২০১৩-এ মিয়ানমারে মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০১৩-এ মিয়ানমারে মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গা
স্থানসাগাইং অঞ্চল, মান্ডালে অঞ্চল, শান রাজ্য
তারিখ২০ মার্চ ২০১৩ (2013-03-20) – ২ অক্টোবর ২০১৩ (2013-10-02) (ইউটিসি+০৬:৩০)
হামলার ধরনধর্মীয়
নিহত৫০+[১][২]
আহত৮০+

২০১৩-এ মিয়ানমারে মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গা মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় মিয়ানমারের (বার্মা) বিভিন্ন শহরে সংগঠিত হওয়া সংঘর্ষের একটি সমষ্টি ছিল।

মিকটিলাতে মার্চ মাসে দাঙ্গা[সম্পাদনা]

২০ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত ম্যান্ডেলা বিভাগের মিকটিলাতে বৌদ্ধমুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা থেকে সহিংস সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন প্রাণ হারায় এবং ৬১ জন আহত হয়। ২০ মার্চে সহিংসতা শুরু হয় যখন একজন মুসলিম সোনার দোকানের মালিক, তার স্ত্রী এবং দুই মুসলমান কর্মচারী একটি সোনার মাথার কাঁটা নিয়ে একজন বৌদ্ধ গ্রাহক এবং তার স্বামীর সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আঘাত করে। একটি বৃহৎ দল সঙ্গবদ্ধ হয়ে দোকানটি ধ্বংস করতে শুরু করে। দোকানটি ধ্বংস করার পর, বিপুল সংখ্যক পুলিশ উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে বলে।[৩] সন্ধ্যায় এই ঘটনায় জড়িত নয় এমন এক স্থানীয় বৌদ্ধ ভিক্ষুকে তার সাইকেল থেকে টেনে আনা হয়, পেট্রোলে ভিজিয়ে দেয়া হয় এবং একটি মসজিদের কাছাকাছি ছয় মুসলিম যুবক তাকে জীবিত পুড়িয়ে দেয়।[৪] ভিক্ষুর হত্যাকান্ডের ফলে অপেক্ষাকৃত অপ্রতিরোধ্য অবস্থা তৈরি হয়ে ব্যাপকভাবে তীব্রতা ও সহিংসতা বৃদ্ধি পায়।[৩] বৌদ্ধ উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক মিংলার জ্যোওন ইসলামী বোর্ডিং স্কুলে আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগ করার ফলে প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটে। বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও, ছোরা, ধাতব পাইপ, শিকল এবং পাথর হাতে সজ্জিত দাঙ্গাকারীরা ৩২ জন কিশোর শিক্ষার্থী ও চারজন শিক্ষককে হত্যা করে।[৫]

২৫ শে মার্চ, ওথকোনে, তটকোনে এবং ইয়াটিহিন শহরে মুসলিম ঘরবাড়ি ও মসজিদগুলিকে লক্ষ্য করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই সহিংসতার ফলে কমপক্ষে ৯০০০ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হওয়ার খবর প্রকাশ করা হয়।[৬] এপ্রিল মাসে, বিবিসি পুলিশের একটি ফাস হওয়া ভিডিও খোঁজে পায় যাতে দেখানো হয় যে মিকটিলাতে যখন ঘরবাড়ি এবং ব্যবসায় বাণিজ্য জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছিল, বিপুল সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তারা তখন দাঁড়িয়ে ছিল। ভিডিওটিতে দাঙ্গাকারীদের হাতে কমপক্ষে দুইজন মুসলমান শিক্ষার্থীকে পুড়িয়ে ফেলা এবং হত্যার ঘটনাও দেখানো হয়েছে, যেসব অপরাধের মধ্যে বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীতে আদালতে অপরাধীদের বিচারের জন্য ভিডিওটি তুলে ধরা হয়। তৃতীয় দিনে, সরকার যখন জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে এবং সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে তখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে যায়।[৩]

২১শে মে, সোনা দোকানের মালিকসহ সাতজন মুসলমান এবং ভিক্ষুদের হত্যার পরিকল্পনাকারীদের, যাদের সহিংসতা উস্কে দেয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ২ থেকে ২৮ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়। জুলাই মাসে, বার্মা আদালত দাঙ্গায় ২৫ জন বৌদ্ধকে সহিংসতা চলাকালে হত্যা এবং অন্যান অপরাধের দায়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে।[১]

অকান-এ এপ্রিল মাসের দাঙ্গা[সম্পাদনা]

অকানে ৩০শে এপ্রিল ৪০০ জন বৌদ্ধ ইট ও লাঠিসোটা নিয়ে মসজিদগুলোতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং একশোরও বেশি বাড়ি ও দোকানপাঠ আগুনে পুড়িয়ে দেয় এবং দুই জনকে হত্যা করে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পাশাপাশি যাদানাকন, পানাপিন, চৌকথে এবং থেকন-এর নিকটবর্তী গ্রামগুলিতে ৭৭টিরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস করে হয়। দাঙ্গাটি শুরু হয়েছিল যখন একটি বাইসাইকেলে একজন মুসলিম মেয়ে দুর্ঘটনাক্রমে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীকে তার ভিক্ষাবৃত্তির থালায় চাপ সহ ধাক্ষা দেয়।[৭]

লেশিয়-তে মে মাসের দাঙ্গা[সম্পাদনা]

২৯ শে মে, একটি প্রতিবেদনে যখন বলা হয় যে, নে উইন নামের ৪৮ বছর বয়সী একজন মুসলিম পুরুষ, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারীর সাথে ঝগড়া করে তার গায়ে পেট্রোল ছিটিয়ে দেয় এবং তাকে আগুন ধরিয়ে দেয়, তখন চীনের সীমান্তবর্তী শান প্রদেশের লেশিয়তে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রতিক্রিয়া, ছোরা এবং বাঁশের খুঁটিসহ সশস্ত্র একদল বৌদ্ধ উচ্ছৃঙ্খল জনতা একটি মসজিদ, মুসলিম অনাথাশ্রম এবং অনেক দোকানে আগুন দেয়, যখন পুলিশ নে উইন কে পর সমর্পণ করতে অস্বীকার জানায়। পরদিনও বৌদ্ধ এবং মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে এবং কমপক্ষে এক ব্যক্তি মারা যায়।[৮] বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাতে শুরু করে, যাতে পুলিশসেনাবাহিনী শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত ১৪০০ মুসলমান বৌদ্ধ মঠের আশ্রয় নিতে বাধ্য থাকে।

কান্তবালু-তে আগস্ট মাসের দাঙ্গা[সম্পাদনা]

২৪ আগস্ট, সাগাইং অঞ্চলের কান্তবালুর ১৬ কিলোমিটার দক্ষিণে হানান গন গ্রামে যখন এমন একটি গুজব ছড়ায় যে একজন মুসলিম, বৌদ্ধ মহিলাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেছে তখন আবারও সহিংসতা শুরু হয়।[৯] স্থানীয় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ১০০০ বৌদ্ধ উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে স্থানীয় মুসলিম মালিকানাধীন ব্যবসাপাতি এবং গ্রামের মসজিদ পুড়িয়ে দিয়ে প্রতিশোধ নিতে নেতৃত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রিপোর্ট করে যে তিন ঘণ্টার দাঙ্গায় প্রধানত মুসলমানদের মালিকানাধীন ৪২টি বাড়িঘর এবং ১৫টি দোকান ছিনতাই হয়েছে। ঘটনাস্থলে একজন বন্দুকধারী ও একজন বেসামরিক লোক আহত হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা সহিংসতা দমন করতে সক্ষম ছিল না, তবে তাদের পিস্তল থেকে ফাঁকাগুলি ছোড়ে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।[৯][১০][১১]

থান্ডওয়ে-তে অক্টোবর মাসের দাঙ্গা[সম্পাদনা]

২৯শে সেপ্টেম্বর থেকে ২২শে অক্টোবরের মধ্যে, রাখাইন রাজ্যের উপকূলীয় শহর থান্ডওয়ে থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে থাবাচিং ও নিন্থি গ্রামে রাখাইন বৌদ্ধরা হামলা চালায় এবং কামেইন মুসলিমদের ওপর আক্রমণ করে। সাতজন মুসলমান ও দুইজন বৌদ্ধকে হত্যা করা হয় এবং ৭০ থেকে ৮০টি ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রায় ৫০০ জন জাতিগত কামেইন মুসলমানদেরকে তাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।[১২][১৩] রাখাইন বৌদ্ধ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতা আরও তীব্রতর হয়ে যায়, ১৭ ও ১৮ নভেম্বর পৃথক পৃথক ঘটনায় পাঁচ ও ছয় বছর বয়সী রাখাইন বৌদ্ধ মেয়ের মৃতদেহ পাওয়ার পর। মেয়েদের একজন ধর্ষিত হয়েছে বলে জানা যায়। [১৪]

বাড়তি ঘটনা[সম্পাদনা]

  • ২০১৩ সালে, ইন্দোনেশিয়ার একটি শরণার্থী ক্যাম্পে বার্মার মুসলিম ও বৌদ্ধ বন্দীদের সংঘর্ষে আটজন বৌদ্ধ নিহত হয় এবং ১৫ জন আহত হয়।[১৫] রাখাইন বৌদ্ধ বাসিন্দাদের দ্বারা মুসলিম নারী-রোহিঙ্গাদের যৌন হয়রানির কারণে এই দাঙ্গার উদ্রেক হিসেবে বিজ্ঞপ্তিগুলোতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।[১৬][১৭] ইন্দোনেশিয়ার একটি আদালত ডিসেম্বরে ১৪ জন মুসলিম রোহিঙ্গাদের প্রত্যেককে নয় মাস করে জেল দেয়। মৃত্যু সংঘটিত সহিংসতার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি, ১২ বছর কারাদণ্ডাদেশ অপেক্ষা এই দণ্ডাদেশটি যথার্থই নগণ্য ছিল। তাদের আইনজীবী বলেন যে তারা ছাড়া-পাওয়ার জন্য আবেদন জানাবে কারণ বিচারের সময় সত্য কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।[১৮]
  • মে মাসে, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় পাইপ-বোমা দিয়ে মিয়ানমার দূতাবাস আক্রমণের পরিকল্পনা করার জন্য দুই মুসলমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।[১৯] এই ঘটনার প্রধান পরিকল্পনাকারী বলেছিল যে সে মুসলমানদের ওপর অত্যাচারিতদের যে কারো সাথে যুদ্ধে নিয়োজিত।[১৮]
  • জুন মাসে, মালয়েশিয়ায় কমপক্ষে চারটি হত্যাকাণ্ড মিয়ানমারের জাতিগত উত্তেজনার সাথে সম্পর্কিত ছিল। কুয়ালালামপুরে চাকু-ধারী একজন উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে চাকানোর কারণে প্রাণ যাওয়া একব্যক্তি সহ সবাই বার্মার বৌদ্ধ ছিল। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে মালয়েশিয়া পুলিশ প্রায় ৬০ জন বার্মিজ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করে।[২০]
  • জুলাই মাসে, বোধ গায়া, বৌদ্ধের সবচেয়ে সম্মানিত স্থানগুলির একটিকে লক্ষ্য করে বোমা হামলার জন্য মুসলমানদের দায়ী করা হয়।[১৯]
  • ৫ই আগস্ট, পশ্চিম জাকার্তার একায়ণ বৌদ্ধ কেন্দ্রের বাইরে দুটি পাইপ-বোমা বিস্ফোরিত হয়, যেখানে ধর্মবাণী শুনার জন্য প্রায় ৩০০জন লোক জড়ো হয়; এতে তিনজন লোক আহত হয়।[২১] অপরাধীদের একটি চিরকুটে লিখা ছিল "আমরা রোহিঙ্গাদের চিত্কারের সাড়া দেই"।[২২]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Burma jails 25 Buddhists for mob killings of 36 Muslims in Meikhtila"The Guardian। ১১ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৩ 
  2. Hodal, Kate (২২ মার্চ ২০১৩)। "Ethnic violence erupts in Burma leaving scores dead"The Guardian 
  3. "The Dark Side of Transition: Violence Against Muslims in Myanmar" (পিডিএফ)। The International Crisis Group। ১ অক্টোবর ২০১৩। ১৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  4. Jason Szep (৮ এপ্রিল ২০১৩)। "Special Report: Buddhist monks incite Muslim killings in Myanmar"Reuters। ১৮ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  5. Aye Aye Win (১২ জুলাই ২০১৩)। "Buddhists sentenced over Burma riot"3 News। ৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৩ 
  6. "Burma communal rioting spreads outside Meiktila"BBC News। ২৫ মার্চ ২০১৩। ২৫ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৩ 
  7. Yadana Htun (৩০ এপ্রিল ২০১৩)। "Myanmar Anti-Muslim Violence Injures At Least 10 In Okkan As Mosques, Homes Attacked"The Huffington PostAP। ৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৩ 
  8. Brennan O'Connor (২৯ মে ২০১৩)। "In Pictures: Myanmar's sectarian divide"। ৩০ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৩ 
  9. http://www.irrawaddy.org/archives/42777
  10. "Buddhists burn Muslim homes and shops in Burma"The Daily Telegraph। AP। ২৬ আগস্ট ২০১৩। ২৬ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৩ 
  11. "Burma violence: Rioters burn Muslim homes and shops"। BBC News। ২৫ আগস্ট ২০১৩। ২ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৪ 
  12. Nyein Nyein (১৫ অক্টোবর ২০১৩)। "Six Suspects Confess to Thandwe Murders: Home Affairs Ministry"। The Irrawaddy। ১৭ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  13. "Thandwe Death Toll Rises to 7 With Discovery of Two More Bodies"। The Irrawaddy। ১৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৩ 
  14. "Rakhine on edge after two girls found dead"The Myanmar Times। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৩ 
  15. "Sumatra: eight dead and 15 wounded in clashes between Burmese Buddhists and Muslims"AsiaNews। ৫ এপ্রিল ২০১৩। ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৩ 
  16. "Indonesian prison riot sparked by rapes of Female Rohingya Inmates"Democratic Voice of Burma। ১০ এপ্রিল ২০১৩। ১৩ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৩ 
  17. "Rohingya-Buddhist Clashes in Indonesia 'Caused by Rape of Three Rohingya Muslim Women'"। Democratic Voice of Burma। ৯ এপ্রিল ২০১৩। ১৯ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৩ 
  18. "Indonesia jails Myanmar Muslims over Buddhist killings"Yahoo! News Australia। ৫ ডিসেম্বর ২০১৩। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  19. "Buddhism v Islam in Asia: Fears of a new religious strife"The Economist। ২৭ জুলাই ২০১৩। ১ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৩ 
  20. Stuart Grudgings (৬ জুন ২০১৩)। "Four Dead As Burma Violence Spills Into Malaysia-Police"The Irrawaddy। ১৪ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৩ 
  21. Farouk Arnaz (৫ আগস্ট ২০১৩)। "Explosion at Indonesian Buddhist Temple Injures Three: Police"Jakarta Globe। ৫ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৭ 
  22. Yenni Kwok (৭ আগস্ট ২০১৩)। "Jakarta Bomb a Warning That Burma's Muslim-Buddhist Conflict May Spread"Time। ১০ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।