২০২২ সেন্ট হেলিয়ার বিস্ফোরণ
 বিস্ফোরণের স্থানের কাছাকাছি পিয়ার রোড থেকে সেন্ট হেলিয়ারের আকাশ দৃশ্য | |
 | |
| তারিখ | ১০ ডিসেম্বর ২০২২ |
|---|---|
| সময় | ঠিক ভোর ৪টার আগে |
| অবস্থান | পিয়ার রোড, সেন্ট হেলিয়ার, জার্সি |
| স্থানাঙ্ক | ৪৯°১০′৪২″ উত্তর ০২°০৬′৩০″ পশ্চিম / ৪৯.১৭৮৩৩° উত্তর ২.১০৮৩৩° পশ্চিম |
| ধরন | গ্যাস বিস্ফোরণ (সন্দেহজনক) |
| মৃত | ৯ |
| আহত | ৩ |
চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জের জার্সির সেন্ট হেলিয়ারে ২০২২ সালের ১০শে ডিসেম্বর একটি বিস্ফোরণে ফ্ল্যাটের একটি ব্লক ধ্বংস হয়ে যায়। ভোর ৪টার (জিএমটি) আগে ঘটে যাওয়া সন্দেহভাজন গ্যাস বিস্ফোরণে নয়জন নিহত হয়েছিল।
ঘটনাটি জার্সিতে আরও একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ঘটেছিল। একটি মালবাহী জাহাজ দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে একটি স্থানীয় ট্রলারের সাথে সংঘর্ষে তিনজন প্রাণ হারিয়েছিল।[১]
পটভূমি[সম্পাদনা]
বিস্ফোরণটি পিয়ার রোডের ফ্ল্যাটের তিনতলা ব্লকে ঘটেছিল, যা শহরের দক্ষিণ দিকে সেন্ট হেলিয়ার বন্দরের পূর্ব তীরে অবস্থিত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ভবনটি একটি সামাজিক হাউজিং ব্লক ছিল, যা হাউট ডি মন্ট নামে পরিচিত (অনু. পর্বতের উপরে) ছিল এবং এটি জার্সি সরকারের মালিকানাধীন হাউজিং কোম্পানি অ্যান্ডিয়াম হোমসের মালিকানাধীন।[২]
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিগণ[সম্পাদনা]
বিস্ফোরণের ২৪ ঘন্টা পরে জানাজায় জানা যায় হতাহতদের মধ্যে তিনজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছিল।[৩] পরে নিশ্চিত করা হয় আরও একজন আহত হয়েছে, মোট আহতদের সংখ্যা তিনজনে উন্নীত হয়।[৪] নিশ্চিত মৃতের সংখ্যা ১১ই ডিসেম্বরের শেষের দিকে বেড়ে পাঁচে পৌঁছেছিল, আরও চারজন তখনও নিখোঁজ ছিল।[৫]
১১ই ডিসেম্বর, জার্সি পুলিশ অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা বন্ধ করে দেয়, বাকি নিখোঁজদের মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়। [৬] ১২ ডিসেম্বর, সাতজন নিখোঁজ ব্যক্তি, যারা ঘটনার শিকার বলে মনে করা হয় তাদের নাম জার্সি পুলিশ ঘোষণা করেছিল। [৭] দুইজন তখনও নিখোঁজ ছিল বলে ধারণা করা হয়েছিল।[৮]
১৩ ডিসেম্বর নিখোঁজ আরও দুজনের নাম প্রকাশ করা হয়।[৯] ১৪ ডিসেম্বর, নিশ্চিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় আটজন, তখনও একজন ব্যক্তি নিখোঁজ ছিল।[১০][১১] ১৫ই ডিসেম্বর, সর্বশেষ নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত হিসাবে পাওয়া যায়।[১২]
নিহতদের সবার বয়স ষাট ও সত্তরের মধ্যে ছিল।[১৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Thomas, Tobi; Badshah, Nadeem (১০ ডিসেম্বর ২০২২)। "At least three killed and a dozen missing after Jersey flats explosion"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ "Three dead and 'around a dozen' missing after block of flats destroyed in explosion"। ITV News। ১০ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ "Search for missing people after Jersey flat explosion becomes 'recovery operation'"। ITV News। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ "Searches into the night after deadly blast on Jersey"। BBC News। ১০ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ "Five dead and four still missing after block of flats destroyed in explosion"। ITV News। ১১ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ "Jersey explosion: No survivors found in search after blast"। BBC News। ১১ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ "Jersey explosion: Seven victims named by police"। BBC News। ১২ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ "Seven dead and two still missing after block of flats destroyed in Jersey explosion"। ITV News। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ "Two more people missing since St Helier explosion identified by Jersey Police"। ITV News। ১৩ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ "Pier Road Tragedy: eight now confirmed to have died"। Bailiwick Express। ১৪ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ "Jersey explosion death toll rises to eight"। BBC News। ১৪ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ "Ninth death confirmed in Jersey explosion"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ "Nine now confirmed dead in St Helier explosion"। Jersey Evening Post। ১৫ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০২২।