটনাটিকে অপ্রত্যাশিত আখ্যা দিয়ে সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করে। অন্যদিকে গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী আবদুল হামিদের দেশত্যাগ সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবগত ছিলেন। ঘটনার জেরে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার ও আবদুল হামিদের মামলার তদন্তকারী দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হয়। প্রতিক্রিয়ায় গণঅধিকার পরিষদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় এবং ইনকিলাব মঞ্চ উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের দাবি করে। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আবদুল হামিদের দেশত্যাগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা করেন।[৭] ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি ক্রমশ জোড়ালো হচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে দলটি বা এর যেকোনো অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ হতে পারে।[৮] ৮ মে সন্ধ্যায় সৈয়দপুরে বিক্ষুব্ধ জনতা বিমানে করে ঢাকায় ফেরার পথে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ঘিরে ধরলে আশ্বাস দেন যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে আবদুল হামিদকে ফিরিয়ে আনা হবে।[৯] অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য হাসনাত আবদুল্লাহ দাবি করেন যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে দেশে পুনর্বাসিত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সাথে ভারত একাধিকবার বৈঠক করেছে রা রাজনৈতিকভাবে বিতর্কের জন্ম দেয়।[১০] ৮ মে তারিখে হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা ও নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে রাত ১০টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।[১১] বিশ্লেষকদের মতে অভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত অপরাধের বিচারে কার্যকারিতার অভাব ও জাতীয় রাজনীতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের প্রতি জনগণের অনিচ্ছার ফলে এই আন্দোলনের উত্থান হয়েছে।[২] সরকার যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চায়নি সে ব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল এবং সরকারের এই অবস্থানের সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মতামতের সামঞ্জস্যতা বজায় ছিল।[১২] দলটি আগে দুইবার নিষিদ্ধ হয়েছিল। এর পূর্বসূরি নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জার সামরিক শাসন জারির পর একবার নিষিদ্ধ হয় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর পূর্বে ২৬ মার্চে অপারেশন সার্চলাইট চলাকালে আরেকবার নিষিদ্ধ হয়েছিল।[১৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বিক্ষোভ কর্মসূচি (৮–৯ মে)
[সম্পাদনা]৮ মে ২০২৫ সালে রাত ১০টায় যমুনা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ শুরু হয়। কর্মসূচি ও বিক্ষোভে জাতীয় নাগরিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জুলাই ঐক্য ও ইনকিলাব মঞ্চ যোগ দেয়।[১৪] জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্যোগে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীবৃন্দ হাসনাত আবদুল্লাহর আহূত যমুনা ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়। ৯ মে মধ্যরাতে হাসনাত আবদুল্লাহ বিক্ষোভ মিছিলে প্রদত্ত এক বক্তব্যে সরকার মানুষের চাওয়া পাওয়া বুঝতে অসমর্থ হয়েছে বিধায় এই আন্দোলনের উত্থান হয়েছে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে বলে ঘোষণা দেন। বিক্ষোভস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিলো এবং আন্দোলনকারীরা 'গোলামি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ'; 'ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা'; 'লীগ ধর বিচার কর'; 'জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো', 'শাপলার হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার' সহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলো।[১৫] কর্মসূচিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির যোগ দেওয়ার পর আন্দোলন তীব্রতর হয়।[১৬] যমুনা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা যোগ দেওয়ার সময় কোনো বাধার সম্মুখীন হয়নি। আন্দোলনের ঘোষণা অকস্মাৎ ছিল[১৭] এবং টেনিস জার্সি পরেই খেলা ছেড়ে সেই সময় যমুনার সামনে দায়িত্ব পালন করতে রমনা থানার ডিসি মাসুদ আলমকে উপস্থিত হতে দেখা যায়।[১৮] রাত ১টায় অবস্থান কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন অন্যান্য নেতাদের নিয়ে যোগ দেন। অন্যদিকে প্রায় একইসাথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা–আরিচা মহাসড়ক অবরোধে অংশ নেয়।[১৯] আন্দোলন চলাকালে রাত ১.৩০ টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের চকবাজার ও নিউ মার্কেট মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ আয়োজন করে।[২০] জুমার পর চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।[২১] একই সময়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার সামনে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।[২২] দুপুরে মৌলভীবাজারে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পরিচালিত হয়।[২৩] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ আয়োজন করে।[২৪] বিকেলে আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকার পল্টন মোড় অবরোধ করে।[২৫] আন্দোলনের সমর্থনে কুমিল্লায় একাধিক রাজনৈতিক দল মিছিল করে ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পরিচালনা করে।[২৬] ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিকেলে প্রায় এক ঘন্টার জন্য খুলনা–কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।[২৭] নোয়াখালীতে জুলাই ঐক্যের উদ্যোগে একই দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্রসংগঠন যোগ দেয়।[২৮] আন্দোলন চলাকালে জাতীয় নাগরিক পার্টি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে সিলেট, খুলনা, নাটোর, কিশোরগঞ্জ ও জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল পরিচালিত হয়।[২৯] লক্ষ্মীপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও জনসাধারণ অংশ নেয়।[৩০] বিকেলে হবিগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।[৩১] বিকেল ৫.৩০ টায় চট্টগ্রামের সিডিএ অ্যাভিনিউ অবরোধ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পরিচালিত হয়। নড়াইলে বিকালে জনসাধারণ বিক্ষোভকারীরা ঢাকা–নড়াইল সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পরিচালনা করে।[২০]
অবরোধ কার্যক্রম (৯–১০ মে)
[সম্পাদনা]৯ মে ২০২৫ সালে দুপুর ২.৪৫ মিনিটে ঢাকায় আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্লাটফর্মের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ চলাকালে হাসনাত আবদুল্লাহ আনুমানিক বিকাল ৪.৩০ টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিলে আন্দোলনকারীরা ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা থেকে সরে শাহবাগে চলে যায়।[৩২] ইসলামপন্থী দলগুলো সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেয় যেখানে মুহাম্মদ জসীমউদ্দীন রহমানী ও তার সমর্থকদের দেখা গিয়েছিল।[৩৩] ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম সরকারকে সতর্ক করে বলেন যে দ্রুত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হলে অসহযোগ আন্দোলনে সংঘটিত 'মার্চ টু ঢাকা'র ন্যায় কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।[৩৪] অন্যদিকে ঢাকার শাহবাগ মোড়ে বিকেল থেকে অবস্থান কর্মসূচি পরিচালনার ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।[৩৫] এছাড়া ঢাকার মিরপুর, বাড্ডা, রামপুরায় সড়ক অবরোধ করা হয়।[৩৬] একই দিনে বিকেল ৪টায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ভিত্তিক রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে সন্ধ্যায় শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেয়।[৩৭] সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরায় জুলাই রেভুলশনারি অ্যালায়েন্সের ডাকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সক্রিয়কর্মীরা বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।[৩৮] সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে কুড়িগ্রামে আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।[৩৯] রাত ৯.৩০ এর দিকে ঢাকা–আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবির সাথে সংহতি জ্ঞাপন করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।[৪০] আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও পক্ষ উপস্থিত থাকলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অনুপস্থিত ছিল এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ইস্যুতে পক্ষ অবলম্বন করা থেকে বিরত থাকায় আন্দোলনকারীরা ব্যাপারটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দলটিকে আন্দোলনে শরিক করতে চেয়েছিল।[৪১] রাত ১১টায় শাহবাগে হাসনাত আবদুল্লাহ আন্দোলনের পরবর্তী দিনের কর্মসূচি হিসেবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে ঢাকার শাহবাগ সহ দেশের অবরোধকৃত স্থানগুলোতে বিকাল ৩টায় গণজমায়েতের ঘোষণা দেন। এছাড়া তিনি সরকারের নিকট তিনটি দাবি তুলে ধরেন: "জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করা এর অঙ্গসংগঠনসহ নিষিদ্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগকে দলগতভাবে নিষিদ্ধ করা"।[৪২]
১০ মে ২০২৫ সালে ভোর ৪টায় হাসনাত আবদুল্লাহ ঢাকার শাহবাগ ছাড়া দেশের কোথাও সড়ক অবরোধ করতে আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন।[৪৩] এরপর তিনি ভোরেও আরেকবার ফেসবুকে পোস্ট করে শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও সড়ক অবরোধ করতে অনুরোধ করেন।[৪৪] সকাল ১১টা থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা ঢাকার শনির আঁখড়ায় আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ছিলো।[৪৫] প্রায় একই সময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ঢাকার মিরপুরে ১০ নং সেকশনের গোলচত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।[৪৬] সকাল ১১.৩০টায় কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায় আন্দোলনকারীরা কিশোরগঞ্জ–পাকুন্দিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে।[৪৭] ১০ মে ২০২৫ সালে দুপুরে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও বাংলাদেশ সচিবালয় এবং এই দুটি ভবনের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা পরিচালনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।[৪৮] দুপুর ২টায় ফেসবুকে হাসনাত আবদুল্লাহ আন্দোলনকে নেতিবাচক উদ্দেশ্যে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জানিয়ে বলেন যে এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দলের একক উদ্যোগ নয়, তিনি এই আন্দোলনকে "ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য" ব্যানারে পরিচালনা করার ঘোষণা করেন।[৪৩] বিকেল ৩ টায় ঢাকার শাহবাগে গণজমায়েত শুরু হয়। গণজমায়েতে বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করেন যে বহিঃপ্রভাব কিংবা অসুস্থতার কারণে যদি তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন তবু যেন তারা আন্দোলন চালিয়ে যায়।[৪৯] সেখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ব্যাপারে মীমাংসা দাবি করা হয়।[৫০] বিকালে সিলেটে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং শহরের জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।[৫১] হাসনাত আবদুল্লাহর অনুরোধ সত্ত্বেও আন্দোলনকারীদের ঢাকা শ্যামলীতে ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করতে দেখা যায়, যার ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পায়।[৩৬] বিকেল ৪.৩০ টায় ঢাকার মিরপুর সড়কের শিশুমেলা মোড়ে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে, যার ফলে এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় সেখানে রোগীদের সড়কে হেঁটে যেতে হয়।[৫২] বিকেল ৪টায় খুলনার শিববাড়ি মোড়ে আন্দোলনকারীদের অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়।[৫৩] এছাড়া বিকেলে রাজশাহীর তালাইমারী ও আলুপট্টি মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সমাবেশে আন্দোলনকারীরা অংশগ্রহণ করে।[৫৪]
আল্টিমেটাম (১০–১২ মে)
[সম্পাদনা]১০ মে ২০২৫ সালে সন্ধ্যায় ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত গণজমায়েতে হাসনাত আবদুল্লাহ সরকারকে সতর্ক করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য এক ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন এবং এক ঘন্টার মধ্যে নিষিদ্ধ না করলে তারা ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করবে বলে জানান।[৫৫] তার প্রায় দেড় ঘন্টা পর শাহবাগে অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা একাধিক ভাগে বিভক্ত করে যায় এবং একটি অংশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার সামনের সড়কের মোড়ে অবস্থান নেয়।[৫৬] ১০ মে ২০২৫ সালে সরকার রাত ৮টায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকের ঘোষণা দেয়।[৫৭] বৈঠক শেষে সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবর শোনার জন্য ঢাকার শাহবাগে অবস্থানকারী আন্দোলনকারীদের দলটি অপেক্ষায় ছিল। জানা গিয়েছিল যে বৈঠকে দলটি নিষিদ্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।[৫৮] অন্যদিকে রাত ৯টায় বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়া দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক আহ্বান করে।[৫৯] এক ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও সরকার কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় আন্দোলনকারীরা যমুনা ভবনের দিকে পদযাত্রা শুরু করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যমুনায় যাওয়ার পথে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে অবস্থান করছিল।[৬০] রাতে জরুরি বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান যে বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদন করার ফলে যেকোনো রাজনৈতিক দলকে শাস্তি দেওয়া যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্যদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাদী স্বাক্ষীদের সুরক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার প্রজ্ঞাপন ১২ তারিখে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া বৈঠকে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।[৬১] সরকারের সিদ্ধান্ত প্রকাশের পরপরই রাতে ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল পরিচালনা করা হয়।[৬২] কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে আনন্দ মিছিল করা হয়।[৬৩] বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ সমাবেশের আয়োজন করে।[৬৪] বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘোষণার পর ১১ মে ২০২৫ সালে মধ্যরাতে ঢাকার উত্তরায় আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।[৬৫] সরকারের সিদ্ধান্ত জানার পর শাহবাগে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়, তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত না আসার একটি অংশের মাঝে অসন্তোষ দেখা গিয়েছিল। পরে হাসনাত আবদুল্লাহ সরকারের কাছে চূড়ান্ত কথা না শোনা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের আন্দোলন শেষ না করার জন্য নির্দেশ দেন।[৬৬] আন্দোলনকারীরা সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যায় এবং অভিযোগ করে যে তাদের মূল দাবিকে মেনে নেওয়া হয়নি। ফলে যমুনা ভবনে সরকারি নীতিনির্ধারকদের সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টির হাসনাত আবদুল্লাহ, আপ বাংলাদেশের আলী আহসান জুনায়েদ ও ইনকিলাব মঞ্চের শরিফ উসমান হাদির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।[৬৭] বৈঠক শেষে মধ্যরাতে সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে হাসনাত আবদুল্লাহ আন্দোলনকারীদের বাড়িতে ফিরে যেতে বলেন।[৬৮] সকালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন জানান যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি হলেই তারা বৈঠকে বসে দলটির নিবন্ধনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।[৬৯] একই দিনে সরকারের সিদ্ধান্তে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত সক্রিয়কর্মীরা এবং আহত ও নিহতদের অসন্তুষ্ট আত্মীয়রা ঢাকা শাহবাগে অবস্থান করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। সে সময় তারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধকরণ, জুলাই সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও তাৎক্ষণিকভাবে জুলাই সনদ ঘোষণার দাবি জানিয়েছিল।[৭০][৭১] বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে ইনকিলাব মঞ্চ আরও কিছু প্রস্তাব দেয়: দল ও ব্যক্তির বিচার করার জন্য পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিরাপরাধ কর্মীদের প্রায়শ্চিত্তের জন্য কমিশন গঠন এবং ৫ আগস্ট ২০২৫ সালের মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা।[৭২] রাত ১০টায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত সক্রিয়কর্মীরা এবং আহত ও নিহতদের অসন্তুষ্ট আত্মীয়রা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।[৭৩] ১২ মে ২০২৫ সালে জাতীয় নাগরিক পার্টির সারজিস আলম সেদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন আসার কথা তা সরকারকে মনে করিয়ে দিয়ে ৫ ঘন্টা সময় দিয়ে সকালে ফেসবুকে পোস্ট করেন।[৭৪]
প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]৯ মে ২০২৫ সালে মধ্যরাতে যমুনা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিকে "ফয়সালার দিন" হিসেবে উল্লেখ করে সক্রিয়কর্মী ও অনলাইন ব্যক্তিত্ব পিনাকী ভট্টাচার্য ঢাকাবাসীকে ফেসবুক যোগে আন্দোলনে যোগ দিতে আহ্বান জানান।[৭৫] বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ সরকার একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায় যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি সরকার গুরুত্বের সাথে নিয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ করে সমাধা করা হবে।[৭৬] বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আব্দুল মঈন খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের ব্যাপারে তার দল সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বরং সরকার ও নির্বাচন কমিশন নিতে পারে।[৭৭] জনতা পার্টি বাংলাদেশের নেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনকে সমর্থন প্রদান করে জানান যে আন্দোলনকারীদের পাশে তার দল রয়েছে।[৭৮] আমার বাংলাদেশ পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ২ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানায়।[৭৯] সালে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিবৃতিতে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান করার পাশাপাশি সরকারের কাছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করা হয়।[৮০] ১০ মে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন যে কোন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা সমাধান নয়, তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন যে "আজকে আওয়ামী লীগকে যারা নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছেন, কয়েকদিন পর তারাই যে বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে চাইবে না তার গ্যারান্টি কী?"[৮১] একই দিনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের জাতীয় কাউন্সিলের অধিবেশনে কাউন্সিলররা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সমর্থন প্রদান করেন।[৮২] জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদের নিজেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সমর্থক দাবি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের বিপক্ষ নেন। তিনি প্রশ্ন করেন যে জুলাই গণহত্যার জন্য যদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে একাত্তরের গণহত্যায় অভিযুক্ত সংগঠনগুলোর কি হবে।[৮৩] জনতার দল আন্দোলনে সমর্থন প্রদান করে আন্দোলনকারীদের সাথে যোগ দেন।[৮৪] বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আন্দোলনে সমর্থন দেয় এবং জানায় যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা আদতে জনগণের দাবি।[৮৫] আন্দোলনকারীদের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আন্দোলনের সময় সড়ক অবরোধ করে জনসাধারণের ভোগান্তি সৃষ্টি না করার জন্য অনুরোধ করেন।[৮৬] ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে যোগ দেয়।[৮৭] ১১ মে ২০২৫ সালে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল বলে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবি করেন।[৮৮] সেই দিনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ঢাকায় মিছিল করে। দলটির সহ-সভাপতি আল রাশেদ প্রধান দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধের বদলে দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়।[৮৯] বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন যে নির্বাহী আদেশের বদলে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত।[৯০] বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা শফিকুর রহমান বলেন যে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে তারপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো।[৯১] সালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা কাদের সিদ্দিকী বলেন যে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ক্ষমতা একমাত্র জনগণ রাখে এবং দলটির দোষী সদস্যদের শাস্তি আদালতের মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে।[৯২] প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে লিখেন যে তার বিশ্বাস অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক হবেনা।[৯৩] বিশ্লেষক ও সাংবাদিক মাসুদ কামাল এই আন্দোলনকে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সাথে তুলনা করে কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে "সরকারের পাতানো খেলা" হিসেবে অভিহিত করেছে।[৯৪]
বিতর্ক
[সম্পাদনা]আন্দোলন চলাকালে ৮ মে ২০২৫ সালে রাতে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছিলেন যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া সপ্তাহখানেক আগে শুরু হয়েছে।[৯৫] প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির নাহিদ ইসলাম ও হাসনাত আবদুল্লাহ এই সিদ্ধান্তকে প্রহসন হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধ না করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।[৯৬] প্রতিত্তোরে আসিফ মাহমুদ দাবি করেন যে আন্দোলন প্রশমিত করার উদ্দেশ্যে দুই অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বরং এটি একটি পূর্ব পরিকল্পনা ছিল যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়ার একটি ধাপ।[৯৭] ৯ মে ২০২৫ সালে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মাহফুজ আলম অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে যে উপদেষ্টামণ্ডলীর শিক্ষার্থী সদস্যগণ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ছিলেন।[৯৮]
১০ মে ২০২৫ সালে জাতীয় নাগরিক পার্টির আব্দুল হান্নান মাসউদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে যেভাবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে দলটি প্রথমে যেভাবে প্রথমে সরকারের পতনের পক্ষে না গিয়েও পরবর্তীতে সরকার পতনের জন্য আন্দোলনে নেমেছিল ঠিক সেভাবে এই আন্দোলনে তারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের পক্ষে সরাসরি না থাকলেও ভবিষ্যতে নিষিদ্ধের পক্ষে মত দিয়ে আন্দোলনের নেতৃত্বের কৃতিত্ব নিতে চাইবে।[৯৯] ১২ মে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মির্জা আব্বাস দাবি করেন যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাদের দেশত্যাগের ঘটনায় সরকারের গাফিলতি মানুষের কাছ থেকে মুছে দিতে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন পরিচালনা করা হয়েছে।[১০০]
আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের নেতা গোলাম আজম ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামে স্লোগান দেয় এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা আন্দোলনে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গেলে তারা বিরোধিতার সম্মুখীন হয়। এই ঘটনাগুলো বিতর্কের সৃষ্টি করে এবং এসবের জেরে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মাহফুজ আলম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সমালোচনা করলে দলটির নেতারা তার সমালোচনার বিরোধিতা করে। অন্যদিকে প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি পরোক্ষভাবে তাদের স্লোগানগুলোকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও রাজনৈতিক সংগ্রাম বিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়ে জানায় যে উক্ত ঘটনা জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারে।[১০১] জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন যে জাতীয় নাগরিক পার্টি দলগুলোকে আন্দোলনে কাজে লাগিয়ে সফল হওয়ার পর পাকিস্তানপন্থী আখ্যা দিয়ে নিজেদেরকে প্রগতিশীল প্রমাণ করার চেষ্টা করছে।[১০২] অন্যদিকে একই ইস্যুতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ঘটনার প্রতিবাদ করে বলেন যে স্বাধীন দেশে আন্দোলনের দোহাই দিয়ে যমুনা ও শাহবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সামনে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে যা খুশি বলা যাবেনা।[১০৩]
ফলাফল
[সম্পাদনা]
আন্দোলন চলাকালে ১০ মে ২০২৫ সালে সরকার কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দেওয়ার বিধান রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।[১০৪] ১২ মে ২০২৫ সালে বিকালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় না পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি হয়।[১০৫] তার পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম ও অঙ্গসংগঠনগুলোর কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।[১০৬] শফিকুল আলম বলেন "আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি সার্বিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে"। তিনি আরও বলেন যে "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কারণে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে"।[১০৭] প্রজ্ঞাপন জারির পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মীরা নাশকতামূলক কার্যক্রম চালাতে পারে। তাই উপরমহল থেকে দেখামাত্র সকল দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়।[১০৮] রাতে জানানো হয় যে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে।[১০৯] প্রতিশ্রুতি প্রদানের ২৭তম দিনে অর্থাৎ ৬ জুন ২০২৫ সালে ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পরবর্তী মাসে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবির ভিত্তিতে একটি সনদ প্রস্তুত করে উত্থাপনের আশ্বাস দেন।[১১০]
প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার মতে সন্ত্রাস দমন আইনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েও আইনটিতে দলীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এছাড়া তার মতে দলের নিবন্ধন বাতিল করার সুবিধা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল আইনের সংশোধনীতে রাখা হলেও মূলত তা আদালতের রায়ের পরেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব এবং নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সম্ভব নয়।[৯৪]
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারির প্রতিক্রিয়ায় দলটির ফেসবুক পেজ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়।[১১১] ১৩ মে ২০২৫-এ অনুপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে ভারতের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।[১১২] অন্যদিকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মোহাম্মদ শাহ আলম নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাকে গণতন্ত্রের জন্য অশুভ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[১১৩]
সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করাকে অংশগ্রহণকারীরা আন্দোলনের সাফল্য হিসেবে গ্রহণ করে।[১] ৮ জুন ২০২৫ সালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে আসার পর বিবিসিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাব্বির আহমেদ বলেন, সরকার আগে থেকে জানত যে আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন এবং এটা হতে পারে যে জানা সত্ত্বেও সরকার ব্যাপারটিকে অজুহাত হিসেবে গ্রহণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে।[১১৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর কী বলছে তারা"। সকাল সন্ধ্যা। ১১ মে ২০২৫।
- 1 2 রাসেল, রাশেদ (৯ মে ২০২৫)। "হঠাৎ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবীতে কেন উত্তাল পুরো দেশ?"। দৈনিক ইনকিলাব। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ"। বাংলা ট্রিবিউন। ৮ মে ২০২৫। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা, হাসিনা-রেহানাসহ আসামি ১২৪"। যুগান্তর। ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। ২১ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৫।
- ↑ "চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ"। আজকের পত্রিকা। ৮ মে ২০২৫। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "কোন কার্যালয়ের ফোনে দেশত্যাগ করতে পারলেন আব্দুল হামিদ, জানালেন মাসউদ"। আমাদের সময়। ৮ মে ২০২৫। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "সবাই সবকিছু জানে তবু তদন্ত কমিটি"। যুগান্তর। ৯ মে ২০২৫। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "নিষিদ্ধ হতে পারে আওয়ামী লীগ, সম্ভাবনার কথা বললেন আসিফ নজরুল"। দৈনিক ইত্তেফাক। ৮ মে ২০২৫। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "সৈয়দপুর বিমানবন্দরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ"। বাংলা ট্রিবিউন। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "এই মাসেই ২৩টি গোপন গোয়েন্দা সংস্থার বৈঠক : ভারতের এজেন্ডায় আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন! যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ"। জনকণ্ঠ। ৮ মে ২০২৫।
- ↑ "যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচির ডাক হাসনাতের"। বাংলানিউজ২৪.কম। ৮ মে ২০২৫।
- ↑ "অনড় আন্দোলনকারীরা, আ.লীগ নিষিদ্ধের উপায় খুঁজছে সরকার"। ঢাকা মেইল। ৯ মে ২০২৫। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ আগেও দুইবার নিষিদ্ধ হয়েছিল"। দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস। ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "আবদুল হামিদের বিদেশযাত্রা, ক্ষুব্ধ ছাত্রদের যমুনা ঘেরাও"। সমকাল। ৯ মে ২০২৫। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "যাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি, তারা মানুষের পালস বুঝতে পারেনি: হাসনাত আবদুল্লাহ"। বাংলা ট্রিবিউন। ৯ মে ২০২৫। ১০ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "জামায়াত-শিবিরের যোগদানে উত্তাল আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন"। ঢাকা মেইল। ৯ মে ২০২৫। ২১ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান এনসিপির"। বিবিসি। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "টেনিস কোর্ট থেকেই যমুনার সামনে রমনার ডিসি"। বাংলানিউজ২৪.কম। ৯ মে ২০২৫। ২৩ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২৫।
- ↑ "যমুনার সামনে নাহিদ-হাসনাতরা, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ"। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। ৯ মে ২০২৫।
- 1 2 "আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ"। জনকণ্ঠ। ৯ মে ২০২৫। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "বোয়ালখালীতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ"। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি: ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে মঞ্চ পেতে চলছে সমাবেশ"। বিডিনিউজ২৪.কম। ৯ মে ২০২৪।
- ↑ "মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল"। সময় টিভি। ৯ মে ২০২৫। ১৪ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ"। প্রথম আলো। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পল্টন মোড় অবরোধে গণ অধিকার পরিষদ"। দৈনিক ইত্তেফাক। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ"। বিডিনিউজ২৪.কম। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ"। দৈনিক ইত্তেফাক। ৯ মে ২০২৫। ১০ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ, অবস্থান"। বিডিনিউজ২৪.কম। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ"। বাংলাভিশন। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জামায়াত-শিবিরের বিক্ষোভ"। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে হবিগঞ্জে সড়ক অবরোধ"। জনকণ্ঠ। ৯ মে ২০২৫। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ অবরোধ: হাসনাত"। ঢাকা মেইল। ৯ মে ২০২৫। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন হলেই 'শাহবাগ ব্লকেড' প্রত্যাহার"। প্রথম আলো। ৯ মে ২০২৫। ১০ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আ.লীগ নিষিদ্ধে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে আবারও 'মার্চ টু ঢাকা'"। যুগান্তর। ৯ মে ২০২৫। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "'আওয়ামী লীগ ব্যান করো' স্লোগানে ৪ ঘণ্টা ধরে অবরোধ শাহবাগ, বন্ধ যান চলাচল"। দৈনিক ইত্তেফাক। ৯ মে ২০২৫।
- 1 2 "হাসনাতের আহ্বান উপেক্ষা করে শ্যামলীতে ব্লকেড"। ঢাকা মেইল। ১০ মে ২০২৫। ১৫ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আত্মপ্রকাশ করেই আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে 'আপ বাংলাদেশ'"। সারাবাংলা। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে 'ব্লকেড'"। বাংলা ট্রিবিউন। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ"। বাংলা ট্রিবিউন। ৯ মে ২০২৫। ১০ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরুদ্ধ"। দ্য ডেইলি স্টার। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "বিএনপিকে পাশে চায় শাহবাগের আন্দোলনকারীরা, কী করবে দলটি?"। ঢাকা মেইল। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন নিয়ে নতুন কর্মসূচি"। দৈনিক কালবেলা। ৯ মে ২০২৫।
- 1 2 "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য'র ডাক"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "সারাদেশে 'ব্লকেড' নিয়ে যে নির্দেশনা দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ"। ঢাকা ট্রিবিউন। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ"। আজকের পত্রিকা। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিরপুরে বিক্ষোভ"। বাংলানিউজ২৪.কম। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পাকুন্দিয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ"। প্রথম আলো। ১০ মে ২০২৪।
- ↑ "সচিবালয় ও যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ"। বিডিনিউজ২৪.কম। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: হাসনাত"। চ্যানেল আই। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকেই আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে ফয়সালা হতে হবে: ইসলামী আন্দোলন"। প্রথম আলো। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটে অবস্থান কর্মসূচি"। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। ১০ মে ২০২৫। ২১ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি: শিশুমেলা সড়কে জুলাই আন্দোলনে আহতরা"। বিডিনিউজ২৪.কম। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে খুলনায় 'ব্লকেড'"। সারাবাংলা। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আ.লীগ নিষিদ্ধ না করলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি"। ঢাকা মেইল। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে ১ ঘণ্টা সময় দিলেন হাসনাত"। বিডিনিউজ২৪.কম। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি: ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ"। বিডিনিউজ২৪.কম। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক"। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আ.লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা শোনার অপেক্ষায় আন্দোলনকারীরা"। ঢাকা মেইল। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান"। দৈনিক কালবেলা। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আ. লীগ নিষিদ্ধের রোডম্যাপ না আসায় 'মার্চ টু যমুনা'"। কালের কণ্ঠ। ১০ মে ২০২৫। ২২ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত"। যমুনা টিভি। ১০ মে ২০২৫। ১১ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আনন্দ মিছিল ও পথসভা"। জনকণ্ঠ। ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ : চবি তে আনন্দ মিছিল"। দৈনিক সকালের সময়। ১১ মে ২০২৫। ২২ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে নিউ ইয়র্কে মিষ্টি বিতরণ"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১২ মে ২০২৫। ২২ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে উত্তরায় ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিল"। ঢাকা পোস্ট। ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "আ.লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ: মিছিল-স্লোগানে মুখর শাহবাগ"। রাইজিংবিডি.কম। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "সরকারের সঙ্গে বৈঠকে হাসনাতসহ শীর্ষ নেতারা, সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শাহবাগের আন্দোলনকারীরা"। বাংলা ট্রিবিউন। ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "সরকারের সিদ্ধান্ত ইতিবাচকভাবে দেখছি, বাসায় ফিরে যান: হাসনাত আব্দুল্লাহ"। সমকাল। ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগ, বাতিল হবে নিবন্ধন, অংশ নিতে পারবে না নির্বাচনে"। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ: শাহবাগে ফের অবরোধ"। সাম্প্রতিক দেশকাল। ১১ মে ২০২৫। ২১ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "আ.লীগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে জুলাই আন্দোলনে আহতদের অবস্থান"। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ১১ মে ২০২৫। ২২ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের পর ইনকিলাব মঞ্চের তিন প্রস্তাব"। প্রথম আলো। ১২ মে ২০২৫। ১২ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২৫।
- ↑ "দিনভর শাহবাগ অবরোধ জুলাইয়ে আহতদের"। সমকাল। ১২ মে ২০২৫।
- ↑ "ইন্টেরিমকে পাঁচ ঘণ্টা সময় দিলেন সারজিস"। সময়ের আলো। ১২ মে ২০২৫।
- ↑ "ঢাকায় আছেন যারা যমুনায় চলে আসেন: পিনাকী"। সময়ের আলো। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে: সরকারের বিবৃতি"। প্রথম আলো। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত দেবে: মঈন খান"। বিডিনিউজ২৪.কম। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবির সঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চনের জেপিবির একাত্মতা"। বাংলা ট্রিবিউন। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে : মঞ্জু"। ঢাকা পোস্ট। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতের"। সমকাল। ৯ মে ২০২৫। ১০ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন নিয়ে গয়েশ্বরের মনে 'ভয়'"। ঢাকা মেইল। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "১৯৪৯ সনেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে মুসলিম লীগ"। দৈনিক আজাদী। ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "আমরা কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নই: জি এম কাদের"। সমকাল। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আ. লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে জনতার দলের সমর্থন"। কালের কণ্ঠ। ১০ মে ২০২৫। ১১ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২৫।
- ↑ আল মিরাজ, আবদুল্লাহ (১০ মে ২০২৫)। "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে 'জনগণের দাবিই জামায়াতের'"। জাগো নিউজ।
- ↑ "আ. লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে রাস্তা অবরোধ করে জনভোগান্তি না করার আহ্বান"। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: ইসলামি আন্দোলন"। দৈনিক আমাদের বার্তা। ১০ মে ২০২৫। ২২ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "'দ্রুত প্রজ্ঞাপন দিয়ে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে'"। একাত্তর টিভি। ১১ মে ২০২৫। ১৫ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয় নাই, করতে হবে: রাশেদ প্রধান"। মানবজমিন (পত্রিকা)। ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত: ফখরুল"। একাত্তর টিভি। ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "আলোচনা করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো"। কালের কণ্ঠ। ১২ মে ২০২৫। ১২ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১১ মে ২০২৫।
- ↑ "প্রতিকূল আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আশা করি না : শফিকুল আলম"। ঢাকা পোস্ট। ১১ মে ২০২৫।
- 1 2 স্বপন, হারুন উর রশীদ (১১ মে ২০২৫)। "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ: নিবন্ধন ও জামায়াতের বিচার নিয়ে প্রশ্ন"। ডয়েচে ভেলে।
- ↑ "স্বেচ্ছাসেবক ও যুবলীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে, ফেইসবুকে উপদেষ্টা আসিফ"। বিডিনিউজ২৪.কম। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "কেবল যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা 'প্রহসন' বললেন নাহিদ"। বাংলানিউজ২৪.কম। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত কিছুদিন আগেই হয়েছে, এটা আন্দোলন দমনের কোন প্রক্রিয়া নয়: আসিফ মাহমুদ"। জনকণ্ঠ। ৯ মে ২০২৫। ৯ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে 'কয়েকটি কথায়' যে ইঙ্গিত দিলেন মাহফুজ আলম"। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ৯ মে ২০২৫।
- ↑ "আ.লীগ নিষিদ্ধের পর শুরু হবে ক্রেডিট নিয়ে কাড়াকাড়ি: মাসউদ"। ঢাকা মেইল। ১০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে নাটক চলছে: মির্জা আব্বাস"। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। ১২ মে ২০২৫।
- ↑ "গোলাম আজমকে নিয়ে স্লোগানের দায়িত্ব 'তাদেরকেই' নিতে হবে: এনসিপি"। বাংলাদেশ জার্নাল। ১২ মে ২০২৫।
- ↑ "জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ, এখন পাকিস্তানপন্থি বলে চালিয়ে দাও"। যুগান্তর। ১২ মে ২০২৫। ১২ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২৫।
- ↑ "আন্দোলনের নামে শাহবাগ-যমুনার সামনে বসে যা তা বলা যাবে না: এ্যানি"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১২ মে ২০২৫। ১৩ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৫।
- ↑ "ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিক দলকে শাস্তি দিতে পারবেন, অধ্যাদেশ জারি, যথোপযোগী বলছে প্রসিকিউশন"। প্রথম আলো। ১১ মে ২০২৫। ১৪ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১২ মে ২০২৫। ২২ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিষিদ্ধ হলো যেসব সংগঠন"। বাংলানিউজ২৪.কম। ১২ মে ২০২৫।
- ↑ "'আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কারণে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে'"। দেশ রূপান্তর। ১২ মে ২০২৫।
- ↑ ইসলাম, সিরাজুল (১২ মে ২০২৫)। "নাশকতার পাঁয়তারা, আ.লীগ কর্মীদের দেখামাত্রাই গ্রেফতারের নির্দেশ"। যুগান্তর। ১২ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত"। প্রথম আলো। ১২ মে ২০২৫।
- ↑ "আগামী জুলাইয়ে 'জুলাই সনদ' ঘোষণা : প্রধান উপদেষ্টা"। কালের কণ্ঠ। ৬ জুন ২০২৫। ৭ জুন ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে আইনজীবীদের ব্যাখ্যা, চলে যেতে পারে আন্ডারগ্রাউন্ডে"। আমাদের সময়। ১২ মে ২০২৫। ২২ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করায় উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের"। দৈনিক ইনকিলাব। ১৩ মে ২০২৫। ১৩ মে ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২৫।
- ↑ "আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা"। দেশ রূপান্তর। ১৩ মে ২০২৫।
- ↑ চৌধুরী, সানজানা (৯ জুন ২০২৫)। "সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশে যাওয়া নিয়ে উত্তাপ, দেশে ফেরার পর আলোচনার অবসান?"। বিবিসি। ১১ জুন ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২৫।