বিষয়বস্তুতে চলুন

২০১৪ সালে সুইডেনে মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০১৪ সালে সুইডেনে মসজিদে অগ্নিসংযোগ
২০১৪ সালে সুইডেনে মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সুইডেন-এ অবস্থিত
এস্লভ
এস্লভ
আপসালা
আপসালা
এস্কিলস্তুনা
এস্কিলস্তুনা
২০১৪ সালে সুইডেনে মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা (সুইডেন)
স্থানএস্লভ, আপসালা এবং এস্কিলস্তুনা, সুইডেন
তারিখ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪[][]
১ জানুয়ারি ২০১৫[]
হামলার ধরনঅগ্নিসংযোগ
ব্যবহৃত অস্ত্রমলোটভ ককটেল
কারণঅভিবাসনবিরোধী[]
ইসলামবিরোধী[]

২০১৪ সালে সুইডেনে মসজিদে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ছিল একাধিক অগ্নি সংযোগের ধারাবাহিকতা, যা সুইডেনের তিনটি মসজিদে সংঘটিত হয় এবং প্রাথমিকভাবে সবগুলোকে অগ্নি সংযোগ বলে ধারণা করা হয়। সুইডেনের মসজিদগুলোতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলো ২০১৪ সালের শেষ সপ্তাহে সংঘটিত হয়। তৃতীয় ঘটনায় মলোটভ ককটেল নিক্ষেপের পাশাপাশি আপসালার মসজিদটিতে বর্ণবাদী গ্রাফিতি দিয়ে ভাঙচুর করা হয়।

দুর্ঘটনা ও হামলা

[সম্পাদনা]

ক্রিসমাস দিবসে (প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী) এস্কিলস্তুনার একটি মসজিদের জানালা দিয়ে একটি পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে পাঁচজন আহত হয়। সেই সময় মসজিদে প্রায় ২০ জন লোক উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে শিশুদেরও উল্লেখ করা হয়।[][] পুলিশ পরে জানায়, তারা ঘটনাটি একটি দুর্ঘটনা হিসেবে তদন্ত করছে এবং এটি ইচ্ছাকৃত হামলা হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেও জানায়। পরবর্তীতে জানা যায় যে, অতিরিক্ত উত্তপ্ত একটি ডীপ-ফ্রায়ার থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।

দ্বিতীয় ঘটনা (এবং প্রথম নিশ্চিত অগ্নিসংযোগ হামলা) সংঘটিত হয় ২৯ ডিসেম্বরে, দক্ষিণ সুইডেনের শহর এস্লভ-এ স্থানীয় সময় ভোর ৩টার কিছু পর। সেদিন কোনো ব্যক্তি আহত হয়নি।[][]

নতুন বছরের দিন সকালে আপসালায় আরেকটি মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।[][][] এই হামলায় মসজিদটিকে বর্ণবাদী গ্রাফিতি দিয়ে ভাঙচুরও করা হয়।

পটভূমি

[সম্পাদনা]

২০১৪ সালে সুইডেনে মসজিদে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ও হামলাগুলো এমন এক সময়ে ঘটে, যখন সুইডেনে অভিবাসন বিরোধী মনোভাব ও রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (জনসংখ্যার অনুপাতে) শরণার্থীদের জন্য শীর্ষ গন্তব্য হিসেবে সুইডেনের অবস্থান এই উত্তেজনার অন্যতম কারণ ছিল।[]

প্রতিক্রিয়া

[সম্পাদনা]

প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন এই হামলাগুলোকে "বিদ্বেষ মূলক সহিংসতা" বলে অভিহিত করেন এবং এই অপরাধের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এই হামলাগুলো সুইডেনের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং "সুইডেনে কেউ যেন নিজের ধর্ম পালনে ভয় না পায়"।[][তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

এস্লভের ইমাম সামির মুরিচ একটি সুইডিশ সংবাদ সংস্থাকে বলেন, "দুঃখজনকভাবে, এটি সম্ভবত ইসলাম ভীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আমি আশপাশেই থাকি এবং এখন এটি নিরাপদ মনে হচ্ছে না।"[]

২০১৫ সালের ২ জানুয়ারি সুইডেনের তিনটি প্রধান শহরে শত শত বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভকারী মুসলমানদের সমর্থনে একত্রিত হন।[][১০]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "সুইডেনের মসজিদে অগ্নিসংযোগে পাঁচজন আহত"euronews। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪। 
  2. "মসজিদে অগ্নিসংযোগে পাঁচজন আহত"। thelocal.se। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪। 
  3. "আপসালা মসজিদে তৃতীয় ফায়ারবম্ব হামলা"। thelocal.se। জানুয়ারি ২০১৫। 
  4. David Crouch (২৯ ডিসেম্বর ২০১৪)। "সুইডেনের মসজিদে সপ্তাহের দ্বিতীয় সন্দেহজনক অগ্নিসংযোগ"the Guardian 
  5. "সুইডেনের দ্বিতীয় মসজিদে সন্দেহজনক অগ্নিসংযোগ হামলা"newsweek.com। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪। 
  6. "সুইডেনে তৃতীয় মসজিদে অগ্নিসংযোগ"The Sydney Morning Herald। ২ জানুয়ারি ২০১৫। 
  7. "সুইডেনে এক সপ্তাহে তৃতীয় মসজিদে অগ্নিসংযোগ হামলা"। The National। 
  8. "অগ্নিসংযোগ হামলার পর সুইডেনে মসজিদগুলোর সমর্থনে মানুষের জমায়েত"Washington Post। ২০১৮-১২-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৩ 
  9. ABC News। "অগ্নিসংযোগ হামলার পর সুইডেনে মসজিদগুলোর সমর্থনে মানুষের জমায়েত"ABC News। ২০১৫-০১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৭ 
  10. "মসজিদে অগ্নিসংযোগ হামলার পর মুসলমানদের সমর্থনে সুইডিশদের প্রতিবাদ"Fox News। ২০১৫-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০১-০৩